ঢাকা ০১:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাঁশের তৈরি হস্তশিল্প বানিয়ে চমক লাগিয়ে দিয়েছেন গাইবান্ধার মহিদুল

মাইদুল ইসলাম, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৯:২৩:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মে ২০২৪
  • / ২৬ Time View

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে বাঁশ দিয়ে দৃষ্টিনন্দন পণ্যসামগ্রী তৈরি করে এলাকায় রীতিমতো সাড়া ফেলেছেন তরুণ উদ্যোক্তা মহিদুল ইসলাম । হোটেল, রিসোর্ট, বিভিন্ন বাসাবাড়ি থেকে শুরু করে ঘর সাজাতে শৌখিন প্রেমীদের মধ্যে মহিদুলের হস্তশিল্পের কদর রয়েছে। তার এই উদ্যোগ অনেক উদ্যোক্তাকে অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছে। তাছাড়া বাজারে অনেকটাই দুষ্প্রাপ্য ও চড়া দামে বিক্রি সম্ভব এসব পণ্যসামগ্রী। এ কারণে এ শিল্প থেকে স্বপ্ন পূরণের প্রহর গুনছেন মহিদুল ইসলাম ।

উপজেলা থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার পশ্চিমে বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের রামধন এলাকায় তরুণ উদ‍্যোক্তা মহিদুলের বাড়ি। এই বাড়িতেই গড়ে তুলেছেন স্বপ্নচূড়া বাঁশ শিল্প কর্নার নামে একটি হস্তশিল্পের ঘর।সেখানে নিজেই শিল্পকর্মের কারিগর হিসেবে কাজ করেন।
সেই ঘরে প্রবেশ করতেই চোখে পড়ে মহিদুলের হাতের নিপুন ছোঁয়ায় বাঁশের উপর খোদাই করা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি দৃষ্টিনন্দন ছবি।
এছাড়াও সেই ঘরে শোভা পাচ্ছে বাঁশের তৈরি বিভিন্ন শোপিস ওয়াইন গ্লাস,মগ, কেটলী, উপজাতীয় হুকা,কানের দুল, ফুলদানি, কলম দানি,স্ট্রে সহ বিভিন্ন রকমের জিনিসপত্র।

মহিদুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই শিল্পের কাজ তিনি তার বাবার কাছ থেকে শিখেছেন। তার বাবা বন বিভাগের চাকরি করা কালিন বাঁশের অনেক জিনিসপত্র বানাতেন। সেখান থেকেই তার হাতে খড়ি। অনেক ছোট থেকেই তিনি এসব সৌখিন জিনিসপত্র তৈরি করতেন। এটা ব‍্যবসায় নিয়ে আসার তার কোন চিন্তাভাবনায় ছিল না। যখন করোনা কালিন সময়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন তখন তার স্ত্রীর কথায় এটা বানিজ্যিকভাবে শুরু করেন। তখন থেকেই চলছে। এই শিল্পে তার কোন প্রশিক্ষণ এবং জনবলও নেই। যদি লোকবল ও প্রশিক্ষণের ব‍্যবস্থা করা যায় তাহলে এটা তিনি আরো সম্প্রসারিত করতে পারবেন বলে জানান।

স্থানীয় ও দর্শনার্থীরা জানান, দৃঢ়সংকল্প আর ইচ্ছাশক্তির মধ্য দিয়ে নিজের প্রতিভাকে বিকশিত করেছেন মহিদুল ইসলাম। প্রাতিষ্ঠানিক কোনো প্রশিক্ষণ ছাড়াই গড়ে তুলেছেন স্বপ্নচূড়া বাঁশ শিল্প কর্নার নামের একটি হস্তশিল্প। এই শিল্পে প্রকৃতিবান্ধব শৈল্পিক কারুকার্যে গড়ে তুলেছেন বাঁশের তৈরি নানান রঙের দৃষ্টিনন্দন পণ্যসামগ্রী, যা শিক্ষিত বেকার তরুণদের অনুপ্রাণিত করে। এ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে সরকারের পক্ষ থেকে আধুনিক, বাস্তবসম্মত প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনা দেওয়া প্রয়োজন।

মহিদুল ইসলামের মতো সম্ভাবনাময় উদ্যোক্তাদের আধুনিক প্রযুক্তির আওতায় এনে পুনর্বাসনের মাধ্যমে প্রণোদনা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হলে বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি প্রযুক্তি খাতে স্বনির্ভর হবে দেশ। এমনটা বলছেন সুশীল সমাজের মানুষ।

Please Share This Post in Your Social Media

বাঁশের তৈরি হস্তশিল্প বানিয়ে চমক লাগিয়ে দিয়েছেন গাইবান্ধার মহিদুল

Update Time : ০৯:২৩:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মে ২০২৪

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে বাঁশ দিয়ে দৃষ্টিনন্দন পণ্যসামগ্রী তৈরি করে এলাকায় রীতিমতো সাড়া ফেলেছেন তরুণ উদ্যোক্তা মহিদুল ইসলাম । হোটেল, রিসোর্ট, বিভিন্ন বাসাবাড়ি থেকে শুরু করে ঘর সাজাতে শৌখিন প্রেমীদের মধ্যে মহিদুলের হস্তশিল্পের কদর রয়েছে। তার এই উদ্যোগ অনেক উদ্যোক্তাকে অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছে। তাছাড়া বাজারে অনেকটাই দুষ্প্রাপ্য ও চড়া দামে বিক্রি সম্ভব এসব পণ্যসামগ্রী। এ কারণে এ শিল্প থেকে স্বপ্ন পূরণের প্রহর গুনছেন মহিদুল ইসলাম ।

উপজেলা থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার পশ্চিমে বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের রামধন এলাকায় তরুণ উদ‍্যোক্তা মহিদুলের বাড়ি। এই বাড়িতেই গড়ে তুলেছেন স্বপ্নচূড়া বাঁশ শিল্প কর্নার নামে একটি হস্তশিল্পের ঘর।সেখানে নিজেই শিল্পকর্মের কারিগর হিসেবে কাজ করেন।
সেই ঘরে প্রবেশ করতেই চোখে পড়ে মহিদুলের হাতের নিপুন ছোঁয়ায় বাঁশের উপর খোদাই করা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি দৃষ্টিনন্দন ছবি।
এছাড়াও সেই ঘরে শোভা পাচ্ছে বাঁশের তৈরি বিভিন্ন শোপিস ওয়াইন গ্লাস,মগ, কেটলী, উপজাতীয় হুকা,কানের দুল, ফুলদানি, কলম দানি,স্ট্রে সহ বিভিন্ন রকমের জিনিসপত্র।

মহিদুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই শিল্পের কাজ তিনি তার বাবার কাছ থেকে শিখেছেন। তার বাবা বন বিভাগের চাকরি করা কালিন বাঁশের অনেক জিনিসপত্র বানাতেন। সেখান থেকেই তার হাতে খড়ি। অনেক ছোট থেকেই তিনি এসব সৌখিন জিনিসপত্র তৈরি করতেন। এটা ব‍্যবসায় নিয়ে আসার তার কোন চিন্তাভাবনায় ছিল না। যখন করোনা কালিন সময়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন তখন তার স্ত্রীর কথায় এটা বানিজ্যিকভাবে শুরু করেন। তখন থেকেই চলছে। এই শিল্পে তার কোন প্রশিক্ষণ এবং জনবলও নেই। যদি লোকবল ও প্রশিক্ষণের ব‍্যবস্থা করা যায় তাহলে এটা তিনি আরো সম্প্রসারিত করতে পারবেন বলে জানান।

স্থানীয় ও দর্শনার্থীরা জানান, দৃঢ়সংকল্প আর ইচ্ছাশক্তির মধ্য দিয়ে নিজের প্রতিভাকে বিকশিত করেছেন মহিদুল ইসলাম। প্রাতিষ্ঠানিক কোনো প্রশিক্ষণ ছাড়াই গড়ে তুলেছেন স্বপ্নচূড়া বাঁশ শিল্প কর্নার নামের একটি হস্তশিল্প। এই শিল্পে প্রকৃতিবান্ধব শৈল্পিক কারুকার্যে গড়ে তুলেছেন বাঁশের তৈরি নানান রঙের দৃষ্টিনন্দন পণ্যসামগ্রী, যা শিক্ষিত বেকার তরুণদের অনুপ্রাণিত করে। এ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে সরকারের পক্ষ থেকে আধুনিক, বাস্তবসম্মত প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনা দেওয়া প্রয়োজন।

মহিদুল ইসলামের মতো সম্ভাবনাময় উদ্যোক্তাদের আধুনিক প্রযুক্তির আওতায় এনে পুনর্বাসনের মাধ্যমে প্রণোদনা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হলে বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি প্রযুক্তি খাতে স্বনির্ভর হবে দেশ। এমনটা বলছেন সুশীল সমাজের মানুষ।