ঢাকা ১২:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
আজ সেই ভয়াল ৩ মে! প্রবাসীদের সেবার মান বাড়াতে স্মার্ট কার্ড প্রদান করা হবে – ড. মোমেন গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের উপস্থিতি হার ৯০ শতাংশ ইবিতে ‘বি’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত অবিলম্বে ১০ম ওয়েজবোর্ড গঠন করুন: বিএফইউজে ও ডিইউজে নেতৃবৃন্দ অজ্ঞান করে স্বর্ণ ও টাকা চুরির রহস্য উদঘাটন ও চোরাই মালামালসহ গ্রেফতার ১ কয়েন প্রতারণার ফাঁদে ফেলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের দুই সদস্য গ্রেফতার ফেসবুকে অপপ্রচার: জবি শিক্ষককের বিচার চেয়ে ভিসির কাছে ডীনের অভিযোগ কুড়িগ্রামে ছাত্রীনিবাসের সামনে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির ভিডিও ধারণ, যুবকের কারাদণ্ড সাইকেল চালিয়ে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পাড়ি দিয়েছেন “দিদার”

২০১৮ সালের চেয়েও এবারের নির্বাচন বেশী খারাপ হয়েছে : কাদের সিদ্দিকী

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৮:৫০:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৫২ Time View

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেছেন, ২০১৮ সালের নির্বাচন যেমনি কোন রকম গুনগত মান সম্পন্ন ছিলনা, ২০২৪ সালের নির্বাচন তার চাইতেও বেশি খারাপ হয়েছে।

তিনি বলেন, আমি ব্যাক্তিগতভাবে খুবই আশাবাদি ছিলাম। আমি বিশ্বাস করেছিলাম একটি সুষ্ঠুু ,অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। কিন্ত অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হয় ১৮’ সালের নির্বাচনের চাইতেও ২৪’ সালের নির্বাচন খারাপ হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে মিট দ্যা প্রেসে কাদের সিদ্দিকী এসব কথা বলেন।

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, ১৮ সালের নির্বাচনে তবুও কিছু লোক ভোটকেন্দ্রে গিয়েছিল। ভোট দিয়েছিল। এবার সেই পরিমান লোকও ভোটকেন্দ্রে যায় নাই, ভোট দেয় নাই ও ভোট দিতে পারেনাই। অধিকাংশ ক্ষেত্রে মানুষ উৎসাহ পায় নাই তাই ভোট দিতে যায় নাই। সাধারন ভোটারদের ৫ শতাংশও ভোট দিতে যায়নি। যারা অন্যদল করে তারা ১ শতাংশও ভোট দিতে যায় নাই। আমার নিজের দলেরও ৫০ শতাংশ ভোট দিতে যায় নাই।

বাসাইল-সখীপুরে ২৯ থেকে ৩০ হাজার ভোট চুরি করা হয়েছে। যারা ডিউটিতে ছিল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তারা চুরি করে তাহলে জাতি তাদের কাছ থেকে কি শিখবে। জাতি খুব অসহায় হয়ে পড়েছে এদের হাতে।’

নির্বাচনে অনিয়মের কথা উল্লেখ করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘এক চোরের বিচার আরেক চোরের কাছে দিয়ে কি হবে। আমার জন্য রাষ্ট্রের কোনো ক্ষতি হয় এমন কোনো কাজ আমি করব না। বর্তমানে সংসদ আছে সংসদ সদস্যের কোনো মর্যাদা নাই, রাজনীতি আছে নেতাদের মূল্যায়ন নাই, আমেরিকা এই নির্বাচন মেনে নিল কি নিল না সেইটা দেখার বিষয় না, তবে আমার দেশের মানুষ খুশি হলো কি না এইটা হলো বড় বিষয়, তবে আমি জানি নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি ও মানুষ খুশি না। সরকার কোনো সস্তিতে নাই। নির্বাচন যদি ৭০ শতাংশ হত তাহলে ভালো হতো। কিন্তু কোথাও ২৫ শতাংশ ভোট হয়নি, সরকার সস্তিতে থাকার জন্য মানুষের আস্থা কুড়াতে হবে।’

তিনি বলেন, আমি নির্বাচনে হেরেছি। প্রকৃতই যদি হেরে থাকি তবে বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমানও হেরেছেন। বাংলাদেশে রাজনৈতিকভাবে বঙ্গবন্ধুর অনুসারী কাদের সিদ্দিকীর আগে একজনও নেই। পরে আছে কিনা বলতে পারবোনা। এই পরাজয় যদি সঠিকভাবে হয়ে থাকে তাহলে এটা মুক্তিযুদ্ধের পরাজয়, মুক্তিযোদ্ধাদের পরাজয়। মানুষ মুক্তিযুদ্ধ চায় না অথবা মুক্তিযোদ্ধাকে চায় না। যদি ধরে নেয়া হয় নির্বাচনে আমরা সত্যিকারভাবে হেরেছি। তাহলে মানুষ এসব কিছু থেকে মুখ সরিয়ে নিয়েছে। আর যদি এটাকে ইঞ্জিনিয়ারিং বলা হয়, কারচুপি বলা হয়, ডাকাতি বলা হয় তাহলে সেটা অন্য জিনিস।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বলেন, সরকার ভোটের আগেও স্বস্তিতে ছিলনা। আগামী দিনগুলোতেও খুব একটা স্বস্তিতে থাকতে পারবেনা। আমি নির্বাচন করেছি অনিয়ম হয়েছে কিন্তু কথা হলো চোরের বিচার চোরের কাছে দিব নাকি,তাই কোথাও অভিযোগ দেইনি।

এসময় টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি এড্ভোকেট জাফর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিনসহ বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রিক ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকরাসহ টাঙ্গাইল জেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারন সম্পাদক সালেক হোসেন হিটলু, কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য ফরিদ আহমেদ ও জেলা যুব আন্দোলনের সভাপতি আতিকুর রহমান সাদেকসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

Please Share This Post in Your Social Media

২০১৮ সালের চেয়েও এবারের নির্বাচন বেশী খারাপ হয়েছে : কাদের সিদ্দিকী

Update Time : ০৮:৫০:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেছেন, ২০১৮ সালের নির্বাচন যেমনি কোন রকম গুনগত মান সম্পন্ন ছিলনা, ২০২৪ সালের নির্বাচন তার চাইতেও বেশি খারাপ হয়েছে।

তিনি বলেন, আমি ব্যাক্তিগতভাবে খুবই আশাবাদি ছিলাম। আমি বিশ্বাস করেছিলাম একটি সুষ্ঠুু ,অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। কিন্ত অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হয় ১৮’ সালের নির্বাচনের চাইতেও ২৪’ সালের নির্বাচন খারাপ হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে মিট দ্যা প্রেসে কাদের সিদ্দিকী এসব কথা বলেন।

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, ১৮ সালের নির্বাচনে তবুও কিছু লোক ভোটকেন্দ্রে গিয়েছিল। ভোট দিয়েছিল। এবার সেই পরিমান লোকও ভোটকেন্দ্রে যায় নাই, ভোট দেয় নাই ও ভোট দিতে পারেনাই। অধিকাংশ ক্ষেত্রে মানুষ উৎসাহ পায় নাই তাই ভোট দিতে যায় নাই। সাধারন ভোটারদের ৫ শতাংশও ভোট দিতে যায়নি। যারা অন্যদল করে তারা ১ শতাংশও ভোট দিতে যায় নাই। আমার নিজের দলেরও ৫০ শতাংশ ভোট দিতে যায় নাই।

বাসাইল-সখীপুরে ২৯ থেকে ৩০ হাজার ভোট চুরি করা হয়েছে। যারা ডিউটিতে ছিল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তারা চুরি করে তাহলে জাতি তাদের কাছ থেকে কি শিখবে। জাতি খুব অসহায় হয়ে পড়েছে এদের হাতে।’

নির্বাচনে অনিয়মের কথা উল্লেখ করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘এক চোরের বিচার আরেক চোরের কাছে দিয়ে কি হবে। আমার জন্য রাষ্ট্রের কোনো ক্ষতি হয় এমন কোনো কাজ আমি করব না। বর্তমানে সংসদ আছে সংসদ সদস্যের কোনো মর্যাদা নাই, রাজনীতি আছে নেতাদের মূল্যায়ন নাই, আমেরিকা এই নির্বাচন মেনে নিল কি নিল না সেইটা দেখার বিষয় না, তবে আমার দেশের মানুষ খুশি হলো কি না এইটা হলো বড় বিষয়, তবে আমি জানি নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি ও মানুষ খুশি না। সরকার কোনো সস্তিতে নাই। নির্বাচন যদি ৭০ শতাংশ হত তাহলে ভালো হতো। কিন্তু কোথাও ২৫ শতাংশ ভোট হয়নি, সরকার সস্তিতে থাকার জন্য মানুষের আস্থা কুড়াতে হবে।’

তিনি বলেন, আমি নির্বাচনে হেরেছি। প্রকৃতই যদি হেরে থাকি তবে বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমানও হেরেছেন। বাংলাদেশে রাজনৈতিকভাবে বঙ্গবন্ধুর অনুসারী কাদের সিদ্দিকীর আগে একজনও নেই। পরে আছে কিনা বলতে পারবোনা। এই পরাজয় যদি সঠিকভাবে হয়ে থাকে তাহলে এটা মুক্তিযুদ্ধের পরাজয়, মুক্তিযোদ্ধাদের পরাজয়। মানুষ মুক্তিযুদ্ধ চায় না অথবা মুক্তিযোদ্ধাকে চায় না। যদি ধরে নেয়া হয় নির্বাচনে আমরা সত্যিকারভাবে হেরেছি। তাহলে মানুষ এসব কিছু থেকে মুখ সরিয়ে নিয়েছে। আর যদি এটাকে ইঞ্জিনিয়ারিং বলা হয়, কারচুপি বলা হয়, ডাকাতি বলা হয় তাহলে সেটা অন্য জিনিস।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বলেন, সরকার ভোটের আগেও স্বস্তিতে ছিলনা। আগামী দিনগুলোতেও খুব একটা স্বস্তিতে থাকতে পারবেনা। আমি নির্বাচন করেছি অনিয়ম হয়েছে কিন্তু কথা হলো চোরের বিচার চোরের কাছে দিব নাকি,তাই কোথাও অভিযোগ দেইনি।

এসময় টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি এড্ভোকেট জাফর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিনসহ বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রিক ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকরাসহ টাঙ্গাইল জেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারন সম্পাদক সালেক হোসেন হিটলু, কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য ফরিদ আহমেদ ও জেলা যুব আন্দোলনের সভাপতি আতিকুর রহমান সাদেকসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।