ঢাকা ১২:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ

ভোরবেলা ঘুম থেকে ওঠার উপায়

নওরোজ ইসলাম ডেস্ক
  • Update Time : ১০:০১:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জুলাই ২০২৩
  • / ৮১ Time View

ফজরের সময় ঘুম থেকে ওঠা একটু কষ্টকরই বটে। সে সময়ের ঘুমে খুব বেশি মজা পায় মানুষ। কিন্তু যারা নিয়মিত তাহাজ্জুদ, ফজর পড়েন; তাদের বিষয়টি ভিন্ন।

অনেক মানুষই সকালবেলা ঘুম থেকে ওঠতে পারে না। ফজরের নামাজ পড়তে পারে না। কিন্তু যারা ভোরবেলা ঘুম থেকে ওঠতে পারেন না তাদের করণীয় কী? ভোরবেলা ঘুম থেকে ওঠার কোনো আমল কিংবা দোয়া আছে কি?

দিনের প্রথম ইবাদত ও ফরজ নামাজ হলো ফজর। যারা ভোরবেলায় ফজর নামাজ পড়তে পারেন, সারাদিন ওই ব্যক্তি মহান আল্লাহ তাআলার জিম্মায় থাকেন। সুবহানাল্লাহ! কত মর্যাদা! তাই সবার জন্য ভোরবেলায় ঘুম থেকে ওঠে ফজর নামাজ পড়ার মাধ্যমে দিনটি শুরু করা জরুরি। খুব সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠার সুন্দর পদ্ধতি ও উপায় রয়েছে।

প্রখ্যাত ইসলামিক স্কলার শায়খ রাতেব আন-নাবুলসি খুব ভোরে ঘুম থেকে ওঠার সহজ কিছু আমলের দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। আবার ইসলামিক স্কলাররা কোরআনুল কারিমের একটি আয়াতের আমল করতেন। যা তুলে ধরা হলো-

শায়খ রাতেব আন-নাবুলসি ভোরবেলা ঘুম থেকে ওঠার সহজ কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। তাহলো-
১. রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানো।
২. ভোরে ওঠার বিশুদ্ধ নিয়ত করা। কেউ যদি ভোর ৪টায় ঘুম থেকে ওঠার জন্য সময় নির্ধারণ করে; তবে অবশ্যই সে ৪টার এক মিনিট আগে হলেও জেগে ওঠবে। (ইন শা আল্লাহ!)
শায়খ রাতিব বলেন, ‘বিজ্ঞানের গবেষণায় একটি বিষয় প্রমাণিত, মানুষের মস্তিষ্কেও অ্যালার্ম বা সংকেত আছে। সেটি এমন-
‘যদি কোনো মানুষের পূর্ব নির্ধারিত সময়ে জরুরি কোনো কাজ থাকে, তখন দেখা যায় নির্ধারিত সময়ে এক ঘণ্টা বা তারও বেশি সময় আগে ঘুম ভেঙে যায়। যদিও ওই ব্যক্তি এক ঘণ্টার কিছু আগে পরে ঘুমায়। আর অবশ্যই এটাই ঘটে থাকে।
মনে রাখতে হবে, ফজরের সময়টি মুমিন মুসলমানের জন্য খুবই জরুরি। সারাদিন মহান রবের জিম্মায় থাকার হাতছানি। তাই এ সময় ঘুম থেকে ওঠার বিশুদ্ধ নিয়ত, একনিষ্ঠতা ও পেরেশানিই বান্দার ঘুম থেকে ওঠার জন্য সহায়ক। মুমিন বান্দা এ বিষয়টির ওপর জোর দেবে যে-
‘যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ জামাতের সঙ্গে পড়লো সে সন্ধ্যা পর্যন্ত আল্লাহর জিম্মায় থাকলো। আর যে জামাতে ইশার নামাজ পড়লো; সে সকাল পর্যন্ত আল্লাহর নিরাপত্তায় থাকলো।’
ভোরে জেগে ওঠার কোরআনি আমল
তবে ফজরের সময় জেগে ওঠার নিয়তে ইসলামিক স্কলারগণ ঘুমাতে যাওয়ার আগে কোরআনুল কারিমের একটি আয়াত পড়তেন। তাহলো-
لَهُمُ الْبُشْرَى فِي الْحَياةِ الدُّنْيَا وَفِي الآخِرَةِ لاَ تَبْدِيلَ لِكَلِمَاتِ اللّهِ ذَلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ
উচ্চারণ : ‘লাহুমুল বুশরা ফিল হায়াতিদদুনইয়া ওয়া ফিল আখিরাতে লা তাবদিলা লিকালিমাতিল্লাহি জালিকা হুয়াল ফাউযুল আজিম।’
অর্থ : ‘তাদের জন্য সুসংবাদ দুনিয়ার জীবনে ও পরকালীন জীবনে। আল্লাহর কথার কখনো হের-ফের হয় না। এটাই হল মহা সফলতা।’ (সুরা ইউনুস : আয়াত ৬৪)
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, ফজরের ওয়াক্তে ওঠে জামাতে নামাজ পড়ার জন্য সন্ধ্যা আগে আগে ঘুমিয়ে পড়ার চেষ্টা করা। ফজরের সময় জেগে ওঠার একনিষ্ঠ নিয়ত করা। ইসলামিক স্কলারদের পড়া এ আয়াতটি পড়ে ঘুমাতে যাওয়া।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ফজরের ওয়াক্তে ঘুম থেকে ওঠে জামাতে ফজর নামাজ পড়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

ভোরবেলা ঘুম থেকে ওঠার উপায়

Update Time : ১০:০১:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জুলাই ২০২৩

ফজরের সময় ঘুম থেকে ওঠা একটু কষ্টকরই বটে। সে সময়ের ঘুমে খুব বেশি মজা পায় মানুষ। কিন্তু যারা নিয়মিত তাহাজ্জুদ, ফজর পড়েন; তাদের বিষয়টি ভিন্ন।

অনেক মানুষই সকালবেলা ঘুম থেকে ওঠতে পারে না। ফজরের নামাজ পড়তে পারে না। কিন্তু যারা ভোরবেলা ঘুম থেকে ওঠতে পারেন না তাদের করণীয় কী? ভোরবেলা ঘুম থেকে ওঠার কোনো আমল কিংবা দোয়া আছে কি?

দিনের প্রথম ইবাদত ও ফরজ নামাজ হলো ফজর। যারা ভোরবেলায় ফজর নামাজ পড়তে পারেন, সারাদিন ওই ব্যক্তি মহান আল্লাহ তাআলার জিম্মায় থাকেন। সুবহানাল্লাহ! কত মর্যাদা! তাই সবার জন্য ভোরবেলায় ঘুম থেকে ওঠে ফজর নামাজ পড়ার মাধ্যমে দিনটি শুরু করা জরুরি। খুব সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠার সুন্দর পদ্ধতি ও উপায় রয়েছে।

প্রখ্যাত ইসলামিক স্কলার শায়খ রাতেব আন-নাবুলসি খুব ভোরে ঘুম থেকে ওঠার সহজ কিছু আমলের দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। আবার ইসলামিক স্কলাররা কোরআনুল কারিমের একটি আয়াতের আমল করতেন। যা তুলে ধরা হলো-

শায়খ রাতেব আন-নাবুলসি ভোরবেলা ঘুম থেকে ওঠার সহজ কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। তাহলো-
১. রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানো।
২. ভোরে ওঠার বিশুদ্ধ নিয়ত করা। কেউ যদি ভোর ৪টায় ঘুম থেকে ওঠার জন্য সময় নির্ধারণ করে; তবে অবশ্যই সে ৪টার এক মিনিট আগে হলেও জেগে ওঠবে। (ইন শা আল্লাহ!)
শায়খ রাতিব বলেন, ‘বিজ্ঞানের গবেষণায় একটি বিষয় প্রমাণিত, মানুষের মস্তিষ্কেও অ্যালার্ম বা সংকেত আছে। সেটি এমন-
‘যদি কোনো মানুষের পূর্ব নির্ধারিত সময়ে জরুরি কোনো কাজ থাকে, তখন দেখা যায় নির্ধারিত সময়ে এক ঘণ্টা বা তারও বেশি সময় আগে ঘুম ভেঙে যায়। যদিও ওই ব্যক্তি এক ঘণ্টার কিছু আগে পরে ঘুমায়। আর অবশ্যই এটাই ঘটে থাকে।
মনে রাখতে হবে, ফজরের সময়টি মুমিন মুসলমানের জন্য খুবই জরুরি। সারাদিন মহান রবের জিম্মায় থাকার হাতছানি। তাই এ সময় ঘুম থেকে ওঠার বিশুদ্ধ নিয়ত, একনিষ্ঠতা ও পেরেশানিই বান্দার ঘুম থেকে ওঠার জন্য সহায়ক। মুমিন বান্দা এ বিষয়টির ওপর জোর দেবে যে-
‘যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ জামাতের সঙ্গে পড়লো সে সন্ধ্যা পর্যন্ত আল্লাহর জিম্মায় থাকলো। আর যে জামাতে ইশার নামাজ পড়লো; সে সকাল পর্যন্ত আল্লাহর নিরাপত্তায় থাকলো।’
ভোরে জেগে ওঠার কোরআনি আমল
তবে ফজরের সময় জেগে ওঠার নিয়তে ইসলামিক স্কলারগণ ঘুমাতে যাওয়ার আগে কোরআনুল কারিমের একটি আয়াত পড়তেন। তাহলো-
لَهُمُ الْبُشْرَى فِي الْحَياةِ الدُّنْيَا وَفِي الآخِرَةِ لاَ تَبْدِيلَ لِكَلِمَاتِ اللّهِ ذَلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ
উচ্চারণ : ‘লাহুমুল বুশরা ফিল হায়াতিদদুনইয়া ওয়া ফিল আখিরাতে লা তাবদিলা লিকালিমাতিল্লাহি জালিকা হুয়াল ফাউযুল আজিম।’
অর্থ : ‘তাদের জন্য সুসংবাদ দুনিয়ার জীবনে ও পরকালীন জীবনে। আল্লাহর কথার কখনো হের-ফের হয় না। এটাই হল মহা সফলতা।’ (সুরা ইউনুস : আয়াত ৬৪)
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, ফজরের ওয়াক্তে ওঠে জামাতে নামাজ পড়ার জন্য সন্ধ্যা আগে আগে ঘুমিয়ে পড়ার চেষ্টা করা। ফজরের সময় জেগে ওঠার একনিষ্ঠ নিয়ত করা। ইসলামিক স্কলারদের পড়া এ আয়াতটি পড়ে ঘুমাতে যাওয়া।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ফজরের ওয়াক্তে ঘুম থেকে ওঠে জামাতে ফজর নামাজ পড়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।