ঢাকা ০৭:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টেকনাফ ফিরেছেন সেন্টমার্টিনে আটকা পড়া দুই শতাধিক পর্যটক

নওরোজ অনলাইন ডেস্ক
  • Update Time : ০৮:০২:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ অক্টোবর ২০২৩
  • / ১৪৮ Time View

বৈরী আবহাওয়া কারণে সেন্টমার্টিন দ্বীপে আটকা পড়া দুই শতাধিক পর্যটক টেকনাফে ফিরেছেন। সোমবার (২ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে পর্যটকবাহী জাহাজ এমভি বারো আউলিয়াতে করে টেকনাফের দমদমিয়া জেটি ঘাটে পৌঁছান তারা।

টেকনাফ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. এরফানুল হক চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকার সৃষ্ট সুস্পষ্ট লঘুচাপটি পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হওয়ায় বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দরগুলো থেকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত প্রত্যাহার করা হয়েছে।

এ কারণে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ এমভি বারো আউলিয়া সোমবার সকালে পর্যটক নিয়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপে যায়। বিকেলে ফিরে আসার সময় শুক্রবার দ্বীপে আটকা পড়া পর্যটকদের তুলে নিয়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে জাহাজটি রওয়ানা দিয়ে সন্ধ্যায় টেকনাফের দমদমিয়া জেটি ঘাটে পৌঁছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) টেকনাফের ট্রাফিক সুপারভাইজার জহির উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, বঙ্গোপসাগরে বৈরী আবহাওয়া ও ৩ নম্বর সর্তকতা সংকেত থাকায় শনিবার টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে সবধরনের জাহাজ চলাচল বন্ধ করে উপজেলা প্রশাসন। এতে আগেরদিন সেন্টমার্টিনে রাত্রিযাপনে থেকে যাওয়া দুই শতাধিক পর্যটক সেন্টমার্টিন দ্বীপে আটকা পড়েছিলেন।

তিনি আরও জানান, রোববার বিকেলে সতর্কতা সংকেত প্রত্যাহার করা হলে সোমবার সকালে পর্যটকবাহী জাহাজ এমভি বারো আউলিয়া টেকনাফ দমদমিয়া জেটি ঘাট থেকে ৩২০ জন পর্যটক নিয়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপে যায়। এরপর দ্বীপে আটকা থাকা পর্যটকসহ সোমবার দিনের ট্রিপে ফিরে আসাদের নিয়ে পুনরায় দমদমিয়া জেটি ঘাটে ফিরে আসে জাহাজটি।

সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে ফেরত আসা আবু হেনা নামের একজন পর্যটক বলেন, হঠাৎ বৈরী আবহাওয়ার ফলে আমরা সেন্টমার্টিন দ্বীপে আটকা পড়েছিলাম। তবে দ্বীপে আমাদের কোনো ধরনের অসুবিধা হয়নি। আমরা একদিনের জায়গায় আরও দুদিন দ্বীপের সৌন্দর্য উপভোগ করেছি।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, দ্বীপে আটকা পড়া পর্যটকরা জাহাজ এমভি বারো আউলিয়ায় করে ফেরত গেছেন।

শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে টেকনাফের দমদমিয়া জেটি ঘাট থেকে এমভি বারো আউলিয়া জাহাজে ৮০০ জন পর্যটক সেন্টমার্টিনে বেড়াতে যান। বিকেলে জাহাজটি ৬০০ পর্যটক নিয়ে টেকনাফ ফিরে এলেও অন্যরা রাতযাপনের জন্য দ্বীপে অবস্থান করেন।

পরবর্তী সময়ে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত জারি করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। পরে উপজেলা প্রশাসন শনিবার সকাল থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ, স্পিডবোট, সার্ভিস ট্রলারসহ সবধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেয়।

Please Share This Post in Your Social Media

টেকনাফ ফিরেছেন সেন্টমার্টিনে আটকা পড়া দুই শতাধিক পর্যটক

Update Time : ০৮:০২:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ অক্টোবর ২০২৩

বৈরী আবহাওয়া কারণে সেন্টমার্টিন দ্বীপে আটকা পড়া দুই শতাধিক পর্যটক টেকনাফে ফিরেছেন। সোমবার (২ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে পর্যটকবাহী জাহাজ এমভি বারো আউলিয়াতে করে টেকনাফের দমদমিয়া জেটি ঘাটে পৌঁছান তারা।

টেকনাফ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. এরফানুল হক চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকার সৃষ্ট সুস্পষ্ট লঘুচাপটি পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হওয়ায় বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দরগুলো থেকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত প্রত্যাহার করা হয়েছে।

এ কারণে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ এমভি বারো আউলিয়া সোমবার সকালে পর্যটক নিয়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপে যায়। বিকেলে ফিরে আসার সময় শুক্রবার দ্বীপে আটকা পড়া পর্যটকদের তুলে নিয়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে জাহাজটি রওয়ানা দিয়ে সন্ধ্যায় টেকনাফের দমদমিয়া জেটি ঘাটে পৌঁছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) টেকনাফের ট্রাফিক সুপারভাইজার জহির উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, বঙ্গোপসাগরে বৈরী আবহাওয়া ও ৩ নম্বর সর্তকতা সংকেত থাকায় শনিবার টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে সবধরনের জাহাজ চলাচল বন্ধ করে উপজেলা প্রশাসন। এতে আগেরদিন সেন্টমার্টিনে রাত্রিযাপনে থেকে যাওয়া দুই শতাধিক পর্যটক সেন্টমার্টিন দ্বীপে আটকা পড়েছিলেন।

তিনি আরও জানান, রোববার বিকেলে সতর্কতা সংকেত প্রত্যাহার করা হলে সোমবার সকালে পর্যটকবাহী জাহাজ এমভি বারো আউলিয়া টেকনাফ দমদমিয়া জেটি ঘাট থেকে ৩২০ জন পর্যটক নিয়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপে যায়। এরপর দ্বীপে আটকা থাকা পর্যটকসহ সোমবার দিনের ট্রিপে ফিরে আসাদের নিয়ে পুনরায় দমদমিয়া জেটি ঘাটে ফিরে আসে জাহাজটি।

সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে ফেরত আসা আবু হেনা নামের একজন পর্যটক বলেন, হঠাৎ বৈরী আবহাওয়ার ফলে আমরা সেন্টমার্টিন দ্বীপে আটকা পড়েছিলাম। তবে দ্বীপে আমাদের কোনো ধরনের অসুবিধা হয়নি। আমরা একদিনের জায়গায় আরও দুদিন দ্বীপের সৌন্দর্য উপভোগ করেছি।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, দ্বীপে আটকা পড়া পর্যটকরা জাহাজ এমভি বারো আউলিয়ায় করে ফেরত গেছেন।

শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে টেকনাফের দমদমিয়া জেটি ঘাট থেকে এমভি বারো আউলিয়া জাহাজে ৮০০ জন পর্যটক সেন্টমার্টিনে বেড়াতে যান। বিকেলে জাহাজটি ৬০০ পর্যটক নিয়ে টেকনাফ ফিরে এলেও অন্যরা রাতযাপনের জন্য দ্বীপে অবস্থান করেন।

পরবর্তী সময়ে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত জারি করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। পরে উপজেলা প্রশাসন শনিবার সকাল থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজ, স্পিডবোট, সার্ভিস ট্রলারসহ সবধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেয়।