ঢাকা ১১:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
সিলেট জেলায় ১৯ চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে ১০ জনই প্রবাসী কুরিয়ার সার্ভিসে ফেনসিডিল পাচারকালে গ্রেফতার ১ উপজেলা নির্বাচনে অনিয়ম দেখলেই অভিযোগ করার আহ্বান ইসির উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে- ডিসি গাজীপুর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভা কাল কালিয়াকৈরে বন বিভাগের জমি উদ্ধার ১ম জাতীয় ফুটসাল চ্যাম্পিয়নশীপ টুর্নামেন্টের উদ্বোধন জাতীয় কৃষি প্রশিক্ষণ একাডেমি (নাটা) তে “ইনোভেশন শোকেসিং” আয়োজন টঙ্গীতে বিনিয়োগকৃত অর্থ আদায়ের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন পরিবেশ ও উন্নয়ন সাংবাদিকতায় হয়রানি হলে সুরক্ষা দেবে সরকার: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

কানাডার বাজারে আরও ১০ বছর শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে বাংলাদেশ

নওরোজ অনলাইন ডেস্ক
  • Update Time : ০৭:৩০:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৩
  • / ৪৭ Time View

আগামী দশ বছর কানাডার বাজারে পোশাক পণ্য রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে বাংলাদেশ।

নিম্ন আয়ের দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ২০০৩ সালের জানুয়ারি মাস থেকে কানাডার বাজারে পোশাক পণ্য রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা ভোগ করে আসছে।

এখন বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হচ্ছে। সেই হিসেবে এই সুবিধা শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৪ সালে। কিন্তু এখন কানাডা সরকার আরও ১০ বছর বৃদ্ধি করে ২০৩৪ সাল পর্যন্ত শুল্ক মুক্ত সুবিধা দিচ্ছে।

তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, কানাডার বাজারে দেশটির সরকার বাংলাদেশকে আরও ১০ বছর শুল্কমুক্ত পোশাক পণ্য রপ্তানির সুবিধা দিয়েছে।

তার জন্য নতুন করে জিপিটি স্কিমের মেয়াদ দিয়েছে ২০৩৪ সাল পর্যন্ত। এ জন্য কানাডা সরকারকে স্বাগত জানাই।গত জুনে বিলটি পাস হয় বলেও জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, কানাডা সরকারের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের পোশাক শিল্পকে নিরাপদ, পরিচ্ছন্ন, সবুজ এবং আরও টেকসই কর্মক্ষেত্রে রূপান্তরিত করার পাশাপাশি দেশের সামগ্রিক অবকাঠামো উন্নয়নে অবদান রাখবে।

কানাডা সরকার উন্নয়নশীল দেশগুলোকে জেনারেল প্রেফারেনশিয়াল ট্যারিফ (জিপিটি) স্কিমের আওতায় শুল্কমুক্ত বাজারসুবিধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই স্কিমের আওতায় তৈরি পোশাক উৎপাদনের নিয়ম শিথিল করাসহ অন্যান্য পণ্যও দেশটিতে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দেওয়া হবে।

নতুন এই স্কিমে শিল্পের শ্রম ও পরিবেশগত কমপ্লায়েন্সের ওপর ভিত্তি করে এই বাজার প্রবেশাধিকার সুবিধাগুলোকে সম্প্রসারিত করার প্রস্তাবও রাখা হয়েছে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের ১১তম বৃহৎ রপ্তানি অংশীদার ছিল কানাডা।

ওই অর্থবছরে দেশটিতে ১ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ। এ ছাড়া উত্তর আমেরিকার দেশটি বাংলাদেশের পোশাকের অন্যতম প্রধান বাজারও।

২০২২-২৩ অর্থবছরে কানাডায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক (আরএমজি) রপ্তানি ১ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে, যা ২০২১-২২ অর্থবছরে ১ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছিল।

অর্থাৎ আগের অর্থবছরের তুলনায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশটিতে বাংলাদেশের রপ্তানি বেড়েছে ১৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ।

Please Share This Post in Your Social Media

কানাডার বাজারে আরও ১০ বছর শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে বাংলাদেশ

Update Time : ০৭:৩০:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৩

আগামী দশ বছর কানাডার বাজারে পোশাক পণ্য রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে বাংলাদেশ।

নিম্ন আয়ের দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ২০০৩ সালের জানুয়ারি মাস থেকে কানাডার বাজারে পোশাক পণ্য রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা ভোগ করে আসছে।

এখন বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হচ্ছে। সেই হিসেবে এই সুবিধা শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৪ সালে। কিন্তু এখন কানাডা সরকার আরও ১০ বছর বৃদ্ধি করে ২০৩৪ সাল পর্যন্ত শুল্ক মুক্ত সুবিধা দিচ্ছে।

তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, কানাডার বাজারে দেশটির সরকার বাংলাদেশকে আরও ১০ বছর শুল্কমুক্ত পোশাক পণ্য রপ্তানির সুবিধা দিয়েছে।

তার জন্য নতুন করে জিপিটি স্কিমের মেয়াদ দিয়েছে ২০৩৪ সাল পর্যন্ত। এ জন্য কানাডা সরকারকে স্বাগত জানাই।গত জুনে বিলটি পাস হয় বলেও জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, কানাডা সরকারের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের পোশাক শিল্পকে নিরাপদ, পরিচ্ছন্ন, সবুজ এবং আরও টেকসই কর্মক্ষেত্রে রূপান্তরিত করার পাশাপাশি দেশের সামগ্রিক অবকাঠামো উন্নয়নে অবদান রাখবে।

কানাডা সরকার উন্নয়নশীল দেশগুলোকে জেনারেল প্রেফারেনশিয়াল ট্যারিফ (জিপিটি) স্কিমের আওতায় শুল্কমুক্ত বাজারসুবিধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই স্কিমের আওতায় তৈরি পোশাক উৎপাদনের নিয়ম শিথিল করাসহ অন্যান্য পণ্যও দেশটিতে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দেওয়া হবে।

নতুন এই স্কিমে শিল্পের শ্রম ও পরিবেশগত কমপ্লায়েন্সের ওপর ভিত্তি করে এই বাজার প্রবেশাধিকার সুবিধাগুলোকে সম্প্রসারিত করার প্রস্তাবও রাখা হয়েছে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের ১১তম বৃহৎ রপ্তানি অংশীদার ছিল কানাডা।

ওই অর্থবছরে দেশটিতে ১ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ। এ ছাড়া উত্তর আমেরিকার দেশটি বাংলাদেশের পোশাকের অন্যতম প্রধান বাজারও।

২০২২-২৩ অর্থবছরে কানাডায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক (আরএমজি) রপ্তানি ১ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে, যা ২০২১-২২ অর্থবছরে ১ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছিল।

অর্থাৎ আগের অর্থবছরের তুলনায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশটিতে বাংলাদেশের রপ্তানি বেড়েছে ১৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ।