ঢাকা ০৬:৪১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
জাতীয় কৃষি প্রশিক্ষণ একাডেমি (নাটা) তে “ইনোভেশন শোকেসিং” আয়োজন টঙ্গীতে বিনিয়োগকৃত অর্থ আদায়ের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন পরিবেশ ও উন্নয়ন সাংবাদিকতায় হয়রানি হলে সুরক্ষা দেবে সরকার: তথ্য প্রতিমন্ত্রী আজ সেই ভয়াল ৩ মে! প্রবাসীদের সেবার মান বাড়াতে স্মার্ট কার্ড প্রদান করা হবে – ড. মোমেন গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের উপস্থিতি হার ৯০ শতাংশ ইবিতে ‘বি’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত অবিলম্বে ১০ম ওয়েজবোর্ড গঠন করুন: বিএফইউজে ও ডিইউজে নেতৃবৃন্দ অজ্ঞান করে স্বর্ণ ও টাকা চুরির রহস্য উদঘাটন ও চোরাই মালামালসহ গ্রেফতার ১ কয়েন প্রতারণার ফাঁদে ফেলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের দুই সদস্য গ্রেফতার

বিশ্ব ইজতেমায় লাখো মুসল্লীর অংশগ্রহণে বৃহত্তম জুম্মার নামাজ আদায়

জাহাঙ্গীর আকন্দ
  • Update Time : ০৭:২৬:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৪৩ Time View

আল্লাহু আকবার ধ্বনিতে মুখরিত টঙ্গীর তুরাগ তীর।

সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে শুরু হয়েছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বিশ্ব ইজতেমায় লাখো মুসল্লীদের অংশগ্রহণে শুক্রবার বৃহত্তম জুম্মার নামাজ আদায় হয়েছে।

আল্লাহু আকবার ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠে টঙ্গীর তুরাগ তীর। এ পর্বে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশের মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীরা।

শুক্রবার বাদ ফজর নামাজের পর বয়ান করেন পাকিস্তানের মাওলানা আহমদ বাট। সকাল ১০টা থেকে তালিম করেন পাকিস্তানের মাওলানা জিয়াউল হক। দুপুর পৌনে ২টায় জুমার নামাজ শুরু হয়। নামাজে ইমামতি করেন মাওলানা জুবায়ের। জুমার নামাজে খুতবা পাঠ শুরু হয় দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে। ইজতেমার ময়দানের মুসল্লি ছাড়াও জুমার নামাজে অংশ নিতে ঢাকা-গাজীপুরসহ আশপাশের এলাকার হাজার হাজার মুসল্লি ইজতেমাস্থলে এসে হাজির হন।

শীত উপেক্ষা করে ভোর থেকেই বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বে ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলে দলে হাজার হাজার মুসল্লি জড়ো হন। শুকনো খাবার, পানি, বিছানাসহ বিভিন্ন সামগ্রী নিয়ে মুসল্লিরা সারিবদ্ধভাবে ছুটতে থাকেন টঙ্গীর তুরাগ তীরের ইজতেমা ময়দানের দিকে। জুমার নামাজের আগেই ময়দান পরিণত হয় জনসমুদ্রে। জুমার নামাজে অংশ নেন লাখো মুসল্লি। ওই সময় ইজতেমার ময়দান ছাপিয়ে আশপাশের সড়কগুলোতে ছড়িয়ে পড়েন মুসল্লিরা। ইজতেমা ময়দানে স্থান না পেয়ে অনেকে বিভিন্ন ভবনের ছাদে নামাজ আদায় করেন।

জুমার নামাজের সময় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যানবাহন চলাচল সাময়িক বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশের পক্ষ থেকেও সড়কটি নামাজের সময় বন্ধ রাখার কথা জানানো হয়। নামাজের পর পুনরায় যান চলাচল শুরু হয়। তবে মুসল্লিদের ভিড়ের কারণে খুবই ধীর গতিতে চলছে বাস-ট্রাকসহ অন্যান্য যানবাহন।

গাজীপুরের চৌরাস্তা থেকে আসা মুসল্লি সফিকুল ইসলাম বলেন, সকাল সাড়ে ৮টায় বাসা থেকে বের হয়েছি ইজতেমার মাঠে জুমার নামাজ আদায় করার জন্য। চৌরাস্তা থেকে হারিকেন পর্যন্ত গাড়িতে আসতে পেরেছি। তারপর পায়ে হেঁটে তিন ঘণ্টা পর মিলগেটের দিকে যাচ্ছি। যে যেখানে পারছে সেখানেই বসে পড়ছে জুমার নামাজ আদায় করার জন্য।

বৃহস্পতিবার রাত ৯টা পর্যন্ত বিশ্বের ৪৩টি দেশের এক হাজার ৫৬৯ জন বিদেশি মেহমান ইজতেমা ময়দানে উপস্থিত হয়েছেন। ৪৩টি দেশের মধ্যে ভারত, পাকিস্তান, কুয়েত, সৌদি আরব, আফগানিস্তান, জাপান, ওমান, কানাডা, মোজাম্বিক, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, কিরগিজস্তান, সিঙ্গাপুর, ইতালি, জর্ডান ও যুক্তরাজ্য অন্যতম। প্রথম পর্বের ইজতেমার মিডিয়া সমন্বয়ক মো: হাবিবুল্লাহ রায়হান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের আখেরী মোনাজাত ৪ ফেব্রুয়ারি। মাঝে চার দিন বিরতি পর ৯ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়ে, ১১ ফেব্রুয়ারি আখেরী মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে এবারের বিশ্ব ইজতেমা।

বিশ্ব ইজতেমা সৌভ্রাতৃত্ব প্রসারে সহায়ক হোক:

দেশ-বিদেশের আলেমরা তাদের বয়ানে ইসলামের মর্মবাণী তথা মানবিক আদর্শ ও ভ্রাতৃত্ববোধের দিকগুলো তুলে ধরেন। বিশ্ব ইজতেমায় প্রতিবছর তাবলিগ জামাতের নিবেদিতপ্রাণ কর্মীরা একত্রিত হন। পারস্পরিক ভাব ও ধর্মীয় জ্ঞান বিনিময় করেন। তবে সময়ের পরিক্রমায় বিশ্ব ইজতেমা বর্তমানে আর তাবলিগ কর্মীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। ইজতেমা আজ পরিণত হয়েছে সর্বস্তরের ধর্মপ্রাণ মুসলমানের মহাসমাবেশে।

স্মরণ করা যেতে পারে, প্রায় অর্ধশত বছর আগে দিল্লির কাছে নিজামউদ্দিন আউলিয়ার (রহ.) মাজারসংলগ্ন মসজিদকে কেন্দ্র করে মওলানা ইলিয়াস (রহ.) মাত্র কয়েকজন সঙ্গী নিয়ে শুরু করেছিলেন তাবলিগ বা ইসলাম প্রচারের কাজ। এভাবেই গোড়াপত্তন হয়েছিল তাবলিগ জামাতের। আজ পৃথিবীর প্রায় সর্বত্র এর কার্যক্রম ছড়িয়ে পড়েছে।

ঢাকায় সর্বপ্রথম ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৪৬ সালে, কাকরাইল মসজিদে। এরপর ১৯৪৮ সালে চট্টগ্রামের হাজী ক্যাম্পে এবং ১৯৫৮ সালে নারায়ণগঞ্জের মিছিরগঞ্জে। অবশ্য এ সমাবেশগুলোকে বিশ্ব ইজতেমা বলা যাবে না। ১৯৬৬ সালে টঙ্গীর পাগাড় গ্রাম সন্নিহিত মাঠে যে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়, তাতে বিদেশ থেকে তাবলিগ জামাতের অনেক অনুসারী অংশগ্রহণ করেছিলেন। তখন থেকেই এটি বিশ্ব ইজতেমা নামে পরিচিতি লাভ করে। পরবর্তী সময় থেকে নিয়মিত ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে।

দেশে বিশ্ব ইজতেমা আয়োজনের ফলে ইসলাম ধর্মের অনেক মৌলিক শিক্ষা সর্বস্তরের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। ঈমান, আমল, আখলাক ও ইলম অর্জন এবং আত্মশুদ্ধিতে এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বিশ্ব ইজতেমা সবার জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে এবং মানুষের ভেতর থেকে হিংসা-হানাহানি দূর করে পৃথিবীতে শান্তির অমিয়ধারা প্রবাহিত করবে, এটাই প্রত্যাশা।

Please Share This Post in Your Social Media

বিশ্ব ইজতেমায় লাখো মুসল্লীর অংশগ্রহণে বৃহত্তম জুম্মার নামাজ আদায়

Update Time : ০৭:২৬:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

আল্লাহু আকবার ধ্বনিতে মুখরিত টঙ্গীর তুরাগ তীর।

সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে শুরু হয়েছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বিশ্ব ইজতেমায় লাখো মুসল্লীদের অংশগ্রহণে শুক্রবার বৃহত্তম জুম্মার নামাজ আদায় হয়েছে।

আল্লাহু আকবার ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠে টঙ্গীর তুরাগ তীর। এ পর্বে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশের মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীরা।

শুক্রবার বাদ ফজর নামাজের পর বয়ান করেন পাকিস্তানের মাওলানা আহমদ বাট। সকাল ১০টা থেকে তালিম করেন পাকিস্তানের মাওলানা জিয়াউল হক। দুপুর পৌনে ২টায় জুমার নামাজ শুরু হয়। নামাজে ইমামতি করেন মাওলানা জুবায়ের। জুমার নামাজে খুতবা পাঠ শুরু হয় দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে। ইজতেমার ময়দানের মুসল্লি ছাড়াও জুমার নামাজে অংশ নিতে ঢাকা-গাজীপুরসহ আশপাশের এলাকার হাজার হাজার মুসল্লি ইজতেমাস্থলে এসে হাজির হন।

শীত উপেক্ষা করে ভোর থেকেই বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বে ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলে দলে হাজার হাজার মুসল্লি জড়ো হন। শুকনো খাবার, পানি, বিছানাসহ বিভিন্ন সামগ্রী নিয়ে মুসল্লিরা সারিবদ্ধভাবে ছুটতে থাকেন টঙ্গীর তুরাগ তীরের ইজতেমা ময়দানের দিকে। জুমার নামাজের আগেই ময়দান পরিণত হয় জনসমুদ্রে। জুমার নামাজে অংশ নেন লাখো মুসল্লি। ওই সময় ইজতেমার ময়দান ছাপিয়ে আশপাশের সড়কগুলোতে ছড়িয়ে পড়েন মুসল্লিরা। ইজতেমা ময়দানে স্থান না পেয়ে অনেকে বিভিন্ন ভবনের ছাদে নামাজ আদায় করেন।

জুমার নামাজের সময় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যানবাহন চলাচল সাময়িক বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশের পক্ষ থেকেও সড়কটি নামাজের সময় বন্ধ রাখার কথা জানানো হয়। নামাজের পর পুনরায় যান চলাচল শুরু হয়। তবে মুসল্লিদের ভিড়ের কারণে খুবই ধীর গতিতে চলছে বাস-ট্রাকসহ অন্যান্য যানবাহন।

গাজীপুরের চৌরাস্তা থেকে আসা মুসল্লি সফিকুল ইসলাম বলেন, সকাল সাড়ে ৮টায় বাসা থেকে বের হয়েছি ইজতেমার মাঠে জুমার নামাজ আদায় করার জন্য। চৌরাস্তা থেকে হারিকেন পর্যন্ত গাড়িতে আসতে পেরেছি। তারপর পায়ে হেঁটে তিন ঘণ্টা পর মিলগেটের দিকে যাচ্ছি। যে যেখানে পারছে সেখানেই বসে পড়ছে জুমার নামাজ আদায় করার জন্য।

বৃহস্পতিবার রাত ৯টা পর্যন্ত বিশ্বের ৪৩টি দেশের এক হাজার ৫৬৯ জন বিদেশি মেহমান ইজতেমা ময়দানে উপস্থিত হয়েছেন। ৪৩টি দেশের মধ্যে ভারত, পাকিস্তান, কুয়েত, সৌদি আরব, আফগানিস্তান, জাপান, ওমান, কানাডা, মোজাম্বিক, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, কিরগিজস্তান, সিঙ্গাপুর, ইতালি, জর্ডান ও যুক্তরাজ্য অন্যতম। প্রথম পর্বের ইজতেমার মিডিয়া সমন্বয়ক মো: হাবিবুল্লাহ রায়হান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের আখেরী মোনাজাত ৪ ফেব্রুয়ারি। মাঝে চার দিন বিরতি পর ৯ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়ে, ১১ ফেব্রুয়ারি আখেরী মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে এবারের বিশ্ব ইজতেমা।

বিশ্ব ইজতেমা সৌভ্রাতৃত্ব প্রসারে সহায়ক হোক:

দেশ-বিদেশের আলেমরা তাদের বয়ানে ইসলামের মর্মবাণী তথা মানবিক আদর্শ ও ভ্রাতৃত্ববোধের দিকগুলো তুলে ধরেন। বিশ্ব ইজতেমায় প্রতিবছর তাবলিগ জামাতের নিবেদিতপ্রাণ কর্মীরা একত্রিত হন। পারস্পরিক ভাব ও ধর্মীয় জ্ঞান বিনিময় করেন। তবে সময়ের পরিক্রমায় বিশ্ব ইজতেমা বর্তমানে আর তাবলিগ কর্মীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। ইজতেমা আজ পরিণত হয়েছে সর্বস্তরের ধর্মপ্রাণ মুসলমানের মহাসমাবেশে।

স্মরণ করা যেতে পারে, প্রায় অর্ধশত বছর আগে দিল্লির কাছে নিজামউদ্দিন আউলিয়ার (রহ.) মাজারসংলগ্ন মসজিদকে কেন্দ্র করে মওলানা ইলিয়াস (রহ.) মাত্র কয়েকজন সঙ্গী নিয়ে শুরু করেছিলেন তাবলিগ বা ইসলাম প্রচারের কাজ। এভাবেই গোড়াপত্তন হয়েছিল তাবলিগ জামাতের। আজ পৃথিবীর প্রায় সর্বত্র এর কার্যক্রম ছড়িয়ে পড়েছে।

ঢাকায় সর্বপ্রথম ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৪৬ সালে, কাকরাইল মসজিদে। এরপর ১৯৪৮ সালে চট্টগ্রামের হাজী ক্যাম্পে এবং ১৯৫৮ সালে নারায়ণগঞ্জের মিছিরগঞ্জে। অবশ্য এ সমাবেশগুলোকে বিশ্ব ইজতেমা বলা যাবে না। ১৯৬৬ সালে টঙ্গীর পাগাড় গ্রাম সন্নিহিত মাঠে যে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়, তাতে বিদেশ থেকে তাবলিগ জামাতের অনেক অনুসারী অংশগ্রহণ করেছিলেন। তখন থেকেই এটি বিশ্ব ইজতেমা নামে পরিচিতি লাভ করে। পরবর্তী সময় থেকে নিয়মিত ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে।

দেশে বিশ্ব ইজতেমা আয়োজনের ফলে ইসলাম ধর্মের অনেক মৌলিক শিক্ষা সর্বস্তরের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। ঈমান, আমল, আখলাক ও ইলম অর্জন এবং আত্মশুদ্ধিতে এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বিশ্ব ইজতেমা সবার জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে এবং মানুষের ভেতর থেকে হিংসা-হানাহানি দূর করে পৃথিবীতে শান্তির অমিয়ধারা প্রবাহিত করবে, এটাই প্রত্যাশা।