ঢাকা ০৮:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
শ্বশুরবাড়িতে জামাইকে হত্যা, স্ত্রী-শ্বশুরসহ গ্রেপ্তার ৪ সিলেট সিটিতে ৫ থেকে ৫০০ গুণ বেড়েছে হোল্ডিং ট্যাক্স, জনমনে ক্ষোভ বাড়ছেই ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের সাথে ঝিকুট ফাউন্ডেশনের মতবিনিময় ও সৌজন্য সাক্ষাৎ রাত পোহালেই নির্বাচন সিলেটের ৪ উপজেলায় বিশ্বনাথে জয়ের পথে এগিয়ে ‘আনারস’ প্রতীকের অ্যাডভোকেট গিয়াস সিলেটের ১১ উপজেলায় নির্বাচনঃ সাধারণ ছুটি কাল সিলেট জেলায় ১৯ চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে ১০ জনই প্রবাসী কুরিয়ার সার্ভিসে ফেনসিডিল পাচারকালে গ্রেফতার ১ উপজেলা নির্বাচনে অনিয়ম দেখলেই অভিযোগ করার আহ্বান ইসির উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে- ডিসি গাজীপুর

শরণখোলায় মা ও মেয়েকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ৩

এস এম সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট
  • Update Time : ০১:৩৮:০৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৩
  • / ৫৪ Time View

বাগেরহাটের শরণখোলায় মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় এজাহার নামীয় তিন ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১১ আগস্ট) গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে এদের আটক করা হয়। এর আগে হত্যাকান্ডের শিকার পাপিয়ার ভাই আল আমিন খলিফা বাদি হয়ে পাপিয়ার স্বামী আবু জাফরসহ ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত নামা ৪ জনকে আসামীকে করে শরণখোলা থানায় মামলা দায়ের করেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, শরণখোলা উপজেলার পশ্চিম রাজাপুর গ্রামের আব্দুস সামাদ হাওলাদারের ছেলে মনির হাওলাদার (৪৫), নেহারুল হাওলাদার (৪৮) ও মিলন হাওলাদার (৪০)।

গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।অন্য আসামীদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে পুলিশ জানায়।

বাগেরহাট জেলা পুলিশের মিডিয়া সেলের প্রধান পরিদর্শক বাবুল আক্তার বলেন, মা-মেয়ে হত্যা মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা আপন তিন ভাই।

গ্রেপ্তারকৃতেদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ওই নারীর সাথে তার স্বামীর পারিবারিক কলহ ছিল। তার স্বামীও এজাহার নামীয় আসামী। সে বিষয়টিও আমরা তদন্ত করছি।

এদিকে পাপিয়ার স্বামী আবু জাফরও ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে। শুক্রবার(১১ আগস্ট) সন্ধ্যায় শরণখোলা উপজেলার উত্তর রাজাপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে হামলার পর হত্যা স্বীকার হন পাপিয়া আক্তার (৩৮) ও তার মেয়ে ছাওদা জেনি(০৫)। আহত অবস্থায় শিশু ছাওদা জেনিকে তার আপন চাচা আবু তালেব টুকুর বাড়িতে নেওয়া হয় এবং সেখানেই সে মারা যায়। পাপিয়া আক্তারকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

হত্যার স্বীকার পাপিয়া আক্তার উত্তর রাজাপুর গ্রামের আবু জাফরের স্ত্রী এবং ধানসাগর এলাকার মোঃ আব্দুল হোসেন খকিফার মেয়ে। ছাওদা জেনি পাপিয়া আক্তার ও আবু জাফর দম্পতির মেয়ে।

Please Share This Post in Your Social Media

শরণখোলায় মা ও মেয়েকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ৩

Update Time : ০১:৩৮:০৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৩

বাগেরহাটের শরণখোলায় মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় এজাহার নামীয় তিন ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১১ আগস্ট) গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে এদের আটক করা হয়। এর আগে হত্যাকান্ডের শিকার পাপিয়ার ভাই আল আমিন খলিফা বাদি হয়ে পাপিয়ার স্বামী আবু জাফরসহ ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত নামা ৪ জনকে আসামীকে করে শরণখোলা থানায় মামলা দায়ের করেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, শরণখোলা উপজেলার পশ্চিম রাজাপুর গ্রামের আব্দুস সামাদ হাওলাদারের ছেলে মনির হাওলাদার (৪৫), নেহারুল হাওলাদার (৪৮) ও মিলন হাওলাদার (৪০)।

গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।অন্য আসামীদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে পুলিশ জানায়।

বাগেরহাট জেলা পুলিশের মিডিয়া সেলের প্রধান পরিদর্শক বাবুল আক্তার বলেন, মা-মেয়ে হত্যা মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা আপন তিন ভাই।

গ্রেপ্তারকৃতেদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ওই নারীর সাথে তার স্বামীর পারিবারিক কলহ ছিল। তার স্বামীও এজাহার নামীয় আসামী। সে বিষয়টিও আমরা তদন্ত করছি।

এদিকে পাপিয়ার স্বামী আবু জাফরও ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে। শুক্রবার(১১ আগস্ট) সন্ধ্যায় শরণখোলা উপজেলার উত্তর রাজাপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে হামলার পর হত্যা স্বীকার হন পাপিয়া আক্তার (৩৮) ও তার মেয়ে ছাওদা জেনি(০৫)। আহত অবস্থায় শিশু ছাওদা জেনিকে তার আপন চাচা আবু তালেব টুকুর বাড়িতে নেওয়া হয় এবং সেখানেই সে মারা যায়। পাপিয়া আক্তারকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

হত্যার স্বীকার পাপিয়া আক্তার উত্তর রাজাপুর গ্রামের আবু জাফরের স্ত্রী এবং ধানসাগর এলাকার মোঃ আব্দুল হোসেন খকিফার মেয়ে। ছাওদা জেনি পাপিয়া আক্তার ও আবু জাফর দম্পতির মেয়ে।