ঢাকা ০৯:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
টঙ্গীতে বিনিয়োগকৃত অর্থ আদায়ের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন পরিবেশ ও উন্নয়ন সাংবাদিকতায় হয়রানি হলে সুরক্ষা দেবে সরকার: তথ্য প্রতিমন্ত্রী আজ সেই ভয়াল ৩ মে! প্রবাসীদের সেবার মান বাড়াতে স্মার্ট কার্ড প্রদান করা হবে – ড. মোমেন গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের উপস্থিতি হার ৯০ শতাংশ ইবিতে ‘বি’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত অবিলম্বে ১০ম ওয়েজবোর্ড গঠন করুন: বিএফইউজে ও ডিইউজে নেতৃবৃন্দ অজ্ঞান করে স্বর্ণ ও টাকা চুরির রহস্য উদঘাটন ও চোরাই মালামালসহ গ্রেফতার ১ কয়েন প্রতারণার ফাঁদে ফেলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের দুই সদস্য গ্রেফতার ফেসবুকে অপপ্রচার: জবি শিক্ষককের বিচার চেয়ে ভিসির কাছে ডীনের অভিযোগ

কুষ্টিয়ার সীমান্তবর্তী উপজেলা দৌলতপুরে বেড়েই চলেছে মাদক ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য

আব্দুস সবুর
  • Update Time : ০৩:৪৪:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ অক্টোবর ২০২৩
  • / ১৮৭ Time View

বাংলাদেশের অন্যতম সীমান্তবর্তী উপজেলা কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা। ১৪ টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত দৌলতপুর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নই সীমান্তবর্তী এলাকাজুড়ে অবস্থিত।

এই সীমান্তবর্তী এলাকায় দেদারছে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীদের একাংশ। অনুসন্ধানে তথ্য পাওয়া যায় বিকেল ৪ টার পর হতেই ঠিক সন্ধ্যা পর্যন্ত পার্শ্ববর্তী সীমান্ত ভারতের তারকাটা হতে মাদক গাঁজা,ফেনসিডিল,টাপেন্টাডল ট্যাবলেট আমদানি সিন্ডিকেটের একাংশ দাপাদাপি করে নিষিদ্ধ মাদক আমদানির জন্য।

আর আমদানিকারকদেরই একাংশ সিন্ডিকেট জমজমাট করে ওপেন সিক্রেট ভাবে প্রস্তুুত থাকে খুচরা বিক্রির জন্য। দুপুর ৩ টা হতে মাঝরাত পর্যন্ত চলে মাদক ফেনসিডিল,গাঁজা বিক্রির রমরমা ওপেন সিক্রেট বাজার আর মাঝ রাত হতে ভোর পর্যন্ত চলে মাদক আমাদানি করে সংরক্ষণ।

আদাবাড়ীয়া ইউনিয়নের ধর্মদহ পশ্চিমপাড়া নামক গ্রামে রয়েছে মাদক আমদানিকারকদের বেশ গ্রুুপ ভিত্তিক বড় সিন্ডিকেট।

এ সিন্ডিকেটে রয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা শাখার তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ীদের নাম।দৌলতপুর থানা হতে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দুরুত্ব হওয়ার কারনে আদাবাড়ীয়া ইউনিয়নের ধর্মদহ গ্রামের পাশেই রয়েছে তেকালা পুলিশ ফাঁড়ী,তবে নেই কোনো পূর্বেরমত মাদক উদ্ধার,নেই কোনো মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান,নেই কোনো মাদক মামলা।

মাঝে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর ভূমিকাতে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে ছিল উপজেলার মাদকের ব্যবসা।

তবে বর্তমানের চিত্রটা একেবারেই আলাদা,মাদকের স্বর্গরাজ্য ও মাদক ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্যের রাজ্য হিসেবে পরিণত হয়েছে কুষ্টিয়ার সীমান্তবর্তী উপজেলা দৌলতপুর।

হাত বাড়ালেই খুব সহজেই পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন রকম মাদক। এছাড়া রয়েছে দৌলতপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা প্রাগপুর,রামকৃষ্ণপুর,মহিষকুন্ডি,চিলমারী,মথুরাপুর,সীমান্তবর্তী এলাকা হতে নদীপথের কিছু অংশ ফিলিপনগর,মরিচা সহ হোগলবাড়ীয়া ইউনিয়ন-এসকল এলাকায় মাদকের প্রায় সাতশত থেকে এক হাজার টিরও বেশি মাদক বিক্রয় ও সেবনের স্পট রয়েছে।

তবে দৌলতপুর থানা ও উপজেলা পরিষদের দুই কিলোমিটারের মধ্যেই রয়েছে প্রায় ১৪ থেকে ১৫ টি মাদক সেবন ও বিক্রয় স্পট। এর মধ্যে উপজেলার সাদিপুর মাঠপাড়া কল্লানপুর রোড,সাহাপুর ও বেগুনবাড়ী এলাকাটা হচ্ছে মাদকের একটি উল্লেখযোগ্য স্পট।

যেখানে দিন থেকে গভীর রাত পর্যন্ত অনেকটা প্রকাশ্যেই বিক্রি হয় বিভিন্ন রকম মাদক। এইসব মাদক স্পট গুলোর মধ্যে রয়েছে খোদ দৌলতপুর থানা থেকে আধা কিলোমিটার দূরে দৌলতপুর গোরস্থান পাড়া।

যেখানে প্রকাশ্য দিবালোকে কতিপয় ব্যক্তি বিক্রি করছে মাদক দ্রব্য।এখানে বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মাদক সেবীরা খুব সহজেই মাদক সেবন করে চলে যাচ্ছে। এতে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ওই এলাকার সচেতন মানুষ।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তিরা ও সু-শীল সমাজের ব্যাক্তিবর্গ জানান,উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা জুড়ে মাদকের স্বর্গরাজ্য ও মাদক ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্যের রাজ্য হিসেবে পরিণত হয়েছে।

মাদক ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্যে জেলা জুড়ে মাদকের বিষাক্ত ছোবলে খুব সমাজ থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সীর দিকে ধাবিত হচ্ছে।

এভাবে চলতে থাকলে মাদকের ভয়াবহতায় প্রতিটি পরিবার আক্রান্ত হবে বলে ধারণা করছেন তারা।এজন্য ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তারা।

সীমান্তবর্তী প্রাগপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুজ্জামান মুকুল সরকার মাদকের প্রবণতা বৃদ্ধির বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,অতীতের তুলনায় বর্তমানে মাদকের প্রবণতা অনেকটা বেশি।

সে কারণে শিক্ষার্থীসহ যুব সমাজ অনেকটাই মাদকে আসক্ত হয়ে পড়েছেন। এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম মাদকের প্রবণতা বৃদ্ধির বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন,বিগত দিনে মাসে প্রায় ৮০ থেকে ৯০ টি মাদকের মামলা হতো। কিন্তু গত মাসে ২৭ টি মাদকের মামলা হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

কুষ্টিয়ার সীমান্তবর্তী উপজেলা দৌলতপুরে বেড়েই চলেছে মাদক ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য

Update Time : ০৩:৪৪:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ অক্টোবর ২০২৩

বাংলাদেশের অন্যতম সীমান্তবর্তী উপজেলা কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা। ১৪ টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত দৌলতপুর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নই সীমান্তবর্তী এলাকাজুড়ে অবস্থিত।

এই সীমান্তবর্তী এলাকায় দেদারছে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীদের একাংশ। অনুসন্ধানে তথ্য পাওয়া যায় বিকেল ৪ টার পর হতেই ঠিক সন্ধ্যা পর্যন্ত পার্শ্ববর্তী সীমান্ত ভারতের তারকাটা হতে মাদক গাঁজা,ফেনসিডিল,টাপেন্টাডল ট্যাবলেট আমদানি সিন্ডিকেটের একাংশ দাপাদাপি করে নিষিদ্ধ মাদক আমদানির জন্য।

আর আমদানিকারকদেরই একাংশ সিন্ডিকেট জমজমাট করে ওপেন সিক্রেট ভাবে প্রস্তুুত থাকে খুচরা বিক্রির জন্য। দুপুর ৩ টা হতে মাঝরাত পর্যন্ত চলে মাদক ফেনসিডিল,গাঁজা বিক্রির রমরমা ওপেন সিক্রেট বাজার আর মাঝ রাত হতে ভোর পর্যন্ত চলে মাদক আমাদানি করে সংরক্ষণ।

আদাবাড়ীয়া ইউনিয়নের ধর্মদহ পশ্চিমপাড়া নামক গ্রামে রয়েছে মাদক আমদানিকারকদের বেশ গ্রুুপ ভিত্তিক বড় সিন্ডিকেট।

এ সিন্ডিকেটে রয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা শাখার তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ীদের নাম।দৌলতপুর থানা হতে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দুরুত্ব হওয়ার কারনে আদাবাড়ীয়া ইউনিয়নের ধর্মদহ গ্রামের পাশেই রয়েছে তেকালা পুলিশ ফাঁড়ী,তবে নেই কোনো পূর্বেরমত মাদক উদ্ধার,নেই কোনো মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান,নেই কোনো মাদক মামলা।

মাঝে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর ভূমিকাতে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে ছিল উপজেলার মাদকের ব্যবসা।

তবে বর্তমানের চিত্রটা একেবারেই আলাদা,মাদকের স্বর্গরাজ্য ও মাদক ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্যের রাজ্য হিসেবে পরিণত হয়েছে কুষ্টিয়ার সীমান্তবর্তী উপজেলা দৌলতপুর।

হাত বাড়ালেই খুব সহজেই পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন রকম মাদক। এছাড়া রয়েছে দৌলতপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা প্রাগপুর,রামকৃষ্ণপুর,মহিষকুন্ডি,চিলমারী,মথুরাপুর,সীমান্তবর্তী এলাকা হতে নদীপথের কিছু অংশ ফিলিপনগর,মরিচা সহ হোগলবাড়ীয়া ইউনিয়ন-এসকল এলাকায় মাদকের প্রায় সাতশত থেকে এক হাজার টিরও বেশি মাদক বিক্রয় ও সেবনের স্পট রয়েছে।

তবে দৌলতপুর থানা ও উপজেলা পরিষদের দুই কিলোমিটারের মধ্যেই রয়েছে প্রায় ১৪ থেকে ১৫ টি মাদক সেবন ও বিক্রয় স্পট। এর মধ্যে উপজেলার সাদিপুর মাঠপাড়া কল্লানপুর রোড,সাহাপুর ও বেগুনবাড়ী এলাকাটা হচ্ছে মাদকের একটি উল্লেখযোগ্য স্পট।

যেখানে দিন থেকে গভীর রাত পর্যন্ত অনেকটা প্রকাশ্যেই বিক্রি হয় বিভিন্ন রকম মাদক। এইসব মাদক স্পট গুলোর মধ্যে রয়েছে খোদ দৌলতপুর থানা থেকে আধা কিলোমিটার দূরে দৌলতপুর গোরস্থান পাড়া।

যেখানে প্রকাশ্য দিবালোকে কতিপয় ব্যক্তি বিক্রি করছে মাদক দ্রব্য।এখানে বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মাদক সেবীরা খুব সহজেই মাদক সেবন করে চলে যাচ্ছে। এতে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ওই এলাকার সচেতন মানুষ।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তিরা ও সু-শীল সমাজের ব্যাক্তিবর্গ জানান,উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা জুড়ে মাদকের স্বর্গরাজ্য ও মাদক ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্যের রাজ্য হিসেবে পরিণত হয়েছে।

মাদক ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্যে জেলা জুড়ে মাদকের বিষাক্ত ছোবলে খুব সমাজ থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সীর দিকে ধাবিত হচ্ছে।

এভাবে চলতে থাকলে মাদকের ভয়াবহতায় প্রতিটি পরিবার আক্রান্ত হবে বলে ধারণা করছেন তারা।এজন্য ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তারা।

সীমান্তবর্তী প্রাগপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুজ্জামান মুকুল সরকার মাদকের প্রবণতা বৃদ্ধির বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,অতীতের তুলনায় বর্তমানে মাদকের প্রবণতা অনেকটা বেশি।

সে কারণে শিক্ষার্থীসহ যুব সমাজ অনেকটাই মাদকে আসক্ত হয়ে পড়েছেন। এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম মাদকের প্রবণতা বৃদ্ধির বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন,বিগত দিনে মাসে প্রায় ৮০ থেকে ৯০ টি মাদকের মামলা হতো। কিন্তু গত মাসে ২৭ টি মাদকের মামলা হয়েছে।