ঢাকা ১০:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজায় জ্বালানি সরবরাহের ক্ষেত্রে শর্ত দিলো ইসরায়েল

নওরোজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • Update Time : ০৬:৪৫:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৪৭ Time View

ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরই মধ্যে ইসরায়েলের বেশ কিছু নাগরিককে বন্দি করেছে তারা।

এমন পরিস্থিতিতে গাজায় জ্বালানি ও মানবিক সহায়তা বন্ধের পাশাপাশি অব্যাহত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও অন্যান্য সহায়তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গাজায় এক মানবিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তাই সব মহল থেকে দাবি উঠছে গাজায় এগুলোর সরবরাহ করা। তবে এক্ষেত্রে শর্ত দিয়েছে ইসরায়েল।

দেশটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, বন্দিদের যদি হামাস মুক্তি দেয় তাহলে সেখানে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ করা হবে।

এদিকে গাজা উপত্যকার বিভিন্ন হাসপাতালে বিদ্যুৎ সরবরাহের অভাবে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া যাচ্ছে না। ফলে মর্গে পরিণত হতে পারে এসব হাসপাতাল।

এমন আশঙ্কার কথাই জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেড ক্রস (আইসিআরসি)। বুধবার (১১ অক্টোবর) জ্বালানি সংকটের কারণে গাজার একমাত্র বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে।

সেখানকার হাসপাতালসহ বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানই এখন জেনারেটরের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। কিন্তু সেটাও স্থায়ী সমাধান নয়। কারণ এভাবে হয়তো চালানো যাবে আর অল্প কিছু সময়।

এরপর কী হবে সেটা জানে না গাজার সাধারণ মানুষ। বুধবার স্থানীয় সময় দুপুর ২টার দিকে বাসিন্দারা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হওয়ার চূড়ান্ত সতর্কবার্তা পান। এর এক ঘণ্টা পরেই অন্ধকার হয়ে যায় সবকিছু।

Please Share This Post in Your Social Media

গাজায় জ্বালানি সরবরাহের ক্ষেত্রে শর্ত দিলো ইসরায়েল

Update Time : ০৬:৪৫:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৩

ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরই মধ্যে ইসরায়েলের বেশ কিছু নাগরিককে বন্দি করেছে তারা।

এমন পরিস্থিতিতে গাজায় জ্বালানি ও মানবিক সহায়তা বন্ধের পাশাপাশি অব্যাহত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও অন্যান্য সহায়তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গাজায় এক মানবিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তাই সব মহল থেকে দাবি উঠছে গাজায় এগুলোর সরবরাহ করা। তবে এক্ষেত্রে শর্ত দিয়েছে ইসরায়েল।

দেশটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, বন্দিদের যদি হামাস মুক্তি দেয় তাহলে সেখানে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ করা হবে।

এদিকে গাজা উপত্যকার বিভিন্ন হাসপাতালে বিদ্যুৎ সরবরাহের অভাবে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া যাচ্ছে না। ফলে মর্গে পরিণত হতে পারে এসব হাসপাতাল।

এমন আশঙ্কার কথাই জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেড ক্রস (আইসিআরসি)। বুধবার (১১ অক্টোবর) জ্বালানি সংকটের কারণে গাজার একমাত্র বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে।

সেখানকার হাসপাতালসহ বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানই এখন জেনারেটরের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। কিন্তু সেটাও স্থায়ী সমাধান নয়। কারণ এভাবে হয়তো চালানো যাবে আর অল্প কিছু সময়।

এরপর কী হবে সেটা জানে না গাজার সাধারণ মানুষ। বুধবার স্থানীয় সময় দুপুর ২টার দিকে বাসিন্দারা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হওয়ার চূড়ান্ত সতর্কবার্তা পান। এর এক ঘণ্টা পরেই অন্ধকার হয়ে যায় সবকিছু।