ঢাকা ১০:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
জাতীয় কৃষি প্রশিক্ষণ একাডেমি (নাটা) তে “ইনোভেশন শোকেসিং” আয়োজন টঙ্গীতে বিনিয়োগকৃত অর্থ আদায়ের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন পরিবেশ ও উন্নয়ন সাংবাদিকতায় হয়রানি হলে সুরক্ষা দেবে সরকার: তথ্য প্রতিমন্ত্রী আজ সেই ভয়াল ৩ মে! প্রবাসীদের সেবার মান বাড়াতে স্মার্ট কার্ড প্রদান করা হবে – ড. মোমেন গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের উপস্থিতি হার ৯০ শতাংশ ইবিতে ‘বি’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত অবিলম্বে ১০ম ওয়েজবোর্ড গঠন করুন: বিএফইউজে ও ডিইউজে নেতৃবৃন্দ অজ্ঞান করে স্বর্ণ ও টাকা চুরির রহস্য উদঘাটন ও চোরাই মালামালসহ গ্রেফতার ১ কয়েন প্রতারণার ফাঁদে ফেলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের দুই সদস্য গ্রেফতার

কিশোরগঞ্জে কাবিটা প্রকল্পের কাজে অনিয়ম

লাতিফুল আজম, কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৩:৫১:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৪১ Time View

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের বিএস পাড়ায় নামমাত্র কাজ করে কাবিটা প্রকল্পের বিল উত্তোলনের পায়তারা করছে গাড়াগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান জোনাব আলী ও ইউপি সদস্য হাসিবুজ্জামান হাসিব।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তাবায়ন কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিটা) প্রকল্পের আওতায় সাধারণ ১ম পর্যায়ে গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের বিএস পাড়া মিজানুর রহমানের বাড়ী হইতে নেছার মাষ্টারের বাড়ী পর্যন্ত (একশত মিটার ) রাস্তা ব্রিক সলিং করণ ও রাস্তার দুই পাশে মাটি ভরাট করার জন্য বরাদ্দ দেয়া হয় ৩ লক্ষ টাকা। প্রকল্প সভাপতি নিম্নমানের ইট ও বালূ ব্যবহার করে তড়িঘরি করে কাজ শেষ করে ইটের উপরে মাটি ফেলে দিয়ে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করেন। কাজের প্রাক্কলন অনুযায়ী রাস্তার কাজ শুরু করার আগে রাস্তার (বেট কাটিং) মাটি কেটে সেই খননকৃত স্থানে বালু ও পানি দিয়ে ডাম্পিং করার কথা থাকলেও তা করেনি প্রকল্প সভাপতি হাসিবুজ্জামান হাসিব। নিয়ম অনুযায়ী রাস্তায় সলিংয়ের ইট বসানো হয়নি বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।

রাস্তার দুই ধারে ইট খাড়া ভাবে বসানোর নিয়ম থাকলেও তা নিয়ম মানেনি প্রকল্প সভাপতি। রাস্তার দুই পাশে মাটি দিয়ে ভরাট করার থাকলেও তা না করার কারণে এলাকাবাসী নিজ উদ্যোগে রাস্তার দুই পাশে মাটি ভরার করেন।

গাড়াগ্রাম বিএস পাড়ার কছির উদ্দিনের ছেলে সাদেকুল ইসলাম (৭০) ও অছিমুদ্দিনের ছেলে দবির উদ্দিন বলেন,আমাদের কথা কে শোনে। আমরা কথা বললে হয়তো এ কাজটাও করবে না তারা। অফিসের কোন লোকজন কেউ এসে এ কাজ দেখেনি বাবা। আবার কাজ শেষে রাস্তার দুই পাশে মাটি না দিয়ে গর্ত করে রেখে গেছে।

এ ব্যাপারে গাড়াগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের ২ নং ওয়ার্ড সদস্য হাসিবুজ্জামান বলেন, আমি আমার ব্যক্তিগত কাজের জন্য ঢাকা এসেছি। বাড়িতে গিয়ে কাজের বিষয়ে ভাল করে দেখবো।

গাড়াগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জোনাব আলী বলেন,এ কাজের ব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারবো না। এ কাজ করেছেন ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হাসিবুজ্জামান, তার সাথে কথা বলেন।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাশেদুজ্জামান বলেন, কাজের মান খারাপ হলে আবার কাজ করে তারপর বিল দেয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

কিশোরগঞ্জে কাবিটা প্রকল্পের কাজে অনিয়ম

Update Time : ০৩:৫১:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৪

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের বিএস পাড়ায় নামমাত্র কাজ করে কাবিটা প্রকল্পের বিল উত্তোলনের পায়তারা করছে গাড়াগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান জোনাব আলী ও ইউপি সদস্য হাসিবুজ্জামান হাসিব।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তাবায়ন কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিটা) প্রকল্পের আওতায় সাধারণ ১ম পর্যায়ে গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের বিএস পাড়া মিজানুর রহমানের বাড়ী হইতে নেছার মাষ্টারের বাড়ী পর্যন্ত (একশত মিটার ) রাস্তা ব্রিক সলিং করণ ও রাস্তার দুই পাশে মাটি ভরাট করার জন্য বরাদ্দ দেয়া হয় ৩ লক্ষ টাকা। প্রকল্প সভাপতি নিম্নমানের ইট ও বালূ ব্যবহার করে তড়িঘরি করে কাজ শেষ করে ইটের উপরে মাটি ফেলে দিয়ে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করেন। কাজের প্রাক্কলন অনুযায়ী রাস্তার কাজ শুরু করার আগে রাস্তার (বেট কাটিং) মাটি কেটে সেই খননকৃত স্থানে বালু ও পানি দিয়ে ডাম্পিং করার কথা থাকলেও তা করেনি প্রকল্প সভাপতি হাসিবুজ্জামান হাসিব। নিয়ম অনুযায়ী রাস্তায় সলিংয়ের ইট বসানো হয়নি বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।

রাস্তার দুই ধারে ইট খাড়া ভাবে বসানোর নিয়ম থাকলেও তা নিয়ম মানেনি প্রকল্প সভাপতি। রাস্তার দুই পাশে মাটি দিয়ে ভরাট করার থাকলেও তা না করার কারণে এলাকাবাসী নিজ উদ্যোগে রাস্তার দুই পাশে মাটি ভরার করেন।

গাড়াগ্রাম বিএস পাড়ার কছির উদ্দিনের ছেলে সাদেকুল ইসলাম (৭০) ও অছিমুদ্দিনের ছেলে দবির উদ্দিন বলেন,আমাদের কথা কে শোনে। আমরা কথা বললে হয়তো এ কাজটাও করবে না তারা। অফিসের কোন লোকজন কেউ এসে এ কাজ দেখেনি বাবা। আবার কাজ শেষে রাস্তার দুই পাশে মাটি না দিয়ে গর্ত করে রেখে গেছে।

এ ব্যাপারে গাড়াগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের ২ নং ওয়ার্ড সদস্য হাসিবুজ্জামান বলেন, আমি আমার ব্যক্তিগত কাজের জন্য ঢাকা এসেছি। বাড়িতে গিয়ে কাজের বিষয়ে ভাল করে দেখবো।

গাড়াগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জোনাব আলী বলেন,এ কাজের ব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারবো না। এ কাজ করেছেন ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হাসিবুজ্জামান, তার সাথে কথা বলেন।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাশেদুজ্জামান বলেন, কাজের মান খারাপ হলে আবার কাজ করে তারপর বিল দেয়া হবে।