ঢাকা ১২:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
গ্রাহকের অর্থ আত্মসাৎ

কুড়িগ্রামে সহকারী পোস্ট মাষ্টারসহ ৬ জনের ৯ বছরের সাজা

কামরুল হাসান টিটু, রংপুর
  • Update Time : ০৫:৪৯:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৫৭ Time View

পোস্ট অফিসের অর্থ আত্মসাৎ মামলায় কুড়িগ্রামের সহকারী পোস্ট মাষ্টারসহ ৬ জনের ৯ বছরের সাজা দিয়েছে আদালত। রায় ঘোষণার সময় চার জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি দুই জন পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ প্রদান করা হয়।

সোমবার (১৫ জানুয়ারী) দুপুরে রংপুর অঞ্চলের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিশেষ আদালতের বিচারক হায়দার আলী দীর্ঘ ১৯ বছর পর এ মামলার রায় দেন। কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন আবুল কালাম আজাদ, হাবিবর রহমান, আব্দুল মালেক, মতিউল ইসলাম, মওদুদ হাসান ও শ্রী অশোক কুমার নাথ।

মামলা সুত্রে জানা যায়, ২০০২ সালের এপ্রিল থেকে ২০০৩ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কুড়িগ্রাম পোস্ট অফিসে কর্মরত সহকারী পোস্টমাস্টার আবুল কালাম আজাদ, লেজার অপারেটর হাবিবুর রহমান, অশোক কুমার নাথ, আব্দুল মালেক, কাউন্টার অপারেটর মতিউল ইসলাম ও মওদুদ হাসান একে অপরের যোগসাজশে গ্রাহকের জমানো সঞ্চয়পত্র ভাঙিয়ে ১২ লাখ ২০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন।

এ ঘটনায় ২০০৫ সালের ৯ মে কুড়িগ্রাম পোস্ট অফিস পরিদর্শক এসএম শাহাদাত সুলতান বাদী হয়ে ওই ছয় জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলায় অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করে প্রত্যেককে ৯ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১২ লাখ ২০ হাজার ৪৯২ টাকা জরিমানার আদেশ দেন আদালত। সেই সঙ্গে জরিমানার পুরো অর্থ আগামী ৬০ দিনের মধ্যে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার আদেশ দেন তিনি।
পলাতক দুই আসামি মওদুদ হাসান ও অশোক কুমার নাথের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন বিচারক।

সরকার প‌ক্ষের কৌশলী হারুনর রশীদ বলেন, ‘দীর্ঘদিন হলেও সাক্ষ্য দিয়ে মামলাটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। এ রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করছি।’

অন্যদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী আব্দুর রহমান বলেন, মক্কেলরা ন্যায়বিচার পায়নি। এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

গ্রাহকের অর্থ আত্মসাৎ

কুড়িগ্রামে সহকারী পোস্ট মাষ্টারসহ ৬ জনের ৯ বছরের সাজা

Update Time : ০৫:৪৯:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৪

পোস্ট অফিসের অর্থ আত্মসাৎ মামলায় কুড়িগ্রামের সহকারী পোস্ট মাষ্টারসহ ৬ জনের ৯ বছরের সাজা দিয়েছে আদালত। রায় ঘোষণার সময় চার জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি দুই জন পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ প্রদান করা হয়।

সোমবার (১৫ জানুয়ারী) দুপুরে রংপুর অঞ্চলের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিশেষ আদালতের বিচারক হায়দার আলী দীর্ঘ ১৯ বছর পর এ মামলার রায় দেন। কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন আবুল কালাম আজাদ, হাবিবর রহমান, আব্দুল মালেক, মতিউল ইসলাম, মওদুদ হাসান ও শ্রী অশোক কুমার নাথ।

মামলা সুত্রে জানা যায়, ২০০২ সালের এপ্রিল থেকে ২০০৩ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কুড়িগ্রাম পোস্ট অফিসে কর্মরত সহকারী পোস্টমাস্টার আবুল কালাম আজাদ, লেজার অপারেটর হাবিবুর রহমান, অশোক কুমার নাথ, আব্দুল মালেক, কাউন্টার অপারেটর মতিউল ইসলাম ও মওদুদ হাসান একে অপরের যোগসাজশে গ্রাহকের জমানো সঞ্চয়পত্র ভাঙিয়ে ১২ লাখ ২০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন।

এ ঘটনায় ২০০৫ সালের ৯ মে কুড়িগ্রাম পোস্ট অফিস পরিদর্শক এসএম শাহাদাত সুলতান বাদী হয়ে ওই ছয় জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলায় অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করে প্রত্যেককে ৯ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১২ লাখ ২০ হাজার ৪৯২ টাকা জরিমানার আদেশ দেন আদালত। সেই সঙ্গে জরিমানার পুরো অর্থ আগামী ৬০ দিনের মধ্যে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার আদেশ দেন তিনি।
পলাতক দুই আসামি মওদুদ হাসান ও অশোক কুমার নাথের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন বিচারক।

সরকার প‌ক্ষের কৌশলী হারুনর রশীদ বলেন, ‘দীর্ঘদিন হলেও সাক্ষ্য দিয়ে মামলাটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। এ রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করছি।’

অন্যদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবী আব্দুর রহমান বলেন, মক্কেলরা ন্যায়বিচার পায়নি। এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।