ঢাকা ০৫:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
ইবিতে বৃষ্টির আশায় ইসতিসকার নামাজ আদায় সবাইকে সর্বজনীন পেনশনের আওতায় আনা হবে: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক জমি নিয়ে বিরোধ, ভাতিজার বিরুদ্ধে চাচাকে অপহরণের অভিযোগ মেধা ও মানসিক বিকাশের জন্য বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালিত কুষ্টিয়া দৌলতপুরে সাংবাদিকের উপর হামলার এজাহারভুক্ত দুই আসামী গ্রেফতার তীব্র দাবদাহের জন্য ভোটার উপস্থিতি নিয়ে শঙ্কা আছে: ইসি আনিছুর রহমান এক টাকাও বেতন নেন না চিফ হিট অফিসার: ডিএনসিসি মেয়র রাশিয়ার বিরুদ্ধে দূরপাল্লার মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করছে ইউক্রেন দেশে টিআইএনধারীর সংখ্যা ১ কোটি ২ লাখ ছাড়িয়ে

সিলেটে ‘বর্জ্য পৃথকীকরণ প্ল্যান্ট’ উদ্বোধন করলেন এলজিআরডি মন্ত্রী

মো.মুহিবুর রহমান, সিলেট
  • Update Time : ০৯:২২:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৫৩ Time View

সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)-এর প্লাস্টিক ও মিউনিসিপ্যাল সলিড বর্জ্য টেকসই উপায়ে ব্যবস্থাপনার লক্ষে ১৫ কোটি ত্রিশ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি বর্জ্য পৃথকীকরণ প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়েছে।

শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সিলেটের দক্ষিণ সুরমার মোগলাবাজার থানাধীন লালমাটিয়া ডাম্পিং গ্রাউন্ডে এই প্ল্যান্টের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এমপি।

এসময় সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য ড. এ কে আব্দুল মোমেন, সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিুবর রহমান হাবিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইব্রাহিম, সিসিক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেড-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

সিলেট সিটি করপোরেশন এবং লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেড-এর যৌথ উদ্যোগে এটাই দেশের প্রথম ও একমাত্র প্লাস্টিক বর্জ্য পৃথকীকরণ প্ল্যান্ট। এই প্ল্যান্টের মাধ্যমে পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর অপচনশীল প্লাস্টিক জাতীয় পণ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে আলাদা করা সম্ভব হবে। এই প্ল্যান্টটি চালুর ফলে সিলেট মহানগরের প্লাস্টিক বর্জ্যের হাত থেকে মুক্তি পাবে বলে আশা করছে সিসিক।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘প্লাস্টিক বর্জ্য টেকসই ব্যবস্থাপনা আমাদের দীর্ঘদিনের চ্যালেঞ্জ। পুরো পৃথিবীই এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিভিন্ন ধরনের টেকসই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ সরকারও সরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে প্লাস্টিক দূষণ হ্রাসে কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের একার পক্ষে কঠিন এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা সম্ভব নয়, তাই প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। এ ক্ষেত্রে লাফার্জ হোলসিম এগিয়ে আসার জন্য তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।’

সভাপতির সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন- ‘সিলেট সিটিকে একটি প্লাস্টিকমুক্ত নগরে রুপান্তর করা আমার অন্যতম লক্ষ্য। এই উদ্দেশ্যেই আমরা লাফার্জ হোলসিমের সঙ্গে মিলে কাজ করছি। সিলেটবাসীর কাছে আমার অনুরোধ- আপনারাও সচেতন হোন এবং প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহার কমান। আর যেখানে-সেখানে প্লাস্টিক পণ্য ফেলে পরিবেশের ক্ষতি করবেন না। আপনাদের সাথে নিয়ে আমরা সিলেটকে দেশের প্রথম প্লাস্টিক বর্জ্যমুক্ত মহানগর গড়তে চাই।’

এদিকে, মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম শনিবার সকাল ৮টায় ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে সিলেট আসেন। এসময় তাঁকে স্বাগত জানান, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী এমপি, সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, সিলেট সিটি কর্পেরেশনের মেয়র মো.আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নাসির উদ্দিন খান।
সিলেটে দিনের শুরুতেই মন্ত্রী সাগরদীঘিরপাড় ওয়াকওয়ে পরিদর্শন করেন। পরে তিনি এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক স্থাপিত অক্সিজেন প্ল্যান্টের শুভ উদ্বোধন করেন। এছাড়াও তিনি নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজিরবাজার বৈঠা খাল পরিদর্শন, নবনির্মিত কদমতলী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল পরিদর্শন, সিটি কর্তাপোরেশন কতৃত তাকে দেয়া সংবধনায় অংশ নেন, সিসিক পরিচালিত কুমারপাড়াস্থ ওসমান মিয়া মার্চেন্ট মা ও শিশু হাসপাতালের উদ্বোধন, আরবান রেসিলিয়েন্সের আওতায় নির্মিত নগর ভবনের ৬ষ্ঠ তলায় ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার পরিদর্শন ও জালালাবাদ পার্কে সিসিক কর্তৃক আয়োজিত বসন্ত উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

সিলেটে ‘বর্জ্য পৃথকীকরণ প্ল্যান্ট’ উদ্বোধন করলেন এলজিআরডি মন্ত্রী

Update Time : ০৯:২২:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)-এর প্লাস্টিক ও মিউনিসিপ্যাল সলিড বর্জ্য টেকসই উপায়ে ব্যবস্থাপনার লক্ষে ১৫ কোটি ত্রিশ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি বর্জ্য পৃথকীকরণ প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়েছে।

শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সিলেটের দক্ষিণ সুরমার মোগলাবাজার থানাধীন লালমাটিয়া ডাম্পিং গ্রাউন্ডে এই প্ল্যান্টের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এমপি।

এসময় সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য ড. এ কে আব্দুল মোমেন, সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিুবর রহমান হাবিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইব্রাহিম, সিসিক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেড-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

সিলেট সিটি করপোরেশন এবং লাফার্জ হোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেড-এর যৌথ উদ্যোগে এটাই দেশের প্রথম ও একমাত্র প্লাস্টিক বর্জ্য পৃথকীকরণ প্ল্যান্ট। এই প্ল্যান্টের মাধ্যমে পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর অপচনশীল প্লাস্টিক জাতীয় পণ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে আলাদা করা সম্ভব হবে। এই প্ল্যান্টটি চালুর ফলে সিলেট মহানগরের প্লাস্টিক বর্জ্যের হাত থেকে মুক্তি পাবে বলে আশা করছে সিসিক।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘প্লাস্টিক বর্জ্য টেকসই ব্যবস্থাপনা আমাদের দীর্ঘদিনের চ্যালেঞ্জ। পুরো পৃথিবীই এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিভিন্ন ধরনের টেকসই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ সরকারও সরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে প্লাস্টিক দূষণ হ্রাসে কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের একার পক্ষে কঠিন এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা সম্ভব নয়, তাই প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। এ ক্ষেত্রে লাফার্জ হোলসিম এগিয়ে আসার জন্য তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।’

সভাপতির সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন- ‘সিলেট সিটিকে একটি প্লাস্টিকমুক্ত নগরে রুপান্তর করা আমার অন্যতম লক্ষ্য। এই উদ্দেশ্যেই আমরা লাফার্জ হোলসিমের সঙ্গে মিলে কাজ করছি। সিলেটবাসীর কাছে আমার অনুরোধ- আপনারাও সচেতন হোন এবং প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহার কমান। আর যেখানে-সেখানে প্লাস্টিক পণ্য ফেলে পরিবেশের ক্ষতি করবেন না। আপনাদের সাথে নিয়ে আমরা সিলেটকে দেশের প্রথম প্লাস্টিক বর্জ্যমুক্ত মহানগর গড়তে চাই।’

এদিকে, মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম শনিবার সকাল ৮টায় ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে সিলেট আসেন। এসময় তাঁকে স্বাগত জানান, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী এমপি, সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, সিলেট সিটি কর্পেরেশনের মেয়র মো.আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সিলেট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নাসির উদ্দিন খান।
সিলেটে দিনের শুরুতেই মন্ত্রী সাগরদীঘিরপাড় ওয়াকওয়ে পরিদর্শন করেন। পরে তিনি এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক স্থাপিত অক্সিজেন প্ল্যান্টের শুভ উদ্বোধন করেন। এছাড়াও তিনি নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজিরবাজার বৈঠা খাল পরিদর্শন, নবনির্মিত কদমতলী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল পরিদর্শন, সিটি কর্তাপোরেশন কতৃত তাকে দেয়া সংবধনায় অংশ নেন, সিসিক পরিচালিত কুমারপাড়াস্থ ওসমান মিয়া মার্চেন্ট মা ও শিশু হাসপাতালের উদ্বোধন, আরবান রেসিলিয়েন্সের আওতায় নির্মিত নগর ভবনের ৬ষ্ঠ তলায় ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার পরিদর্শন ও জালালাবাদ পার্কে সিসিক কর্তৃক আয়োজিত বসন্ত উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন।