ঢাকা ০১:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সাংবাদিকদের নামে তুলছে চাঁদা!

কুষ্টিয়ায় মাজারকে ব্যবহার করে জুয়া ও মাদক ব্যবসা

আব্দুস সবুর
  • Update Time : ১০:৩৭:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
  • / ২৯ Time View

কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের বৈরাগীরচর ছামছেরতলা এলাকার পদ্মাপাড়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে হযরত ভাদু শাহ্ বাবা ও হযরত গোপাল শাহ্ এর ৮৫ তম বাৎসরিক ওরশ মোবারক অনুষ্ঠান।

সোমবার(২২ শে এপ্রিল) এই ওরশ মোবারকের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। মাজারের ভিতরের পরিবেশ ঠিক থাকলেও রাত নামতেই মাজার শরীফের বাইরে জমে উঠে বিভিন্ন রকম জুয়া ও মাদকের আসর।

এ বিষয়ে নাম পরিচয় গোপন রাখার শর্তে বৈরাগীরচর এলাকার পদ্মাপাড়ের একাধিক ব্যক্তি বলেন,মাজারকে ব্যবহার করে স্থানীয় ক্যাডার,হাসেম মোল্লার ছেলে হেদায়েত গংদের প্রধান হেদায়েত মোল্লা ও মৃত বাবর আলী সরদার এর ছেলে চার নম্বর মরিচা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের মেম্বার নান্টু রাজ ওরফে নান্টু ডাক্তার এবং মৃত ইয়াসিন মোল্লার ছেলে নামকরা সুদ কারবারি টগর মোল্লাদের নেতৃত্বে বসেছে এক হাজার এরও বেশি বিভিন্ন পন্যের দোকান।

এরই মাঝে বসেছে মাদক ও জুয়ার আসর।এখানে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত কিশোর বয়সের ছেলেরা,যুবকরা এসে মাদক ও জুয়ার আসরের কারনে সর্বস্বান্ত হয়ে বাড়ি ফিরছে। ফিরেই শুরু করছে পারিবারিক নানান অশান্তি,উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় হচ্ছে চুরি,ছিনতাই,ডাকাতি ও সামাজিক অবক্ষয়।
এদিকে সাংবাদিকদের কাছে তথ্য প্রমাণে বেরিয়ে আসে থলের বিড়াল!

ভাদু শাহ্ বাবার মাজারকে ব্যবহার করে মেলায় অংশ গ্রহনকারী বিভিন্ন দোকানীদের কাছ থেকে,মাদক ব্যাবসায়ী কাছ থেকে ও জুয়া চালানোর কথা বলে,কুষ্টিয়া জেলার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পুলিশ ও সাংবাদিকদের নামে প্রতি রাতে চুক্তিভিত্তিক চাঁদা উঠাচ্ছে স্থানীয় ক্যাডার,সন্ত্রাসী হেদায়েত গংদের হেদায়েত মোল্লা ও গংদের সদস্য নান্টু রাজ ওরফে নান্টু ডাক্তার।

এদিকে হেদায়েত গং ও হেদায়েত বাহিনীর প্রধান হেদায়েত ও গং সদস্য নান্টু মেম্বার মাদক ব্যাবসায়ীদের,মেলার দোকানদার ও জুয়া চালানোকারীদের বলছে,কুষ্টিয়া জেলার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই চালাচ্ছে এই মাদক ও জুয়ার আসর। ট্রাকের ভোট করেছি,তো এটুকুই যদি না করি,করবো কি!? প্রশাসন কি আমার ট্রাকের এমপির উপরে নাকি?উপজেলা চেয়ারম্যান ও আমাদের!
ঘটনার সত্যতা অনুসন্ধানে গেলে,দেখা যায় মেলা জুড়ে প্রায় ৫০ টি স্থানে বসেছে জুয়ার আশোর ও শতাধিক স্থানে বসেছে মাদক ক্রয়-বিক্রয় ও সেবনের আসর!

এ বিষয়ে ওরশ উদযাপন কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমান মজনুর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলে তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
ওরশ উদযাপন কমিটির ক্যশিয়ার,হেদায়েত গং ও হেদায়েত বাহিনীর চিকন বুদ্ধির গং সদস্য নান্টু মেম্বারের কাছে ভাদু শাহ্ বাবার মাজারের ওরশ শরীফ উদযাপন উপলক্ষে জানতে চাওয়া হলে তিনি নওরোজ প্রতিবেদককে বলেন,”উল্টাপাল্টা কথা বল্লে কারো গলাতো থুবোইনা!দুর থাইকি ঢেল মারবেন্না!কাছে এসে দেখেন,মেলায় কোন জুয়া নাই,আর যেখানে সাধুর মেলা হয়,সেখানে গাঁজা খায়না এমন কোনো যায়গা দেখাতে পারবেন?” এ বিষয়ে প্রশাসনের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

Please Share This Post in Your Social Media

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সাংবাদিকদের নামে তুলছে চাঁদা!

কুষ্টিয়ায় মাজারকে ব্যবহার করে জুয়া ও মাদক ব্যবসা

Update Time : ১০:৩৭:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের বৈরাগীরচর ছামছেরতলা এলাকার পদ্মাপাড়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে হযরত ভাদু শাহ্ বাবা ও হযরত গোপাল শাহ্ এর ৮৫ তম বাৎসরিক ওরশ মোবারক অনুষ্ঠান।

সোমবার(২২ শে এপ্রিল) এই ওরশ মোবারকের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। মাজারের ভিতরের পরিবেশ ঠিক থাকলেও রাত নামতেই মাজার শরীফের বাইরে জমে উঠে বিভিন্ন রকম জুয়া ও মাদকের আসর।

এ বিষয়ে নাম পরিচয় গোপন রাখার শর্তে বৈরাগীরচর এলাকার পদ্মাপাড়ের একাধিক ব্যক্তি বলেন,মাজারকে ব্যবহার করে স্থানীয় ক্যাডার,হাসেম মোল্লার ছেলে হেদায়েত গংদের প্রধান হেদায়েত মোল্লা ও মৃত বাবর আলী সরদার এর ছেলে চার নম্বর মরিচা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের মেম্বার নান্টু রাজ ওরফে নান্টু ডাক্তার এবং মৃত ইয়াসিন মোল্লার ছেলে নামকরা সুদ কারবারি টগর মোল্লাদের নেতৃত্বে বসেছে এক হাজার এরও বেশি বিভিন্ন পন্যের দোকান।

এরই মাঝে বসেছে মাদক ও জুয়ার আসর।এখানে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত কিশোর বয়সের ছেলেরা,যুবকরা এসে মাদক ও জুয়ার আসরের কারনে সর্বস্বান্ত হয়ে বাড়ি ফিরছে। ফিরেই শুরু করছে পারিবারিক নানান অশান্তি,উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় হচ্ছে চুরি,ছিনতাই,ডাকাতি ও সামাজিক অবক্ষয়।
এদিকে সাংবাদিকদের কাছে তথ্য প্রমাণে বেরিয়ে আসে থলের বিড়াল!

ভাদু শাহ্ বাবার মাজারকে ব্যবহার করে মেলায় অংশ গ্রহনকারী বিভিন্ন দোকানীদের কাছ থেকে,মাদক ব্যাবসায়ী কাছ থেকে ও জুয়া চালানোর কথা বলে,কুষ্টিয়া জেলার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পুলিশ ও সাংবাদিকদের নামে প্রতি রাতে চুক্তিভিত্তিক চাঁদা উঠাচ্ছে স্থানীয় ক্যাডার,সন্ত্রাসী হেদায়েত গংদের হেদায়েত মোল্লা ও গংদের সদস্য নান্টু রাজ ওরফে নান্টু ডাক্তার।

এদিকে হেদায়েত গং ও হেদায়েত বাহিনীর প্রধান হেদায়েত ও গং সদস্য নান্টু মেম্বার মাদক ব্যাবসায়ীদের,মেলার দোকানদার ও জুয়া চালানোকারীদের বলছে,কুষ্টিয়া জেলার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই চালাচ্ছে এই মাদক ও জুয়ার আসর। ট্রাকের ভোট করেছি,তো এটুকুই যদি না করি,করবো কি!? প্রশাসন কি আমার ট্রাকের এমপির উপরে নাকি?উপজেলা চেয়ারম্যান ও আমাদের!
ঘটনার সত্যতা অনুসন্ধানে গেলে,দেখা যায় মেলা জুড়ে প্রায় ৫০ টি স্থানে বসেছে জুয়ার আশোর ও শতাধিক স্থানে বসেছে মাদক ক্রয়-বিক্রয় ও সেবনের আসর!

এ বিষয়ে ওরশ উদযাপন কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমান মজনুর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলে তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
ওরশ উদযাপন কমিটির ক্যশিয়ার,হেদায়েত গং ও হেদায়েত বাহিনীর চিকন বুদ্ধির গং সদস্য নান্টু মেম্বারের কাছে ভাদু শাহ্ বাবার মাজারের ওরশ শরীফ উদযাপন উপলক্ষে জানতে চাওয়া হলে তিনি নওরোজ প্রতিবেদককে বলেন,”উল্টাপাল্টা কথা বল্লে কারো গলাতো থুবোইনা!দুর থাইকি ঢেল মারবেন্না!কাছে এসে দেখেন,মেলায় কোন জুয়া নাই,আর যেখানে সাধুর মেলা হয়,সেখানে গাঁজা খায়না এমন কোনো যায়গা দেখাতে পারবেন?” এ বিষয়ে প্রশাসনের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।