ঢাকা ০৬:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
ফেসবুকে অপপ্রচার: জবি শিক্ষককের বিচার চেয়ে ভিসির কাছে ডীনের অভিযোগ কুড়িগ্রামে ছাত্রীনিবাসের সামনে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির ভিডিও ধারণ, যুবকের কারাদণ্ড সাইকেল চালিয়ে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পাড়ি দিয়েছেন “দিদার” টাঙ্গাইলে মেয়ে ও জামাতার বিরুদ্ধে বাবাকে নির্যাতনের অভিযোগ, বৃদ্ধের মৃত্যু আখেরী মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে জাকের পার্টির বিশ্ব ইসলামি মহা সম্মেলন ও মহা পবিত্র ফাতেহা শরীফের সমাপ্তি টঙ্গীতে পরিবহনে চাঁদাবাজি, গ্রেফতার ৮ সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা সম্ভবঃ প্রধান বিচারপতি  শত কোটি টাকা আত্মসাৎ: দেশত্যাগের সময় বিমানবন্দরে বিশ্বাস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আটক লালপুরে আ,লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা ইবিতে নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও আনসার কর্তৃক শিক্ষক হেনস্তার অভিযোগ

সরকার পতনের পর এবার রাজনীতিই ছাড়ছেন ডাচ প্রধানমন্ত্রী

নওরোজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • Update Time : ০৪:৩৯:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ জুলাই ২০২৩
  • / ৮৯ Time View

অভিবাসন নীতি নিয়ে সৃষ্ট সংকটের জেরে জোট সরকারের পতনের পর এবার রাজনীতিই ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট

অভিবাসন নীতি নিয়ে সৃষ্ট সংকটের জেরে জোট সরকারের পতনের পর এবার রাজনীতিই ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট।

তিনি বলেছেন, তিনি দেশের ক্ষমতাসীন দলের নেতার পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন এবং রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। সোমবার নেদারল্যান্ডসের জাতীয় সম্প্রচারমাধ্যম এনওএসের বরাত দিয়ে সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

ডাচ রাজনীতির অদম্য পুরুষ হিসাবে পরিচিত মার্কের ডাকনাম ‘টেফলন মার্ক’। পরপর চারটি সরকারের নেতৃত্ব দেওয়া মার্কের পিছু ছাড়েনি কেলেঙ্কারি। শিশুকল্যাণ কার্যক্রমে প্রতারণা কেলেঙ্কারির ঘটনায় গত বছরের জানুয়ারিতেও তার সরকারের পতন ঘটেছিল। পরে সেই সময়ও পদত্যাগ করেন তিনি।

২০১০ সাল থেকে নেদারল্যান্ডসের ক্ষমতায় আছেন রুট। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘসময় ক্ষমতা থাকা রাষ্ট্রপ্রধানদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন তিনি।

অভিবাসন নীতি নিয়ে সংকট দেখা দেওয়ায় শুক্রবার তিনি বলেছিলেন, ডাচ রাজার কাছে পদত্যাগপত্র তুলে দেবে তার সরকার। এর ফলে চলতি বছরের শেষ দিকে দেশটিতে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

ওইদিন এক সংবাদ সম্মেলনে মার্ক রুট বলেছেন, তার চারদলীয় জোট সরকারের মাঝে ‘অভিবাসন নীতি সম্পর্কে ভিন্ন মতামত’ প্রবল হয়ে উঠেছে। কিন্তু তিনি রাজনীতি থেকে পদত্যাগ করবেন এমন কোনও ইঙ্গিত দেননি এবং নতুন নির্বাচনে ভিভিডি পার্টির নেতৃত্ব দেবেন বলে আশা করা হচ্ছিল।

সরকারের পতনের বিষয়ে সংসদে বিতর্কের আগে দেওয়া এক ভাষণে তিনি বলেছেন, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে আমি কেন এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি, তা নিয়ে অনেক জল্পনা-কল্পনা চলছে। এর একমাত্র জবাব নেদারল্যান্ডস।

‘গতকাল সকালে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমি আর ভিভিডির নেতা হিসাবে দায়িত্ব পালন করবো না। নির্বাচনের পর নতুন মন্ত্রিসভা গঠিত হলেই আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব।’

রুটের এই সিদ্ধান্ত ডাচ ইতিহাসের সবচেয়ে দীর্ঘকালীন সরকারি নেতা হিসাবে তার ক্ষমতার অবসান ঘটাবে। ২০১০ সালের অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটের রক্ষণশীল দল ভিভিডি পার্টি দেশটিতে শরণার্থীদের স্রোত কমানোর চেষ্টা করছিল। কারণ শরণার্থীদের জন্য যেসব আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে সেগুলোতে ইতোমধ্যেই ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি মানুষ রয়েছেন। তবে প্রধানমন্ত্রীর দলের এ পরিকল্পনার বিরোধিতা করে আসছিল জোটের অন্য দলগুলো।

স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় সরকার ভেঙে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন প্রধানমন্ত্রী রুটে। মন্ত্রিসভার সঙ্গে জরুরি বৈঠক শেষে তিনি জানান, রাজা উইলেম-আলেক্সান্ডারের কাছে শনিবার পদত্যাগপত্র জমা দেবেন তিনি।

ডাচ ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাচারালাইজেশন সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে নেদারল্যান্ডস আশ্রয়ের জন্য অভিবাসীদের কাছ থেকে ৩৬ হাজার ৬২০টি এবং গত বছর ৪৭ হাজার ৯৯১টি আবেদন পেয়েছিল। এসবের বেশিরভাগ আবেদন করেছেন সিরিয়ার অভিবাসীরা।

চলতি বছরের মে পর্যন্ত দেশটিতে নতুন করে আরও ১৬ হাজার ৯৭টি আবেদন জমা পড়েছে। ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ এই আবেদনের সংখ্যা ৭০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে দেশটির সরকার ধারণা করছে।

সূত্র: সিএনএন, আলজাজিরা।

Please Share This Post in Your Social Media

সরকার পতনের পর এবার রাজনীতিই ছাড়ছেন ডাচ প্রধানমন্ত্রী

Update Time : ০৪:৩৯:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ জুলাই ২০২৩

অভিবাসন নীতি নিয়ে সৃষ্ট সংকটের জেরে জোট সরকারের পতনের পর এবার রাজনীতিই ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট।

তিনি বলেছেন, তিনি দেশের ক্ষমতাসীন দলের নেতার পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন এবং রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। সোমবার নেদারল্যান্ডসের জাতীয় সম্প্রচারমাধ্যম এনওএসের বরাত দিয়ে সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

ডাচ রাজনীতির অদম্য পুরুষ হিসাবে পরিচিত মার্কের ডাকনাম ‘টেফলন মার্ক’। পরপর চারটি সরকারের নেতৃত্ব দেওয়া মার্কের পিছু ছাড়েনি কেলেঙ্কারি। শিশুকল্যাণ কার্যক্রমে প্রতারণা কেলেঙ্কারির ঘটনায় গত বছরের জানুয়ারিতেও তার সরকারের পতন ঘটেছিল। পরে সেই সময়ও পদত্যাগ করেন তিনি।

২০১০ সাল থেকে নেদারল্যান্ডসের ক্ষমতায় আছেন রুট। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘসময় ক্ষমতা থাকা রাষ্ট্রপ্রধানদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন তিনি।

অভিবাসন নীতি নিয়ে সংকট দেখা দেওয়ায় শুক্রবার তিনি বলেছিলেন, ডাচ রাজার কাছে পদত্যাগপত্র তুলে দেবে তার সরকার। এর ফলে চলতি বছরের শেষ দিকে দেশটিতে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

ওইদিন এক সংবাদ সম্মেলনে মার্ক রুট বলেছেন, তার চারদলীয় জোট সরকারের মাঝে ‘অভিবাসন নীতি সম্পর্কে ভিন্ন মতামত’ প্রবল হয়ে উঠেছে। কিন্তু তিনি রাজনীতি থেকে পদত্যাগ করবেন এমন কোনও ইঙ্গিত দেননি এবং নতুন নির্বাচনে ভিভিডি পার্টির নেতৃত্ব দেবেন বলে আশা করা হচ্ছিল।

সরকারের পতনের বিষয়ে সংসদে বিতর্কের আগে দেওয়া এক ভাষণে তিনি বলেছেন, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে আমি কেন এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি, তা নিয়ে অনেক জল্পনা-কল্পনা চলছে। এর একমাত্র জবাব নেদারল্যান্ডস।

‘গতকাল সকালে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমি আর ভিভিডির নেতা হিসাবে দায়িত্ব পালন করবো না। নির্বাচনের পর নতুন মন্ত্রিসভা গঠিত হলেই আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব।’

রুটের এই সিদ্ধান্ত ডাচ ইতিহাসের সবচেয়ে দীর্ঘকালীন সরকারি নেতা হিসাবে তার ক্ষমতার অবসান ঘটাবে। ২০১০ সালের অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটের রক্ষণশীল দল ভিভিডি পার্টি দেশটিতে শরণার্থীদের স্রোত কমানোর চেষ্টা করছিল। কারণ শরণার্থীদের জন্য যেসব আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে সেগুলোতে ইতোমধ্যেই ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি মানুষ রয়েছেন। তবে প্রধানমন্ত্রীর দলের এ পরিকল্পনার বিরোধিতা করে আসছিল জোটের অন্য দলগুলো।

স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় সরকার ভেঙে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন প্রধানমন্ত্রী রুটে। মন্ত্রিসভার সঙ্গে জরুরি বৈঠক শেষে তিনি জানান, রাজা উইলেম-আলেক্সান্ডারের কাছে শনিবার পদত্যাগপত্র জমা দেবেন তিনি।

ডাচ ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাচারালাইজেশন সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে নেদারল্যান্ডস আশ্রয়ের জন্য অভিবাসীদের কাছ থেকে ৩৬ হাজার ৬২০টি এবং গত বছর ৪৭ হাজার ৯৯১টি আবেদন পেয়েছিল। এসবের বেশিরভাগ আবেদন করেছেন সিরিয়ার অভিবাসীরা।

চলতি বছরের মে পর্যন্ত দেশটিতে নতুন করে আরও ১৬ হাজার ৯৭টি আবেদন জমা পড়েছে। ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ এই আবেদনের সংখ্যা ৭০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে দেশটির সরকার ধারণা করছে।

সূত্র: সিএনএন, আলজাজিরা।