ঢাকা ০৮:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

বাসে ওঠা নিয়ে জুনিয়রকে মারধরের অভিযোগ সিনিয়রের বিরুদ্ধে

কুবি সংবাদদাতা
  • Update Time : ০৮:২২:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৩০ Time View

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) বাসে ওঠা নিয়ে জুনিয়র এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে সিনিয়র শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টাফ বাসে এ ঘটনা ঘটে।

মারধরের শিকার ওই শিক্ষার্থীর নাম মাহফুজুল হক। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর নাম তরিকুল ইসলাম সিফাত। তিনি কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র।

প্রত্যক্ষদর্শীসূত্রে জানা গেছে, রবিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে কোটবাড়ীসংলগ্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনে বাসে (স্টাফ বাস) উঠতে যান মাহফুজ। তখন বাসের ভেতরে থাকা সিফাত তাকে উঠতে বাধা দেন। পরে মাহফুজ বাসে উঠে সিফাতকে জিজ্ঞেস করেন উঠতে কেন বাধা দিলেন? কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সিফাত মাহফুজের হাতে কামড় দেন, পেটে লাথি ও মাথায় আঘাত করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী বিএম সুমন বলেন, ‘মাহফুজ আমার সিটের পাশে বসেছিল। সিটে বসার পর দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সিফাত মাহফুজকে মারধর করে। ওনাকে (সিফাত) বলেছি আপনি সিনিয়র আপনার সঙ্গে যদি কোনো জুনিয়র ভুল করে থাকে তাহলে তার বিচার হবে। আমার কথা না শুনে উনি মাহফুজকে মারধর করেন। আমার গায়েও আঘাত লেগেছে।’

এ বিষয়ে মাহফুজ বলেন, ‘আমি কোটবাড়ী থেকে স্টাফ বাসে উঠতে যাই। হাতে টি-শার্ট (ডিপার্টমেন্ট ট্যুরের) ভর্তি একটা ভারী বক্স ছিল। সিএসই ১২ ব্যাচের সিফাত ভাই আমাকে বাসে উঠতে বাধা দেয়। আমি আবার উঠতে গেলে উনি আবার বাধা দেয়। উনি আমাকে ধাক্কা দেয় বাস থেকে নামার জন্য। ভারী বক্স নিয়ে আমি ভারসাম্য রাখতে পারছিলাম না ধাক্কা দেওয়ার কারণে। আমাকে জিজ্ঞাসাও করেনি আমি স্টুডেন্ট কি না? যখন আমি স্টুডেন্ট পরিচয় দিই তখন আমাকে উঠতে দেয়। এরপর আমি ওনাকে বলি—আপনি আমার হলের বড় ভাই আপনি আমারে চেনেন না? এটা বলার পর উনি আমাকে বলে—তুই কে? তোরে আমার চিনতে হবে কেন?’

তিনি আরও বলেন, ‘এরপর আমি ওনাকে বলেছি—আপনি বাসে উঠতে বাধা দেওয়ার কে? স্টুডেন্ট আইডি কার্ড নিয়ে তো কেউ বাসে ওঠে না। এরপর উনি আমাকে হুমকিধমকি দেয়। কিছুক্ষণ পর আমার ফোনে একটা কল আসে। উনি বলে আমি নাকি কোনো বড় ভাইরে কল দিছি। কোন বড় ভাই আছে সেটা দেখে নেবে উনি। একপর্যায়ে উনি আমাকে মাথায় আঘাত করে, বুকে লাথি দেয়, আমার আঙুলে কামড় দেয়। বাসে অন্য ভাইয়েরাও ওনাকে থামাতে পারছিল না।’

এ ব্যাপারে তরিকুল ইসলাম সিফাতের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে ফোন কেটে দেন। পরে খুদে বার্তা পাঠিয়েও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মাহফুজুল হক।

প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) ওমর সিদ্দিকীকে ফোন দিয়ে পাওয়া যায়নি। হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি তাকে।

Please Share This Post in Your Social Media

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

বাসে ওঠা নিয়ে জুনিয়রকে মারধরের অভিযোগ সিনিয়রের বিরুদ্ধে

Update Time : ০৮:২২:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) বাসে ওঠা নিয়ে জুনিয়র এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে সিনিয়র শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টাফ বাসে এ ঘটনা ঘটে।

মারধরের শিকার ওই শিক্ষার্থীর নাম মাহফুজুল হক। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর নাম তরিকুল ইসলাম সিফাত। তিনি কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র।

প্রত্যক্ষদর্শীসূত্রে জানা গেছে, রবিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে কোটবাড়ীসংলগ্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনে বাসে (স্টাফ বাস) উঠতে যান মাহফুজ। তখন বাসের ভেতরে থাকা সিফাত তাকে উঠতে বাধা দেন। পরে মাহফুজ বাসে উঠে সিফাতকে জিজ্ঞেস করেন উঠতে কেন বাধা দিলেন? কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সিফাত মাহফুজের হাতে কামড় দেন, পেটে লাথি ও মাথায় আঘাত করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী বিএম সুমন বলেন, ‘মাহফুজ আমার সিটের পাশে বসেছিল। সিটে বসার পর দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সিফাত মাহফুজকে মারধর করে। ওনাকে (সিফাত) বলেছি আপনি সিনিয়র আপনার সঙ্গে যদি কোনো জুনিয়র ভুল করে থাকে তাহলে তার বিচার হবে। আমার কথা না শুনে উনি মাহফুজকে মারধর করেন। আমার গায়েও আঘাত লেগেছে।’

এ বিষয়ে মাহফুজ বলেন, ‘আমি কোটবাড়ী থেকে স্টাফ বাসে উঠতে যাই। হাতে টি-শার্ট (ডিপার্টমেন্ট ট্যুরের) ভর্তি একটা ভারী বক্স ছিল। সিএসই ১২ ব্যাচের সিফাত ভাই আমাকে বাসে উঠতে বাধা দেয়। আমি আবার উঠতে গেলে উনি আবার বাধা দেয়। উনি আমাকে ধাক্কা দেয় বাস থেকে নামার জন্য। ভারী বক্স নিয়ে আমি ভারসাম্য রাখতে পারছিলাম না ধাক্কা দেওয়ার কারণে। আমাকে জিজ্ঞাসাও করেনি আমি স্টুডেন্ট কি না? যখন আমি স্টুডেন্ট পরিচয় দিই তখন আমাকে উঠতে দেয়। এরপর আমি ওনাকে বলি—আপনি আমার হলের বড় ভাই আপনি আমারে চেনেন না? এটা বলার পর উনি আমাকে বলে—তুই কে? তোরে আমার চিনতে হবে কেন?’

তিনি আরও বলেন, ‘এরপর আমি ওনাকে বলেছি—আপনি বাসে উঠতে বাধা দেওয়ার কে? স্টুডেন্ট আইডি কার্ড নিয়ে তো কেউ বাসে ওঠে না। এরপর উনি আমাকে হুমকিধমকি দেয়। কিছুক্ষণ পর আমার ফোনে একটা কল আসে। উনি বলে আমি নাকি কোনো বড় ভাইরে কল দিছি। কোন বড় ভাই আছে সেটা দেখে নেবে উনি। একপর্যায়ে উনি আমাকে মাথায় আঘাত করে, বুকে লাথি দেয়, আমার আঙুলে কামড় দেয়। বাসে অন্য ভাইয়েরাও ওনাকে থামাতে পারছিল না।’

এ ব্যাপারে তরিকুল ইসলাম সিফাতের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যস্ততা দেখিয়ে ফোন কেটে দেন। পরে খুদে বার্তা পাঠিয়েও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মাহফুজুল হক।

প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) ওমর সিদ্দিকীকে ফোন দিয়ে পাওয়া যায়নি। হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি তাকে।