ঢাকা ০৭:৪৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
শ্বশুরবাড়িতে জামাইকে হত্যা, স্ত্রী-শ্বশুরসহ গ্রেপ্তার ৪ সিলেট সিটিতে ৫ থেকে ৫০০ গুণ বেড়েছে হোল্ডিং ট্যাক্স, জনমনে ক্ষোভ বাড়ছেই ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের সাথে ঝিকুট ফাউন্ডেশনের মতবিনিময় ও সৌজন্য সাক্ষাৎ রাত পোহালেই নির্বাচন সিলেটের ৪ উপজেলায় বিশ্বনাথে জয়ের পথে এগিয়ে ‘আনারস’ প্রতীকের অ্যাডভোকেট গিয়াস সিলেটের ১১ উপজেলায় নির্বাচনঃ সাধারণ ছুটি কাল সিলেট জেলায় ১৯ চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে ১০ জনই প্রবাসী কুরিয়ার সার্ভিসে ফেনসিডিল পাচারকালে গ্রেফতার ১ উপজেলা নির্বাচনে অনিয়ম দেখলেই অভিযোগ করার আহ্বান ইসির উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে- ডিসি গাজীপুর

ইয়াকুব আলী সহ পাঁচ জাসদ নেতার ২৫তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন

আব্দুস সবুর
  • Update Time : ০৪:২৫:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৯৫ Time View

আজ বেদনা বিধুর ১৬ই ফেব্রুয়ারি। এদেশের ইতিহাসের একটি কালো দিন। এই দিনে কুষ্টিয়া দৌলতপুর ফিলিপনগরের কৃতি সন্তান,নদীভাঙন ফিলিপনগর এলাকার এক সময়ের অভিভাবক,যার নামে ফিলিপনগর মরিচা ডিগ্রী কলেজ,মুক্তিযোদ্ধা এ্যাভোকেট শহীদ ইয়াকুব আলী সহ জাতীয় পতাকার রূপকার ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক জাসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কাজী আরেফ আহমেদসহ পাঁচ জাসদ নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের ২৫তম বার্ষিকী আজ।

হত্যাকাণ্ডের ১৬ বছর পর ২০১৬ সালের ৭ই জানুয়ারি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ৩ ঘাতকের ফাঁসি কার্যকর করা হওয়ায় নিহতের পরিবারের সদস্যরা কিছুটা স্বস্তি প্রকাশ করলেও তাদের দাবি এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত মূল পরিকল্পনাকারীরা আজও রয়েছে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। এদিকে গ্রেপ্তার হওয়া অপর আসামি রওশন আলী যশোর কারাগারে থাকলেও তার ফাঁসি দ্রুত কার্যকর করার দাবি নিহতদের পরিবার ও জাসদ নেতৃবৃন্দের।

ইয়াকুব আলীর বড় ছেলে ইউসুফ আলী রুশো জানান, এ হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য মূল পরিকল্পনাকারীরা আজও রয়েছে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। এখনো গ্রেপ্তার হয়নি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ঘাতকরা অনেকেই।তাই এখনো উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা পিছু তাড়া করে,সেই সঙ্গে রয়েছে শঙ্কাও।প্রতি বছরের ন্যায় চির নিদ্রায় শায়িত আছেন “মুক্তিযোদ্ধা এ্যাভোকেট শহীদ ইয়াকুব আলী” ফিলিপনগর মরিচা ডিগ্রী কলেজের পাশেই।

তাঁর ই নামে উল্লেখিত কলেজে মৃত্যুবার্ষিকী দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়, উক্ত দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন-ইয়াকুব আলীর জ্যোষ্ঠপুত্র ইউসুফ আলী রুশো,ফিলিপনগর মরিচা ডিগ্রী কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ইলিয়াস হোসেন,অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নান,ফিলিপনগর মরিচা ডিগ্রী কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মতিউর রহমান টুকন,ফিলিপনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবু তাহের মাষ্টার,কুষ্টিয়া জেলা কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য মামুন কবিরাজ,দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওয়াসিম কবিরাজ,৪ নং মরিচা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও মরিচা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি শাহ আলমগীর(আলম চেয়ারম্যান),ফিলিপনগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নুর রহমান,জাসদ নেতা রেজাউল হক,জাসদ নেতা ও জাসদ যুব জোটের সভাপতি শরিফুল কবির স্বপন,ফিলিপনগর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের ইউ’পি সদস্য মামুনুর রশীদ(মামুন মেম্বার),এ্যাভোকেট নুরুল ইসলাম(ফিলিপনগর),পূর্ব ফিলিপনগর সু-শীল সমাজের সদস্য শাহীনুর রহমান শাহীন, ফিলিপনগর মরিচা ডিগ্রী কলেজের ক্রীড়া শিক্ষক করিম কবিরাজ সহ আরো উপস্থিত ছিলেন ফিলিপনগর মরিচা ডিগ্রী কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারীবৃন্দ এবং স্থানীয় জনসাধারণ।উক্ত দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায়

সকলে বলেন,হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারীদের চিহ্নিত করে তাদের জনসম্মুখে এনে বিচার করার দাবি জানান।একইসঙ্গে পলাতক ৪ আসামি গ্রেপ্তার করে ফাঁসি কার্যকর করার দাবি জানান সকলে।

উল্লেখ্য,১৯৯৯ সালের ১৬ই ফেব্রুয়ারি বিকালে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের কালিদাসপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সন্ত্রাসবিরোধী এক জনসভায় মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক জাসদ সভপাতি কাজী আরেফ আহমেদ, জেলা জাসদের সভাপতি লোকমান হোসেন,সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ইয়াকুব আলী,স্থানীয় জাসদ নেতা ইসরাইল হোসেন ও শমসের মণ্ডল সন্ত্রাসীদের গুলিতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সে সময় দেশ জুড়ে ব্যাপক তোলপাড় ও আলোড়ন সৃষ্টি হয়।ঘটনার দিনই পুলিশ বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।মামলাটি পরদিন সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়। দীর্ঘ তদন্ত শেষে চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের সাড়ে পাঁচ বছর পর ২০০৪ সালের ৩০শে আগস্ট কুষ্টিয়ার জেলা ও দায়রা জজ আদালত ১০ আসামির ফাঁসি ও ১২ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।

রায়ের বিরুদ্ধে আসামিপক্ষ আপিল করলে ২০০৮ সালের ৫ই আগস্ট হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ নিম্ন আদালতের মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১০ আসামির মধ্যে ৯ জনের ফাঁসির আদেশ বহাল রাখেন। একই সঙ্গে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ১২ আসামির সাজা মওকুফ করেন হাইকোর্ট। এরপর হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে ফাঁসির তিন আসামি রাশেদুল ইসলাম ঝন্টু,আনোয়ার হোসেন ও সাফায়েত হোসেন হাবিব ওরফে হাবি সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে।

২০১১ সালের ৭ই আগস্ট প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে শুনানি শেষে আপিলকারী ফাঁসির ৯ জনের সাজা বহাল রাখেন। পরে তারা সুপ্রিম কোর্টে রিভিউ করলে তাও ২০১৪ সালের ১৯শে নভেম্বর খারিজ করে দেন আদালত।

এরপর ২০১৬ সালের ৭ই জানুয়ারি গভীর রাতে যশোর কারাগারে আনোয়ার হোসেন, রাশেদুল ইসলাম ঝন্টু ও সাফায়েত হোসেন হাবিব ওরফে হাবিবের ফাঁসি কার্যকর করা হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

ইয়াকুব আলী সহ পাঁচ জাসদ নেতার ২৫তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন

Update Time : ০৪:২৫:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

আজ বেদনা বিধুর ১৬ই ফেব্রুয়ারি। এদেশের ইতিহাসের একটি কালো দিন। এই দিনে কুষ্টিয়া দৌলতপুর ফিলিপনগরের কৃতি সন্তান,নদীভাঙন ফিলিপনগর এলাকার এক সময়ের অভিভাবক,যার নামে ফিলিপনগর মরিচা ডিগ্রী কলেজ,মুক্তিযোদ্ধা এ্যাভোকেট শহীদ ইয়াকুব আলী সহ জাতীয় পতাকার রূপকার ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক জাসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কাজী আরেফ আহমেদসহ পাঁচ জাসদ নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের ২৫তম বার্ষিকী আজ।

হত্যাকাণ্ডের ১৬ বছর পর ২০১৬ সালের ৭ই জানুয়ারি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ৩ ঘাতকের ফাঁসি কার্যকর করা হওয়ায় নিহতের পরিবারের সদস্যরা কিছুটা স্বস্তি প্রকাশ করলেও তাদের দাবি এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত মূল পরিকল্পনাকারীরা আজও রয়েছে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। এদিকে গ্রেপ্তার হওয়া অপর আসামি রওশন আলী যশোর কারাগারে থাকলেও তার ফাঁসি দ্রুত কার্যকর করার দাবি নিহতদের পরিবার ও জাসদ নেতৃবৃন্দের।

ইয়াকুব আলীর বড় ছেলে ইউসুফ আলী রুশো জানান, এ হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য মূল পরিকল্পনাকারীরা আজও রয়েছে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। এখনো গ্রেপ্তার হয়নি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ঘাতকরা অনেকেই।তাই এখনো উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা পিছু তাড়া করে,সেই সঙ্গে রয়েছে শঙ্কাও।প্রতি বছরের ন্যায় চির নিদ্রায় শায়িত আছেন “মুক্তিযোদ্ধা এ্যাভোকেট শহীদ ইয়াকুব আলী” ফিলিপনগর মরিচা ডিগ্রী কলেজের পাশেই।

তাঁর ই নামে উল্লেখিত কলেজে মৃত্যুবার্ষিকী দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়, উক্ত দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন-ইয়াকুব আলীর জ্যোষ্ঠপুত্র ইউসুফ আলী রুশো,ফিলিপনগর মরিচা ডিগ্রী কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ইলিয়াস হোসেন,অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নান,ফিলিপনগর মরিচা ডিগ্রী কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মতিউর রহমান টুকন,ফিলিপনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবু তাহের মাষ্টার,কুষ্টিয়া জেলা কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য মামুন কবিরাজ,দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওয়াসিম কবিরাজ,৪ নং মরিচা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও মরিচা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি শাহ আলমগীর(আলম চেয়ারম্যান),ফিলিপনগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নুর রহমান,জাসদ নেতা রেজাউল হক,জাসদ নেতা ও জাসদ যুব জোটের সভাপতি শরিফুল কবির স্বপন,ফিলিপনগর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের ইউ’পি সদস্য মামুনুর রশীদ(মামুন মেম্বার),এ্যাভোকেট নুরুল ইসলাম(ফিলিপনগর),পূর্ব ফিলিপনগর সু-শীল সমাজের সদস্য শাহীনুর রহমান শাহীন, ফিলিপনগর মরিচা ডিগ্রী কলেজের ক্রীড়া শিক্ষক করিম কবিরাজ সহ আরো উপস্থিত ছিলেন ফিলিপনগর মরিচা ডিগ্রী কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারীবৃন্দ এবং স্থানীয় জনসাধারণ।উক্ত দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায়

সকলে বলেন,হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারীদের চিহ্নিত করে তাদের জনসম্মুখে এনে বিচার করার দাবি জানান।একইসঙ্গে পলাতক ৪ আসামি গ্রেপ্তার করে ফাঁসি কার্যকর করার দাবি জানান সকলে।

উল্লেখ্য,১৯৯৯ সালের ১৬ই ফেব্রুয়ারি বিকালে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের কালিদাসপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সন্ত্রাসবিরোধী এক জনসভায় মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক জাসদ সভপাতি কাজী আরেফ আহমেদ, জেলা জাসদের সভাপতি লোকমান হোসেন,সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ইয়াকুব আলী,স্থানীয় জাসদ নেতা ইসরাইল হোসেন ও শমসের মণ্ডল সন্ত্রাসীদের গুলিতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সে সময় দেশ জুড়ে ব্যাপক তোলপাড় ও আলোড়ন সৃষ্টি হয়।ঘটনার দিনই পুলিশ বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।মামলাটি পরদিন সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়। দীর্ঘ তদন্ত শেষে চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের সাড়ে পাঁচ বছর পর ২০০৪ সালের ৩০শে আগস্ট কুষ্টিয়ার জেলা ও দায়রা জজ আদালত ১০ আসামির ফাঁসি ও ১২ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।

রায়ের বিরুদ্ধে আসামিপক্ষ আপিল করলে ২০০৮ সালের ৫ই আগস্ট হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ নিম্ন আদালতের মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১০ আসামির মধ্যে ৯ জনের ফাঁসির আদেশ বহাল রাখেন। একই সঙ্গে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ১২ আসামির সাজা মওকুফ করেন হাইকোর্ট। এরপর হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে ফাঁসির তিন আসামি রাশেদুল ইসলাম ঝন্টু,আনোয়ার হোসেন ও সাফায়েত হোসেন হাবিব ওরফে হাবি সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে।

২০১১ সালের ৭ই আগস্ট প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে শুনানি শেষে আপিলকারী ফাঁসির ৯ জনের সাজা বহাল রাখেন। পরে তারা সুপ্রিম কোর্টে রিভিউ করলে তাও ২০১৪ সালের ১৯শে নভেম্বর খারিজ করে দেন আদালত।

এরপর ২০১৬ সালের ৭ই জানুয়ারি গভীর রাতে যশোর কারাগারে আনোয়ার হোসেন, রাশেদুল ইসলাম ঝন্টু ও সাফায়েত হোসেন হাবিব ওরফে হাবিবের ফাঁসি কার্যকর করা হয়।