ঢাকা ০২:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জালিয়াতি ও তথ্য গোপন করে চাকুরী; দুদকের চার্জসিট

এইচ এম মোজাহিদুল ইসলাম নান্নু 
  • Update Time : ০৬:২১:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ জুলাই ২০২৩
  • / ১০৭ Time View

বরগুনার আমতলী মফিজ উদ্দিন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের তথ্য গোপন করে চাকুরি নেয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশন তার বিরুদ্ধে চার্জসিট (অভিযোগপত্র) দিয়েছে।

ওই বিদ্যালয়ে আরও ৪ শিক্ষকের বিরুদ্ধে জাল সনদে চাকুরি করার আরও একটি মামলা দুদকে তদন্তাধীন রয়েছে বলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে।

ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর আলম জালজালিয়াতী করে ও প্রকৃত তথ্য গোপন করে সহকারী শিক্ষক হিসাবে চাকুরী করায় স্থানীয় মো. আবুল কালাম আজাদ বরগুনা স্পেশাল জজ আদালতে মামলা দায়ের করলে (যার নং ৪/২২-২০২০) আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে দুনীর্তি দমন কমিশনকে তদন্তের নির্দেশ দেয়।

দুনীর্তি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক মো. আরিফুর রহমান তদন্ত শেষে মো. জাহাঙ্গির আলমের নিয়োগ অবৈধ প্রতারনার মাধ্যমে করা হয়েছে বলে আদালতে (পেনাল কোর্ডের ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১ বিচারের জন্য) চার্জসিট প্রেরন করেছেন।

এছাড়াও অস্তিত্ববিহীন প্রতিষ্ঠানের ভূয়া শিক্ষাগত সনদ দিয়ে চাকুরি নেয়ায় বিদ্যালয়টির চার শিক্ষক রেজাউল করিম, দিলিপ কুমার, মো. শাহাবুদ্দিন ও হোসনে আরার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন সাবেক পৌর কাউন্সিলর মো. বশির হোসেন। ওই মামলাটিও আদালতের নিদের্শে তদন্ত করছে দুদক।

তদন্ত কর্মকর্তা ও দুনীর্তি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক মো. আরিফুর রহমান জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের জাল সনদগুলো জব্দ করা হয়েছে। দ্রুতই তাদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জসিট প্রেরন করা হবে।

বরগুনা বিশেষ জজ আদালতে (বিশেষ কেস নং ০৪/২০২০) দায়েরকৃত মামলায় অভিযোগ করা হয়, আসামী মো জাহাঙ্গীর আলম ০১/০৫/২০০৬ তারিখে মফিজ উদ্দিন বালিকা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (ইসলাম ধর্ম) হিসেবে যোগান করেন। তিনি ১৯৮২ সালে দাখিল পরীক্ষায় তৃতীয় বিভাগ ১৯৮৪ সালে আলীম পরীক্ষায় তৃতীয় বিভাগ এবং ১৯৮৬ সালে ফাজিল পরীক্ষায় দ্বিতীয় বিভাগ পেয়ে পাশ করেছেন। সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগানের ক্ষেত্রে একটির বেশি তৃতীয় বিভাগ গ্রহনযোগ্য না হওয়া সত্বেও তিনি নীতিমালা বহির্ভূতভাবে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেছেন। নিয়োগ লাভের ক্ষেত্রে তিনি ১৫/০৮/১৯৯৩ খ্রি. হতে ৩০/০৮/২০০৬ খ্রি পর্যন্ত পটুয়াখালী জেলার দুমকী উপজেলার পাঙ্গাশিয়া আলিয়া মাদ্রাসায় করনিক হিসেবে চাকুরী করা সত্ত্বেও করনিকের অভিজ্ঞতা জালিয়াতি করে সহকারী শিক্ষক হিসেবে চাকুরি নেন। আদালত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় পটুয়াখালীতে প্রেরন করে।

চার্জসিটে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আরফুর রহমান উল্লেখ করেন, তদন্তকালে জব্দকৃত ও সংগৃহিত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, আসামী মো. জাহাঙ্গীর আলম গত ২৭/০৪/২০০৬ খ্রি. সহকারী শিক্ষক (ইসলাম ধর্ম শিক্ষা) পদে মফিজ বালিকা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় যোগদান করেন। যোগদানকালে তিনি তার পূর্ববর্তী ইনডেক্স নং ৬৬১২৩১ ব্যবহার করেন। আসামী মো. জাহাঙ্গীর আলম ১৯৮২ সালে তৃতীয় বিভাগে দাখিল, ১৯৮৪ সালে তৃতীয় বিভাগে আলিম, ১৯৮৬ সালে দ্বিতীয় বিভাগে ফাজিল এবং ১৯৮৯ সালে দ্বিতীয় বিভাগে কামিল পাশ করেছেন মর্মে শিক্ষাগত যোগ্যতার বিশ্লেষণে খো যায় । আসামী জাহাঙ্গীর আলম ২০০৬ সালে নিয়োাগ লাভ করেন। শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের স্মারক নং শিম/শা-১১/৮ বিবিধ(এমপিও)-১১/২০০৪/০৬, তারিখ: ০৮/০১/২০০৫ এর বেসরকারী শিক্ষকদের এমপিও ভূক্তির নীতিমালা অনুসারে দেখা যায় যে, সমগ্র শিক্ষাজীবনে যেকোনো একটি তৃতীয় বিভাগ/ শ্রেণীপ্রাপ্ত শিক্ষক এমপিওভুক্ত হতে পারবেন। উক্ত আদেশ মোতাবেক আসামী মো. জাহাঙ্গীর আলমের সহকারী মৌলভী (ইসলাম ধর্ম শিক্ষা) পদে নিয়োগ বৈধ নয় মর্মে প্রতীয় মান হয়।

এছাড়া মো. জাহাঙ্গীর আলমের বক্তব্য অনুসারে ০১/১২/১৯৮৬ খ্রি. হতে ১৪/০৮/১০৯৩ সাল পর্যন্ত হরিণখোলা চরপাড়া দাখিল মাদ্রাসা, আমতলী, বরগুনায় সহকারী মৌলভী হিসেবে চাকুরী করেছেন, যার ইনডেক্স নম্বর ৩৫২৮৩১ । এক্ষেত্রে আসামী মো. জাহাঙ্গীর আলমের নিয়োাগকালীন চলমান ১৯৮২ সালের বিধি অনুযায়ী ০৬ মাসের অধিক বিরতিকাল থাকলে পূর্বের অভিজ্ঞতা অকার্যকর হয়। এক্ষেত্রে সহকারী মৌলভী পরে উক্ত ইনডেক্স নম্বর ১৫/০৮/১৯৯৩ সাল থেকে অব্যবহৃত, ফলে ২০০৬ সালে উক্ত অভিজ্ঞতা অকার্যকর হয়েছে।

মামলা তদন্তকালে মো. জাহাঙ্গীর আলম জেলা শিক্ষা অফিসার, বরগুনার স্মারক নং ৩৭,০২,০৪০০.০০০.০২.০০১.২১.৫২, তারিখ: ২৪/০১/২০২১ খ্রি. মূলে জেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন কর্তৃক স্বাক্ষরতি একটি পত্রের মাধ্যমে তার নিয়োগকালীন ৬৬১২৩১ নং ইনডেক্সে ভুল থাকার কারণে উক্ত ইনডেক্সের পরিবর্তে ৩৫২৮৩১ নং ইনডেক্স নং অন্তর্ভুক্ত করা বিষয়ে একটি কাগজ াখিল করেন।দাখিলকৃত উক্ত রেকর্ডপত্র যাচাই করে দেখা যায় তার দাখিলকৃত ইনডেক্স নম্বর পরিবর্তন করা সংক্রান্ত কাগজটি সঠিক নয়। জেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্ম জসিম উদ্দিনের স্ক্যানকৃত স্বাক্ষর ব্যবহার করে ভুয়া স্মারক নং পরিবর্তন করে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে পত্রটি সৃজন করা হয়েছে।

তদন্তকালে জন্মকৃত ও সংগৃহিত রেকর্ডপত্র এবং সংশ্লিষ্টদের বক্তব্যে প্রতীয় মান হয যে, আসামী মো. জাহাঙ্গীর আলম শিক্ষা মন্ত্রনালযের ২০০৫ সালের শিক্ষা মন্ত্রনালযের সরকারী আদেশ লংঘন করে ০২ টি তৃতীয় বিভাগ নিয়ে প্রতারনার মাধ্যমে অফিস সহকারীর ইনডেক্স ব্যবহার করে গত ২৭/০৪/২০০৬ খ্রি. সহকারী শিক্ষক পদে যোগদান করে পেনাল কোডের ৪২০ ধারার অপরাধ সংঘঠন করেছেন। একইসাথে জেলা শিক্ষা অফিসার বরগুনার স্ক্যানকৃত স্বাক্ষর এবং জেলা শিক্ষা অফিস, বরগুনার ভূয়া স্মারক ব্যবহার করে জাল রেকর্ডপত্র সৃজনপূর্বক তা ব্যবহার করে পেনাল কোডের ৪৬৭/৪৬৮/৪৭১ ধারার অপরাধ সংঘঠন করেছেন।

দুদকের সহকারী পরিচালক মো, আরিফুর রহমান বর্ণিত অপারাধের দায়ে আসামী মো. জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আালতে বিচারার্থে পেনাল কোড ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১ ধারায় চার্জসিট প্রেরন করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

জালিয়াতি ও তথ্য গোপন করে চাকুরী; দুদকের চার্জসিট

Update Time : ০৬:২১:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ জুলাই ২০২৩

বরগুনার আমতলী মফিজ উদ্দিন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের তথ্য গোপন করে চাকুরি নেয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশন তার বিরুদ্ধে চার্জসিট (অভিযোগপত্র) দিয়েছে।

ওই বিদ্যালয়ে আরও ৪ শিক্ষকের বিরুদ্ধে জাল সনদে চাকুরি করার আরও একটি মামলা দুদকে তদন্তাধীন রয়েছে বলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে।

ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর আলম জালজালিয়াতী করে ও প্রকৃত তথ্য গোপন করে সহকারী শিক্ষক হিসাবে চাকুরী করায় স্থানীয় মো. আবুল কালাম আজাদ বরগুনা স্পেশাল জজ আদালতে মামলা দায়ের করলে (যার নং ৪/২২-২০২০) আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে দুনীর্তি দমন কমিশনকে তদন্তের নির্দেশ দেয়।

দুনীর্তি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক মো. আরিফুর রহমান তদন্ত শেষে মো. জাহাঙ্গির আলমের নিয়োগ অবৈধ প্রতারনার মাধ্যমে করা হয়েছে বলে আদালতে (পেনাল কোর্ডের ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১ বিচারের জন্য) চার্জসিট প্রেরন করেছেন।

এছাড়াও অস্তিত্ববিহীন প্রতিষ্ঠানের ভূয়া শিক্ষাগত সনদ দিয়ে চাকুরি নেয়ায় বিদ্যালয়টির চার শিক্ষক রেজাউল করিম, দিলিপ কুমার, মো. শাহাবুদ্দিন ও হোসনে আরার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন সাবেক পৌর কাউন্সিলর মো. বশির হোসেন। ওই মামলাটিও আদালতের নিদের্শে তদন্ত করছে দুদক।

তদন্ত কর্মকর্তা ও দুনীর্তি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক মো. আরিফুর রহমান জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের জাল সনদগুলো জব্দ করা হয়েছে। দ্রুতই তাদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জসিট প্রেরন করা হবে।

বরগুনা বিশেষ জজ আদালতে (বিশেষ কেস নং ০৪/২০২০) দায়েরকৃত মামলায় অভিযোগ করা হয়, আসামী মো জাহাঙ্গীর আলম ০১/০৫/২০০৬ তারিখে মফিজ উদ্দিন বালিকা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (ইসলাম ধর্ম) হিসেবে যোগান করেন। তিনি ১৯৮২ সালে দাখিল পরীক্ষায় তৃতীয় বিভাগ ১৯৮৪ সালে আলীম পরীক্ষায় তৃতীয় বিভাগ এবং ১৯৮৬ সালে ফাজিল পরীক্ষায় দ্বিতীয় বিভাগ পেয়ে পাশ করেছেন। সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগানের ক্ষেত্রে একটির বেশি তৃতীয় বিভাগ গ্রহনযোগ্য না হওয়া সত্বেও তিনি নীতিমালা বহির্ভূতভাবে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেছেন। নিয়োগ লাভের ক্ষেত্রে তিনি ১৫/০৮/১৯৯৩ খ্রি. হতে ৩০/০৮/২০০৬ খ্রি পর্যন্ত পটুয়াখালী জেলার দুমকী উপজেলার পাঙ্গাশিয়া আলিয়া মাদ্রাসায় করনিক হিসেবে চাকুরী করা সত্ত্বেও করনিকের অভিজ্ঞতা জালিয়াতি করে সহকারী শিক্ষক হিসেবে চাকুরি নেন। আদালত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় পটুয়াখালীতে প্রেরন করে।

চার্জসিটে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আরফুর রহমান উল্লেখ করেন, তদন্তকালে জব্দকৃত ও সংগৃহিত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, আসামী মো. জাহাঙ্গীর আলম গত ২৭/০৪/২০০৬ খ্রি. সহকারী শিক্ষক (ইসলাম ধর্ম শিক্ষা) পদে মফিজ বালিকা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় যোগদান করেন। যোগদানকালে তিনি তার পূর্ববর্তী ইনডেক্স নং ৬৬১২৩১ ব্যবহার করেন। আসামী মো. জাহাঙ্গীর আলম ১৯৮২ সালে তৃতীয় বিভাগে দাখিল, ১৯৮৪ সালে তৃতীয় বিভাগে আলিম, ১৯৮৬ সালে দ্বিতীয় বিভাগে ফাজিল এবং ১৯৮৯ সালে দ্বিতীয় বিভাগে কামিল পাশ করেছেন মর্মে শিক্ষাগত যোগ্যতার বিশ্লেষণে খো যায় । আসামী জাহাঙ্গীর আলম ২০০৬ সালে নিয়োাগ লাভ করেন। শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের স্মারক নং শিম/শা-১১/৮ বিবিধ(এমপিও)-১১/২০০৪/০৬, তারিখ: ০৮/০১/২০০৫ এর বেসরকারী শিক্ষকদের এমপিও ভূক্তির নীতিমালা অনুসারে দেখা যায় যে, সমগ্র শিক্ষাজীবনে যেকোনো একটি তৃতীয় বিভাগ/ শ্রেণীপ্রাপ্ত শিক্ষক এমপিওভুক্ত হতে পারবেন। উক্ত আদেশ মোতাবেক আসামী মো. জাহাঙ্গীর আলমের সহকারী মৌলভী (ইসলাম ধর্ম শিক্ষা) পদে নিয়োগ বৈধ নয় মর্মে প্রতীয় মান হয়।

এছাড়া মো. জাহাঙ্গীর আলমের বক্তব্য অনুসারে ০১/১২/১৯৮৬ খ্রি. হতে ১৪/০৮/১০৯৩ সাল পর্যন্ত হরিণখোলা চরপাড়া দাখিল মাদ্রাসা, আমতলী, বরগুনায় সহকারী মৌলভী হিসেবে চাকুরী করেছেন, যার ইনডেক্স নম্বর ৩৫২৮৩১ । এক্ষেত্রে আসামী মো. জাহাঙ্গীর আলমের নিয়োাগকালীন চলমান ১৯৮২ সালের বিধি অনুযায়ী ০৬ মাসের অধিক বিরতিকাল থাকলে পূর্বের অভিজ্ঞতা অকার্যকর হয়। এক্ষেত্রে সহকারী মৌলভী পরে উক্ত ইনডেক্স নম্বর ১৫/০৮/১৯৯৩ সাল থেকে অব্যবহৃত, ফলে ২০০৬ সালে উক্ত অভিজ্ঞতা অকার্যকর হয়েছে।

মামলা তদন্তকালে মো. জাহাঙ্গীর আলম জেলা শিক্ষা অফিসার, বরগুনার স্মারক নং ৩৭,০২,০৪০০.০০০.০২.০০১.২১.৫২, তারিখ: ২৪/০১/২০২১ খ্রি. মূলে জেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন কর্তৃক স্বাক্ষরতি একটি পত্রের মাধ্যমে তার নিয়োগকালীন ৬৬১২৩১ নং ইনডেক্সে ভুল থাকার কারণে উক্ত ইনডেক্সের পরিবর্তে ৩৫২৮৩১ নং ইনডেক্স নং অন্তর্ভুক্ত করা বিষয়ে একটি কাগজ াখিল করেন।দাখিলকৃত উক্ত রেকর্ডপত্র যাচাই করে দেখা যায় তার দাখিলকৃত ইনডেক্স নম্বর পরিবর্তন করা সংক্রান্ত কাগজটি সঠিক নয়। জেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্ম জসিম উদ্দিনের স্ক্যানকৃত স্বাক্ষর ব্যবহার করে ভুয়া স্মারক নং পরিবর্তন করে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে পত্রটি সৃজন করা হয়েছে।

তদন্তকালে জন্মকৃত ও সংগৃহিত রেকর্ডপত্র এবং সংশ্লিষ্টদের বক্তব্যে প্রতীয় মান হয যে, আসামী মো. জাহাঙ্গীর আলম শিক্ষা মন্ত্রনালযের ২০০৫ সালের শিক্ষা মন্ত্রনালযের সরকারী আদেশ লংঘন করে ০২ টি তৃতীয় বিভাগ নিয়ে প্রতারনার মাধ্যমে অফিস সহকারীর ইনডেক্স ব্যবহার করে গত ২৭/০৪/২০০৬ খ্রি. সহকারী শিক্ষক পদে যোগদান করে পেনাল কোডের ৪২০ ধারার অপরাধ সংঘঠন করেছেন। একইসাথে জেলা শিক্ষা অফিসার বরগুনার স্ক্যানকৃত স্বাক্ষর এবং জেলা শিক্ষা অফিস, বরগুনার ভূয়া স্মারক ব্যবহার করে জাল রেকর্ডপত্র সৃজনপূর্বক তা ব্যবহার করে পেনাল কোডের ৪৬৭/৪৬৮/৪৭১ ধারার অপরাধ সংঘঠন করেছেন।

দুদকের সহকারী পরিচালক মো, আরিফুর রহমান বর্ণিত অপারাধের দায়ে আসামী মো. জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আালতে বিচারার্থে পেনাল কোড ৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১ ধারায় চার্জসিট প্রেরন করেন।