ঢাকা ০৮:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
পরিবেশ ও উন্নয়ন সাংবাদিকতায় হয়রানি হলে সুরক্ষা দেবে সরকার: তথ্য প্রতিমন্ত্রী আজ সেই ভয়াল ৩ মে! প্রবাসীদের সেবার মান বাড়াতে স্মার্ট কার্ড প্রদান করা হবে – ড. মোমেন গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের উপস্থিতি হার ৯০ শতাংশ ইবিতে ‘বি’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত অবিলম্বে ১০ম ওয়েজবোর্ড গঠন করুন: বিএফইউজে ও ডিইউজে নেতৃবৃন্দ অজ্ঞান করে স্বর্ণ ও টাকা চুরির রহস্য উদঘাটন ও চোরাই মালামালসহ গ্রেফতার ১ কয়েন প্রতারণার ফাঁদে ফেলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের দুই সদস্য গ্রেফতার ফেসবুকে অপপ্রচার: জবি শিক্ষককের বিচার চেয়ে ভিসির কাছে ডীনের অভিযোগ কুড়িগ্রামে ছাত্রীনিবাসের সামনে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির ভিডিও ধারণ, যুবকের কারাদণ্ড

কেন্দ্রে গিয়ে হামলার শিকার হিরো আলম

স্টাফ রিপোর্টার
  • Update Time : ০৬:১৫:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুলাই ২০২৩
  • / ১৫০ Time View

ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলা হয়েছে। রাজধানীর বনানী এলাকায় ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমকে হামলার ঘটনাটি ঘটে। হামলার পর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সোমবার (১৭ জুলাই) বিকাল ৩টার পর রাজধানীর বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে হিরো আলমের ওপর হামলা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন নির্বাচনে হিরো আলমের প্রধান সমন্বয়ক মো. ইলিয়াস। তিনি বলেন, ভোটকেন্দ্রে হামলার পর হিরো আলমকে রামপুরায় বেটার লাইফ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এ সংক্রান্ত ভিডিওতে দেখা যায়, একদল লোক তাকে মারধর করতে থাকে। ভুয়া ভুয়া বলে তাকে ধাওয়া করা হয়। তারা হিরো আলমকে ধাওয়া দেন এবং তাকে মারতে মারতে সেখান থেকে কিছুদূর পর্যন্ত নিয়ে যান। এ সময় তিনি দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, নৌকা প্রতীকের ব্যাজ পরে হিরো আলমের ওপর হামলা হয়েছে। এ সময় হামলাকারীরা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেন। তবে এ বিষয়ে এখনো সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য জানা যায়নি।

বিকালে কলেজ ভবনের করিডোর দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করছিলেন হিরো আলম। সেখানে কয়েকজন ভক্ত তার সঙ্গে সেলফি তোলেন। এ সময় কয়েকজন তাকে বলেন, ‘এটা টিকটক ভিডিও করার জায়গা না’, ‘এটা ভোটকেন্দ্র’, ‘এটা গুলশান-বনানী’—এই বলে হিরো আলমকে মারতে শুরু করেন তারা। হামলাকারীদের গলায় ‘নৌকা’ প্রতীকের ব্যাজ ঝুলছিল।

সেখানে সবার সামনেই হিরো আলমের ওপর হামলা করা হয়। মারধরের একপর্যায়ে তিনি মাটিতে পড়ে যান। এ সময় তাকে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয়। কালো শার্ট-প্যান্ট পরা একজনকে হিরো আলমের পেটে লাথি মারতে দেখা যায়।

মারধর থেকে বাঁচতে একপর্যায়ে হিরো আলম দৌড়ে পালান। হামলাকারীরা তাকে পেছন থেকে ধাওয়া দেন। তিনি একপর্যায়ে বনানীর ২৩ নম্বর সড়কে গিয়ে একটি রিকশায় ওঠেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে তার গাড়ি আসে। সেই গাড়িতে করেই তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

এর আগে, সকাল ৮টায় ভোট শুরুর দু’ঘণ্টার মাথায়ই হিরো আলম অভিযোগ করেন, কেন্দ্রগুলো থেকে তার এজেন্টদের বের করে দেওয়া হচ্ছে।

সোমবার সকাল ১০টায় ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভোটগ্রহণ চলে। এই আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ২৫ হাজার ২০৫ জন। এই আসনের সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের মৃত্যুতে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ৫ মাস আগে এ উপনির্বাচন হচ্ছে।

এই উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ৮ জন। তাদের মধ্যে দলীয় প্রার্থীরা হলেন-আওয়ামী লীগের মোহম্মদ আলী আরাফাত, জাতীয় পার্টির সিকদার আনিসুর রহমান, জাকের পার্টির কাজী মো. রাশিদুল হাসান, তৃণমূল বিএনপির শেখ হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. রেজাউল ইসলাম স্বপন ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের মো. আকবর হোসেন।

আর স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে আছেন আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর মো. আশরাফুল আলম (হিরো আলম) ও মো. তারিকুল ইসলাম।

উল্লেখ্য, ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে মোট ভোটার ৩ লাখ ২৫ হাজার ২০৫ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭১ হাজার ৬২৫ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৮০ জন।

নির্বাচনী আচরণবিধি সুষ্ঠু হচ্ছে কিনা, তা নিশ্চিত করতে ২৫ জন নির্বাহী ও ৫ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট ভোটের মাঠে তৎপর ছিলেন। মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের ১৫টি টিম, র‌্যাবের ছয়টি টিম ও ১০ প্লাটুন বিজিবি।
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনসহ স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ৭৮টি এলাকার ভোটগ্রহণের পরিস্থিতি সরাসরি সিসি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

Please Share This Post in Your Social Media

কেন্দ্রে গিয়ে হামলার শিকার হিরো আলম

Update Time : ০৬:১৫:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুলাই ২০২৩

ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলা হয়েছে। রাজধানীর বনানী এলাকায় ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমকে হামলার ঘটনাটি ঘটে। হামলার পর তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সোমবার (১৭ জুলাই) বিকাল ৩টার পর রাজধানীর বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে হিরো আলমের ওপর হামলা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন নির্বাচনে হিরো আলমের প্রধান সমন্বয়ক মো. ইলিয়াস। তিনি বলেন, ভোটকেন্দ্রে হামলার পর হিরো আলমকে রামপুরায় বেটার লাইফ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এ সংক্রান্ত ভিডিওতে দেখা যায়, একদল লোক তাকে মারধর করতে থাকে। ভুয়া ভুয়া বলে তাকে ধাওয়া করা হয়। তারা হিরো আলমকে ধাওয়া দেন এবং তাকে মারতে মারতে সেখান থেকে কিছুদূর পর্যন্ত নিয়ে যান। এ সময় তিনি দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, নৌকা প্রতীকের ব্যাজ পরে হিরো আলমের ওপর হামলা হয়েছে। এ সময় হামলাকারীরা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেন। তবে এ বিষয়ে এখনো সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য জানা যায়নি।

বিকালে কলেজ ভবনের করিডোর দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করছিলেন হিরো আলম। সেখানে কয়েকজন ভক্ত তার সঙ্গে সেলফি তোলেন। এ সময় কয়েকজন তাকে বলেন, ‘এটা টিকটক ভিডিও করার জায়গা না’, ‘এটা ভোটকেন্দ্র’, ‘এটা গুলশান-বনানী’—এই বলে হিরো আলমকে মারতে শুরু করেন তারা। হামলাকারীদের গলায় ‘নৌকা’ প্রতীকের ব্যাজ ঝুলছিল।

সেখানে সবার সামনেই হিরো আলমের ওপর হামলা করা হয়। মারধরের একপর্যায়ে তিনি মাটিতে পড়ে যান। এ সময় তাকে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয়। কালো শার্ট-প্যান্ট পরা একজনকে হিরো আলমের পেটে লাথি মারতে দেখা যায়।

মারধর থেকে বাঁচতে একপর্যায়ে হিরো আলম দৌড়ে পালান। হামলাকারীরা তাকে পেছন থেকে ধাওয়া দেন। তিনি একপর্যায়ে বনানীর ২৩ নম্বর সড়কে গিয়ে একটি রিকশায় ওঠেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে তার গাড়ি আসে। সেই গাড়িতে করেই তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

এর আগে, সকাল ৮টায় ভোট শুরুর দু’ঘণ্টার মাথায়ই হিরো আলম অভিযোগ করেন, কেন্দ্রগুলো থেকে তার এজেন্টদের বের করে দেওয়া হচ্ছে।

সোমবার সকাল ১০টায় ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভোটগ্রহণ চলে। এই আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ২৫ হাজার ২০৫ জন। এই আসনের সংসদ সদস্য আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের মৃত্যুতে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ৫ মাস আগে এ উপনির্বাচন হচ্ছে।

এই উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ৮ জন। তাদের মধ্যে দলীয় প্রার্থীরা হলেন-আওয়ামী লীগের মোহম্মদ আলী আরাফাত, জাতীয় পার্টির সিকদার আনিসুর রহমান, জাকের পার্টির কাজী মো. রাশিদুল হাসান, তৃণমূল বিএনপির শেখ হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. রেজাউল ইসলাম স্বপন ও বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের মো. আকবর হোসেন।

আর স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে আছেন আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর মো. আশরাফুল আলম (হিরো আলম) ও মো. তারিকুল ইসলাম।

উল্লেখ্য, ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে মোট ভোটার ৩ লাখ ২৫ হাজার ২০৫ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭১ হাজার ৬২৫ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৮০ জন।

নির্বাচনী আচরণবিধি সুষ্ঠু হচ্ছে কিনা, তা নিশ্চিত করতে ২৫ জন নির্বাহী ও ৫ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট ভোটের মাঠে তৎপর ছিলেন। মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের ১৫টি টিম, র‌্যাবের ছয়টি টিম ও ১০ প্লাটুন বিজিবি।
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনসহ স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ৭৮টি এলাকার ভোটগ্রহণের পরিস্থিতি সরাসরি সিসি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।