ঢাকা ০৩:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
জাতীয় কৃষি প্রশিক্ষণ একাডেমি (নাটা) তে “ইনোভেশন শোকেসিং” আয়োজন টঙ্গীতে বিনিয়োগকৃত অর্থ আদায়ের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন পরিবেশ ও উন্নয়ন সাংবাদিকতায় হয়রানি হলে সুরক্ষা দেবে সরকার: তথ্য প্রতিমন্ত্রী আজ সেই ভয়াল ৩ মে! প্রবাসীদের সেবার মান বাড়াতে স্মার্ট কার্ড প্রদান করা হবে – ড. মোমেন গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের উপস্থিতি হার ৯০ শতাংশ ইবিতে ‘বি’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত অবিলম্বে ১০ম ওয়েজবোর্ড গঠন করুন: বিএফইউজে ও ডিইউজে নেতৃবৃন্দ অজ্ঞান করে স্বর্ণ ও টাকা চুরির রহস্য উদঘাটন ও চোরাই মালামালসহ গ্রেফতার ১ কয়েন প্রতারণার ফাঁদে ফেলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের দুই সদস্য গ্রেফতার

জাবিতে কর্মচারীদের ধর্মঘট

জাবি প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৭:৩৫:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুলাই ২০২৩
  • / ৫২ Time View

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে ধর্মঘট পালন করছেন দৈনিক মজুরি ভিত্তিক কর্মচারীরা। চাকরি স্থায়ী করার লিখিত আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছে তারা।

সোমবার (১৭ জুলাই) সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে এ কর্মসূচি শুরু করেন তারা।

কর্মচারীরা জানান, চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে ২০২০ সাল থেকে এ পর্যন্ত তিনবার প্রশাসনকে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন ও একই দাবিতে মানববন্ধন করেন। সে সময় তাদের চাকরি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে স্থায়ীকরণের আশ্বাস দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক রাশেদা আখতার।

সর্বশেষ চলতি বছরের ২ জানুয়ারি চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে আমরণ অনশনে বসেন তারা। তখন প্রশাসন ৬ মাসের মধ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিভিন্ন হল, বিভাগ ও অফিসসমূহে নিয়োগের মৌখিক আশ্বাসের ভিত্তিতে অনশন স্থগিত করেন তারা। তবে আশ্বাসের ৬ মাস অতিবাহিত হলেও তার কোন বাস্তবায়ন না হওয়ায় আবারও অবস্থান ধর্মঘটে বসেছেন কর্মচারীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ১৪২ জন অস্থায়ী কর্মচারী আছেন। যাদের দৈনিক ৪০০ টাকা হারে মজুরি দেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জাহানারা ইমাম হলের পিয়ন নাসরিন আক্তার বলেন, ‘আমরা চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন করছি। বিভিন্ন সময় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হলেও ইউজিসি’র দোহাই দিয়ে আমাদের চাকরি স্থায়ী করা হয়নি। এখন আমাদের পক্ষে আর ধৈর্য্য ধরা সম্ভব হচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে অবস্থান ধর্মঘটে বসেছি।

শেখ হাসিনা হলের মালি শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘দীর্ঘদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে সেবা দিয়ে যে বেতন পাই, তা দিয়ে সংসার চলে না। সন্তানদের লেখাপড়া করাতে হিমশিম খাচ্ছি। প্রতিমাসে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা ঋণ করে সংসার চালাতে হচ্ছে। ফলে প্রশাসনের কাছে আসি, তারা আমাদের ‘কুত্তার মতো’ তাড়িয়ে দেয়। আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে, যার কারণে আবারও অবস্থান ধর্মঘটে বসেছি।’

এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক রাশেদা আখতার ও উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলমের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা সাড়া দেননি।

Please Share This Post in Your Social Media

জাবিতে কর্মচারীদের ধর্মঘট

Update Time : ০৭:৩৫:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুলাই ২০২৩

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে ধর্মঘট পালন করছেন দৈনিক মজুরি ভিত্তিক কর্মচারীরা। চাকরি স্থায়ী করার লিখিত আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছে তারা।

সোমবার (১৭ জুলাই) সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে এ কর্মসূচি শুরু করেন তারা।

কর্মচারীরা জানান, চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে ২০২০ সাল থেকে এ পর্যন্ত তিনবার প্রশাসনকে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন ও একই দাবিতে মানববন্ধন করেন। সে সময় তাদের চাকরি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে স্থায়ীকরণের আশ্বাস দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক রাশেদা আখতার।

সর্বশেষ চলতি বছরের ২ জানুয়ারি চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে আমরণ অনশনে বসেন তারা। তখন প্রশাসন ৬ মাসের মধ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিভিন্ন হল, বিভাগ ও অফিসসমূহে নিয়োগের মৌখিক আশ্বাসের ভিত্তিতে অনশন স্থগিত করেন তারা। তবে আশ্বাসের ৬ মাস অতিবাহিত হলেও তার কোন বাস্তবায়ন না হওয়ায় আবারও অবস্থান ধর্মঘটে বসেছেন কর্মচারীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ১৪২ জন অস্থায়ী কর্মচারী আছেন। যাদের দৈনিক ৪০০ টাকা হারে মজুরি দেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জাহানারা ইমাম হলের পিয়ন নাসরিন আক্তার বলেন, ‘আমরা চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন করছি। বিভিন্ন সময় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হলেও ইউজিসি’র দোহাই দিয়ে আমাদের চাকরি স্থায়ী করা হয়নি। এখন আমাদের পক্ষে আর ধৈর্য্য ধরা সম্ভব হচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে অবস্থান ধর্মঘটে বসেছি।

শেখ হাসিনা হলের মালি শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘দীর্ঘদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে সেবা দিয়ে যে বেতন পাই, তা দিয়ে সংসার চলে না। সন্তানদের লেখাপড়া করাতে হিমশিম খাচ্ছি। প্রতিমাসে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা ঋণ করে সংসার চালাতে হচ্ছে। ফলে প্রশাসনের কাছে আসি, তারা আমাদের ‘কুত্তার মতো’ তাড়িয়ে দেয়। আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে, যার কারণে আবারও অবস্থান ধর্মঘটে বসেছি।’

এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক রাশেদা আখতার ও উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলমের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা সাড়া দেননি।