ঢাকা ০৭:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জনপ্রতিনিধি না হয়েও সেবামূলক কাজে নিয়োজিত সুমন রাফি

এম. এ মুঈদ হোসেন
  • Update Time : ০৫:৫৯:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৪৫ Time View

জনপ্রতিনিধি না হয়েও সবসময় এলাকার সেবামূলক কাজে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার পৌর সদরের ছোলনা গ্রামের বাসিন্দা ও ঐতিহ্যবাহী জর্জ একাডেমির অবসরপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক মো. শওকত হোসেন মিয়ার (শওকত মাস্টার) ছেলে সুমন রাফি।

পুরো নাম মো. হেদায়েতুর রাফি সুমন। সবার কাছে পরিচিত সুমন রাফি নামে। বয়স ৩৩ বছর। কারো কাছে তিনি একজন তরুণ সমাজসেবী, কারো কাছে অসহায় মানুষের বন্ধু। আবার অনেকেই তাকে বলেন গরিবের বন্ধু। সমাজের গরিব, অসহায়, দুস্থ, বিপদগ্রস্ত, পঙ্গু, প্রতিবন্ধী থেকে শুরু করে সকল শ্রেণি পেশার মানুষদের সাধ্যমতো সাহায্য-সহযোগিতা ও সেবা করাই যেন সুমন রাফির কাজ।

কোনো মানুষের বিপদের কথা শুনলে সবার আগে হাজির সুমন রাফি। এখন অনেক কিছুই যেন নির্ভর করে তার উপর। দীর্ঘদিন তিনি মানবতার সেবায় এসব কাজ করছেন একেবারেই বিনাস্বার্থে। সকল ভালো কাজে অংশ নেওয়াটা তার যেন একমাত্র ব্রত। আর এভাবেই তিনি অনেকটা নীরবে নিভৃতে হাজার হাজার ভালো কাজে অংশ নিয়েছেন।

মা রাবেয়া বেগম একজন গৃহিণী। বোন শারমিন সুলতানা রিতা সবার বড় আমেরিকার সিটিজেন। বড় ভাই হায়াতুর রাফি নয়ন একজন স্বর্ণ ব্যাবসায়ী। রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের দ্বিতীয় তলায় রোজা জুয়েলার্স নামে ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করেন তারা দুই ভাই। এখনও সুমন অবিবাহিত। এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আয়ের তার অর্থ থেকে নিজের মৌলিক চাহিদা পূরণ করে বাকি সবটুকু মানব কল্যাণে ব্যয় করেন সুমন।
মহামারি করোনা ভাইরাসের সংকটময় সময়ে জনপ্রতিনিধি না হয়েও অসহায় লোকজনের সেবায় সব সময়ই তিনি ছিলেন উদার। নিজের জীবনের সংগ্রাম ও দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে এই প্রতিনির সাথে কথা বলেছেন হেদায়েতুর রাফি সুমন।

তিনি জানান ছোটবেলা থেকেই তার জনসেবামূলক কাজ করার অনেক ইচ্ছা ছিল। তাই সুযোগ পেলেই স্বল্প পরিসরে লোকজনকে সহায়তা করতেন। তিনি পরম্পরায় বিভিন্ন সেবামূলক কাজ করে যাচ্ছেন এবং আগামীতেও তা অব্যাহত রাখবে। এখন যে জনসেবামূলক কাজ আমরা করছেন তা ব্যাপক আকারে করার চেষ্টা চালাচ্ছেও বলে জানান।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, তিনি অসহায় মানুষের বাড়িতে খাবার পৌঁছে দেওয়া, রোগীকে রক্ত দেওয়া, অসহায় মানুষের মাঝে ঈদ উপহার, মসজিদ নির্মাণে সহযোগিতা, বিভিন্ন স্থানে-প্রতিষ্ঠানে গাছ লাগানো, গরিবের মাঝে কম্বল ও মাংস বিতরণ, দুস্থ মানুষদের সঙ্গে নিয়ে চিকিৎসা করানো, ঘর নির্মাণ, যুবকদের ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ, প্রতিবন্ধী-মানসিক রোগীদের সঙ্গে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বই প্রদান, পাখিদের নীড়ের ব্যবস্থা, পশু-পাখিদের খাবার দেওয়া। হারানো শিশুদের উদ্ধারে সহায়তা, পঙ্গুদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণসহ বিভিন্ন ধরনের কাজে তার অংশগ্রহণের দৃষ্টান্ত রয়েছে।
দান-খয়রাত বা জনগণের সেবামূলক যেসব কাজ করেন এসবের পেছনে আপনার কোনো উদ্দেশ্য আছে কিনা? জানতে চাইলে সে বলেন না। এসবের মধ্যে আমার কোনো স্বার্থ বা উদ্দেশ্য নেই। আমি শুধুমাত্র জনসেবামূলক কাজ করি। এর পেছনে আমার অন্য কোনো ধরনের স্বার্থ নেই।

আমি শুধু একটা জিনিসই করতে চাই, সেটা হলো জনপ্রতিনিধি না হয়েই বেয়ালমারীতে জনসেবামূলক কাজ করব। এটাই আমার মূল উদ্দেশ্য, আর কোনো উদ্দেশ্য নেই। আমি শুধু জনসেবামূলক কাজ করব, বাকি জীবনও এই কাজই করব। বোয়ালমারী ও আশপাশের এলাকায় অসহায় অবহেলিত মানুষের অনেক কিছুই যেন নির্ভর করে আমার ওপর। যেমন ওষুধ, চাল, শিক্ষা খরচ, কাপড় অর্থাৎ মৌলিক চাহিদাগুলো। যা প্রতিদিন সাধ্যমতো সাহায্য সহযোগিতা করে থাকি।
বোয়ালমারী ব্লাড ব্যাংক, ক্ষুধার্থদের আর্তচিৎকারসহ বেশ কয়েকটি সামাজিক সংগঠনে রয়েছে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।

Please Share This Post in Your Social Media

জনপ্রতিনিধি না হয়েও সেবামূলক কাজে নিয়োজিত সুমন রাফি

Update Time : ০৫:৫৯:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৪

জনপ্রতিনিধি না হয়েও সবসময় এলাকার সেবামূলক কাজে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার পৌর সদরের ছোলনা গ্রামের বাসিন্দা ও ঐতিহ্যবাহী জর্জ একাডেমির অবসরপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক মো. শওকত হোসেন মিয়ার (শওকত মাস্টার) ছেলে সুমন রাফি।

পুরো নাম মো. হেদায়েতুর রাফি সুমন। সবার কাছে পরিচিত সুমন রাফি নামে। বয়স ৩৩ বছর। কারো কাছে তিনি একজন তরুণ সমাজসেবী, কারো কাছে অসহায় মানুষের বন্ধু। আবার অনেকেই তাকে বলেন গরিবের বন্ধু। সমাজের গরিব, অসহায়, দুস্থ, বিপদগ্রস্ত, পঙ্গু, প্রতিবন্ধী থেকে শুরু করে সকল শ্রেণি পেশার মানুষদের সাধ্যমতো সাহায্য-সহযোগিতা ও সেবা করাই যেন সুমন রাফির কাজ।

কোনো মানুষের বিপদের কথা শুনলে সবার আগে হাজির সুমন রাফি। এখন অনেক কিছুই যেন নির্ভর করে তার উপর। দীর্ঘদিন তিনি মানবতার সেবায় এসব কাজ করছেন একেবারেই বিনাস্বার্থে। সকল ভালো কাজে অংশ নেওয়াটা তার যেন একমাত্র ব্রত। আর এভাবেই তিনি অনেকটা নীরবে নিভৃতে হাজার হাজার ভালো কাজে অংশ নিয়েছেন।

মা রাবেয়া বেগম একজন গৃহিণী। বোন শারমিন সুলতানা রিতা সবার বড় আমেরিকার সিটিজেন। বড় ভাই হায়াতুর রাফি নয়ন একজন স্বর্ণ ব্যাবসায়ী। রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের দ্বিতীয় তলায় রোজা জুয়েলার্স নামে ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করেন তারা দুই ভাই। এখনও সুমন অবিবাহিত। এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আয়ের তার অর্থ থেকে নিজের মৌলিক চাহিদা পূরণ করে বাকি সবটুকু মানব কল্যাণে ব্যয় করেন সুমন।
মহামারি করোনা ভাইরাসের সংকটময় সময়ে জনপ্রতিনিধি না হয়েও অসহায় লোকজনের সেবায় সব সময়ই তিনি ছিলেন উদার। নিজের জীবনের সংগ্রাম ও দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে এই প্রতিনির সাথে কথা বলেছেন হেদায়েতুর রাফি সুমন।

তিনি জানান ছোটবেলা থেকেই তার জনসেবামূলক কাজ করার অনেক ইচ্ছা ছিল। তাই সুযোগ পেলেই স্বল্প পরিসরে লোকজনকে সহায়তা করতেন। তিনি পরম্পরায় বিভিন্ন সেবামূলক কাজ করে যাচ্ছেন এবং আগামীতেও তা অব্যাহত রাখবে। এখন যে জনসেবামূলক কাজ আমরা করছেন তা ব্যাপক আকারে করার চেষ্টা চালাচ্ছেও বলে জানান।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, তিনি অসহায় মানুষের বাড়িতে খাবার পৌঁছে দেওয়া, রোগীকে রক্ত দেওয়া, অসহায় মানুষের মাঝে ঈদ উপহার, মসজিদ নির্মাণে সহযোগিতা, বিভিন্ন স্থানে-প্রতিষ্ঠানে গাছ লাগানো, গরিবের মাঝে কম্বল ও মাংস বিতরণ, দুস্থ মানুষদের সঙ্গে নিয়ে চিকিৎসা করানো, ঘর নির্মাণ, যুবকদের ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ, প্রতিবন্ধী-মানসিক রোগীদের সঙ্গে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বই প্রদান, পাখিদের নীড়ের ব্যবস্থা, পশু-পাখিদের খাবার দেওয়া। হারানো শিশুদের উদ্ধারে সহায়তা, পঙ্গুদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণসহ বিভিন্ন ধরনের কাজে তার অংশগ্রহণের দৃষ্টান্ত রয়েছে।
দান-খয়রাত বা জনগণের সেবামূলক যেসব কাজ করেন এসবের পেছনে আপনার কোনো উদ্দেশ্য আছে কিনা? জানতে চাইলে সে বলেন না। এসবের মধ্যে আমার কোনো স্বার্থ বা উদ্দেশ্য নেই। আমি শুধুমাত্র জনসেবামূলক কাজ করি। এর পেছনে আমার অন্য কোনো ধরনের স্বার্থ নেই।

আমি শুধু একটা জিনিসই করতে চাই, সেটা হলো জনপ্রতিনিধি না হয়েই বেয়ালমারীতে জনসেবামূলক কাজ করব। এটাই আমার মূল উদ্দেশ্য, আর কোনো উদ্দেশ্য নেই। আমি শুধু জনসেবামূলক কাজ করব, বাকি জীবনও এই কাজই করব। বোয়ালমারী ও আশপাশের এলাকায় অসহায় অবহেলিত মানুষের অনেক কিছুই যেন নির্ভর করে আমার ওপর। যেমন ওষুধ, চাল, শিক্ষা খরচ, কাপড় অর্থাৎ মৌলিক চাহিদাগুলো। যা প্রতিদিন সাধ্যমতো সাহায্য সহযোগিতা করে থাকি।
বোয়ালমারী ব্লাড ব্যাংক, ক্ষুধার্থদের আর্তচিৎকারসহ বেশ কয়েকটি সামাজিক সংগঠনে রয়েছে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।