ঢাকা ০৪:৪৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
জাতীয় কৃষি প্রশিক্ষণ একাডেমি (নাটা) তে “ইনোভেশন শোকেসিং” আয়োজন টঙ্গীতে বিনিয়োগকৃত অর্থ আদায়ের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন পরিবেশ ও উন্নয়ন সাংবাদিকতায় হয়রানি হলে সুরক্ষা দেবে সরকার: তথ্য প্রতিমন্ত্রী আজ সেই ভয়াল ৩ মে! প্রবাসীদের সেবার মান বাড়াতে স্মার্ট কার্ড প্রদান করা হবে – ড. মোমেন গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের উপস্থিতি হার ৯০ শতাংশ ইবিতে ‘বি’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত অবিলম্বে ১০ম ওয়েজবোর্ড গঠন করুন: বিএফইউজে ও ডিইউজে নেতৃবৃন্দ অজ্ঞান করে স্বর্ণ ও টাকা চুরির রহস্য উদঘাটন ও চোরাই মালামালসহ গ্রেফতার ১ কয়েন প্রতারণার ফাঁদে ফেলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের দুই সদস্য গ্রেফতার

প্রসবের পর নবজাতককে টয়লেটের কমোডে ফেলে গেলেন মা

চুয়াডাঙ্গা সংবাদদাতা
  • Update Time : ০৯:৩২:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৬৫ Time View

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে টয়লেটের কমোডের ভেতর থেকে এক কন্যা নবজাতককে উদ্ধার করা হয়েছে।

শনিবার (১১ নভেম্বর) হাসপাতালের ফিমেল মেডিসিন ওয়ার্ডের কমোডের ভেতর থেকে নবজাতকটি উদ্ধার করা হয়।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার বলেন, ‘নবজাতকটি বর্তমানে সুস্থ রয়েছে। চিকিৎসা শেষে একজন নার্স তার বাসায় নিয়ে গেছেন। বিষয়টি আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছি। মায়ের পরিচয় শনাক্ত করতে কাজ শুরু করেছি।’

চুয়াডাঙ্গা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. এএসএম ফাতেহ্ আকরাম দোলন বলেন, ‘শনিবার গভীর রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে আসেন অজ্ঞাতপরিচয় নারীরা। এ সময় তারা অবস্থান নেয় সদর হাসপাতালের ২৫০ শয্যা ভবনের ৬ তলার ফিমেল মেডিসিন ওয়ার্ডে। হাসপাতালে ভর্তির কোনো রেকর্ড পাওয়া যায়নি। কোনো একসময় গর্ভবর্তী অজ্ঞাতপরিচয় নারী কারও সহযোগিতায় টয়লেটের ভেতরে স্বাভাবিক সন্তান প্রসব করেন। কন্যা নবজাতক সন্তানটি তারা টয়লেটের কমোডের ভেতরে ফেলে রেখে চলে যায় রাতে।

তিনি আরও বলেন, রাত ৩টার দিকে সদর হাসপাতালের ফিমেল মেডিসিন ওয়ার্ডের টয়লেটে যান এক রোগীর স্বজন। তিনি নবজাতকের কান্নার শব্দ শুনতে পেরে বিষয়টি দায়িত্বরত আয়া রেশমাকে জানায়। রেশমা কমোডের ভেতর থেকে নবজাতকটি উদ্ধার করে সিনিয়র নার্সদের সহযোগিতায় জরুরি বিভাগে নিয়ে চিকিৎসা দেয়। পরে শিশুটিকে ওয়ার্ডে ভর্তি রাখা হয়। সকালে শিশু কনসালটেন্ট ডা. মাহাবুবুর রহমান মিলন শিশুটিকে পরীক্ষা করে দেখেন সুস্থ আছে।

রোববার সকালে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে শিশু ওয়ার্ড থেকে নবজাতকটিকে হাসপাতালের কোয়াটারের বাসায় নিয়ে যান সিনিয়র স্টাফ নার্স সাবিনা ইয়াসমিন রেখা। তিনি কন্যা নবজাতকটিকে লালন পালন করছেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স সাবিনা ইয়াসমিন রেখা বলেন, ‘আমার প্রতিবন্ধী একটি ছেলে আছে ১৬ বছর বয়সের। নবজাতকটিকে নিজের সন্তান হিসেবে নিয়েই লালন পালন শুরু করেছি। স্যারদের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েই বাসায় নিয়ে এসেছি। বাসায় আনার পর থেকে সন্তানটি শুধু ঘুমাচ্ছে। আর খিদে লাগলে ঘুম ভেঙে কান্না করছে। তখন ফিডারে করে দুধ খাওয়াচ্ছি।’

Please Share This Post in Your Social Media

প্রসবের পর নবজাতককে টয়লেটের কমোডে ফেলে গেলেন মা

Update Time : ০৯:৩২:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ নভেম্বর ২০২৩

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে টয়লেটের কমোডের ভেতর থেকে এক কন্যা নবজাতককে উদ্ধার করা হয়েছে।

শনিবার (১১ নভেম্বর) হাসপাতালের ফিমেল মেডিসিন ওয়ার্ডের কমোডের ভেতর থেকে নবজাতকটি উদ্ধার করা হয়।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার বলেন, ‘নবজাতকটি বর্তমানে সুস্থ রয়েছে। চিকিৎসা শেষে একজন নার্স তার বাসায় নিয়ে গেছেন। বিষয়টি আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছি। মায়ের পরিচয় শনাক্ত করতে কাজ শুরু করেছি।’

চুয়াডাঙ্গা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. এএসএম ফাতেহ্ আকরাম দোলন বলেন, ‘শনিবার গভীর রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে আসেন অজ্ঞাতপরিচয় নারীরা। এ সময় তারা অবস্থান নেয় সদর হাসপাতালের ২৫০ শয্যা ভবনের ৬ তলার ফিমেল মেডিসিন ওয়ার্ডে। হাসপাতালে ভর্তির কোনো রেকর্ড পাওয়া যায়নি। কোনো একসময় গর্ভবর্তী অজ্ঞাতপরিচয় নারী কারও সহযোগিতায় টয়লেটের ভেতরে স্বাভাবিক সন্তান প্রসব করেন। কন্যা নবজাতক সন্তানটি তারা টয়লেটের কমোডের ভেতরে ফেলে রেখে চলে যায় রাতে।

তিনি আরও বলেন, রাত ৩টার দিকে সদর হাসপাতালের ফিমেল মেডিসিন ওয়ার্ডের টয়লেটে যান এক রোগীর স্বজন। তিনি নবজাতকের কান্নার শব্দ শুনতে পেরে বিষয়টি দায়িত্বরত আয়া রেশমাকে জানায়। রেশমা কমোডের ভেতর থেকে নবজাতকটি উদ্ধার করে সিনিয়র নার্সদের সহযোগিতায় জরুরি বিভাগে নিয়ে চিকিৎসা দেয়। পরে শিশুটিকে ওয়ার্ডে ভর্তি রাখা হয়। সকালে শিশু কনসালটেন্ট ডা. মাহাবুবুর রহমান মিলন শিশুটিকে পরীক্ষা করে দেখেন সুস্থ আছে।

রোববার সকালে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে শিশু ওয়ার্ড থেকে নবজাতকটিকে হাসপাতালের কোয়াটারের বাসায় নিয়ে যান সিনিয়র স্টাফ নার্স সাবিনা ইয়াসমিন রেখা। তিনি কন্যা নবজাতকটিকে লালন পালন করছেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স সাবিনা ইয়াসমিন রেখা বলেন, ‘আমার প্রতিবন্ধী একটি ছেলে আছে ১৬ বছর বয়সের। নবজাতকটিকে নিজের সন্তান হিসেবে নিয়েই লালন পালন শুরু করেছি। স্যারদের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েই বাসায় নিয়ে এসেছি। বাসায় আনার পর থেকে সন্তানটি শুধু ঘুমাচ্ছে। আর খিদে লাগলে ঘুম ভেঙে কান্না করছে। তখন ফিডারে করে দুধ খাওয়াচ্ছি।’