ঢাকা ০৬:৫৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
ফেসবুকে অপপ্রচার: জবি শিক্ষককের বিচার চেয়ে ভিসির কাছে ডীনের অভিযোগ কুড়িগ্রামে ছাত্রীনিবাসের সামনে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির ভিডিও ধারণ, যুবকের কারাদণ্ড সাইকেল চালিয়ে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পাড়ি দিয়েছেন “দিদার” টাঙ্গাইলে মেয়ে ও জামাতার বিরুদ্ধে বাবাকে নির্যাতনের অভিযোগ, বৃদ্ধের মৃত্যু আখেরী মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে জাকের পার্টির বিশ্ব ইসলামি মহা সম্মেলন ও মহা পবিত্র ফাতেহা শরীফের সমাপ্তি টঙ্গীতে পরিবহনে চাঁদাবাজি, গ্রেফতার ৮ সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা সম্ভবঃ প্রধান বিচারপতি  শত কোটি টাকা আত্মসাৎ: দেশত্যাগের সময় বিমানবন্দরে বিশ্বাস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আটক লালপুরে আ,লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা ইবিতে নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও আনসার কর্তৃক শিক্ষক হেনস্তার অভিযোগ

সিকিমে খুলে দেওয়া হয়েছে তিস্তার বাঁধ, ৫ জেলায় বন্যার শঙ্কা

আল-আমিন, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি:
  • Update Time : ০৪:৩৬:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ অক্টোবর ২০২৩
  • / ১৩৮ Time View

উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি দ্রুত বেড়ে বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ভারতের উত্তর সিকিমে তিস্তা নদীর চুংথাং হ্রদে পানির পরিমাণ বেশি হওয়ায় সেখানকার বাঁধটি খুলে দেওয়া হয়েছে।

ফলে বাংলাদেশের উজানের ভারতীয় অংশে তিস্তা নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে। এ অবস্থায় উত্তরের জেলা নীলফামারী, লালমনিরহাট, রংপুর, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধার তিস্তাতীরবর্তী এলাকাসমূহ প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।

বুধবার (৪ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানিপ্রবাহের উচ্চতা রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ মিটার ০৮ সেন্টিমিটার।

 

অর্থাৎ বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার (বিপৎসীমা ৫২ মিটার ১৫ সেন্টিমিটার) নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে দুপুর ২টায় একই পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহের উচ্চতা রেকর্ড করা হয়েছে ৫১ মিটার ৯০ সেন্টিমিটার।

যা বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। এদিকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, তিস্তার উৎসে ব্যাপক বৃষ্টিপাতের কারণে চুংথাং হ্রদে পানি ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে।

পরে হ্রদের পানি আটকে রাখতে ব্যর্থ হয়ে বাঁধ খুলে দেওয়া হলে ভাটিতে নদীর পানির স্তরের উচ্চতা ১৫ থেকে ২০ ফুট পর্যন্ত বেড়ে যায়।

এই অবস্থায় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড দেশের উত্তরাঞ্চলের পাঁচটি জেলা-নীলফামারী, লালমনিরহাট, রংপুর, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধায় তিস্তা তীরবর্তী এলাকায় বন্যার শঙ্কা করছে।

ভারতের কেন্দ্রীয় পানি কমিশনের বরাত দিয়ে পাউবো জানায়, ভারতের গজলডোবা পয়েন্টে তিস্তার পানির সমতল গত মধ্যরাতে প্রায় ২৮৫ সেন্টিমিটার বেড়েছে। দোমুহুনী পয়েন্টে বুধবার সকালে প্রায় ৮২ সেন্টিমিটার বেড়েছে এবং তা অব্যাহত আছে।

পাউবো আরও জানায়, তিস্তার পানি ডালিয়া পয়েন্টে সকাল থেকে দ্রুত বাড়ছে। এই পয়েন্টে তিস্তার পানি বুধবার বিকেল নাগাদ বিপৎসীমা অতিক্রম করে মধ্যরাতে বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে, যা বৃহস্পতিবার ভোর নাগাদ রংপুরের কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বরাত দিয়ে ডালিয়া পাউবো জানিয়েছে, ভারতীয় আবহাওয়া সংস্থার তথ্য অনুযায়ী ভারতের সিকিম অঞ্চলে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। এর ফলে তিস্তা নদীতে বন্যা পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা বলেন, তিস্তা অববাহিকায় স্বল্প মেয়াদি বন্যার শঙ্কা করা হচ্ছে। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় আমরা মানুষকে সচেতন করেছি। কোথাও কোনো সমস্যা হলে পানি উন্নয়ন বোর্ড তা মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

সিকিমে খুলে দেওয়া হয়েছে তিস্তার বাঁধ, ৫ জেলায় বন্যার শঙ্কা

Update Time : ০৪:৩৬:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ অক্টোবর ২০২৩

উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি দ্রুত বেড়ে বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ভারতের উত্তর সিকিমে তিস্তা নদীর চুংথাং হ্রদে পানির পরিমাণ বেশি হওয়ায় সেখানকার বাঁধটি খুলে দেওয়া হয়েছে।

ফলে বাংলাদেশের উজানের ভারতীয় অংশে তিস্তা নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে। এ অবস্থায় উত্তরের জেলা নীলফামারী, লালমনিরহাট, রংপুর, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধার তিস্তাতীরবর্তী এলাকাসমূহ প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।

বুধবার (৪ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানিপ্রবাহের উচ্চতা রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ মিটার ০৮ সেন্টিমিটার।

 

অর্থাৎ বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার (বিপৎসীমা ৫২ মিটার ১৫ সেন্টিমিটার) নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে দুপুর ২টায় একই পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহের উচ্চতা রেকর্ড করা হয়েছে ৫১ মিটার ৯০ সেন্টিমিটার।

যা বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। এদিকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, তিস্তার উৎসে ব্যাপক বৃষ্টিপাতের কারণে চুংথাং হ্রদে পানি ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে।

পরে হ্রদের পানি আটকে রাখতে ব্যর্থ হয়ে বাঁধ খুলে দেওয়া হলে ভাটিতে নদীর পানির স্তরের উচ্চতা ১৫ থেকে ২০ ফুট পর্যন্ত বেড়ে যায়।

এই অবস্থায় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড দেশের উত্তরাঞ্চলের পাঁচটি জেলা-নীলফামারী, লালমনিরহাট, রংপুর, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধায় তিস্তা তীরবর্তী এলাকায় বন্যার শঙ্কা করছে।

ভারতের কেন্দ্রীয় পানি কমিশনের বরাত দিয়ে পাউবো জানায়, ভারতের গজলডোবা পয়েন্টে তিস্তার পানির সমতল গত মধ্যরাতে প্রায় ২৮৫ সেন্টিমিটার বেড়েছে। দোমুহুনী পয়েন্টে বুধবার সকালে প্রায় ৮২ সেন্টিমিটার বেড়েছে এবং তা অব্যাহত আছে।

পাউবো আরও জানায়, তিস্তার পানি ডালিয়া পয়েন্টে সকাল থেকে দ্রুত বাড়ছে। এই পয়েন্টে তিস্তার পানি বুধবার বিকেল নাগাদ বিপৎসীমা অতিক্রম করে মধ্যরাতে বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে, যা বৃহস্পতিবার ভোর নাগাদ রংপুরের কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বরাত দিয়ে ডালিয়া পাউবো জানিয়েছে, ভারতীয় আবহাওয়া সংস্থার তথ্য অনুযায়ী ভারতের সিকিম অঞ্চলে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। এর ফলে তিস্তা নদীতে বন্যা পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা বলেন, তিস্তা অববাহিকায় স্বল্প মেয়াদি বন্যার শঙ্কা করা হচ্ছে। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় আমরা মানুষকে সচেতন করেছি। কোথাও কোনো সমস্যা হলে পানি উন্নয়ন বোর্ড তা মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে।