ঢাকা ০৩:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তামাকমুক্ত বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে টাস্কফোর্স কমিটিগুলো সক্রিয় করা জরুরী

Reporter Name
  • Update Time : ০৭:৫৩:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুলাই ২০২৩
  • / ১১৫ Time View

সরকারের সহযোগী সংগঠন হিসেবে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট তামাক নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যয় বাস্তবায়নে ২০৪০ সালের আগেই তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে হলে হাতে খুব বেশী সময় নাই । এ বাস্তবতায় তামাক নিয়ন্ত্রণ র্কমসূচি আরো বেগবান করতে স্থানীয় পর্যায়ে টাস্কফোর্স কমিটি সক্রিয় করা জরুরি ।

উল্লেখ্য তামাক নিয়ন্ত্রণ আন্দোলনকে সক্রিয় করতে সরকার বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের সম্পৃক্ত করে টাস্কফোর্স কমিটি গঠন করেছে । এই টাস্কফোর্র্স কমিটিতে রয়েছে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের একাধিক সদস্য। উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে টাস্কফোর্স কমিটির সভাগুলো নিয়মিত হচ্ছে না । ফলে তামাক নিয়ন্ত্রণের ধারাবাহিক উদ্যোগ গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে না । টাস্কফোর্স কমিটির সকল সদস্য নিজ নিজ অবস্থান থেকে তামাক নিয়ন্ত্রণে তাদের ভূমিকা পালন করলে ২০৪০ সালের মধ্যে তামাক নিয়ন্ত্রণে কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জন সহজ হবে।

যাদের আন্তরিক প্রচেষ্টা টাস্কফোর্স কমিটিকে সক্রিয় করবে এবং এর মাধ্যমে ২০৪০ সালের আগেই বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করা সম্ভব হবে। সরকারী বেসরকারী সংস্থাগুলোর সমন্বিত প্রচেষ্টায় তামাক নিয়ন্ত্রণে টাস্কফোর্স কমিটিগুলোকে সক্রিয় করার উপর গুরুত্বারোপ করে ২৪ জুলাই ২০২৩, সকাল ১১.০০ টায় বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট (বাটা) এবং ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্ট এর উদ্যোগে ডাব্লিউবিবি এর কৈবর্ত সভাকক্ষে “টাস্কফোর্স কমিটি সক্রিয়করণে পরামর্শমূলক সভা” শীর্ষক একটি হাইব্রিড সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেনে, নওগাঁয় বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের অন্যতম সদস্য সংগঠন “রাণী”এর নির্বাহী পরিচালক ফজলুল হক খান। জাতীয় এবং স্থানীয় পর্যায়ে কার্যরত ত্রিশটিরও বেশী সংগঠন উক্ত সভায় অংশগ্রহণ করে। সভাটি সঞ্চালনা করেন ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর প্রকল্প কর্মকর্তা সামিউল হাসান সজীব।

সভায় তামাক নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক নিজেদের অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করেন, প্রত্যাশা সামাজিক উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক বেল্লাল হোসেন, মৌমাছি এর নির্বাহী পরিচালক সুশান্ত মল্লিক, পিডিএস এর নির্বাহী পরিচালক তাজুল ইসলাম, এসসিডিও এর নির্বাহী পরিচালক সুকান্ত দাশ, নাটাব এর প্রোগ্রাম অফিসার মো. শাহীনুর রহমান, এইড ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম অফিসার কাজী রুবেল এবং ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের হেড অব প্রোগ্রাম সৈয়দা অনন্যা রহমানসহ অন্যান্য সংগঠনের নির্বাহী পরিচালকগণ।

সভায় বক্তারা কর্তৃত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করে কোথায় মোবাইল কোর্ট হতে পারে সে বিষয়ে সিদ্বান্ত নেবার বিষয়ে পরামর্শ দেন। প্রয়োজনে অ্যাপস এর মাধ্যমে বা সরাসরি উপস্থিত থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হলে ম্যাজিস্ট্রেট মহোদয় মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় আরো উৎসাহী হবেন। নির্দিষ্ট গ্রুপ তৈরী করে টাস্কফোর্স কমিটির সদস্যদের মধ্যে তথ্য আদান প্রদানের মাধ্যমে টাস্কফোর্স কমিটি আরো সক্রিয়করণের পাশাপাশি তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম গতিশীল করা সম্ভব হবে। এছাড়া স্থানীয় গণমাধ্যমে তামাক নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করলেও তা সকল টাস্খফোর্স সদস্যদেরকে উৎসাহী করবে।

বক্তারা আরো বলেন, বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের সদস্যদের মধ্যকার সমন্বয় ও পারষ্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নের পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে সমমনা সংগঠন তৈরীতে কাজ করা জরুরী। সভায় বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের সচিবালয় থেকে জোটের সকল সদস্যদের সর্বপ্রকার সহায়তা প্রদানের আশ্বাস প্রদান করা হয়। পরিশেষে বক্তারা জোটের সকল সদস্যদের কোড অব কনডাক্ট বা তামাক কোম্পানির সাথে অসহযোগিতার নীতি গ্রহণের সমর্থনপত্র অনুমোদনের বিষয়ে আলোকপাত করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

তামাকমুক্ত বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে টাস্কফোর্স কমিটিগুলো সক্রিয় করা জরুরী

Update Time : ০৭:৫৩:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুলাই ২০২৩

সরকারের সহযোগী সংগঠন হিসেবে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট তামাক নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যয় বাস্তবায়নে ২০৪০ সালের আগেই তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে হলে হাতে খুব বেশী সময় নাই । এ বাস্তবতায় তামাক নিয়ন্ত্রণ র্কমসূচি আরো বেগবান করতে স্থানীয় পর্যায়ে টাস্কফোর্স কমিটি সক্রিয় করা জরুরি ।

উল্লেখ্য তামাক নিয়ন্ত্রণ আন্দোলনকে সক্রিয় করতে সরকার বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের সম্পৃক্ত করে টাস্কফোর্স কমিটি গঠন করেছে । এই টাস্কফোর্র্স কমিটিতে রয়েছে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের একাধিক সদস্য। উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে টাস্কফোর্স কমিটির সভাগুলো নিয়মিত হচ্ছে না । ফলে তামাক নিয়ন্ত্রণের ধারাবাহিক উদ্যোগ গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে না । টাস্কফোর্স কমিটির সকল সদস্য নিজ নিজ অবস্থান থেকে তামাক নিয়ন্ত্রণে তাদের ভূমিকা পালন করলে ২০৪০ সালের মধ্যে তামাক নিয়ন্ত্রণে কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জন সহজ হবে।

যাদের আন্তরিক প্রচেষ্টা টাস্কফোর্স কমিটিকে সক্রিয় করবে এবং এর মাধ্যমে ২০৪০ সালের আগেই বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করা সম্ভব হবে। সরকারী বেসরকারী সংস্থাগুলোর সমন্বিত প্রচেষ্টায় তামাক নিয়ন্ত্রণে টাস্কফোর্স কমিটিগুলোকে সক্রিয় করার উপর গুরুত্বারোপ করে ২৪ জুলাই ২০২৩, সকাল ১১.০০ টায় বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট (বাটা) এবং ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্ট এর উদ্যোগে ডাব্লিউবিবি এর কৈবর্ত সভাকক্ষে “টাস্কফোর্স কমিটি সক্রিয়করণে পরামর্শমূলক সভা” শীর্ষক একটি হাইব্রিড সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেনে, নওগাঁয় বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের অন্যতম সদস্য সংগঠন “রাণী”এর নির্বাহী পরিচালক ফজলুল হক খান। জাতীয় এবং স্থানীয় পর্যায়ে কার্যরত ত্রিশটিরও বেশী সংগঠন উক্ত সভায় অংশগ্রহণ করে। সভাটি সঞ্চালনা করেন ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর প্রকল্প কর্মকর্তা সামিউল হাসান সজীব।

সভায় তামাক নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক নিজেদের অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করেন, প্রত্যাশা সামাজিক উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক বেল্লাল হোসেন, মৌমাছি এর নির্বাহী পরিচালক সুশান্ত মল্লিক, পিডিএস এর নির্বাহী পরিচালক তাজুল ইসলাম, এসসিডিও এর নির্বাহী পরিচালক সুকান্ত দাশ, নাটাব এর প্রোগ্রাম অফিসার মো. শাহীনুর রহমান, এইড ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম অফিসার কাজী রুবেল এবং ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের হেড অব প্রোগ্রাম সৈয়দা অনন্যা রহমানসহ অন্যান্য সংগঠনের নির্বাহী পরিচালকগণ।

সভায় বক্তারা কর্তৃত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করে কোথায় মোবাইল কোর্ট হতে পারে সে বিষয়ে সিদ্বান্ত নেবার বিষয়ে পরামর্শ দেন। প্রয়োজনে অ্যাপস এর মাধ্যমে বা সরাসরি উপস্থিত থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হলে ম্যাজিস্ট্রেট মহোদয় মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় আরো উৎসাহী হবেন। নির্দিষ্ট গ্রুপ তৈরী করে টাস্কফোর্স কমিটির সদস্যদের মধ্যে তথ্য আদান প্রদানের মাধ্যমে টাস্কফোর্স কমিটি আরো সক্রিয়করণের পাশাপাশি তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম গতিশীল করা সম্ভব হবে। এছাড়া স্থানীয় গণমাধ্যমে তামাক নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করলেও তা সকল টাস্খফোর্স সদস্যদেরকে উৎসাহী করবে।

বক্তারা আরো বলেন, বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের সদস্যদের মধ্যকার সমন্বয় ও পারষ্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নের পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে সমমনা সংগঠন তৈরীতে কাজ করা জরুরী। সভায় বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের সচিবালয় থেকে জোটের সকল সদস্যদের সর্বপ্রকার সহায়তা প্রদানের আশ্বাস প্রদান করা হয়। পরিশেষে বক্তারা জোটের সকল সদস্যদের কোড অব কনডাক্ট বা তামাক কোম্পানির সাথে অসহযোগিতার নীতি গ্রহণের সমর্থনপত্র অনুমোদনের বিষয়ে আলোকপাত করেন।