ঢাকা ০২:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রংপুরে মাদরাসা সুপার-শিক্ষিকার অন্তরঙ্গ ছবি ভাইরাল

কামরুল হাসান টিটু, রংপুর ব‌্যু‌রো
  • Update Time : ০৫:১৫:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ জুন ২০২৩
  • / ২৮৮ Time View

রংপুরে এবার মাদরাসা সুপার-শিক্ষিকার অন্তরঙ্গ ছবি ভাইরাল। সপ্তাহের ব্যবধানে রংপুরের বদরগঞ্জে চম্পাতলী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে এক ছাত্রীর অনৈতিক ফোন আলাপ ফাঁসের রেশ কাটতে না কাটতেই লোহানীপাড়া দাখিল মাদরাসার সুপার আজিজার রহমানের সঙ্গে একই মাদরাসার সহকারি শিক্ষিকার অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

ওই দুই ঘটনায় এলাকায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে। দুই প্রতিষ্ঠানের দুই প্রধানের এমন ঘটনায় এলাকার অভিভাবকরা সন্তানদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বীগ্ন হয়ে পড়েছেন।

মঙ্গলবার(২০ জুন) দুপুরে সুপার ও সহকারী শিক্ষিকার অন্তরঙ্গ ছবি ভাইরালের বিষয়টি নিশ্চিত করেন অত্র মাদরাসার সহকারী সুপার কাজী নজরুল ইসলাম।

বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে, সুপার আজিজার রহমানের বাড়ি উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ওসমানপুর গ্রামে। আর সহকারি শিক্ষিকার বাড়ি বগুড়া জেলায়। তিনি তিন বছর আগে এনটিআরসির আওতায় আইসিটির সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়ে ওই মাদরাসায় যোগদান করেন।

জানা যায়, যোগদানের পর থেকে অস্থায়ীভাবে বসবাস করছেন উপজেলা পরিষদের আবাসিক ভবনে। তবে এমন ছবি এলাকায় ভাইরাল হলে দুইজনেই গা ঢাকা দেন। সোমবার থেকে আজ মঙ্গলবার তাঁরা মাদরাসায় যাননি।

এলাকার এক অভিভাবক বলেন, ‘মাদরাসার সুপার ও শিক্ষিকার এমন অন্তরঙ্গ মুর্হুত ছবি দেখে হতভম্ব হয়ে পড়েছি। যদি তারা এমন অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকেন তাহলে মাদরাসায় সন্তানদের নিরাপত্তা কার কাছে পাওয়া যাবে?

ওই মাদরাসার সহকারী সুপার কাজী নুরুল ইসলাম বলেন, আমি বাটন মোবাইল ব্যবহার করি। ওইসব বিষয় বুঝি না। তারপরও একজন আমাকে ওই ছবি দেখানোর পর ‘আমি সুপারকে বলছিলাম, তিনি দাবি করছেন কিছু মানুষ ষড়যন্ত্র করে তার এমন ছবি নেটে ছড়িয়েছে। সে সময় আমি বলেছি, আপনি বিষয়টি প্রমাণ করুন যে ওই ছবিটি আপনার নয়। ওই ঘটনার পর থেকে সুপার এবং সহকারী শিক্ষিকা মাদরাসায় আসছেন না।

এদিকে সুপার আজিজার রহমান ও সহকারী শিক্ষিকার ফোন বন্ধ থাকায় তাদের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

তবে মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সামছুল হক বলেন, ‘আমি শুনেছি সুপার ও সহকারি শিক্ষিকার অন্তরঙ্গমুর্হুত ছবি ভাইরালের বিষয়টি। তবে আমি স্বচোখে এখনও দেখিনি।’ ‘পারিবারিক সমস্যা দেখিয়ে সুপার তিনদিনের ছুটি নিয়েছেন উল্লেখ করে সভাপতি বলেন, ‘বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘ওই সুপার ও শিক্ষিকার ছবি ভাইরাল হওয়ার বিষয়টি মিডিয়া থেকে জেনেছি। এরকম ঘটলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

রংপুরে মাদরাসা সুপার-শিক্ষিকার অন্তরঙ্গ ছবি ভাইরাল

Update Time : ০৫:১৫:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ জুন ২০২৩

রংপুরে এবার মাদরাসা সুপার-শিক্ষিকার অন্তরঙ্গ ছবি ভাইরাল। সপ্তাহের ব্যবধানে রংপুরের বদরগঞ্জে চম্পাতলী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে এক ছাত্রীর অনৈতিক ফোন আলাপ ফাঁসের রেশ কাটতে না কাটতেই লোহানীপাড়া দাখিল মাদরাসার সুপার আজিজার রহমানের সঙ্গে একই মাদরাসার সহকারি শিক্ষিকার অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

ওই দুই ঘটনায় এলাকায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে। দুই প্রতিষ্ঠানের দুই প্রধানের এমন ঘটনায় এলাকার অভিভাবকরা সন্তানদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বীগ্ন হয়ে পড়েছেন।

মঙ্গলবার(২০ জুন) দুপুরে সুপার ও সহকারী শিক্ষিকার অন্তরঙ্গ ছবি ভাইরালের বিষয়টি নিশ্চিত করেন অত্র মাদরাসার সহকারী সুপার কাজী নজরুল ইসলাম।

বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে, সুপার আজিজার রহমানের বাড়ি উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ওসমানপুর গ্রামে। আর সহকারি শিক্ষিকার বাড়ি বগুড়া জেলায়। তিনি তিন বছর আগে এনটিআরসির আওতায় আইসিটির সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়ে ওই মাদরাসায় যোগদান করেন।

জানা যায়, যোগদানের পর থেকে অস্থায়ীভাবে বসবাস করছেন উপজেলা পরিষদের আবাসিক ভবনে। তবে এমন ছবি এলাকায় ভাইরাল হলে দুইজনেই গা ঢাকা দেন। সোমবার থেকে আজ মঙ্গলবার তাঁরা মাদরাসায় যাননি।

এলাকার এক অভিভাবক বলেন, ‘মাদরাসার সুপার ও শিক্ষিকার এমন অন্তরঙ্গ মুর্হুত ছবি দেখে হতভম্ব হয়ে পড়েছি। যদি তারা এমন অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকেন তাহলে মাদরাসায় সন্তানদের নিরাপত্তা কার কাছে পাওয়া যাবে?

ওই মাদরাসার সহকারী সুপার কাজী নুরুল ইসলাম বলেন, আমি বাটন মোবাইল ব্যবহার করি। ওইসব বিষয় বুঝি না। তারপরও একজন আমাকে ওই ছবি দেখানোর পর ‘আমি সুপারকে বলছিলাম, তিনি দাবি করছেন কিছু মানুষ ষড়যন্ত্র করে তার এমন ছবি নেটে ছড়িয়েছে। সে সময় আমি বলেছি, আপনি বিষয়টি প্রমাণ করুন যে ওই ছবিটি আপনার নয়। ওই ঘটনার পর থেকে সুপার এবং সহকারী শিক্ষিকা মাদরাসায় আসছেন না।

এদিকে সুপার আজিজার রহমান ও সহকারী শিক্ষিকার ফোন বন্ধ থাকায় তাদের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

তবে মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সামছুল হক বলেন, ‘আমি শুনেছি সুপার ও সহকারি শিক্ষিকার অন্তরঙ্গমুর্হুত ছবি ভাইরালের বিষয়টি। তবে আমি স্বচোখে এখনও দেখিনি।’ ‘পারিবারিক সমস্যা দেখিয়ে সুপার তিনদিনের ছুটি নিয়েছেন উল্লেখ করে সভাপতি বলেন, ‘বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘ওই সুপার ও শিক্ষিকার ছবি ভাইরাল হওয়ার বিষয়টি মিডিয়া থেকে জেনেছি। এরকম ঘটলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।