ঢাকা ০৯:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ

শহীদ পুলিশ স্মৃতি কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

সোলায়মান হাসান
  • Update Time : ০৭:২৪:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৮৪ Time View

শহীদ পুলিশ স্মৃতি কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান-২০২৪ আজ শনিবার সকালে ঢাকার মিরপুর-১৪ তে কলেজ মাঠে সম্পন্ন হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) ও কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম(বার), পিপিএম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) সভানেত্রী ডা. তৈয়বা মুসাররাত জাঁহা চৌধুরী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এন্টি টেররিজম ইউনিটের অ্যাডিশনাল ইন্সপেক্টর জেনারেল এস এম রুহুল আমিন।

অনুষ্ঠানে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বিপিএম-বার, পিপিএম-বার ও সহধর্মিণী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট ও রেসিডেন্সিয়াল সার্জন (সার্জারী) ডাঃ ওয়াজেদ শামসুন্নাহার উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন মিরপুর জোনের উপ- পুলিশ কমিশনার (ডিসি) জসিম উদ্দিন মোল্লা, এডিসি মিরপুর জোন মাসুক মিয়া পিপিএম,মিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী সাব্বির, কাফরুল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ফারুকুল আলম।

ভাষার মাসে ১৯৫২ সালের শহীদদের স্মরণ করে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আইজিপি বলেন, ভাষা শহীদদের কারণে আমরা মায়ের ভাষায় কথা বলার অধিকার পেয়েছি। স্বাধীনতার চেতনা, শিক্ষা, নৈতিকতা ও দেশপ্রেমের উপপাদ্যকে সামনে রেখে ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর পরিচালনায় শহীদ পুলিশ স্মৃতি স্কুল অ্যান্ড কলেজের যাত্রা শুরু হয়। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আধুনিক এবং সৃজনশীল এবং মানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্থান করে নিয়েছে। যা পুলিশের গর্বের বিষয়। লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলায় শহীদ পুলিশ স্মৃতি কলেজের গৌরবময় অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে বলে আইজিপি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন।

২০২৩ সালে শীর্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ভালো ফলাফল করায় এবং এ কলেজ থেকে সাতজন শিক্ষার্থী এবার বিভিন্ন সরকারি মেডিকেল কলেজে চান্স পাওয়ায় তিনি শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

আইজিপি বলেন, বিজ্ঞানের যুগে আধুনিকতার ছোঁয়ায় জীবন সুন্দর ও সহজ হয়েছে। মোবাইল ফোনের অপব্যবহার ও মাদক জীবনকে তছনছ করে দিতে পারে। বর্তমানে বড় চ্যালেঞ্জ হলো মাদক নিয়ন্ত্রণ। মাদক যুবসমাজকে ধ্বংস করে দিতে পারে। মাদক থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসা। পারিবারিক, সামাজিক ও নৈতিক মূল্যবোধ এবং অনুশাসনের প্রতি শিক্ষক ও অভিভাবকদের খেয়াল রাখার অনুরোধ করেন তিনি।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে পুলিশ প্রধান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি ২০৪১ সালে উন্নত, সমৃদ্ধ দেশের যে স্বপ্ন দেখছেন, সে উন্নত সমৃদ্ধ দেশের নাগরিক হিসেবে তোমরাই নেতৃত্ব দিবে এবং বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে তোমাদের প্রস্তুত হতে হবে।

আইজিপি শিক্ষার্থীদের বর্ণাঢ্য প্যারেড ও মনোমুগ্ধকর ডিসপ্লে উপভোগ ও অভিবাদন গ্রহণ করেন। পরে বিশেষ অতিথি ও সভাপতি বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।

অনুষ্ঠানে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা, শিক্ষকমন্ডলী, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

Please Share This Post in Your Social Media

শহীদ পুলিশ স্মৃতি কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

Update Time : ০৭:২৪:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

শহীদ পুলিশ স্মৃতি কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান-২০২৪ আজ শনিবার সকালে ঢাকার মিরপুর-১৪ তে কলেজ মাঠে সম্পন্ন হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) ও কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম(বার), পিপিএম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) সভানেত্রী ডা. তৈয়বা মুসাররাত জাঁহা চৌধুরী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এন্টি টেররিজম ইউনিটের অ্যাডিশনাল ইন্সপেক্টর জেনারেল এস এম রুহুল আমিন।

অনুষ্ঠানে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বিপিএম-বার, পিপিএম-বার ও সহধর্মিণী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট ও রেসিডেন্সিয়াল সার্জন (সার্জারী) ডাঃ ওয়াজেদ শামসুন্নাহার উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন মিরপুর জোনের উপ- পুলিশ কমিশনার (ডিসি) জসিম উদ্দিন মোল্লা, এডিসি মিরপুর জোন মাসুক মিয়া পিপিএম,মিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী সাব্বির, কাফরুল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ফারুকুল আলম।

ভাষার মাসে ১৯৫২ সালের শহীদদের স্মরণ করে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আইজিপি বলেন, ভাষা শহীদদের কারণে আমরা মায়ের ভাষায় কথা বলার অধিকার পেয়েছি। স্বাধীনতার চেতনা, শিক্ষা, নৈতিকতা ও দেশপ্রেমের উপপাদ্যকে সামনে রেখে ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর পরিচালনায় শহীদ পুলিশ স্মৃতি স্কুল অ্যান্ড কলেজের যাত্রা শুরু হয়। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আধুনিক এবং সৃজনশীল এবং মানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্থান করে নিয়েছে। যা পুলিশের গর্বের বিষয়। লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলায় শহীদ পুলিশ স্মৃতি কলেজের গৌরবময় অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে বলে আইজিপি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন।

২০২৩ সালে শীর্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ভালো ফলাফল করায় এবং এ কলেজ থেকে সাতজন শিক্ষার্থী এবার বিভিন্ন সরকারি মেডিকেল কলেজে চান্স পাওয়ায় তিনি শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

আইজিপি বলেন, বিজ্ঞানের যুগে আধুনিকতার ছোঁয়ায় জীবন সুন্দর ও সহজ হয়েছে। মোবাইল ফোনের অপব্যবহার ও মাদক জীবনকে তছনছ করে দিতে পারে। বর্তমানে বড় চ্যালেঞ্জ হলো মাদক নিয়ন্ত্রণ। মাদক যুবসমাজকে ধ্বংস করে দিতে পারে। মাদক থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসা। পারিবারিক, সামাজিক ও নৈতিক মূল্যবোধ এবং অনুশাসনের প্রতি শিক্ষক ও অভিভাবকদের খেয়াল রাখার অনুরোধ করেন তিনি।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে পুলিশ প্রধান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি ২০৪১ সালে উন্নত, সমৃদ্ধ দেশের যে স্বপ্ন দেখছেন, সে উন্নত সমৃদ্ধ দেশের নাগরিক হিসেবে তোমরাই নেতৃত্ব দিবে এবং বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে তোমাদের প্রস্তুত হতে হবে।

আইজিপি শিক্ষার্থীদের বর্ণাঢ্য প্যারেড ও মনোমুগ্ধকর ডিসপ্লে উপভোগ ও অভিবাদন গ্রহণ করেন। পরে বিশেষ অতিথি ও সভাপতি বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।

অনুষ্ঠানে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা, শিক্ষকমন্ডলী, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।