ঢাকা ১২:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
ইবিতে বৃষ্টির আশায় ইসতিসকার নামাজ আদায় সবাইকে সর্বজনীন পেনশনের আওতায় আনা হবে: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক জমি নিয়ে বিরোধ, ভাতিজার বিরুদ্ধে চাচাকে অপহরণের অভিযোগ মেধা ও মানসিক বিকাশের জন্য বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালিত কুষ্টিয়া দৌলতপুরে সাংবাদিকের উপর হামলার এজাহারভুক্ত দুই আসামী গ্রেফতার তীব্র দাবদাহের জন্য ভোটার উপস্থিতি নিয়ে শঙ্কা আছে: ইসি আনিছুর রহমান এক টাকাও বেতন নেন না চিফ হিট অফিসার: ডিএনসিসি মেয়র রাশিয়ার বিরুদ্ধে দূরপাল্লার মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করছে ইউক্রেন দেশে টিআইএনধারীর সংখ্যা ১ কোটি ২ লাখ ছাড়িয়ে

টঙ্গীতে বৃদ্ধাকে মারধরের অভিযোগে গ্রেফতার ১

জাহাঙ্গীর আকন্দ
  • Update Time : ১২:৩৯:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৫৬ Time View

গাজীপুরের টঙ্গীর এরশাদনগর ৭নং ব্লক এলাকায় প্রসাশনকে তোয়াক্কা না করে সৎ মেয়ের জামাই মোঃ সোহেল, সতিন মোছাঃ মিনা বেগম ও তার মেয়ে অন্তরা ও চাদনী সহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজন জোরপূর্বক বাড়িতে প্রবশ করে ঘরের দরজা ভেঙে আয়েশা আক্তার (৫৬)নামে এক বৃদ্ধাকে নির্যাতন করে রাস্তায় ফেলে যাওয়ায় ক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী।

গত ৩০শে মার্চ শনিবার সন্ধ্যা ৬ টায় এরশাদনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী গুরুতর আহত অবস্থায় আয়েশা বেগমকে মারধর করতে দেখে টঙ্গী পূর্ব থানায় খবর দিলে এসআই মনির ঘটনাস্থলে এসে আয়েশা বেগম কে উদ্ধার করে শহীদ আহসান উল্লাহ মাষ্ঠার জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে। এঘটনায় পুলিশ মিনার মেয়ে জামাই সোহেল কে গ্রেফতার করলেও অন্যরা পলাতক রয়েছে।

আয়েশা বেগম জানায়, আমি সারাদিন রোজা রেখে ঘরে ইফতার করবো এমন সময় হঠাত আমার স্বামীর ৩য় স্ত্রী মিনা ও তার মেয়ে অন্তরা,চাদনি ও মেয়ের জামাই সোহেল গালাগাল করতে করতে আমার বাড়ির ভিতর প্রবেশ করে এসময় তাদের হাতে লোহার রড, দা ও হাতুড়ি দেখতে পেয়ে আমি ভয়ে তাড়াহুড়া করে ঘরের দরজা বন্ধ করে দেই। বাড়িতে ঢুকে অন্তরা বাড়ির মেইন গেইট লাগিয়ে দেয় এরপর বাড়ির বিদ্যুতের তার কেটে দিয়ে লোহার সাবাল ও হাতুড়ি দিয়ে ঘরের দরজা ভেঙে ফেলে। আমি ফোন করে অনেকের কাছে সহযোগিতা চেয়েছি চিৎকার করেছি কিন্তু মেইন গেইট আটকায়া দিছে তাই কেউ সহযোগীতা করতে পারেনি। ওরা যেইভাবে পারছে হাতুর দিয়া রড দিয়া আমারে পিটাইছে। টানা ১ঘন্টার মতো পিটাইতে পিটাইতে ওরা যখন হয়রান হয়ে গেছে তখন আমার হাত পা ধরে তুলে নিয়ে রাস্তায় ফেলে আসে। আর বলতে থাকে তোর পুলিশ বাবারা কই। আইতে ক এখন। তোরে এখন কোন বাপেরা বাচাইলো না। তারপর আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। জ্ঞান ফেরার পর দেখি আমি হাসপাতালে। ওরা আমাকে এমন ভাবে মারতেছিলো আমি ভেবেছিলাম আমি আর বাচবো না।

স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, অবসর প্রাপ্ত পুলিশ কনস্টেবল গিয়াস উদ্দিনের বড় স্ত্রী হলেন আয়েশা বেগম। আয়েশা দীরঘ ৩২ বছর যাবত এরশাদনগর এলাকায় ৭নং ব্লকের এই বাড়িতেই বসবাস করে আসছে। সব কিছু ঠিক ছিলো হঠাত একদিন গিয়াস তার ৩য় স্ত্রি মিনা ও তার মেয়েদের পাশের একটি বাড়িতে নিয়ে আসে। এখানে আসার পর থেকেই তারা বিভিন্ন কায়দায় আয়েশা বেগমের সাথে বিবাদ সৃষ্টি করে আসছে। ৩য় স্ত্রীর প্রয়োচনায় পরে গিয়াস উদ্দিন প্রতিনিয়ত আয়েশাকে বিভিন্ন ভাবে অত্যাচার করতো। স্বামী ও সতীনের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে আয়েশা নিরুপায় হয়ে গিয়াস উদ্দিন কে সরিয়া অনুযায়ী তালাক দিলেও এখনো রেহাই পায়নি। মিনা ও তার পরিবারের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে এলাকাবাসী এর আগেও গণসাক্ষর সহ কাউন্সিলরের কার্যালয়ে আমরা অভিযোগ করেছি। গিয়াস উদিনের স্ত্রী মিনা, তার মেয়ে চাদনি, অন্তরা ও তার স্বামী সোহেল এর আগেও একাধীকবার হত্যার চেষ্টা করে মারধর করেছে। মারামারির ঘটনার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই মনির যখন তদন্ত করতে আসে তখন মিনা ও তার মেয়ে অন্তরা অত্যান্ত অশালীন প্রকৃতির আচরণ করে। আইনের প্রতি তাদের কোন সম্মানবোধ নেই। তদন্ত কালীন সময় মিনার মেয়ে অন্তরা এসআই মনির এর চাকরি খেয়ে ফেলার হুমকিও দিয়েছে।

এবিষয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আমির হামজা বলেন, গিয়াস উদিন একাধীক বিয়ে করেছেন। তার বড় স্ত্রী আয়েশা বেগম প্রায় ৩২ বছর এই বাড়িতে বসবাস করছে। বাড়ির বিদ্যুত ও পানির বিল সবই আয়েশা বেগমের। মিনা ও তার মেয়েদের কর্মকাণ্ডে এলাকাবাসী অতিষ্ট আমার কাছেও অভিযোগ এসেছে।

এবিষয়ে টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, আয়েশা বেগম কে মারধরের ঘটনায় সোহেল নামে একজন কে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

Please Share This Post in Your Social Media

টঙ্গীতে বৃদ্ধাকে মারধরের অভিযোগে গ্রেফতার ১

Update Time : ১২:৩৯:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ এপ্রিল ২০২৪

গাজীপুরের টঙ্গীর এরশাদনগর ৭নং ব্লক এলাকায় প্রসাশনকে তোয়াক্কা না করে সৎ মেয়ের জামাই মোঃ সোহেল, সতিন মোছাঃ মিনা বেগম ও তার মেয়ে অন্তরা ও চাদনী সহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজন জোরপূর্বক বাড়িতে প্রবশ করে ঘরের দরজা ভেঙে আয়েশা আক্তার (৫৬)নামে এক বৃদ্ধাকে নির্যাতন করে রাস্তায় ফেলে যাওয়ায় ক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী।

গত ৩০শে মার্চ শনিবার সন্ধ্যা ৬ টায় এরশাদনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী গুরুতর আহত অবস্থায় আয়েশা বেগমকে মারধর করতে দেখে টঙ্গী পূর্ব থানায় খবর দিলে এসআই মনির ঘটনাস্থলে এসে আয়েশা বেগম কে উদ্ধার করে শহীদ আহসান উল্লাহ মাষ্ঠার জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে। এঘটনায় পুলিশ মিনার মেয়ে জামাই সোহেল কে গ্রেফতার করলেও অন্যরা পলাতক রয়েছে।

আয়েশা বেগম জানায়, আমি সারাদিন রোজা রেখে ঘরে ইফতার করবো এমন সময় হঠাত আমার স্বামীর ৩য় স্ত্রী মিনা ও তার মেয়ে অন্তরা,চাদনি ও মেয়ের জামাই সোহেল গালাগাল করতে করতে আমার বাড়ির ভিতর প্রবেশ করে এসময় তাদের হাতে লোহার রড, দা ও হাতুড়ি দেখতে পেয়ে আমি ভয়ে তাড়াহুড়া করে ঘরের দরজা বন্ধ করে দেই। বাড়িতে ঢুকে অন্তরা বাড়ির মেইন গেইট লাগিয়ে দেয় এরপর বাড়ির বিদ্যুতের তার কেটে দিয়ে লোহার সাবাল ও হাতুড়ি দিয়ে ঘরের দরজা ভেঙে ফেলে। আমি ফোন করে অনেকের কাছে সহযোগিতা চেয়েছি চিৎকার করেছি কিন্তু মেইন গেইট আটকায়া দিছে তাই কেউ সহযোগীতা করতে পারেনি। ওরা যেইভাবে পারছে হাতুর দিয়া রড দিয়া আমারে পিটাইছে। টানা ১ঘন্টার মতো পিটাইতে পিটাইতে ওরা যখন হয়রান হয়ে গেছে তখন আমার হাত পা ধরে তুলে নিয়ে রাস্তায় ফেলে আসে। আর বলতে থাকে তোর পুলিশ বাবারা কই। আইতে ক এখন। তোরে এখন কোন বাপেরা বাচাইলো না। তারপর আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। জ্ঞান ফেরার পর দেখি আমি হাসপাতালে। ওরা আমাকে এমন ভাবে মারতেছিলো আমি ভেবেছিলাম আমি আর বাচবো না।

স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, অবসর প্রাপ্ত পুলিশ কনস্টেবল গিয়াস উদ্দিনের বড় স্ত্রী হলেন আয়েশা বেগম। আয়েশা দীরঘ ৩২ বছর যাবত এরশাদনগর এলাকায় ৭নং ব্লকের এই বাড়িতেই বসবাস করে আসছে। সব কিছু ঠিক ছিলো হঠাত একদিন গিয়াস তার ৩য় স্ত্রি মিনা ও তার মেয়েদের পাশের একটি বাড়িতে নিয়ে আসে। এখানে আসার পর থেকেই তারা বিভিন্ন কায়দায় আয়েশা বেগমের সাথে বিবাদ সৃষ্টি করে আসছে। ৩য় স্ত্রীর প্রয়োচনায় পরে গিয়াস উদ্দিন প্রতিনিয়ত আয়েশাকে বিভিন্ন ভাবে অত্যাচার করতো। স্বামী ও সতীনের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে আয়েশা নিরুপায় হয়ে গিয়াস উদ্দিন কে সরিয়া অনুযায়ী তালাক দিলেও এখনো রেহাই পায়নি। মিনা ও তার পরিবারের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে এলাকাবাসী এর আগেও গণসাক্ষর সহ কাউন্সিলরের কার্যালয়ে আমরা অভিযোগ করেছি। গিয়াস উদিনের স্ত্রী মিনা, তার মেয়ে চাদনি, অন্তরা ও তার স্বামী সোহেল এর আগেও একাধীকবার হত্যার চেষ্টা করে মারধর করেছে। মারামারির ঘটনার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই মনির যখন তদন্ত করতে আসে তখন মিনা ও তার মেয়ে অন্তরা অত্যান্ত অশালীন প্রকৃতির আচরণ করে। আইনের প্রতি তাদের কোন সম্মানবোধ নেই। তদন্ত কালীন সময় মিনার মেয়ে অন্তরা এসআই মনির এর চাকরি খেয়ে ফেলার হুমকিও দিয়েছে।

এবিষয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আমির হামজা বলেন, গিয়াস উদিন একাধীক বিয়ে করেছেন। তার বড় স্ত্রী আয়েশা বেগম প্রায় ৩২ বছর এই বাড়িতে বসবাস করছে। বাড়ির বিদ্যুত ও পানির বিল সবই আয়েশা বেগমের। মিনা ও তার মেয়েদের কর্মকাণ্ডে এলাকাবাসী অতিষ্ট আমার কাছেও অভিযোগ এসেছে।

এবিষয়ে টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, আয়েশা বেগম কে মারধরের ঘটনায় সোহেল নামে একজন কে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।