ঢাকা ১২:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
জাতীয় কৃষি প্রশিক্ষণ একাডেমি (নাটা) তে “ইনোভেশন শোকেসিং” আয়োজন টঙ্গীতে বিনিয়োগকৃত অর্থ আদায়ের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন পরিবেশ ও উন্নয়ন সাংবাদিকতায় হয়রানি হলে সুরক্ষা দেবে সরকার: তথ্য প্রতিমন্ত্রী আজ সেই ভয়াল ৩ মে! প্রবাসীদের সেবার মান বাড়াতে স্মার্ট কার্ড প্রদান করা হবে – ড. মোমেন গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের উপস্থিতি হার ৯০ শতাংশ ইবিতে ‘বি’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত অবিলম্বে ১০ম ওয়েজবোর্ড গঠন করুন: বিএফইউজে ও ডিইউজে নেতৃবৃন্দ অজ্ঞান করে স্বর্ণ ও টাকা চুরির রহস্য উদঘাটন ও চোরাই মালামালসহ গ্রেফতার ১ কয়েন প্রতারণার ফাঁদে ফেলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের দুই সদস্য গ্রেফতার

ড্রেন নির্মাণকে কেন্দ্র করে সোলেমান হত্যা, গ্রেফতার ৬

শরিফুল হক পাভেল
  • Update Time : ০৭:৪২:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৫৫ Time View

ড্রেন নির্মাণকে কেন্দ্র করে সোলেমান হত্যা মামলার মূল পরিকল্পনাকারীসহ ৬ জন আসামীকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৩।

বৃহস্পতিবার টিকাটুলি র‍্যাব-৩ এর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, গত ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখ সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা থানাধীন জয়শ্রী ইউনিয়নের অন্তর্গত শান্তিপুর এলাকায় ড্রেন পুনঃনির্মাণ করার কারণে ইউপি সদস্য রাসেল ও তার লোকজনের উপর নজরুল তার সহযোগীদের নিয়ে হামলা চালায়। মূলত সাতারিয়া-পাথারিয়া হাওরের বোরো ধানের জমিতে পানি সেচের জন্য ড্রেনটি নির্মাণ করা হয়।

গ্রেফতারকৃত নজরুল ও তার লোকজন অ্যাক্সেভেটর দিয়ে মাটি তুলে ড্রেনটি ধ্বংস করে দেয়। ঘটনার দিন ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখ সকালে রাসেল মেম্বারের লোকজন তাদের স্বত্বদখলীয় হাওরের বোরো জমিতে পানি সেচের জন্য ড্রেনটি পুনঃরায় নির্মাণ কাজ শুরু করেন। খবর পেয়ে নজরুলের নেতৃত্বে সাব্বির, তাকবির, জাকির, মিজান, নাঈম, জসিম উদ্দিন, সেলিম উদ্দিন, নয়ন, আক্কল এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৮/১০ জন রামদা, রড, রডের পাইপ ও লাঠিসোটা নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। হামলায় ভিকটিম সোলেমানসহ মোট ১০ জন গুরুতর আহত হয়। স্থানীয় এলাকাবাসী আহত ব্যক্তিদেরকে উদ্ধার করে ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। ভিকটিম সোলেমানসহ মোট ৬ জনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পরবর্তীতে ময়মনসিংহ মেডিকেলে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় গত ৯ জানুয়ারি সকালে সোলেমান মৃত্যুবরণ করে।

হামলার ঘটনায় গত ৩ জানুয়ারি ভিকটিমের চাচাতো ভাই দীন ইসলাম বাদী হয়ে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন। ভিকটিম সোলেমানের মৃত্যু হওয়ার পর গত ১০ জানুয়ারি বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে দন্ডবিধি আইনের ৩০২ ধারা সংযোজিত হয়ে মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে গন্য হয়।

হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে এলাকাবাসী প্রতিবাদ ও মানববন্ধন করে।

নৃশংস এই হত্যাকান্ডটি দেশব্যাপী ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে এবং বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় গুরুত্বের সাথে প্রচারিত হয়।

র‌্যাব-৯ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে। গ্রেফতার এড়াতে আসামিরা নিজ এলাকা ছেড়ে রাজধানী ঢাকায় আত্মগোপনে চলে যায়। র‌্যাব-৯ এর গোয়েন্দা দল বিষয়টি র‌্যাব-৩ এর গোয়েন্দা দলকে অবগত করে।

র‌্যাব-৩ এর গোয়েন্দা দল আসামিদের গ্রেফতারে তথ্য সংগ্রহ শুরু করে। র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় আসামিদের অবস্থান শনাক্ত হওয়ার পরে র‌্যাব-৩ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকান্ডের মূলপরিকল্পনাকারী ১। নজরুল ইসলাম (৪৫) এবং তার অন্যান্য সহযোগী ২। সাব্বির (৩০), ৩। তাকবির (২৫), ৪। জাকির (৩২), ৫। জসিম উদ্দিন (৪৫) ও ৬। সেলিম উদ্দিন (৪২)কে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞসাবাদ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায় যে, আসামি নজরুল তার আত্মীয়স্বজন এবং অনুসারীদের সহায়তায় দীর্ঘদিন যাবৎ শান্তিপুর এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে সাধারণ মানুষের জমিজমা জবরদখল করে আসছিল। ভিকটিম সোলেমানের চাচাতো ভাই রাসেল আহমদ ০৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য। রাসেল মেম্বার ধৃত নজরুলের এসকল অপকর্মের প্রতিবাদ করায় নজরুল রাসেল মেম্বারের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়। ইতোপূর্বে শান্তিপুর গ্রামের একটি মসজিদের উন্নয়ন কাজের জন্য নদীপথে আনিত বালু মসজিদ ঘাটে আনলোড করার সময় নজরুল বাঁধা দেয়। ঐদিন ভিকটিম সোলেমান তার চাচাতো ভাই রাসেল মেম্বার এর পক্ষ হয়ে নজরুলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে। এতে নজরুল সোলেমানের উপর ক্ষিপ্ত হয়। একারণেই নজরুল ভিকটিম সোলেমানকে শায়েস্তা করার পরিকল্পনা করে। নজরুল রাসেল মেম্বার এবং সোলেমানকে শিক্ষা দেয়ার জন্য বিভিন্ন সময়ে হুমকি দিতে থাকে।
ঘটনার দিন পূর্ব-পরিকল্পনা অনুযায়ী নজরুল নিজেই ভিকটিম সোলেমানের মাথায় রামদা দিয়ে কোপ দিলে মাথার ডান পার্শ্বের তালুতে মারাত্মক জখমপ্রাপ্ত হয়ে সোলেমান মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। নজরুলের নির্দেশে অন্যান্য সহযোগীরা মাটিতে পড়ে থাকা সোলেমানকে নৃশংসভাবে আঘাত করতে থাকে। এতে সোলেমান গুরুতর আহত হয় এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মৃত্যুবরণ করে।

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে আসামি নাঈম (২২) গ্রেফতার হলে নজরুলসহ অন্যান্য আসামিরা নিজ এলাকা ছেড়ে রাজধানী ঢাকায় পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে পলাতক ৬ জন হত্যাকারীকে গ্রেফতার করা হয়। আরও ৩ জন আসামি এখনও পলাতক রয়েছে। তাদেরকে গ্রেফতারে র‌্যাবের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

গ্রেফতারকৃত নজরুলের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। এরমধ্যে ধর্মপাশা থানায় ১টি বসতবাড়ি পুড়িয়ে দেয়া এবং ২টি মারামারি মামলা রয়েছে। এছাড়াও গ্রেফতারকৃত জাকির হোসেন এবং সেলিম উদ্দিনের নামেও ধর্মপাশা থানায় একাধিক মারামারি মামলা রয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

ড্রেন নির্মাণকে কেন্দ্র করে সোলেমান হত্যা, গ্রেফতার ৬

Update Time : ০৭:৪২:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

ড্রেন নির্মাণকে কেন্দ্র করে সোলেমান হত্যা মামলার মূল পরিকল্পনাকারীসহ ৬ জন আসামীকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৩।

বৃহস্পতিবার টিকাটুলি র‍্যাব-৩ এর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, গত ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখ সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা থানাধীন জয়শ্রী ইউনিয়নের অন্তর্গত শান্তিপুর এলাকায় ড্রেন পুনঃনির্মাণ করার কারণে ইউপি সদস্য রাসেল ও তার লোকজনের উপর নজরুল তার সহযোগীদের নিয়ে হামলা চালায়। মূলত সাতারিয়া-পাথারিয়া হাওরের বোরো ধানের জমিতে পানি সেচের জন্য ড্রেনটি নির্মাণ করা হয়।

গ্রেফতারকৃত নজরুল ও তার লোকজন অ্যাক্সেভেটর দিয়ে মাটি তুলে ড্রেনটি ধ্বংস করে দেয়। ঘটনার দিন ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখ সকালে রাসেল মেম্বারের লোকজন তাদের স্বত্বদখলীয় হাওরের বোরো জমিতে পানি সেচের জন্য ড্রেনটি পুনঃরায় নির্মাণ কাজ শুরু করেন। খবর পেয়ে নজরুলের নেতৃত্বে সাব্বির, তাকবির, জাকির, মিজান, নাঈম, জসিম উদ্দিন, সেলিম উদ্দিন, নয়ন, আক্কল এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৮/১০ জন রামদা, রড, রডের পাইপ ও লাঠিসোটা নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। হামলায় ভিকটিম সোলেমানসহ মোট ১০ জন গুরুতর আহত হয়। স্থানীয় এলাকাবাসী আহত ব্যক্তিদেরকে উদ্ধার করে ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। ভিকটিম সোলেমানসহ মোট ৬ জনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পরবর্তীতে ময়মনসিংহ মেডিকেলে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় গত ৯ জানুয়ারি সকালে সোলেমান মৃত্যুবরণ করে।

হামলার ঘটনায় গত ৩ জানুয়ারি ভিকটিমের চাচাতো ভাই দীন ইসলাম বাদী হয়ে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন। ভিকটিম সোলেমানের মৃত্যু হওয়ার পর গত ১০ জানুয়ারি বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে দন্ডবিধি আইনের ৩০২ ধারা সংযোজিত হয়ে মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে গন্য হয়।

হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে এলাকাবাসী প্রতিবাদ ও মানববন্ধন করে।

নৃশংস এই হত্যাকান্ডটি দেশব্যাপী ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে এবং বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় গুরুত্বের সাথে প্রচারিত হয়।

র‌্যাব-৯ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে। গ্রেফতার এড়াতে আসামিরা নিজ এলাকা ছেড়ে রাজধানী ঢাকায় আত্মগোপনে চলে যায়। র‌্যাব-৯ এর গোয়েন্দা দল বিষয়টি র‌্যাব-৩ এর গোয়েন্দা দলকে অবগত করে।

র‌্যাব-৩ এর গোয়েন্দা দল আসামিদের গ্রেফতারে তথ্য সংগ্রহ শুরু করে। র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় আসামিদের অবস্থান শনাক্ত হওয়ার পরে র‌্যাব-৩ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকান্ডের মূলপরিকল্পনাকারী ১। নজরুল ইসলাম (৪৫) এবং তার অন্যান্য সহযোগী ২। সাব্বির (৩০), ৩। তাকবির (২৫), ৪। জাকির (৩২), ৫। জসিম উদ্দিন (৪৫) ও ৬। সেলিম উদ্দিন (৪২)কে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞসাবাদ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায় যে, আসামি নজরুল তার আত্মীয়স্বজন এবং অনুসারীদের সহায়তায় দীর্ঘদিন যাবৎ শান্তিপুর এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে সাধারণ মানুষের জমিজমা জবরদখল করে আসছিল। ভিকটিম সোলেমানের চাচাতো ভাই রাসেল আহমদ ০৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য। রাসেল মেম্বার ধৃত নজরুলের এসকল অপকর্মের প্রতিবাদ করায় নজরুল রাসেল মেম্বারের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়। ইতোপূর্বে শান্তিপুর গ্রামের একটি মসজিদের উন্নয়ন কাজের জন্য নদীপথে আনিত বালু মসজিদ ঘাটে আনলোড করার সময় নজরুল বাঁধা দেয়। ঐদিন ভিকটিম সোলেমান তার চাচাতো ভাই রাসেল মেম্বার এর পক্ষ হয়ে নজরুলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে। এতে নজরুল সোলেমানের উপর ক্ষিপ্ত হয়। একারণেই নজরুল ভিকটিম সোলেমানকে শায়েস্তা করার পরিকল্পনা করে। নজরুল রাসেল মেম্বার এবং সোলেমানকে শিক্ষা দেয়ার জন্য বিভিন্ন সময়ে হুমকি দিতে থাকে।
ঘটনার দিন পূর্ব-পরিকল্পনা অনুযায়ী নজরুল নিজেই ভিকটিম সোলেমানের মাথায় রামদা দিয়ে কোপ দিলে মাথার ডান পার্শ্বের তালুতে মারাত্মক জখমপ্রাপ্ত হয়ে সোলেমান মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। নজরুলের নির্দেশে অন্যান্য সহযোগীরা মাটিতে পড়ে থাকা সোলেমানকে নৃশংসভাবে আঘাত করতে থাকে। এতে সোলেমান গুরুতর আহত হয় এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মৃত্যুবরণ করে।

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে আসামি নাঈম (২২) গ্রেফতার হলে নজরুলসহ অন্যান্য আসামিরা নিজ এলাকা ছেড়ে রাজধানী ঢাকায় পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে পলাতক ৬ জন হত্যাকারীকে গ্রেফতার করা হয়। আরও ৩ জন আসামি এখনও পলাতক রয়েছে। তাদেরকে গ্রেফতারে র‌্যাবের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

গ্রেফতারকৃত নজরুলের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। এরমধ্যে ধর্মপাশা থানায় ১টি বসতবাড়ি পুড়িয়ে দেয়া এবং ২টি মারামারি মামলা রয়েছে। এছাড়াও গ্রেফতারকৃত জাকির হোসেন এবং সেলিম উদ্দিনের নামেও ধর্মপাশা থানায় একাধিক মারামারি মামলা রয়েছে।