ঢাকা ০২:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ

মা হলেন ধর্ষণের শিকার ৪র্থ শ্রেণির সেই ছাত্রী

নাটোর প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৪:৪৭:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ১০৬ Time View

নাটোরের গুরুদাসপুরে প্রতিবেশীর ধর্ষণের শিকার হয়ে অন্তঃসত্ত্বা হওয়া সেই ৪র্থ শ্রেণির স্কুলছাত্রী কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছে। শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গুরুদাসপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে কন্যা শিশুটির জন্ম হয়।

সন্তান জন্মের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শ্রাবনী রায়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাইনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নারগিস তানজিমা ফেরদৌস ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোজাহিদুল ইসলাম বলেন, স্কুল ছাত্রীর বয়স কম থাকায় মা ও নবজাতককে বাঁচানো নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলাম। অবশেষে সফল অস্ত্রোপচার হয়েছে। মা ও নবজাতক দুজনেই সুস্থ রয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার শ্রাবনী রায় জানান, চতুর্থ শ্রেণীর ওই ছাত্রী এক কন্যা শিশুর জন্ম দিয়েছে। মা ও শিশু দুজনেই সুস্থ। তিনি বলেন, ধর্ষণের ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকেই উপজেলা প্রশাসন ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর পাশে দাঁড়িয়েছে। ভুক্তভোগী পরিবারকে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

এর আগে গত ১০ মাস আগে ভুক্তভোগী ৪র্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া শিশুটিকে প্রতিবেশী দাদা জাহিদুল ইসলাম ওরফে জাহিদুল খাঁ তার ভ্যানে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে শিশুটিকে মেরে ফেলার হুমকি দেন জাহিদুল। ঘটনার সাত মাস পর শিশুটির শারীরিক পরিবর্তন হলে বিষয়টি চাচির নজরে আসে। তিনি স্থানীয় একটি ক্লিনিকে আল্ট্রাসনোগ্রাফির মাধ্যমে গর্ভে সন্তান থাকার বিষয়টি জানতে পারেন।

পরে শিশুটি সব খুলে বললে চলতি বছরের ১৮ জুন শিশুটির দাদি বাদী হয়ে গুরুদাসপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। পরে গত ২৫ আগস্ট রাতে ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার হেলেঞ্চা এলাকা থেকে অভিযুক্ত জাহিদুল ইসলামকে (৫৮) গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

 

Please Share This Post in Your Social Media

মা হলেন ধর্ষণের শিকার ৪র্থ শ্রেণির সেই ছাত্রী

Update Time : ০৪:৪৭:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নাটোরের গুরুদাসপুরে প্রতিবেশীর ধর্ষণের শিকার হয়ে অন্তঃসত্ত্বা হওয়া সেই ৪র্থ শ্রেণির স্কুলছাত্রী কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছে। শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গুরুদাসপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে কন্যা শিশুটির জন্ম হয়।

সন্তান জন্মের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শ্রাবনী রায়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাইনি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নারগিস তানজিমা ফেরদৌস ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোজাহিদুল ইসলাম বলেন, স্কুল ছাত্রীর বয়স কম থাকায় মা ও নবজাতককে বাঁচানো নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলাম। অবশেষে সফল অস্ত্রোপচার হয়েছে। মা ও নবজাতক দুজনেই সুস্থ রয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার শ্রাবনী রায় জানান, চতুর্থ শ্রেণীর ওই ছাত্রী এক কন্যা শিশুর জন্ম দিয়েছে। মা ও শিশু দুজনেই সুস্থ। তিনি বলেন, ধর্ষণের ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকেই উপজেলা প্রশাসন ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর পাশে দাঁড়িয়েছে। ভুক্তভোগী পরিবারকে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

এর আগে গত ১০ মাস আগে ভুক্তভোগী ৪র্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া শিশুটিকে প্রতিবেশী দাদা জাহিদুল ইসলাম ওরফে জাহিদুল খাঁ তার ভ্যানে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে শিশুটিকে মেরে ফেলার হুমকি দেন জাহিদুল। ঘটনার সাত মাস পর শিশুটির শারীরিক পরিবর্তন হলে বিষয়টি চাচির নজরে আসে। তিনি স্থানীয় একটি ক্লিনিকে আল্ট্রাসনোগ্রাফির মাধ্যমে গর্ভে সন্তান থাকার বিষয়টি জানতে পারেন।

পরে শিশুটি সব খুলে বললে চলতি বছরের ১৮ জুন শিশুটির দাদি বাদী হয়ে গুরুদাসপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। পরে গত ২৫ আগস্ট রাতে ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার হেলেঞ্চা এলাকা থেকে অভিযুক্ত জাহিদুল ইসলামকে (৫৮) গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।