ঢাকা ০৬:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ

কুষ্টিয়ায় ফেন্সিডিল তৈরির সময় ফেন্সিডিল সহ আটক ২

আব্দুস সবুর
  • Update Time : ১১:০৬:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
  • / ২৯ Time View

কুষ্টিয়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশ(ডিবি)গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফেন্সিডিল তৈরির সময় পঁচাত্তর বোতল ভারতীয় অবৈধ ফেন্সিডিল সহ দুইজন বিশিষ্ট মাদক ব্যাবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে।

২৫/০৪/২০২৪ ইং তারিখ রাত ০৩:৫০ ঘটিকার সময় দৌলতপুর থানাধীন কল্যাণপুর মন্ডলপাড়া এলাকার জনৈক ইশারত মন্ডল এর বসত বাড়ীর সামনে পাঁকা রাস্তার উপর হইতে সাবেক বাড়ি-দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ভাগজোত বর্ডার এলাকা,বর্তমান বাড়ি-ভেড়ামারা উপজেলার মহিষাডোরা এলাকার পিয়ার আলীর ছেলে খোকন আলী(৩৫) ও দৌলতপুর উপজেলার কল্যানপুর এলাকার হাজিরুল জোয়ার্দারের ছেলে রতন জোয়ার্দার(৩০),এই দুইজনকে অবৈধ ভারতীয় মাদক ফেন্সিডিলের মধ্যে আফিম ও সিরাপ মিশিয়ে টুইনিং এর সময় পঁচাত্তর বোতল অবৈধ ভারতীয় ফেন্সিডিল নিজ হেফাজতে রাখার অপরাধে গ্রেফতার করে কুষ্টিয়া জেলা গোয়েন্দা শাখার চৌকশ অভিযানিক দল।

অভিযানের নেতৃত্ব প্রদান করেন,কুষ্টিয়া জেলা গোয়েন্দা শাখা(ডিবি)’র চৌকশ উপ-পরিদর্শক(এসআই-নিঃ)মোহাম্মদ কায়েস মিয়া সহ,সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সগন।গ্রেফতারকৃত চিহ্নিত মাদক ব্যাবসায়ী খোকন কুষ্টিয়া জেলার ছয়টি উপজেলার সকল মাদক ব্যাবসায়ীদের মুলহোতা,খোকনের গ্রামের বাড়ি দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ভাগজোত বর্ডার এলাকায় হওয়াতে মাদক আমদানি করা ও মাদক ব্যাবসার সুবিধা হতো-ভেড়ামারা উপজেলা মহিষাডোরা এলাকা থেকে।

খোকনের বর্তমান বাড়ি দৌলতপুর উপজেলা ও ভেড়ামারা উপজেলার মাঝামাঝি। খোকন ভারত থেকে মাদক ফেন্সিডিল,গাঁজা,হিরোইন,ভারতীয় মদ ও টাপেন্টাডল ট্যাবলেট আমদানি করে কুষ্টিয়া জেলার ছয়টি উপজেলার মাদক ব্যাবসায়ীদের এই মাদক সাপ্লাই করতো। এছাড়া খোকন ভারত থেকে অবৈধ মাদক ফেন্সিডিল আমদানি করে তাঁর বর্তমান বাড়ি ভেড়ামারা উপজেলা মহিষাডোরা এলাকায় একটি ঘরকরে ফেন্সিডিল টুইনিং করতো।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে খোকন ও রতন ভারতীয় অবৈধ মাদক ফেন্সিডিল নিজের ও টুইনিং করে বলে স্বীকার করে। এছাড়া খোকনের সাবেক বাড়ি-দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ভাগজোত বর্ডার এলাকায় মাদক ব্যাবসার বিষয়টি জানাজানি হলে বর্তমান বাড়ি-ভেড়ামারা উপজেলার মহিষাডোরা এলাকার মাদকের অর্থে জমি ও বাড়ি করে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে নতুন কৌশলে দীর্ঘদিন ব্যাবসা করে আসছিলো।

তারপরো কুষ্টিয়া জেলা গোয়েন্দা ডিবি’র হাত থেকে রেহায় পেলোনা শীর্ষ মাদক ব্যাবসায়ী খোকন ও রতন।এরা দুইজনই এলাকার চিহিৃত মাদক ব্যাবসায়ী বলে জানা যায়।গ্রেফতারকৃত দুই মাদক ব্যাবসায়ীর বিরুদ্ধে ভারতীয় অবৈধ মাদক ফেন্সিডিল নিজ হেফাজতে রাখার অপরাধে ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের ৩৬(১)সারনির ১৪(খ)/১৪(গ)/৪১ ধারায় নিয়মিত মামলা হয়েছে।

উল্লেখিত ঘটনায় গ্রেফতারকৃত দুই মাদক ব্যাবসায়ীর বিষয়ে অফিসার ইনচার্জ কুষ্টিয়া জেলা গোয়েন্দা শাখা,মোঃমাহফুজুল হক চৌধুরী পিপিএম এর কাছে জানতে চাওয়া হলে,তিনি বলেন,আমাদের কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ সুপার(পদোন্নতি অতিরিক্ত ডিআইজি)স্যার এর পূর্ব ঘোষনা অনুযায়ী ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(পুলিশ সুপার পদোন্নতি প্রাপ্ত)অপারেশন এ্যান্ড ক্রাইম কুষ্টিয়া-স্যারের নির্দেশনা ও বিশেষ তত্ত্বাবধানে উল্লেখিত মাদক ব্যাবসার সাথে জড়িত খোকন ও রতন নামের দুই আসামিকে ধৃত করা হয়েছে।মাদক ব্যাবসায়ী চক্র যত বড় বা যেই হোক,কোনো ছাড় দেওয়া হবেনা,মাদক ব্যাবসায়ি যত বড়ই শক্তিশালী হোক-না-কেনো এদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইন প্রয়োগ করা হবে।উপযুক্ত তথ্যের ভিত্তিতে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Please Share This Post in Your Social Media

কুষ্টিয়ায় ফেন্সিডিল তৈরির সময় ফেন্সিডিল সহ আটক ২

Update Time : ১১:০৬:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

কুষ্টিয়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশ(ডিবি)গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফেন্সিডিল তৈরির সময় পঁচাত্তর বোতল ভারতীয় অবৈধ ফেন্সিডিল সহ দুইজন বিশিষ্ট মাদক ব্যাবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে।

২৫/০৪/২০২৪ ইং তারিখ রাত ০৩:৫০ ঘটিকার সময় দৌলতপুর থানাধীন কল্যাণপুর মন্ডলপাড়া এলাকার জনৈক ইশারত মন্ডল এর বসত বাড়ীর সামনে পাঁকা রাস্তার উপর হইতে সাবেক বাড়ি-দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ভাগজোত বর্ডার এলাকা,বর্তমান বাড়ি-ভেড়ামারা উপজেলার মহিষাডোরা এলাকার পিয়ার আলীর ছেলে খোকন আলী(৩৫) ও দৌলতপুর উপজেলার কল্যানপুর এলাকার হাজিরুল জোয়ার্দারের ছেলে রতন জোয়ার্দার(৩০),এই দুইজনকে অবৈধ ভারতীয় মাদক ফেন্সিডিলের মধ্যে আফিম ও সিরাপ মিশিয়ে টুইনিং এর সময় পঁচাত্তর বোতল অবৈধ ভারতীয় ফেন্সিডিল নিজ হেফাজতে রাখার অপরাধে গ্রেফতার করে কুষ্টিয়া জেলা গোয়েন্দা শাখার চৌকশ অভিযানিক দল।

অভিযানের নেতৃত্ব প্রদান করেন,কুষ্টিয়া জেলা গোয়েন্দা শাখা(ডিবি)’র চৌকশ উপ-পরিদর্শক(এসআই-নিঃ)মোহাম্মদ কায়েস মিয়া সহ,সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সগন।গ্রেফতারকৃত চিহ্নিত মাদক ব্যাবসায়ী খোকন কুষ্টিয়া জেলার ছয়টি উপজেলার সকল মাদক ব্যাবসায়ীদের মুলহোতা,খোকনের গ্রামের বাড়ি দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ভাগজোত বর্ডার এলাকায় হওয়াতে মাদক আমদানি করা ও মাদক ব্যাবসার সুবিধা হতো-ভেড়ামারা উপজেলা মহিষাডোরা এলাকা থেকে।

খোকনের বর্তমান বাড়ি দৌলতপুর উপজেলা ও ভেড়ামারা উপজেলার মাঝামাঝি। খোকন ভারত থেকে মাদক ফেন্সিডিল,গাঁজা,হিরোইন,ভারতীয় মদ ও টাপেন্টাডল ট্যাবলেট আমদানি করে কুষ্টিয়া জেলার ছয়টি উপজেলার মাদক ব্যাবসায়ীদের এই মাদক সাপ্লাই করতো। এছাড়া খোকন ভারত থেকে অবৈধ মাদক ফেন্সিডিল আমদানি করে তাঁর বর্তমান বাড়ি ভেড়ামারা উপজেলা মহিষাডোরা এলাকায় একটি ঘরকরে ফেন্সিডিল টুইনিং করতো।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে খোকন ও রতন ভারতীয় অবৈধ মাদক ফেন্সিডিল নিজের ও টুইনিং করে বলে স্বীকার করে। এছাড়া খোকনের সাবেক বাড়ি-দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ভাগজোত বর্ডার এলাকায় মাদক ব্যাবসার বিষয়টি জানাজানি হলে বর্তমান বাড়ি-ভেড়ামারা উপজেলার মহিষাডোরা এলাকার মাদকের অর্থে জমি ও বাড়ি করে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে নতুন কৌশলে দীর্ঘদিন ব্যাবসা করে আসছিলো।

তারপরো কুষ্টিয়া জেলা গোয়েন্দা ডিবি’র হাত থেকে রেহায় পেলোনা শীর্ষ মাদক ব্যাবসায়ী খোকন ও রতন।এরা দুইজনই এলাকার চিহিৃত মাদক ব্যাবসায়ী বলে জানা যায়।গ্রেফতারকৃত দুই মাদক ব্যাবসায়ীর বিরুদ্ধে ভারতীয় অবৈধ মাদক ফেন্সিডিল নিজ হেফাজতে রাখার অপরাধে ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের ৩৬(১)সারনির ১৪(খ)/১৪(গ)/৪১ ধারায় নিয়মিত মামলা হয়েছে।

উল্লেখিত ঘটনায় গ্রেফতারকৃত দুই মাদক ব্যাবসায়ীর বিষয়ে অফিসার ইনচার্জ কুষ্টিয়া জেলা গোয়েন্দা শাখা,মোঃমাহফুজুল হক চৌধুরী পিপিএম এর কাছে জানতে চাওয়া হলে,তিনি বলেন,আমাদের কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ সুপার(পদোন্নতি অতিরিক্ত ডিআইজি)স্যার এর পূর্ব ঘোষনা অনুযায়ী ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(পুলিশ সুপার পদোন্নতি প্রাপ্ত)অপারেশন এ্যান্ড ক্রাইম কুষ্টিয়া-স্যারের নির্দেশনা ও বিশেষ তত্ত্বাবধানে উল্লেখিত মাদক ব্যাবসার সাথে জড়িত খোকন ও রতন নামের দুই আসামিকে ধৃত করা হয়েছে।মাদক ব্যাবসায়ী চক্র যত বড় বা যেই হোক,কোনো ছাড় দেওয়া হবেনা,মাদক ব্যাবসায়ি যত বড়ই শক্তিশালী হোক-না-কেনো এদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইন প্রয়োগ করা হবে।উপযুক্ত তথ্যের ভিত্তিতে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।