ঢাকা ০৯:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘বেট উইনার’ অনলাইন জুয়া চক্রের ৪ এজেন্ট গ্রেপ্তার

নওরোজ ডেস্ক রিপোর্ট
  • Update Time : ০৭:৫১:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৩
  • / ১৫৩ Time View

বেট উইনার নামক অনলাইন জুয়া প্ল্যাটফর্মের ৪ এজেন্টকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডির সাইবার অপরাধ দমন ইউনিট (সিপিসি)। এসময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ ই-মানি ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়।

বুধবার (১৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটির মুখপাত্র আজাদ রহমান এসব তথ্য জানান।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানায়, সোমবার (১৪ আগস্ট) বেট উইনার নামক বেটিং সাইটটি নজরে আসার পর সাইবার ইন্টেলিজেন্স এন্ড রিস্ক ম্যানেজমেন্ট, সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি), বাংলাদেশ পুলিশ সিআইডির একটি টিম ঢাকার তেজগাঁও, বংশাল, লালবাগ ও মিরপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে।

গ্রেপ্তাররা হলেন, মো আরিফুল ইসলাম (২৫), মো. আনোয়ার হোসেন (৩২), মো. হারুন অর রশিদ (৩৭) ও ইমরান হোসাইন (২৯)।

তাদের কাছ থেকে ১৩টি বিভিন্ন ব্রান্ডের মোবাইল ফোন, মোবাইলের সাথে সংযুক্ত ১৮টি সিম, এজেন্ট সিমগুলোতে থাকা সর্বমোট ৭৬৭,৪৭৬.০৭/- (সাত লক্ষ সাতষট্টি হাজার চারশত ছিয়াত্তর দশমিক শূন্য সাত) টাকার ই-মানি (ব্যালেন্স), নগদ- ১,৪২,৮৯০/- (এক লক্ষ বিয়াল্লিশ হাজার আটশত নব্বই) টাকা উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতদের দেওয়া তথ্য ও প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, সুপার অ্যাডমিন কিংবা মাস্টার এডমিন নামে মূলত রাশিয়া থেকে সাইটটি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। বিভিন্ন দেশে দেখভালের জন্য ম্যানেজার নিয়োগ করা হয়। ম্যানেজার বাংলাদেশে জুয়ার এজেন্ট হিসাবে বিশ্বস্তদের নিয়োগ দেয়। মূলত গ্রেপ্তার এই চার জনই জুয়ার এজেন্ট।

সাইবার পুলিশ সেন্টার, সিআইডিসহ বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট এই অনলাইন জুয়া নিয়ে বেশ কয়েকটি অভিযান পরিচালনা করার দরুন এই জুয়ার এজেন্টরা এখন টাকা লেনদেনের জন্য মাঝখানে একটা লেয়ার তৈরি করে। এজন্য তারা সরাসরি নিজেরা এজেন্ট সিম ব্যবহার না করে কিছু অসাধু এমএফএস এজেন্ট দোকানদারকে টাকা লেনদেনের দায়িত্ব দেয়। কিছু স্টাফের মাধ্যমে ১৪-১৫টি এজেন্ট সিম ব্যবহার করে গ্রেপ্তারকৃত চক্রটি ঢাকার তেজগাঁও, পুরাণ ঢাকা এলাকা ও মিরপুর এলাকায় অবস্থান করে এই জুয়ার কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।

সিআইডি জানায়, প্রতিমাসে ১ জন জুয়ার এজেন্ট বিভিন্ন ব্যাংকের মাধ্যমে কয়েক কোটি টাকা লেনদেন করে। কমিশন বাবদ টাকার একটা অংশ তারা পায়। সস্ম্রাট এবং মোঃ শাহীন রেজা নামক দুইজন ব্যক্তি বেটউইনারের কান্ট্রি ম্যানেজার হিসেবে এই ওয়েবসাইট নিয়ন্ত্রন করছে। তাদের মাধ্যমে জুয়ার এজেন্টরা ওয়েবসাইটে ব্যবহৃত এমএফএস ব্যবহার করে সারাদেশ থেকে জুয়াড়িদের টাকা সংগ্রহ করে ক্রিপ্টোকারেন্সিতে কনভার্ট করে বিদেশে পাঠিয়ে দেয়। তারা বেটভিসা নামে আরেকটি জুয়ার সাইটের লেনদেন করেছে।

Please Share This Post in Your Social Media

‘বেট উইনার’ অনলাইন জুয়া চক্রের ৪ এজেন্ট গ্রেপ্তার

Update Time : ০৭:৫১:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৩

বেট উইনার নামক অনলাইন জুয়া প্ল্যাটফর্মের ৪ এজেন্টকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডির সাইবার অপরাধ দমন ইউনিট (সিপিসি)। এসময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ ই-মানি ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়।

বুধবার (১৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটির মুখপাত্র আজাদ রহমান এসব তথ্য জানান।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানায়, সোমবার (১৪ আগস্ট) বেট উইনার নামক বেটিং সাইটটি নজরে আসার পর সাইবার ইন্টেলিজেন্স এন্ড রিস্ক ম্যানেজমেন্ট, সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি), বাংলাদেশ পুলিশ সিআইডির একটি টিম ঢাকার তেজগাঁও, বংশাল, লালবাগ ও মিরপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে।

গ্রেপ্তাররা হলেন, মো আরিফুল ইসলাম (২৫), মো. আনোয়ার হোসেন (৩২), মো. হারুন অর রশিদ (৩৭) ও ইমরান হোসাইন (২৯)।

তাদের কাছ থেকে ১৩টি বিভিন্ন ব্রান্ডের মোবাইল ফোন, মোবাইলের সাথে সংযুক্ত ১৮টি সিম, এজেন্ট সিমগুলোতে থাকা সর্বমোট ৭৬৭,৪৭৬.০৭/- (সাত লক্ষ সাতষট্টি হাজার চারশত ছিয়াত্তর দশমিক শূন্য সাত) টাকার ই-মানি (ব্যালেন্স), নগদ- ১,৪২,৮৯০/- (এক লক্ষ বিয়াল্লিশ হাজার আটশত নব্বই) টাকা উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতদের দেওয়া তথ্য ও প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, সুপার অ্যাডমিন কিংবা মাস্টার এডমিন নামে মূলত রাশিয়া থেকে সাইটটি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। বিভিন্ন দেশে দেখভালের জন্য ম্যানেজার নিয়োগ করা হয়। ম্যানেজার বাংলাদেশে জুয়ার এজেন্ট হিসাবে বিশ্বস্তদের নিয়োগ দেয়। মূলত গ্রেপ্তার এই চার জনই জুয়ার এজেন্ট।

সাইবার পুলিশ সেন্টার, সিআইডিসহ বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট এই অনলাইন জুয়া নিয়ে বেশ কয়েকটি অভিযান পরিচালনা করার দরুন এই জুয়ার এজেন্টরা এখন টাকা লেনদেনের জন্য মাঝখানে একটা লেয়ার তৈরি করে। এজন্য তারা সরাসরি নিজেরা এজেন্ট সিম ব্যবহার না করে কিছু অসাধু এমএফএস এজেন্ট দোকানদারকে টাকা লেনদেনের দায়িত্ব দেয়। কিছু স্টাফের মাধ্যমে ১৪-১৫টি এজেন্ট সিম ব্যবহার করে গ্রেপ্তারকৃত চক্রটি ঢাকার তেজগাঁও, পুরাণ ঢাকা এলাকা ও মিরপুর এলাকায় অবস্থান করে এই জুয়ার কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।

সিআইডি জানায়, প্রতিমাসে ১ জন জুয়ার এজেন্ট বিভিন্ন ব্যাংকের মাধ্যমে কয়েক কোটি টাকা লেনদেন করে। কমিশন বাবদ টাকার একটা অংশ তারা পায়। সস্ম্রাট এবং মোঃ শাহীন রেজা নামক দুইজন ব্যক্তি বেটউইনারের কান্ট্রি ম্যানেজার হিসেবে এই ওয়েবসাইট নিয়ন্ত্রন করছে। তাদের মাধ্যমে জুয়ার এজেন্টরা ওয়েবসাইটে ব্যবহৃত এমএফএস ব্যবহার করে সারাদেশ থেকে জুয়াড়িদের টাকা সংগ্রহ করে ক্রিপ্টোকারেন্সিতে কনভার্ট করে বিদেশে পাঠিয়ে দেয়। তারা বেটভিসা নামে আরেকটি জুয়ার সাইটের লেনদেন করেছে।