ঢাকা ০৫:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
ফেসবুকে অপপ্রচার: জবি শিক্ষককের বিচার চেয়ে ভিসির কাছে ডীনের অভিযোগ কুড়িগ্রামে ছাত্রীনিবাসের সামনে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির ভিডিও ধারণ, যুবকের কারাদণ্ড সাইকেল চালিয়ে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পাড়ি দিয়েছেন “দিদার” টাঙ্গাইলে মেয়ে ও জামাতার বিরুদ্ধে বাবাকে নির্যাতনের অভিযোগ, বৃদ্ধের মৃত্যু আখেরী মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে জাকের পার্টির বিশ্ব ইসলামি মহা সম্মেলন ও মহা পবিত্র ফাতেহা শরীফের সমাপ্তি টঙ্গীতে পরিবহনে চাঁদাবাজি, গ্রেফতার ৮ সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা সম্ভবঃ প্রধান বিচারপতি  শত কোটি টাকা আত্মসাৎ: দেশত্যাগের সময় বিমানবন্দরে বিশ্বাস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আটক লালপুরে আ,লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা ইবিতে নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও আনসার কর্তৃক শিক্ষক হেনস্তার অভিযোগ

সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের তদন্তে ৫০ বছর লাগলেও সময় দিতে হবে: আইনমন্ত্রী

জাতীয় ডেস্ক
  • Update Time : ০৮:০৩:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৫০ Time View

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত ১২ বছর পরও কেন শেষ হয়নি–এই প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, প্রকৃত দোষী চিহ্নিত করতে তদন্তে সময় লাগতে পারে। এজন্য যতদিন সময় লাগবে, দিতে হবে। পুলিশকে জোর করে তদন্ত শেষ করিয়ে চার্জশিট দেওয়ানো ঠিক হবে না। সময় দিতে হবে, ৫০ বছর লাগলেও দিতে হবে।

বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয় নিজ দফতরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, এই মামলাটি ব্যতিক্রমী। যেসব মামলায় অপরাধীকে ধরা গেছে, সেগুলোর দ্রুত বিচার হচ্ছে। এই মামলায় যদি পুলিশ তদন্ত শেষ না করতে পারে, তাহলে জোর করে সেই তদন্ত সমাপ্ত করে একটা চূড়ান্ত প্রতিবেদন কিংবা অভিযোগপত্র দেওয়াটা কি ঠিক? তদন্তে সঠিকভাবে দোষীকে নির্ণয় করতে তাদের সময় দিতে হবে।

দ্রুত বিচার আইনটিকে আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিসভার বৈঠকে স্থায়ী করা হচ্ছে। ২০০২ সালে বিএনপি সরকার যখন এই আইনটি পাস করে, তখন আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে ছিল। তখন আওয়ামী লীগ আইনটি নিয়ে সমালোচনা করেছে। অভিযোগ ছিল, বিরোধীদের দমন করতেই এটি করা হয়েছে। কিন্তু এখন এসে আইনটি স্থায়ী করা হচ্ছে- এ বিষয়ে কী বলবেন?

এ প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ২০০২ সালে আইনটি করার পর… সাতক্ষীরা ও বাংলাদেশের অন্যান্য জায়গায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সংখ্যালঘুদের প্রতি অত্যাচার চালানো হয়েছে। যদি আওয়ামী লীগ সেই সময় আইনটির বিরোধিতা করে থাকে, আমার মনে হয় না সেটি খুব অন্যায় বা অযৌক্তিক হয়েছে।

তিনি বলেন, কিন্তু ২০০৪ সালের ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলা এবং তারপরে সন্ত্রাসবাদ, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও অগ্নিসন্ত্রাসের ঘটনা দেখলে দেখা যাবে এমন একটি আইনের প্রয়োজন। আপনারা যদি সেটা দেখে থাকেন, আওয়ামী লীগ সরকার এই আইনের অপব্যবহার করেনি।

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ব্যক্তিস্বার্থে বিশ্বজুড়ে ষড়যন্ত্র চলছে বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী। এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটিকে মোকাবিলা করার জন্যই তো আমরা সংবাদ সম্মেলন করছি। আমরা জনসমক্ষে প্রচার মাধ্যমে সত্য তুলে ধরব। বাংলাদেশ একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে ৩০ লাখ শহীদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ। আমরা কারো অঙ্গুলি হেলনে চলি না। আমাদের দেশে আইন আছে, সেই আইনে দেশ চালাই।

উল্লেখ্য, গত ২৩ জানুয়ারি এই হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ ১০৫ বারের মতো পিছিয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করেছেন আদালত।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনিকে হত্যা করা হয়। এরপর নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

প্রথমে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার এক উপ-পরিদর্শক (এসআই)। চারদিন পর চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয় ডিবি। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে একই বছরের ১৮ এপ্রিল হত্যা মামলাটির তদন্তভার র‌্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর থেকে একের পর এক তারিখ বাড়ানো হলেও তদন্ত শেষ করতে পারেনি সংস্থাটি।

Please Share This Post in Your Social Media

সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের তদন্তে ৫০ বছর লাগলেও সময় দিতে হবে: আইনমন্ত্রী

Update Time : ০৮:০৩:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত ১২ বছর পরও কেন শেষ হয়নি–এই প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, প্রকৃত দোষী চিহ্নিত করতে তদন্তে সময় লাগতে পারে। এজন্য যতদিন সময় লাগবে, দিতে হবে। পুলিশকে জোর করে তদন্ত শেষ করিয়ে চার্জশিট দেওয়ানো ঠিক হবে না। সময় দিতে হবে, ৫০ বছর লাগলেও দিতে হবে।

বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয় নিজ দফতরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, এই মামলাটি ব্যতিক্রমী। যেসব মামলায় অপরাধীকে ধরা গেছে, সেগুলোর দ্রুত বিচার হচ্ছে। এই মামলায় যদি পুলিশ তদন্ত শেষ না করতে পারে, তাহলে জোর করে সেই তদন্ত সমাপ্ত করে একটা চূড়ান্ত প্রতিবেদন কিংবা অভিযোগপত্র দেওয়াটা কি ঠিক? তদন্তে সঠিকভাবে দোষীকে নির্ণয় করতে তাদের সময় দিতে হবে।

দ্রুত বিচার আইনটিকে আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিসভার বৈঠকে স্থায়ী করা হচ্ছে। ২০০২ সালে বিএনপি সরকার যখন এই আইনটি পাস করে, তখন আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে ছিল। তখন আওয়ামী লীগ আইনটি নিয়ে সমালোচনা করেছে। অভিযোগ ছিল, বিরোধীদের দমন করতেই এটি করা হয়েছে। কিন্তু এখন এসে আইনটি স্থায়ী করা হচ্ছে- এ বিষয়ে কী বলবেন?

এ প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ২০০২ সালে আইনটি করার পর… সাতক্ষীরা ও বাংলাদেশের অন্যান্য জায়গায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সংখ্যালঘুদের প্রতি অত্যাচার চালানো হয়েছে। যদি আওয়ামী লীগ সেই সময় আইনটির বিরোধিতা করে থাকে, আমার মনে হয় না সেটি খুব অন্যায় বা অযৌক্তিক হয়েছে।

তিনি বলেন, কিন্তু ২০০৪ সালের ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলা এবং তারপরে সন্ত্রাসবাদ, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও অগ্নিসন্ত্রাসের ঘটনা দেখলে দেখা যাবে এমন একটি আইনের প্রয়োজন। আপনারা যদি সেটা দেখে থাকেন, আওয়ামী লীগ সরকার এই আইনের অপব্যবহার করেনি।

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ব্যক্তিস্বার্থে বিশ্বজুড়ে ষড়যন্ত্র চলছে বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী। এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটিকে মোকাবিলা করার জন্যই তো আমরা সংবাদ সম্মেলন করছি। আমরা জনসমক্ষে প্রচার মাধ্যমে সত্য তুলে ধরব। বাংলাদেশ একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে ৩০ লাখ শহীদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ। আমরা কারো অঙ্গুলি হেলনে চলি না। আমাদের দেশে আইন আছে, সেই আইনে দেশ চালাই।

উল্লেখ্য, গত ২৩ জানুয়ারি এই হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ ১০৫ বারের মতো পিছিয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করেছেন আদালত।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনিকে হত্যা করা হয়। এরপর নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

প্রথমে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার এক উপ-পরিদর্শক (এসআই)। চারদিন পর চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয় ডিবি। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে একই বছরের ১৮ এপ্রিল হত্যা মামলাটির তদন্তভার র‌্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর থেকে একের পর এক তারিখ বাড়ানো হলেও তদন্ত শেষ করতে পারেনি সংস্থাটি।