ঢাকা ১০:১৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ

নবিনগরে মা’র হাতেই প্রাণ গেলো ৪ মাসের শিশু ফাতেমার

রাকিবুল হাসান রিয়ান, বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৯:৩১:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৭৮ Time View

ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিজের চার মাসের কন্যা সন্তান ফাতেমার খুনের মামলায় সাক্ষী হয়ে এবার আসামি হতে যাচ্ছেন মা রুমা বেগম (২৬)।

ঘটনাটি ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বিদ্যাকুট গ্রামে। এ ঘটনায় নিহতের মা রুমা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও এলকাবাসী সূত্রে জানা যায়,বিদ্যাকুট গ্রামের মৃত জলিল মিয়ার ছেলে দুবাই প্রবাসী অলি উল্লাহর স্ত্রী রুমা বেগম বেশ কিছু দিন যাবৎ মানসিক ও শারীরিকভাবে অসুস্থ। শুক্রবার রাতে রুমা বেগম তার বড় মেয়ে খাদিজা ও চার মাস বয়সী কন্যাসন্তান ফাতেমা বেগমকে সাথে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন। মানসিক যন্ত্রণা থেকে রাত ২টার দিকে ঘুম থেকে উঠে টয়লেটে যাওয়ার নাম করে ছোট সন্তান ফাতেমাকে কোলে নিয়ে বাড়ির পাশে পুকুরে ফেলে দিয়ে ঘরে এসে শুয়ে পরেন। ভোর রাত অনুমানিক ৫টায় ঘুম ভেঙে গেলে দেখেন পাশে তার শিশু সন্তান ফাতেমা নেই। সন্তান পাশে না থাকায় চিৎকার শুরু করেন রুমা বেগম। তার আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। তার পরিবারসহ প্রতিবেশীরা শিশুটিকে খুঁজতে শুরু করে। অনেক খুঁজেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে তাদের বাড়ির পাশে একটি পুকুরে শিশু ফাতেমার লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশের জরুরি সেবা ৯৯৯ কল দিলে পুলিশ গিয়ে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা মর্গে পাঠায়।

৪ মাসের শিশু ফাতেমা কিভাবে পানিতে গেলো এবং তার মৃত্যু রহস্যজনক- এমন দাবি করে এলাকাবাসী এবং প্রাথমিকভাবে পুলিশও ধারণা করে এটি একটি হত্যাকাণ্ড। সে কারণে নিহত ফাতেমার মা রুমা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়। কয়েক ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রুমা বেগম তার সন্তানকে হত্যার দায় প্রাথমিকভাবে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন।

নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মাহবুব আলম জানান, শিশু ফাতেমা মারা যাওয়ার ঘটনায় তার চাচা দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে নিহতের মা রুমা বেগমকে ১নং সাক্ষী ও অজ্ঞাতনামা আসামি দিয়ে শনিবার (২২ অক্টোবর) নবীনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। ওই এজাহারে বাদি উল্লেখ করেছেন- রুমা বেগম মানসিকভাবে অসুস্থ।

ওসি আরো বলেন, কন্যা সন্তান নিয়ে পারিবারিক অশান্তি ও বনিবনা না হওয়ায় মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে তিনি শিশুটিকে পানিতে ফেলে হত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

রুমা বেগমের জবানবন্দী নেয়ার জন্য তাকে রোববার বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

নবিনগরে মা’র হাতেই প্রাণ গেলো ৪ মাসের শিশু ফাতেমার

Update Time : ০৯:৩১:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ অক্টোবর ২০২৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিজের চার মাসের কন্যা সন্তান ফাতেমার খুনের মামলায় সাক্ষী হয়ে এবার আসামি হতে যাচ্ছেন মা রুমা বেগম (২৬)।

ঘটনাটি ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বিদ্যাকুট গ্রামে। এ ঘটনায় নিহতের মা রুমা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও এলকাবাসী সূত্রে জানা যায়,বিদ্যাকুট গ্রামের মৃত জলিল মিয়ার ছেলে দুবাই প্রবাসী অলি উল্লাহর স্ত্রী রুমা বেগম বেশ কিছু দিন যাবৎ মানসিক ও শারীরিকভাবে অসুস্থ। শুক্রবার রাতে রুমা বেগম তার বড় মেয়ে খাদিজা ও চার মাস বয়সী কন্যাসন্তান ফাতেমা বেগমকে সাথে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন। মানসিক যন্ত্রণা থেকে রাত ২টার দিকে ঘুম থেকে উঠে টয়লেটে যাওয়ার নাম করে ছোট সন্তান ফাতেমাকে কোলে নিয়ে বাড়ির পাশে পুকুরে ফেলে দিয়ে ঘরে এসে শুয়ে পরেন। ভোর রাত অনুমানিক ৫টায় ঘুম ভেঙে গেলে দেখেন পাশে তার শিশু সন্তান ফাতেমা নেই। সন্তান পাশে না থাকায় চিৎকার শুরু করেন রুমা বেগম। তার আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। তার পরিবারসহ প্রতিবেশীরা শিশুটিকে খুঁজতে শুরু করে। অনেক খুঁজেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে তাদের বাড়ির পাশে একটি পুকুরে শিশু ফাতেমার লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশের জরুরি সেবা ৯৯৯ কল দিলে পুলিশ গিয়ে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা মর্গে পাঠায়।

৪ মাসের শিশু ফাতেমা কিভাবে পানিতে গেলো এবং তার মৃত্যু রহস্যজনক- এমন দাবি করে এলাকাবাসী এবং প্রাথমিকভাবে পুলিশও ধারণা করে এটি একটি হত্যাকাণ্ড। সে কারণে নিহত ফাতেমার মা রুমা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়। কয়েক ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রুমা বেগম তার সন্তানকে হত্যার দায় প্রাথমিকভাবে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন।

নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মাহবুব আলম জানান, শিশু ফাতেমা মারা যাওয়ার ঘটনায় তার চাচা দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে নিহতের মা রুমা বেগমকে ১নং সাক্ষী ও অজ্ঞাতনামা আসামি দিয়ে শনিবার (২২ অক্টোবর) নবীনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। ওই এজাহারে বাদি উল্লেখ করেছেন- রুমা বেগম মানসিকভাবে অসুস্থ।

ওসি আরো বলেন, কন্যা সন্তান নিয়ে পারিবারিক অশান্তি ও বনিবনা না হওয়ায় মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে তিনি শিশুটিকে পানিতে ফেলে হত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

রুমা বেগমের জবানবন্দী নেয়ার জন্য তাকে রোববার বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ হয়েছে।