ঢাকা ০৬:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘ড. ইউনূসকে জেলেও যেতে হতে পারে’

স্টাফ রিপোর্টার
  • Update Time : ১০:২২:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৩৭ Time View

শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ এবং গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জেলে অথবা রিমান্ডে যেতে হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন।

মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এই আশঙ্কার কথা ব্যক্ত করেন তিনি।

ব্যারিস্টার মামুন বলেন, যতই অপমান করা হোক না কেন ড. ইউনূস আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। যেহেতু আমরা এদেশের নাগরিক, সেহেতু আমাদেরকে অবশ্যই আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। তবে কোন ধরনের প্রক্রিয়ায় যাব সেটা তার সঙ্গে পরামর্শ করেই সিদ্ধান্ত নেব।

তিনি বলেন, উনাকে (ড. ইউনূস) আমি বলেছি, আপনাকে জেলে যেতে হতে পারে। পুলিশে নেবে, এমনকি রিমান্ডেও নিতে পারে। উনি বলেছেন, আমি দরিদ্র মানুষের জন্য সংগ্রাম করে যাচ্ছি। এজন্য যে প্রতিকূল পরিস্থিতিই আসুক তা হাসিমুখে মেনে নেব। পিছপা হবো না।

ব্যারিস্টার মামুন বলেন, একের পর এক মামলা করে ড. ইউনূসকে হেয় করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সামাজিক ব্যবসাকে ধ্বংস করার নীল নকশা হিসেবে এই মামলা করা হয়েছে। দুই পক্ষের সমঝোতা চুক্তির আওতায় ৪২৯ কোটি টাকা শ্রমিকদের দেয়া হয়েছে। এখানে প্রশ্ন হলো, আমরা কিভাবে অর্থ আত্মসাৎ করলাম।

গত সোমবার ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার মামলায় চার্জশিট দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ইতোমধ্যে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতাসহ চারজনকে ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে ৩ মার্চ পর্যন্ত জামিন পেয়েছেন তিনিসহ চার বিবাদী।

Please Share This Post in Your Social Media

‘ড. ইউনূসকে জেলেও যেতে হতে পারে’

Update Time : ১০:২২:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৪

শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ এবং গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জেলে অথবা রিমান্ডে যেতে হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন।

মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এই আশঙ্কার কথা ব্যক্ত করেন তিনি।

ব্যারিস্টার মামুন বলেন, যতই অপমান করা হোক না কেন ড. ইউনূস আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। যেহেতু আমরা এদেশের নাগরিক, সেহেতু আমাদেরকে অবশ্যই আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। তবে কোন ধরনের প্রক্রিয়ায় যাব সেটা তার সঙ্গে পরামর্শ করেই সিদ্ধান্ত নেব।

তিনি বলেন, উনাকে (ড. ইউনূস) আমি বলেছি, আপনাকে জেলে যেতে হতে পারে। পুলিশে নেবে, এমনকি রিমান্ডেও নিতে পারে। উনি বলেছেন, আমি দরিদ্র মানুষের জন্য সংগ্রাম করে যাচ্ছি। এজন্য যে প্রতিকূল পরিস্থিতিই আসুক তা হাসিমুখে মেনে নেব। পিছপা হবো না।

ব্যারিস্টার মামুন বলেন, একের পর এক মামলা করে ড. ইউনূসকে হেয় করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সামাজিক ব্যবসাকে ধ্বংস করার নীল নকশা হিসেবে এই মামলা করা হয়েছে। দুই পক্ষের সমঝোতা চুক্তির আওতায় ৪২৯ কোটি টাকা শ্রমিকদের দেয়া হয়েছে। এখানে প্রশ্ন হলো, আমরা কিভাবে অর্থ আত্মসাৎ করলাম।

গত সোমবার ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার মামলায় চার্জশিট দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ইতোমধ্যে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতাসহ চারজনকে ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে ৩ মার্চ পর্যন্ত জামিন পেয়েছেন তিনিসহ চার বিবাদী।