ঢাকা ১১:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
জাতীয় কৃষি প্রশিক্ষণ একাডেমি (নাটা) তে “ইনোভেশন শোকেসিং” আয়োজন টঙ্গীতে বিনিয়োগকৃত অর্থ আদায়ের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন পরিবেশ ও উন্নয়ন সাংবাদিকতায় হয়রানি হলে সুরক্ষা দেবে সরকার: তথ্য প্রতিমন্ত্রী আজ সেই ভয়াল ৩ মে! প্রবাসীদের সেবার মান বাড়াতে স্মার্ট কার্ড প্রদান করা হবে – ড. মোমেন গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের উপস্থিতি হার ৯০ শতাংশ ইবিতে ‘বি’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত অবিলম্বে ১০ম ওয়েজবোর্ড গঠন করুন: বিএফইউজে ও ডিইউজে নেতৃবৃন্দ অজ্ঞান করে স্বর্ণ ও টাকা চুরির রহস্য উদঘাটন ও চোরাই মালামালসহ গ্রেফতার ১ কয়েন প্রতারণার ফাঁদে ফেলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের দুই সদস্য গ্রেফতার

টঙ্গীর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের বন্দির মৃত্যু

জাহাঙ্গীর আকন্দ
  • Update Time : ০৫:৫৮:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৫৮ Time View

গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের মারুফ আহমেদ (১৬) নামে এক কিশোর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।

কিন্তু ওই কিশোরের পরিবারের অভিযোগ তাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মারুফ কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম উপজেলায় রফিক আহমদের ছেলে। সে ঢাকার খিলক্ষেত এলাকার দর্জিবাড়ি এলাকায় পরিবারের সাথে বসবাস করত।

মারুফের বাবা রফিক আহমেদ জানান, রাজধানীর খিলক্ষেত দর্জিবাড়ি এলাকায় পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় বসবাস করছেন। মারুফ আহমেদ মাদ্রাসায় পড়ালেখা করলেও পরে লেখাপড়া বাদ দেয়। তিনি একজন দিনমজুর। তিন ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে মারুফ সবার বড়।

রফিক আহমেদ বলেন, গত ২৭ জানুয়ারি খিলক্ষেত এলাকায় এক ঝালমুড়ি ওয়ালার সাথে কয়েকজন ছেলের ঝগড়া হয়। সেখানে দাঁড়িয়ে ছিল মারুফ। তখন খিলক্ষেত থানা পুলিশ দুই ছেলের সঙ্গে মারুফকেও ধরে নিয়ে যায়। ২৮ জানুয়ারি কোর্টে চালান করে দেয়। খবর পেয়ে থানায় গিয়ে জানতে পারি মারুফের নামে ডাকাতি মামলা হয়েছে। আদালত থেকে তাকে টঙ্গীর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। গত ৮ থেকে ১০ দিন আগে মারুফের মা ইয়াসমিন বেগমকে নিয়ে টঙ্গী শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে মারুফের সঙ্গে দেখা করতে যাই। তখন মারুফ কান্না করে বলে, বাবা আমি জীবনেও আর মারামারি, খারাপ কাজ করব না। তোমরা আমারে এখান থেকে নিয়া যাও। ওরা আমাকে দিয়ে বাথরুম, থালাবাসন ধোয়ায়। না ধুইলে আমারে অনেক মারধর করে। গত ১২ ফেব্রুয়ারি ফোন করে জানানো হয় মারুফ অসুস্থ। তাকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। পরে ঢাকা মেডিকেলে এসে দেখি আমার ছেলে অচেতন অবস্থায় আছে। তার সঙ্গে কোনো কথা বলতে পারিনি। মারুফের শরীরে, হাতে ও পিঠের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত দেখেছি। আমার ছেলেরে ওরা মারধর করেছে। মারধরের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। আমি আমার ছেলের মৃত্যুর বিচার চাই।

Please Share This Post in Your Social Media

টঙ্গীর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের বন্দির মৃত্যু

Update Time : ০৫:৫৮:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের মারুফ আহমেদ (১৬) নামে এক কিশোর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে।

কিন্তু ওই কিশোরের পরিবারের অভিযোগ তাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মারুফ কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম উপজেলায় রফিক আহমদের ছেলে। সে ঢাকার খিলক্ষেত এলাকার দর্জিবাড়ি এলাকায় পরিবারের সাথে বসবাস করত।

মারুফের বাবা রফিক আহমেদ জানান, রাজধানীর খিলক্ষেত দর্জিবাড়ি এলাকায় পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় বসবাস করছেন। মারুফ আহমেদ মাদ্রাসায় পড়ালেখা করলেও পরে লেখাপড়া বাদ দেয়। তিনি একজন দিনমজুর। তিন ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে মারুফ সবার বড়।

রফিক আহমেদ বলেন, গত ২৭ জানুয়ারি খিলক্ষেত এলাকায় এক ঝালমুড়ি ওয়ালার সাথে কয়েকজন ছেলের ঝগড়া হয়। সেখানে দাঁড়িয়ে ছিল মারুফ। তখন খিলক্ষেত থানা পুলিশ দুই ছেলের সঙ্গে মারুফকেও ধরে নিয়ে যায়। ২৮ জানুয়ারি কোর্টে চালান করে দেয়। খবর পেয়ে থানায় গিয়ে জানতে পারি মারুফের নামে ডাকাতি মামলা হয়েছে। আদালত থেকে তাকে টঙ্গীর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। গত ৮ থেকে ১০ দিন আগে মারুফের মা ইয়াসমিন বেগমকে নিয়ে টঙ্গী শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে মারুফের সঙ্গে দেখা করতে যাই। তখন মারুফ কান্না করে বলে, বাবা আমি জীবনেও আর মারামারি, খারাপ কাজ করব না। তোমরা আমারে এখান থেকে নিয়া যাও। ওরা আমাকে দিয়ে বাথরুম, থালাবাসন ধোয়ায়। না ধুইলে আমারে অনেক মারধর করে। গত ১২ ফেব্রুয়ারি ফোন করে জানানো হয় মারুফ অসুস্থ। তাকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। পরে ঢাকা মেডিকেলে এসে দেখি আমার ছেলে অচেতন অবস্থায় আছে। তার সঙ্গে কোনো কথা বলতে পারিনি। মারুফের শরীরে, হাতে ও পিঠের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত দেখেছি। আমার ছেলেরে ওরা মারধর করেছে। মারধরের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। আমি আমার ছেলের মৃত্যুর বিচার চাই।