ঢাকা ১০:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
ফেসবুকে অপপ্রচার: জবি শিক্ষককের বিচার চেয়ে ভিসির কাছে ডীনের অভিযোগ কুড়িগ্রামে ছাত্রীনিবাসের সামনে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির ভিডিও ধারণ, যুবকের কারাদণ্ড সাইকেল চালিয়ে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পাড়ি দিয়েছেন “দিদার” টাঙ্গাইলে মেয়ে ও জামাতার বিরুদ্ধে বাবাকে নির্যাতনের অভিযোগ, বৃদ্ধের মৃত্যু আখেরী মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে জাকের পার্টির বিশ্ব ইসলামি মহা সম্মেলন ও মহা পবিত্র ফাতেহা শরীফের সমাপ্তি টঙ্গীতে পরিবহনে চাঁদাবাজি, গ্রেফতার ৮ সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা সম্ভবঃ প্রধান বিচারপতি  শত কোটি টাকা আত্মসাৎ: দেশত্যাগের সময় বিমানবন্দরে বিশ্বাস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আটক লালপুরে আ,লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা ইবিতে নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও আনসার কর্তৃক শিক্ষক হেনস্তার অভিযোগ

সাকিব-লিটনদের বিদায় করে ফাইনালে বি-লাভ ক্যান্ডি

নওরোজ স্পোর্টস ডেস্ক
  • Update Time : ০৮:১৩:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অগাস্ট ২০২৩
  • / ৪৯ Time View

তিনে নেমে ব্যর্থ দুই ম্যাচে। প্রমোশন পেয়ে এবার ওপেনিংয়ে সুযোগ পেলেন লিটন কুমার দাস। দারুণ কয়েকটি বাউন্ডারিতে ভালো কিছুর আভাসও দিলেন তিনি।

কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারলেন না এবারও। সাকিব আল হাসানও ভালো শুরুর পর টেনে নিতে পারলেন না ইনিংস। হেরে গেল তাদের দলও। লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগের ফাইনালে যাওয়ার দ্বিতীয় ও শেষ সুযোগও কাজে লাগাতে পারল না লিটন-সাকিবদের গল টাইটান্স। অধিনায়ক ভানিন্দু হাসারাঙ্গার অলরাউন্ড নৈপুণ্যে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে ৩৪ রানের জয়ে ফাইনালে উঠল বি লাভ ক্যান্ডি।

কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে গত শনিবার ক্যান্ডি ৭ উইকেটে করে ১৫৭ রান। ২৭ বলে ৩৮ রানের উদ্বোধনী জুটির পরও গল ৮ উইকেটে করতে পারে কেবল ১২৮ রান। বোলিংয়ে ৪ ওভারে ২৪ রানে একটি উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতে ১৫ বলে ২ চারে ১৭ রান করেন সাকিব। লিটন ১৯ বলে ৪টি চারে করেন ২৫ রান। বাংলাদেশের এই স্টাইলিশ ব্যাটসম্যান আসরে নিজের প্রথম দুই ম্যাচে করেছিলেন ৪ বলে ১ ও ৭ বলে ৮। সাকিব আসরে ১০ ম্যাচের ৯ ইনিংসে ব্যাটিং পেয়ে ১৭.২৫ গড় আর ১১৫ স্ট্রাইক রেটে রান করেন ১৩৮। সর্বোচ্চ ইনিংস ৩০।

বাংলাদেশের বাঁহাতি এই স্পিনিং অলরাউন্ডার ১০ ইনিংসে বোলিং করে ওভারপ্রতি ৫.৭০ রান দিয়ে উইকেট নেন ১০টি। ক্যান্ডির বিপক্ষে রান তাড়ায় প্রথম ৬ বলে লিটনের রান ছিল ৫। পরের ৫ বলে তিনি মারেন চারটি চার। এর মধ্যে দ্বিতীয় ওভারে আফগান স্পিনার মুজিব উর রহমানের শেষ চার বলের মধ্যে আসে তিনটি বাউন্ডারি। প্রথম দুটি পুল শটে লেগ সাইড দিয়ে, পরেরটি ইন সাইড আউট শটে কভারের ওপর দিয়ে।

পরের ওভারে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসকে দারুণ এক সুইপ শটে আরেকটি চার মারেন লিটন। এরপর আর বেশিদূর ইনিংস টেনে নিতে পারেননি তিনি। পঞ্চম ওভারে আক্রমণে এসে তাকে ফিরিয়ে শুরুর জুটি ভাঙেন শ্রীলঙ্কান বাঁহাতি স্পিনার চতুরাঙ্গা ডি সিলভা। পেছন দিয়ে স্টাম্প ছেড়ে সুইপ করতে গিয়ে বলের লাইন মিস করে বোল্ড হন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। পরের দুই ওভারে গল হারায় আরও দুই ব্যাটসম্যানকে। এর মাঝে উইকেটে যান সাকিব।

প্রথম ৪ বলে সাকিব করেন ২ রান। এরপর তিনি একটি চার মারেন মুজিবকে কাট শটে। ১১ রানে একবার জীবন পান সাকিব। ইন সাইড আউট শটে বল হাওয়ায় ভাসিয়ে খেলেন তিনি, ডিপ এক্সট্রা কভারে কঠিন ক্যাচ মুঠোয় জমাতে পারেননি ফিল্ডার, হয়ে যায় বাউন্ডারি। সাকিব যোগ করতে পারেন আর কেবল ২ রান। সাহান আরাচিগেকে  সুইপ করে বাউন্ডারিতে ধরা পড়েন তিনি। এরপর নিয়মিত উইকেট হারায় গল, ফলে লক্ষ্যের ধারেকাছেও যেতে পারেনি তারা।

সর্বোচ্চ ২৮ রান করেন সোনাল দিনুশা। এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম চার ওভারে ১৯ রানের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারায় ক্যান্ডি। পঞ্চম ওভারে প্রথমবার আক্রমণে এসে ¯্রফে ১ রান দিয়ে একটি উইকেট নেন সাকিব। ওই ওভারে চতুর্থ বল বেরিয়ে এসে খেলার চেষ্টায় পারেননি আরাচিগে। কিপারও পারেননি বল গভসে জমাতে। ব্যাটসম্যান ফিরলে হয়তো বেঁচেও যেতে পারতেন, কিন্তু পেছনে এমনকি ফিরেও তাকাননি তিনি, চলে আসেন প্রায় উইকেটের মাঝপথে। সামনে এসে বল ধরে বেলস ফেলে দেন কিপার, স্টাম্পিং।

নিজের পরের ওভারে খরুচে বোলিং করেন সাকিব। দুটি চার হজম করে এই ওভারে রান দেন সব মিলিয়ে ১২। শুরুতে তিন ব্যাটসম্যানকে হারানোর ধাক্কা ক্যান্ডি সামাল দেয় দিনেশ চান্দিমাল ও হাসারাঙ্গার পঞ্চাশোর্ধ জুটিতে। ত্রয়োদশ ওভারে বোলিংতে ফিরে সাকিব দেন কেবল ৪ রান। পরের ওভারেই হাসারাঙ্গাকে ফিরিয়ে ৫২ বলে ৭২ রানের জুটি ভাঙেন দিনুশা।

কোটার শেষ ও ইনিংসের সপ্তদশ ওভারে প্রথম তিন বলে কোনো রান দেননি সাকিব। এরপর একটি ছক্কা মারেন ম্যাথিউস। এই ওভারে আসে ৭ রান। ৩০ বলে ৪ ছক্কা ও ৩ চারে ৪৮ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন হাসারাঙ্গা। পরে বল হাতে ২১ রানে ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরাও এই লেগ স্পিনিং অলরাউন্ডার।

Please Share This Post in Your Social Media

সাকিব-লিটনদের বিদায় করে ফাইনালে বি-লাভ ক্যান্ডি

Update Time : ০৮:১৩:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অগাস্ট ২০২৩

তিনে নেমে ব্যর্থ দুই ম্যাচে। প্রমোশন পেয়ে এবার ওপেনিংয়ে সুযোগ পেলেন লিটন কুমার দাস। দারুণ কয়েকটি বাউন্ডারিতে ভালো কিছুর আভাসও দিলেন তিনি।

কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারলেন না এবারও। সাকিব আল হাসানও ভালো শুরুর পর টেনে নিতে পারলেন না ইনিংস। হেরে গেল তাদের দলও। লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগের ফাইনালে যাওয়ার দ্বিতীয় ও শেষ সুযোগও কাজে লাগাতে পারল না লিটন-সাকিবদের গল টাইটান্স। অধিনায়ক ভানিন্দু হাসারাঙ্গার অলরাউন্ড নৈপুণ্যে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে ৩৪ রানের জয়ে ফাইনালে উঠল বি লাভ ক্যান্ডি।

কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে গত শনিবার ক্যান্ডি ৭ উইকেটে করে ১৫৭ রান। ২৭ বলে ৩৮ রানের উদ্বোধনী জুটির পরও গল ৮ উইকেটে করতে পারে কেবল ১২৮ রান। বোলিংয়ে ৪ ওভারে ২৪ রানে একটি উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতে ১৫ বলে ২ চারে ১৭ রান করেন সাকিব। লিটন ১৯ বলে ৪টি চারে করেন ২৫ রান। বাংলাদেশের এই স্টাইলিশ ব্যাটসম্যান আসরে নিজের প্রথম দুই ম্যাচে করেছিলেন ৪ বলে ১ ও ৭ বলে ৮। সাকিব আসরে ১০ ম্যাচের ৯ ইনিংসে ব্যাটিং পেয়ে ১৭.২৫ গড় আর ১১৫ স্ট্রাইক রেটে রান করেন ১৩৮। সর্বোচ্চ ইনিংস ৩০।

বাংলাদেশের বাঁহাতি এই স্পিনিং অলরাউন্ডার ১০ ইনিংসে বোলিং করে ওভারপ্রতি ৫.৭০ রান দিয়ে উইকেট নেন ১০টি। ক্যান্ডির বিপক্ষে রান তাড়ায় প্রথম ৬ বলে লিটনের রান ছিল ৫। পরের ৫ বলে তিনি মারেন চারটি চার। এর মধ্যে দ্বিতীয় ওভারে আফগান স্পিনার মুজিব উর রহমানের শেষ চার বলের মধ্যে আসে তিনটি বাউন্ডারি। প্রথম দুটি পুল শটে লেগ সাইড দিয়ে, পরেরটি ইন সাইড আউট শটে কভারের ওপর দিয়ে।

পরের ওভারে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসকে দারুণ এক সুইপ শটে আরেকটি চার মারেন লিটন। এরপর আর বেশিদূর ইনিংস টেনে নিতে পারেননি তিনি। পঞ্চম ওভারে আক্রমণে এসে তাকে ফিরিয়ে শুরুর জুটি ভাঙেন শ্রীলঙ্কান বাঁহাতি স্পিনার চতুরাঙ্গা ডি সিলভা। পেছন দিয়ে স্টাম্প ছেড়ে সুইপ করতে গিয়ে বলের লাইন মিস করে বোল্ড হন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। পরের দুই ওভারে গল হারায় আরও দুই ব্যাটসম্যানকে। এর মাঝে উইকেটে যান সাকিব।

প্রথম ৪ বলে সাকিব করেন ২ রান। এরপর তিনি একটি চার মারেন মুজিবকে কাট শটে। ১১ রানে একবার জীবন পান সাকিব। ইন সাইড আউট শটে বল হাওয়ায় ভাসিয়ে খেলেন তিনি, ডিপ এক্সট্রা কভারে কঠিন ক্যাচ মুঠোয় জমাতে পারেননি ফিল্ডার, হয়ে যায় বাউন্ডারি। সাকিব যোগ করতে পারেন আর কেবল ২ রান। সাহান আরাচিগেকে  সুইপ করে বাউন্ডারিতে ধরা পড়েন তিনি। এরপর নিয়মিত উইকেট হারায় গল, ফলে লক্ষ্যের ধারেকাছেও যেতে পারেনি তারা।

সর্বোচ্চ ২৮ রান করেন সোনাল দিনুশা। এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম চার ওভারে ১৯ রানের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারায় ক্যান্ডি। পঞ্চম ওভারে প্রথমবার আক্রমণে এসে ¯্রফে ১ রান দিয়ে একটি উইকেট নেন সাকিব। ওই ওভারে চতুর্থ বল বেরিয়ে এসে খেলার চেষ্টায় পারেননি আরাচিগে। কিপারও পারেননি বল গভসে জমাতে। ব্যাটসম্যান ফিরলে হয়তো বেঁচেও যেতে পারতেন, কিন্তু পেছনে এমনকি ফিরেও তাকাননি তিনি, চলে আসেন প্রায় উইকেটের মাঝপথে। সামনে এসে বল ধরে বেলস ফেলে দেন কিপার, স্টাম্পিং।

নিজের পরের ওভারে খরুচে বোলিং করেন সাকিব। দুটি চার হজম করে এই ওভারে রান দেন সব মিলিয়ে ১২। শুরুতে তিন ব্যাটসম্যানকে হারানোর ধাক্কা ক্যান্ডি সামাল দেয় দিনেশ চান্দিমাল ও হাসারাঙ্গার পঞ্চাশোর্ধ জুটিতে। ত্রয়োদশ ওভারে বোলিংতে ফিরে সাকিব দেন কেবল ৪ রান। পরের ওভারেই হাসারাঙ্গাকে ফিরিয়ে ৫২ বলে ৭২ রানের জুটি ভাঙেন দিনুশা।

কোটার শেষ ও ইনিংসের সপ্তদশ ওভারে প্রথম তিন বলে কোনো রান দেননি সাকিব। এরপর একটি ছক্কা মারেন ম্যাথিউস। এই ওভারে আসে ৭ রান। ৩০ বলে ৪ ছক্কা ও ৩ চারে ৪৮ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন হাসারাঙ্গা। পরে বল হাতে ২১ রানে ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরাও এই লেগ স্পিনিং অলরাউন্ডার।