ঢাকা ০৬:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লাল ফিতায় বন্দী হতে চলেছে আন্নিকে পুড়িয়ে হত্যার মামলাটি

বন্দর প্রতিনিধি
  • Update Time : ১২:২০:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৫২ Time View

অবশেষে লাল ফিতায় বন্দী হতে চলেছে নারায়ণগঞ্জ বন্দরের চর ঘারমোড়ায় সংঘটিত কলেজ ছাত্রী রোকেয়া ইসলাম আন্নি(২২)কে পুড়িয়ে মারার মামলাটি।

বন্দর থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে একরকম কৌশলেই মামলাটি নিশ্চিহ্ন করার মিশনে নেমেছে আন্নির কথিত খালু মিজান ও হত্যার পরিকল্পনকারীর বড় ভাই মিলন।

ইতোমধ্যে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে মোটা অংকের উৎকোচ দেয়া হয়েছে বলেও আন্নির কথিত প্রেমিক ইকবাল এলাকায় প্রচার করে বেড়াচ্ছে। নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছে মামলাটি নিস্পত্তি করার জন্য সবধরণের প্রক্রিয়া আসামীপক্ষ অবলম্বন করছে। তারা নানা মাধ্যমে আন্নির মা’কে টাকার বিনিময়ে বিষয়টিকে দুর্ঘটনা হিসেবে চালানোর সুরাহা চালাচ্ছেন।

একজন সহজ-সরল কলেজ ছাত্রীকে নির্মমভাবে হত্যার পরও আসামীপক্ষের এহেন অপচেষ্টা সর্বমহলেই সমালোচনার ঝড় বইছে। এলাকাবাসী এ ঘটনার তীব্র নিন্দাসহ ইকবাল গংয়ের বিরুদ্ধে আশু তদন্তপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের উর্দ্ধতন মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করছে।

প্রসঙ্গতঃ বন্দরের ২২নং ওয়ার্ডের আমিন আবাসিক এলাকার ইউনূস মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া আলাউদ্দিন মিয়ার মেয়ের সঙ্গে কলাগাছিয়া ইউনিয়নের চর ঘারমোড়া গ্রামের গোলাম কিবরিয়ার ছেলে ইকবাল হোসেনের বিগত ৫ বছর ধরে মন দেয়া নেয়া থেকে শুরু করে গভীর সম্পর্ক চলছিল।

ইকবাল হোসেন বিয়ের কথা বলে আন্নির সঙ্গে সকল প্রকার সম্পর্ক গড়ে তোলে। এর ধারাবাহিকতায় প্রায় সপ্তাহ খানেক পূর্বে উভয়ের মধ্যে মনোমালিন্যতা দেখা দেয়। পরে বিষয়টি আন্নির পরিবারের সদস্যরা মীমাংসার জন্য ইকবালের বাড়িতে গেলে ইকবাল বিয়ে করতে অপারগতা প্রকাশ করে।

এক পর্যায়ে গত ১৬ নভেম্বর বেলা দেড়টায় প্রেমিক ইকবাল আন্নিকে মোবাইল ফোনে প্রথমে তার উকিল বোনকে দিয়ে গালমন্দ করে। তাতেও আন্নি বিচলিত না হওয়ায় উপায়ন্তর না পেয়ে ইকবাল তার বাড়িতে ডেকে আনে এবং ডেকে এনে তাকে তার জীবন থেকে সরে যাওয়ার জন্য আন্নিকে চাপ সৃষ্টি করে। এমনকি ইকবালের ভাই মিলন,কামরুজ্জামান ও সিজারসহ তার উকিল বোন (অজ্ঞাত)সকলেই আন্নিকে ভয়ভীতি দেখায়। তাতেও আন্নি ইকবালকে ছাড়তে রাজী না হলে এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে তর্ক হলে এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ইকবাল আন্নিকে জোরপূবর্ক তার রুমে নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। আত্নরক্ষার্থে আন্নি ইকবালকে ধরার চেষ্টা করেও সে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এ সময় আন্নির  শরীরের প্রায় সিংহভাগ দগ্ধ হয়ে গেলে পরে ইকবালের ভাই মিলন,কামরুজ্জামান ও সিজারসহ তার উকিল বোন (অজ্ঞাত)মিলে ধরাধরি করে আন্নিকে ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ণ ইউনিটে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে দ্রুত আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

লাল ফিতায় বন্দী হতে চলেছে আন্নিকে পুড়িয়ে হত্যার মামলাটি

Update Time : ১২:২০:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

অবশেষে লাল ফিতায় বন্দী হতে চলেছে নারায়ণগঞ্জ বন্দরের চর ঘারমোড়ায় সংঘটিত কলেজ ছাত্রী রোকেয়া ইসলাম আন্নি(২২)কে পুড়িয়ে মারার মামলাটি।

বন্দর থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে একরকম কৌশলেই মামলাটি নিশ্চিহ্ন করার মিশনে নেমেছে আন্নির কথিত খালু মিজান ও হত্যার পরিকল্পনকারীর বড় ভাই মিলন।

ইতোমধ্যে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে মোটা অংকের উৎকোচ দেয়া হয়েছে বলেও আন্নির কথিত প্রেমিক ইকবাল এলাকায় প্রচার করে বেড়াচ্ছে। নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছে মামলাটি নিস্পত্তি করার জন্য সবধরণের প্রক্রিয়া আসামীপক্ষ অবলম্বন করছে। তারা নানা মাধ্যমে আন্নির মা’কে টাকার বিনিময়ে বিষয়টিকে দুর্ঘটনা হিসেবে চালানোর সুরাহা চালাচ্ছেন।

একজন সহজ-সরল কলেজ ছাত্রীকে নির্মমভাবে হত্যার পরও আসামীপক্ষের এহেন অপচেষ্টা সর্বমহলেই সমালোচনার ঝড় বইছে। এলাকাবাসী এ ঘটনার তীব্র নিন্দাসহ ইকবাল গংয়ের বিরুদ্ধে আশু তদন্তপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের উর্দ্ধতন মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করছে।

প্রসঙ্গতঃ বন্দরের ২২নং ওয়ার্ডের আমিন আবাসিক এলাকার ইউনূস মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া আলাউদ্দিন মিয়ার মেয়ের সঙ্গে কলাগাছিয়া ইউনিয়নের চর ঘারমোড়া গ্রামের গোলাম কিবরিয়ার ছেলে ইকবাল হোসেনের বিগত ৫ বছর ধরে মন দেয়া নেয়া থেকে শুরু করে গভীর সম্পর্ক চলছিল।

ইকবাল হোসেন বিয়ের কথা বলে আন্নির সঙ্গে সকল প্রকার সম্পর্ক গড়ে তোলে। এর ধারাবাহিকতায় প্রায় সপ্তাহ খানেক পূর্বে উভয়ের মধ্যে মনোমালিন্যতা দেখা দেয়। পরে বিষয়টি আন্নির পরিবারের সদস্যরা মীমাংসার জন্য ইকবালের বাড়িতে গেলে ইকবাল বিয়ে করতে অপারগতা প্রকাশ করে।

এক পর্যায়ে গত ১৬ নভেম্বর বেলা দেড়টায় প্রেমিক ইকবাল আন্নিকে মোবাইল ফোনে প্রথমে তার উকিল বোনকে দিয়ে গালমন্দ করে। তাতেও আন্নি বিচলিত না হওয়ায় উপায়ন্তর না পেয়ে ইকবাল তার বাড়িতে ডেকে আনে এবং ডেকে এনে তাকে তার জীবন থেকে সরে যাওয়ার জন্য আন্নিকে চাপ সৃষ্টি করে। এমনকি ইকবালের ভাই মিলন,কামরুজ্জামান ও সিজারসহ তার উকিল বোন (অজ্ঞাত)সকলেই আন্নিকে ভয়ভীতি দেখায়। তাতেও আন্নি ইকবালকে ছাড়তে রাজী না হলে এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে তর্ক হলে এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ইকবাল আন্নিকে জোরপূবর্ক তার রুমে নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। আত্নরক্ষার্থে আন্নি ইকবালকে ধরার চেষ্টা করেও সে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এ সময় আন্নির  শরীরের প্রায় সিংহভাগ দগ্ধ হয়ে গেলে পরে ইকবালের ভাই মিলন,কামরুজ্জামান ও সিজারসহ তার উকিল বোন (অজ্ঞাত)মিলে ধরাধরি করে আন্নিকে ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ণ ইউনিটে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে দ্রুত আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।