ঢাকা ০৫:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইসি ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি নিবন্ধন না পাওয়া দলগুলোর

নওরোজ রাজনীতি ডেস্ক
  • Update Time : ০৭:১২:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুলাই ২০২৩
  • / ৫৪ Time View

নির্বাচনী আইন ভঙ্গ করে বর্তমান নির্বাচন কমিশন ‘অখ্যাত’ দুটি সংগঠনকে নিবন্ধন দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে নিবন্ধন না পাওয়া ১০ দল।

আজ সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে দশ দলের এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনের নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না এই অভিযোগ করেন।

এসময় সরকারি দলের বাধায় নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিবন্ধন দেয়নি অভিযোগ করে চলতি মাসেই ইসি ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে নিবন্ধন না পাওয়া রাজনৈতিক দলগুলো।

তিনি বলেন, সুপরিচিত, সক্রিয় এবং রাজপথের সংগ্রামরত রাজনৈতিক দল বাদ দিয়ে যাদের নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে তাদের নাম অনেকেই শোনেনি। তাদের কি আদৌ কোনো অফিস, নেতাকর্মী আছে? নির্বাচন কমিশন রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে পরিচিত ও স্বীকৃত ক্রিয়াশীল দলগুলোকে নিবন্ধন না দেওয়ার মাধ্যমে তারা নিজেদের সাথে আত্মপ্রতারণা এবং নির্বাচন কমিশন সংক্রান্ত সমস্ত আইন-কানুনকে ভঙ্গ করেছে।

ফ্যাসিবাদী সরকারের প্রেসক্রিপশনে রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে পরিচিত ও স্বীকৃত ক্রিয়াশীল দলগুলোকে বাদ দিয়ে অখ্যাত অপরিচিত দুটি দলকে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে।
বর্তমান নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আহ্বান জানিয়ে মান্না বলেন, যার যার জায়গা থেকে আপনারা এই সরকার ও তার ঘৃণ্য দালাল নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান। তাদের মুখোশ খুলে দিন। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে এবং যার যার দলীয় প্ল্যাটফর্ম থেকে এই অন্যায়, অন্যায্য সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন গড়ে তুলব। আমরা শিগগিরই সকল দল নিয়ে বসব এবং পরবর্তি কর্মসূচি নির্ধারণ করব।

গণঅধিকার পরিষদসহ কয়েকটি দল আগামী ২৬ জুলাইয়ের আগেই নির্বাচন কমিশন ঘেরাও কর্মসূচি দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনার কথাও বলেন। কারণ ২৬ জুলাই কমিশন এই দুটি দলের নিবন্ধনের গ্যাজেট প্রকাশ করবে।

জাতীয় প্রেসক্লাবের হলে তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘ফ্যাসিবাদী সরকারের প্রেসক্রিপশনে রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে পরিচিত ও স্বীকৃত ক্রিয়াশীল দলসমূহকে বাদ দিয়ে অখ্যাত অপরিচিত ভুঁইফোড় দুটি দলকে নিবন্ধন প্রদানের প্রতিবাদ’ শীর্ষক ব্যানারে নিবন্ধন না পাওয়া ১০টি দল এই সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে।

মান্না বলেন, এ প্রতিষ্ঠানটি ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনে পরিণত হয়েছে। অবসরপ্রাপ্ত কিছু সরকারি কর্মকর্তাকে পুরস্কৃত করার জন্য এখানে নিয়োগ দেওয়া হয়। ভবিষ্যতে আরও বড় পুরস্কারের লোভে তারা দালালের মতো ফ্যাসিস্টদের স্বার্থে যে কোনো বেআইনি কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকে। বাংলাদেশে জনপ্রতিনিধিত্বশীল একটি সরকার গঠন করতে না পারা এর অন্যতম কারণ।

এ সময় গণঅধিকার পরিষদ(নূর) সভাপতি নূরুল হক নূর বলেন, নির্বাচন কমিশন দফা দফা আমাদের অফিস ভিজিট করেছে।
আমাদের ৫৩টি জেলা কমিটি থাকলেও ২৮ জেলা কমিটির (ইসির রিকোয়ারমেন্ট এক তৃতীয়াংশ) তথ্য কমিশনকে দিয়েছি, উপজেলায় ইসির রিকোয়ারমেন্ট ১‘শ সেখানে আমরা দিয়েছে ১১১টি। অন্যান্য দলেরও একইভাবে কমিশনকে তাদের রিকোয়ামেন্ট থেকে বেশি দিয়েছে। তারপরেও কেন আমাদের নিবন্ধন দেওয়া হলো না কেন?

এ সময় বিএলডিপির চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন আল আজাদ, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মুস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশ পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বাবুল সর্দার চাখারী, গণঅধিকার পরিষদের অপর অংশের নেতা ফারুক হোসেন, বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টির (বিএমজেপি) সভাপতি সুকৃতি কুমার মন্ডল ও ডেমোক্রেটিক পার্টির সভাপতি আশিক বিল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ।

Please Share This Post in Your Social Media

ইসি ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি নিবন্ধন না পাওয়া দলগুলোর

Update Time : ০৭:১২:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুলাই ২০২৩

নির্বাচনী আইন ভঙ্গ করে বর্তমান নির্বাচন কমিশন ‘অখ্যাত’ দুটি সংগঠনকে নিবন্ধন দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে নিবন্ধন না পাওয়া ১০ দল।

আজ সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে দশ দলের এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনের নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না এই অভিযোগ করেন।

এসময় সরকারি দলের বাধায় নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিবন্ধন দেয়নি অভিযোগ করে চলতি মাসেই ইসি ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে নিবন্ধন না পাওয়া রাজনৈতিক দলগুলো।

তিনি বলেন, সুপরিচিত, সক্রিয় এবং রাজপথের সংগ্রামরত রাজনৈতিক দল বাদ দিয়ে যাদের নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে তাদের নাম অনেকেই শোনেনি। তাদের কি আদৌ কোনো অফিস, নেতাকর্মী আছে? নির্বাচন কমিশন রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে পরিচিত ও স্বীকৃত ক্রিয়াশীল দলগুলোকে নিবন্ধন না দেওয়ার মাধ্যমে তারা নিজেদের সাথে আত্মপ্রতারণা এবং নির্বাচন কমিশন সংক্রান্ত সমস্ত আইন-কানুনকে ভঙ্গ করেছে।

ফ্যাসিবাদী সরকারের প্রেসক্রিপশনে রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে পরিচিত ও স্বীকৃত ক্রিয়াশীল দলগুলোকে বাদ দিয়ে অখ্যাত অপরিচিত দুটি দলকে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে।
বর্তমান নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আহ্বান জানিয়ে মান্না বলেন, যার যার জায়গা থেকে আপনারা এই সরকার ও তার ঘৃণ্য দালাল নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান। তাদের মুখোশ খুলে দিন। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে এবং যার যার দলীয় প্ল্যাটফর্ম থেকে এই অন্যায়, অন্যায্য সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন গড়ে তুলব। আমরা শিগগিরই সকল দল নিয়ে বসব এবং পরবর্তি কর্মসূচি নির্ধারণ করব।

গণঅধিকার পরিষদসহ কয়েকটি দল আগামী ২৬ জুলাইয়ের আগেই নির্বাচন কমিশন ঘেরাও কর্মসূচি দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনার কথাও বলেন। কারণ ২৬ জুলাই কমিশন এই দুটি দলের নিবন্ধনের গ্যাজেট প্রকাশ করবে।

জাতীয় প্রেসক্লাবের হলে তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘ফ্যাসিবাদী সরকারের প্রেসক্রিপশনে রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে পরিচিত ও স্বীকৃত ক্রিয়াশীল দলসমূহকে বাদ দিয়ে অখ্যাত অপরিচিত ভুঁইফোড় দুটি দলকে নিবন্ধন প্রদানের প্রতিবাদ’ শীর্ষক ব্যানারে নিবন্ধন না পাওয়া ১০টি দল এই সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে।

মান্না বলেন, এ প্রতিষ্ঠানটি ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনে পরিণত হয়েছে। অবসরপ্রাপ্ত কিছু সরকারি কর্মকর্তাকে পুরস্কৃত করার জন্য এখানে নিয়োগ দেওয়া হয়। ভবিষ্যতে আরও বড় পুরস্কারের লোভে তারা দালালের মতো ফ্যাসিস্টদের স্বার্থে যে কোনো বেআইনি কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকে। বাংলাদেশে জনপ্রতিনিধিত্বশীল একটি সরকার গঠন করতে না পারা এর অন্যতম কারণ।

এ সময় গণঅধিকার পরিষদ(নূর) সভাপতি নূরুল হক নূর বলেন, নির্বাচন কমিশন দফা দফা আমাদের অফিস ভিজিট করেছে।
আমাদের ৫৩টি জেলা কমিটি থাকলেও ২৮ জেলা কমিটির (ইসির রিকোয়ারমেন্ট এক তৃতীয়াংশ) তথ্য কমিশনকে দিয়েছি, উপজেলায় ইসির রিকোয়ারমেন্ট ১‘শ সেখানে আমরা দিয়েছে ১১১টি। অন্যান্য দলেরও একইভাবে কমিশনকে তাদের রিকোয়ামেন্ট থেকে বেশি দিয়েছে। তারপরেও কেন আমাদের নিবন্ধন দেওয়া হলো না কেন?

এ সময় বিএলডিপির চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন আল আজাদ, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মুস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশ পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বাবুল সর্দার চাখারী, গণঅধিকার পরিষদের অপর অংশের নেতা ফারুক হোসেন, বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টির (বিএমজেপি) সভাপতি সুকৃতি কুমার মন্ডল ও ডেমোক্রেটিক পার্টির সভাপতি আশিক বিল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ।