ঢাকা ০৯:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যা, স্বামীর স্বীকারোক্তি

স্টাফ রিপোর্টার
  • Update Time : ০৬:৩০:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৪১ Time View

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে রহিমা আক্তার সুমি (১৯) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী আবু ইউসুফকে (২২) সাতক্ষীরা সীমান্ত হোটেল থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৮ অক্টোবর) বেলা ১১টায় নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম সোনাইমুড়ী থানায় সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

পুলিশ সুপার বলেন, চাটখিল উপজেলার উত্তর রামনারায়ণপুর এলাকার ইসমাইল হোসেনের মেয়ে রহিমা আক্তার সুমি পাঁচমাস আগে ফেসবুকে প্রেমের সূত্রে কুমিল্লার মুরাদনগর থানার নবীপুর গ্রামের মাওলানা মো. আবু মুছার ছেলে মো. আবু ইউসুফকে বিয়ে করেন। পরে তারা সোনাইমুড়ীর ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছেন।

১ অক্টোবর সকাল ৯টায় আবু ইউসুফ বিদেশ যাওয়ার জন্য সুমির কাছে একলাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকার করায় বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে ইউসুফ সুমির গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। পরে ইউসুফ বাসায় তালা দিয়ে বেড়িয়ে যান।

পরদিন সকালে আবার বাসায় ফিরে সুমির মরদেহ গুম করার উদ্দেশ্যে টয়লেটে রেখে তালা দিয়ে পালিয়ে যান।

তিনি আরও বলেন, সোনাইমুড়ী থানা পুলিশ হত্যা মামলার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে সাতক্ষীরা পুলিশের সহায়তায় সেখানের সীমান্ত হোটেল থেকে আবু ইউসুফকে গ্রেফতার করেছে।

আবু ইউসুফ পেশাদার মোবাইল চোর। মসজিদ থেকে মুসল্লিদের মোবাইল চুরি করা তার পেশা। তার কাছ থেকে ৯টি মোবাইল জব্দ করা হয়েছে।

গ্রেফতারের পর তিনি হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে জানান, হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে তিনি সাতক্ষীরার পূর্বপরিচিত খাদিজার কাছে চলে যান। কিন্তু পরে গ্রেফতার এড়াতে তিনি সীমান্ত হোটেলে অবস্থান করেন।

নিহতের বড় ভাই আরাফাত হোসেন জানান, বিয়ের পর থেকে স্বামীকে নিয়ে সোনাইমুড়ীর ওই ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন সুমি।

ফোন বন্ধ থাকায় বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) বিকেলে তার খোঁজে বাসায় গেলে গেটে তালা ঝুলতে দেখা যায়। কিন্তু ভেতর থেকে দুর্গন্ধ বের হওয়ায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়।

পরে সোনাইমুড়ী থানাপুলিশ এসে তালা ভেঙে বাসার টয়লেট থেকে সুমির অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে।

এরআগে বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সোনাইমুড়ী পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের গণি মাস্টারের পোল সংলগ্ন এলাকার ভাড়া বাসার টয়লেট থেকে রহিমা আক্তার সুমির অর্ধগলিত মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যা, স্বামীর স্বীকারোক্তি

Update Time : ০৬:৩০:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ অক্টোবর ২০২৩

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে রহিমা আক্তার সুমি (১৯) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী আবু ইউসুফকে (২২) সাতক্ষীরা সীমান্ত হোটেল থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৮ অক্টোবর) বেলা ১১টায় নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম সোনাইমুড়ী থানায় সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

পুলিশ সুপার বলেন, চাটখিল উপজেলার উত্তর রামনারায়ণপুর এলাকার ইসমাইল হোসেনের মেয়ে রহিমা আক্তার সুমি পাঁচমাস আগে ফেসবুকে প্রেমের সূত্রে কুমিল্লার মুরাদনগর থানার নবীপুর গ্রামের মাওলানা মো. আবু মুছার ছেলে মো. আবু ইউসুফকে বিয়ে করেন। পরে তারা সোনাইমুড়ীর ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছেন।

১ অক্টোবর সকাল ৯টায় আবু ইউসুফ বিদেশ যাওয়ার জন্য সুমির কাছে একলাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকার করায় বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে ইউসুফ সুমির গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। পরে ইউসুফ বাসায় তালা দিয়ে বেড়িয়ে যান।

পরদিন সকালে আবার বাসায় ফিরে সুমির মরদেহ গুম করার উদ্দেশ্যে টয়লেটে রেখে তালা দিয়ে পালিয়ে যান।

তিনি আরও বলেন, সোনাইমুড়ী থানা পুলিশ হত্যা মামলার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে সাতক্ষীরা পুলিশের সহায়তায় সেখানের সীমান্ত হোটেল থেকে আবু ইউসুফকে গ্রেফতার করেছে।

আবু ইউসুফ পেশাদার মোবাইল চোর। মসজিদ থেকে মুসল্লিদের মোবাইল চুরি করা তার পেশা। তার কাছ থেকে ৯টি মোবাইল জব্দ করা হয়েছে।

গ্রেফতারের পর তিনি হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে জানান, হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে তিনি সাতক্ষীরার পূর্বপরিচিত খাদিজার কাছে চলে যান। কিন্তু পরে গ্রেফতার এড়াতে তিনি সীমান্ত হোটেলে অবস্থান করেন।

নিহতের বড় ভাই আরাফাত হোসেন জানান, বিয়ের পর থেকে স্বামীকে নিয়ে সোনাইমুড়ীর ওই ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন সুমি।

ফোন বন্ধ থাকায় বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) বিকেলে তার খোঁজে বাসায় গেলে গেটে তালা ঝুলতে দেখা যায়। কিন্তু ভেতর থেকে দুর্গন্ধ বের হওয়ায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়।

পরে সোনাইমুড়ী থানাপুলিশ এসে তালা ভেঙে বাসার টয়লেট থেকে সুমির অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে।

এরআগে বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সোনাইমুড়ী পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের গণি মাস্টারের পোল সংলগ্ন এলাকার ভাড়া বাসার টয়লেট থেকে রহিমা আক্তার সুমির অর্ধগলিত মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।