ঢাকা ০৫:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
জাতীয় প্রেস ক্লাব আয়োজিত বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা

পরিবেশ ও উন্নয়ন সাংবাদিকতায় হয়রানি হলে সুরক্ষা দেবে সরকার: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক
  • Update Time : ০৭:৪৬:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ মে ২০২৪
  • / ২৫ Time View

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত এমপি বলেন, আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে বাংলাদেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে সাংবাদিকদের সুরক্ষা ও পেশাগত উন্নয়ন নিশ্চিত করতে নানামুখী পদক্ষেপ নেয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তিনি।

শনিবার (৪ মে) বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস ২০২৪ উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাব আয়োজিত “জলবায়ু রাজনীতির প্রেক্ষিত ও গণমাধ্যমের ভূমিকা” শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, পরিবেশ সুরক্ষার স্বার্থে যে সকল সাংবাদিক কাজ করে যাচ্ছেন তারা যদি কোন প্রভাবশালী মহল দ্বারা আক্রান্ত হন সরকার সেক্ষেত্রে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।

তিনি বলেন, একদিকে যেমন সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের উপযুক্ত পরিবেশ বজায় রাখা সরকারের দায়িত্ব, অন্যদিকে পরিবেশকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার কোন অপচেষ্টা সরকার বরদাস্ত করবে না।

তিনি আরো বলেন, সরকার টেকসই উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। তবে পরিবেশ রক্ষা করে এ উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে গণমাধ্যমের ভ‚মিকা অপরিসীম। তথ্যপ্রকাশে সাহসী প্রতিবেদনের জন্য সাহসী সাংবাদিকদের আইনি সুরক্ষা আরো জোরদার করা হবে। তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী সাংবাদিকরা যাতে সঠিক উপায়ে তথ্য পেতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রেখে প্রশিক্ষণ দেয়ার কথাও বলেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, কার্বন নিঃসরণ বাংলাদেশে জিরো করলেও লাভ নেই। কারণ আমরা কার্বন নিঃসরণ কম করি। কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত হই বেশি। আমরা উন্নয়নের পাশাপাশি সেটাকে টেকসই করতে চাই। আমরা শুধু উন্নয়নে নয় বরং টেকসই উন্নয়নে বিশ্বাস করি। একইসাথে তথ্যপ্রকাশে সাহসী প্রতিবেদনের জন্য সাহসী সাংবাদিকদের আইনি সুরক্ষা আরও জোরদার করা হবে।

তিনি বলেন, তথ্য কমিশনে আইন আছে। আমি তাদের সাথে বসেছি কয়েকদিন আগে। আমার উপলব্ধি হয়েছে দুইদিকে কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। আমি দেখেছি তথ্য চাইলেই সরকারি অনেক কর্মকর্তা খুব ডিফেন্সিভ হয়ে যায়। তথ্য কেন চাইবে এমন একটা বিষয় দাঁড়ায়। আসলে এটা তাদের দোষ নয়। আমাদের ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন এবং বিভিন্ন সময়ে গণতন্ত্র নষ্ট হওয়ার প্রভাব এটা। আমরা মন্ত্রী থেকে শুরু করে সকল কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে এ বিষয়টি আরও সহজতর করবো। এছাড়া তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী সাংবাদিকরাও যাতে সঠিক উপায়ে তথ্য পেতে পারে সেদিকেও লক্ষ্য রেখে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। একইসাথে ফ্যাক্ট চেক নিয়ে আরও জোরালো ভূমিকা নিতে হবে।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় প্রেস ক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন এমপি ও স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সেমিনার, মিট দ্য প্রেস ও আন্তর্জাতিক লিয়াঁজো উপ-কমিটির আহ্বায়ক জুলহাস আলম।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ব্র্যাক-এর জলবায়ু পরির্বতন কর্মসূচীর পরিচালক ড. মো: লিয়াকত আলী। তিন জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশ কিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তার একটি বৈজ্ঞানিক ও তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বলেন, উন্নত বিশ্ব কর্তৃক প্রতিশ্রুত ১০০ বিলিয়ন ডলারের গ্রীণ ক্লাইমেট ফান্ড গঠন এখনও কার্যকর হয়নি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের ন্যায্য দাবিগুলো আদায়ে ক্রমাগত তথ্যউপাত্ত ভিত্তিক নানা প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করে যেতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে ফরিদা ইয়াসমিন এমপি বলেন, পরিবেশ রক্ষায় গণমাধ্যমের ভ‚মিকা অপরিসীম। নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় সাংবাদিকরা তাদের ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশ যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সেসব বিষয় তুলে ধরে ভবিষ্যতেও গণমাধ্যম তার ভূমিকা পালন করে যাবে।

আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ ও ডিকাবের সভাপতি নূরুল ইসলাম হাসিব।

এ ছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি রেজোয়ানুল হক রাজা, যুগ্ম সম্পাদক মো: আশরাফ আলী, সদস্য ফরিদ হোসেন, কাজী রওনাক হোসেন, শাহনাজ সিদ্দীকি সোমা, কল্যাণ সাহা, শাহনাজ বেগম পলি ও মোহাম্মদ মোমিন হোসেন। এ ছাড়া ক্লাবের সিনিয়র সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।

Please Share This Post in Your Social Media

জাতীয় প্রেস ক্লাব আয়োজিত বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা

পরিবেশ ও উন্নয়ন সাংবাদিকতায় হয়রানি হলে সুরক্ষা দেবে সরকার: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

Update Time : ০৭:৪৬:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ মে ২০২৪

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত এমপি বলেন, আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে বাংলাদেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে সাংবাদিকদের সুরক্ষা ও পেশাগত উন্নয়ন নিশ্চিত করতে নানামুখী পদক্ষেপ নেয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তিনি।

শনিবার (৪ মে) বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস ২০২৪ উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাব আয়োজিত “জলবায়ু রাজনীতির প্রেক্ষিত ও গণমাধ্যমের ভূমিকা” শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, পরিবেশ সুরক্ষার স্বার্থে যে সকল সাংবাদিক কাজ করে যাচ্ছেন তারা যদি কোন প্রভাবশালী মহল দ্বারা আক্রান্ত হন সরকার সেক্ষেত্রে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।

তিনি বলেন, একদিকে যেমন সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের উপযুক্ত পরিবেশ বজায় রাখা সরকারের দায়িত্ব, অন্যদিকে পরিবেশকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার কোন অপচেষ্টা সরকার বরদাস্ত করবে না।

তিনি আরো বলেন, সরকার টেকসই উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। তবে পরিবেশ রক্ষা করে এ উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে গণমাধ্যমের ভ‚মিকা অপরিসীম। তথ্যপ্রকাশে সাহসী প্রতিবেদনের জন্য সাহসী সাংবাদিকদের আইনি সুরক্ষা আরো জোরদার করা হবে। তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী সাংবাদিকরা যাতে সঠিক উপায়ে তথ্য পেতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রেখে প্রশিক্ষণ দেয়ার কথাও বলেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, কার্বন নিঃসরণ বাংলাদেশে জিরো করলেও লাভ নেই। কারণ আমরা কার্বন নিঃসরণ কম করি। কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত হই বেশি। আমরা উন্নয়নের পাশাপাশি সেটাকে টেকসই করতে চাই। আমরা শুধু উন্নয়নে নয় বরং টেকসই উন্নয়নে বিশ্বাস করি। একইসাথে তথ্যপ্রকাশে সাহসী প্রতিবেদনের জন্য সাহসী সাংবাদিকদের আইনি সুরক্ষা আরও জোরদার করা হবে।

তিনি বলেন, তথ্য কমিশনে আইন আছে। আমি তাদের সাথে বসেছি কয়েকদিন আগে। আমার উপলব্ধি হয়েছে দুইদিকে কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। আমি দেখেছি তথ্য চাইলেই সরকারি অনেক কর্মকর্তা খুব ডিফেন্সিভ হয়ে যায়। তথ্য কেন চাইবে এমন একটা বিষয় দাঁড়ায়। আসলে এটা তাদের দোষ নয়। আমাদের ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন এবং বিভিন্ন সময়ে গণতন্ত্র নষ্ট হওয়ার প্রভাব এটা। আমরা মন্ত্রী থেকে শুরু করে সকল কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে এ বিষয়টি আরও সহজতর করবো। এছাড়া তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী সাংবাদিকরাও যাতে সঠিক উপায়ে তথ্য পেতে পারে সেদিকেও লক্ষ্য রেখে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। একইসাথে ফ্যাক্ট চেক নিয়ে আরও জোরালো ভূমিকা নিতে হবে।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় প্রেস ক্লাব সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন এমপি ও স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সেমিনার, মিট দ্য প্রেস ও আন্তর্জাতিক লিয়াঁজো উপ-কমিটির আহ্বায়ক জুলহাস আলম।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ব্র্যাক-এর জলবায়ু পরির্বতন কর্মসূচীর পরিচালক ড. মো: লিয়াকত আলী। তিন জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশ কিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তার একটি বৈজ্ঞানিক ও তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বলেন, উন্নত বিশ্ব কর্তৃক প্রতিশ্রুত ১০০ বিলিয়ন ডলারের গ্রীণ ক্লাইমেট ফান্ড গঠন এখনও কার্যকর হয়নি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের ন্যায্য দাবিগুলো আদায়ে ক্রমাগত তথ্যউপাত্ত ভিত্তিক নানা প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করে যেতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে ফরিদা ইয়াসমিন এমপি বলেন, পরিবেশ রক্ষায় গণমাধ্যমের ভ‚মিকা অপরিসীম। নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় সাংবাদিকরা তাদের ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশ যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সেসব বিষয় তুলে ধরে ভবিষ্যতেও গণমাধ্যম তার ভূমিকা পালন করে যাবে।

আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ ও ডিকাবের সভাপতি নূরুল ইসলাম হাসিব।

এ ছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি রেজোয়ানুল হক রাজা, যুগ্ম সম্পাদক মো: আশরাফ আলী, সদস্য ফরিদ হোসেন, কাজী রওনাক হোসেন, শাহনাজ সিদ্দীকি সোমা, কল্যাণ সাহা, শাহনাজ বেগম পলি ও মোহাম্মদ মোমিন হোসেন। এ ছাড়া ক্লাবের সিনিয়র সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।