ঢাকা ০৬:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
ইবিতে বৃষ্টির আশায় ইসতিসকার নামাজ আদায় সবাইকে সর্বজনীন পেনশনের আওতায় আনা হবে: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক জমি নিয়ে বিরোধ, ভাতিজার বিরুদ্ধে চাচাকে অপহরণের অভিযোগ মেধা ও মানসিক বিকাশের জন্য বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালিত কুষ্টিয়া দৌলতপুরে সাংবাদিকের উপর হামলার এজাহারভুক্ত দুই আসামী গ্রেফতার তীব্র দাবদাহের জন্য ভোটার উপস্থিতি নিয়ে শঙ্কা আছে: ইসি আনিছুর রহমান এক টাকাও বেতন নেন না চিফ হিট অফিসার: ডিএনসিসি মেয়র রাশিয়ার বিরুদ্ধে দূরপাল্লার মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করছে ইউক্রেন দেশে টিআইএনধারীর সংখ্যা ১ কোটি ২ লাখ ছাড়িয়ে

সরকার এখন আনসারকে গণতন্ত্রকামীদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিচ্ছে: রিজভী

নওরোজ অনলাইন ডেস্ক
  • Update Time : ০৬:৪৭:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৬০ Time View

পুলিশের সর্বগ্রাসী গ্রেফতারি অভিযানের পরও সরকার শঙ্কামুক্ত হতে পারছে না বলেই আনসার বাহিনীকেও বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

আনসার বাহিনীকে গ্রেফতারের ক্ষমতা দেওয়াকে নজিরবিহীন ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ ঘটনার মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে আওয়ামী কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পের মধ্যে চূড়ান্তভাবে বন্দি করা হলো। বাংলাদেশকে প্রকৃত অর্থেই আওয়ামী বন্দিশালা বানানো হলো। আওয়ামী লীগ ক্ষয়িষ্ণু ও দুর্দশাগ্রস্ত একটি দল বলেই এখন আনসারকেও গণতন্ত্রকামী মানুষের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিচ্ছে।

মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

রিজভী অভিযোগ করে বলেন, ‘২৮ অক্টোবরের সমাবেশের কর্মসূচি সম্পর্কে দলের পক্ষ থেকে বারবার বলা হয়েছে যে এ কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ ও স্বতঃস্ফূর্ত। তা সত্ত্বেও আওয়ামীপন্থি পুলিশ কর্মকর্তারা জনমনে নানা আতঙ্কের বার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছেন ক্রমাগত হুমকির মাধ্যমে। কয়েকদিন ধরেই চলছে নির্বিচারে গ্রেফতার। ঢাকা মহানগরসহ দেশব্যাপী জেলাগুলোতে নেতাকর্মীরা বাড়িঘর, পরিবারছাড়া হয়ে দিগ্বিদিক ঘুরে বেড়াচ্ছেন। বিএনপির নেতাকর্মীদের যেখানেই পাচ্ছে সেখানেই নির্বিচারে আটক করছে পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশ। ইতোমধ্যে বিএনপির শীর্ষ নেতাসহ সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া শুরু হয়েছে। গণতন্ত্রকামী জনগণের আন্দোলন দমন করতেই সরকার গ্রেফতার ও সাজা দেওয়ার পথ অবলম্বন করেছে।

তিনি বলেন, গায়েবি মামলায় বিপুলসংখ্যক অজ্ঞাতনামা আসামি দেখানো হয়। এরপর গ্রেফতারদের ওই অজ্ঞাতনামা আসামির জায়গায় নাম বসিয়ে দেওয়া হয়। গায়েবি ককটেল আর গায়েবি বিস্ফোরক ধারার গায়েবি মামলায় অধিকাংশ গ্রেফতারের নামে অভিযোগ আনা হয়। সরকার এখন গায়েবি সাক্ষ্যও চালু করেছে। বানানো সাক্ষীকে গায়েবি সাক্ষ্য দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। এমনকি ফৌজদারি মামলায় পুলিশ সাক্ষী দিতে শেখানো কথা না বললে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশের সদর দফতর থেকে।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, ‘পুলিশ প্রশাসন এখন জনগণের প্রতিষ্ঠান নয়, এটিকে গণতন্ত্রের শেষ চিহ্নটুকু মুছে দিতে নব্য বাকশালী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হয়েছে। দেশটাকে চিরতরে আওয়ামী কর্তৃত্বের অধীনে রাখার জন্য গত ১৫ বছর ধরে জনপ্রশাসন, পুলিশ ও বিচার বিভাগকে আওয়ামী লীগের উইং হিসেবে তৈরি করেছেন সরকারপ্রধান। সেই কারণে তারা ন্যায়বিচার, সুশাসন এবং চিন্তার স্বাধীনতাকে সমাধিস্থ করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাস উদ্দিন একটি দৈনিকে যথার্থই বলেছেন, ‘যারা অবৈধ কাজ করছে তাদের সবধরনের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খুলনায় বলেছেন, সংবিধান মেনেই জাতীয় নির্বাচন হবে। তার এই বক্তব্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কার্বন কপি। বর্তমান নির্বাচন কমিশনকেও যে শেখ হাসিনা বিচারক, পুলিশ ও প্রশাসনের মতো আওয়ামী ক্যাডারদের দিয়ে সাজিয়ে রেখেছেন আহসান হাবিবের বক্তব্যে তাদের মুখোশ খুলে পড়েছে। এই নির্বাচন কমিশন জনগণের স্বাধীন প্রতিষ্ঠান নয়, এটি একটি বাকশালী প্রতিষ্ঠান, তার বক্তব্যে একতরফা নির্বাচনেরই ইঙ্গিত ফুটে উঠেছে। এ কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন কখনই হবে না, এখানে ভোটের নামে ‘নির্বাচনবাজী’ হবে। সেই কারণেই বর্তমান নির্বাচন কমিশনের প্রতি জনগণের প্রচণ্ড অনাস্থা। এরা জনগণের নজরদারি নস্যাৎ করে আরেকটি নিশিরাতে ব্যালট বাক্স ভর্তিরই বন্দোবস্ত করছে।’

তিনি বলেন, ‘বাস্তবিকই বাংলাদেশের কারাগারগুলো এখন ভয়াবহ নিপীড়ণ-নির্যাতনের আয়নাঘর। বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানের পর রাখা হয় কারাগারের দমবন্ধ করা সেলে। দিনরাত তাদের লকআপে রাখা হয়। ডাকাতি ও খুনের ভয়ঙ্কর অপরাধীরা কারাভ্যন্তরে যে অধিকারটুকু ভোগ করে সেটুকুও বিএনপি নেতাকর্মীদের নেই। কেরানীগঞ্জ কারাগারে শাপলা বিল্ডিংয়ে বেশিরভাগ বিএনপি নেতাকর্মীদের দিনরাত আটকিয়ে রাখা হয়। পাশাপাশি অত্যন্ত নিম্নমানের খাবার দেওয়া হয় যেগুলো গরু-ছাগলের খাবারের জন্য প্রযোজ্য। নিজের টাকা দিয়ে খাবার কেনারও নিয়ম থাকলেও বিএনপি নেতাকর্মীদের সেই অধিকারটুকুও দেওয়া হয় না। এমনিতেই পিসিতে (প্রিজনার্স ক্যান্টিন) একটা খাদ্যপণ্যের দাম স্বাভাবিক বাজারমূল্যের চেয়ে প্রায় ৫/৬ শ’ গুণ বেশি। বিএনপি নেতাকর্মীদের পরিকল্পিতভাবে আর্থিক, মানসিক ও শারীরিকভাবে শোষণ-বঞ্চনা করা হচ্ছে। কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি জেল বিপজ্জনক জঙ্গি অপরাধীদের জন্য। সেখানেই বিএনপি’র নেতাকর্মী, ইউনিভার্সিটি, কলেজের ছাত্রদের গাদাগাদি করে রাখা হয়। হিটলালের গ্যাস চেম্বার আর এ সরকারের কারাগারের গ্যাস চেম্বারের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।’

এসময় তিনি সারাদেশে দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হামলা, মামলা ও গ্রেফতারের বিবরণ তুলে ধরে বলেন, ‘বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগ) হারুনুর রশিদ হারুন, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু বক্কর সিদ্দিক, নরসিংদী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মঞ্জুর এলাহী ও মৎস্যজীবী দল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রনি আকতারকে সোমবার গভীর রাতে নিজ নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক আসাদুল করিম শাহিন, সহ-অর্থনৈতিক বিষয়ক মাহমুদুর রহমান সুমন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, তারিকুল ইসলাম তেনজিং প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Please Share This Post in Your Social Media

সরকার এখন আনসারকে গণতন্ত্রকামীদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিচ্ছে: রিজভী

Update Time : ০৬:৪৭:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৩

পুলিশের সর্বগ্রাসী গ্রেফতারি অভিযানের পরও সরকার শঙ্কামুক্ত হতে পারছে না বলেই আনসার বাহিনীকেও বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

আনসার বাহিনীকে গ্রেফতারের ক্ষমতা দেওয়াকে নজিরবিহীন ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ ঘটনার মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে আওয়ামী কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পের মধ্যে চূড়ান্তভাবে বন্দি করা হলো। বাংলাদেশকে প্রকৃত অর্থেই আওয়ামী বন্দিশালা বানানো হলো। আওয়ামী লীগ ক্ষয়িষ্ণু ও দুর্দশাগ্রস্ত একটি দল বলেই এখন আনসারকেও গণতন্ত্রকামী মানুষের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিচ্ছে।

মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

রিজভী অভিযোগ করে বলেন, ‘২৮ অক্টোবরের সমাবেশের কর্মসূচি সম্পর্কে দলের পক্ষ থেকে বারবার বলা হয়েছে যে এ কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ ও স্বতঃস্ফূর্ত। তা সত্ত্বেও আওয়ামীপন্থি পুলিশ কর্মকর্তারা জনমনে নানা আতঙ্কের বার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছেন ক্রমাগত হুমকির মাধ্যমে। কয়েকদিন ধরেই চলছে নির্বিচারে গ্রেফতার। ঢাকা মহানগরসহ দেশব্যাপী জেলাগুলোতে নেতাকর্মীরা বাড়িঘর, পরিবারছাড়া হয়ে দিগ্বিদিক ঘুরে বেড়াচ্ছেন। বিএনপির নেতাকর্মীদের যেখানেই পাচ্ছে সেখানেই নির্বিচারে আটক করছে পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশ। ইতোমধ্যে বিএনপির শীর্ষ নেতাসহ সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া শুরু হয়েছে। গণতন্ত্রকামী জনগণের আন্দোলন দমন করতেই সরকার গ্রেফতার ও সাজা দেওয়ার পথ অবলম্বন করেছে।

তিনি বলেন, গায়েবি মামলায় বিপুলসংখ্যক অজ্ঞাতনামা আসামি দেখানো হয়। এরপর গ্রেফতারদের ওই অজ্ঞাতনামা আসামির জায়গায় নাম বসিয়ে দেওয়া হয়। গায়েবি ককটেল আর গায়েবি বিস্ফোরক ধারার গায়েবি মামলায় অধিকাংশ গ্রেফতারের নামে অভিযোগ আনা হয়। সরকার এখন গায়েবি সাক্ষ্যও চালু করেছে। বানানো সাক্ষীকে গায়েবি সাক্ষ্য দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। এমনকি ফৌজদারি মামলায় পুলিশ সাক্ষী দিতে শেখানো কথা না বললে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশের সদর দফতর থেকে।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, ‘পুলিশ প্রশাসন এখন জনগণের প্রতিষ্ঠান নয়, এটিকে গণতন্ত্রের শেষ চিহ্নটুকু মুছে দিতে নব্য বাকশালী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হয়েছে। দেশটাকে চিরতরে আওয়ামী কর্তৃত্বের অধীনে রাখার জন্য গত ১৫ বছর ধরে জনপ্রশাসন, পুলিশ ও বিচার বিভাগকে আওয়ামী লীগের উইং হিসেবে তৈরি করেছেন সরকারপ্রধান। সেই কারণে তারা ন্যায়বিচার, সুশাসন এবং চিন্তার স্বাধীনতাকে সমাধিস্থ করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাস উদ্দিন একটি দৈনিকে যথার্থই বলেছেন, ‘যারা অবৈধ কাজ করছে তাদের সবধরনের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খুলনায় বলেছেন, সংবিধান মেনেই জাতীয় নির্বাচন হবে। তার এই বক্তব্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কার্বন কপি। বর্তমান নির্বাচন কমিশনকেও যে শেখ হাসিনা বিচারক, পুলিশ ও প্রশাসনের মতো আওয়ামী ক্যাডারদের দিয়ে সাজিয়ে রেখেছেন আহসান হাবিবের বক্তব্যে তাদের মুখোশ খুলে পড়েছে। এই নির্বাচন কমিশন জনগণের স্বাধীন প্রতিষ্ঠান নয়, এটি একটি বাকশালী প্রতিষ্ঠান, তার বক্তব্যে একতরফা নির্বাচনেরই ইঙ্গিত ফুটে উঠেছে। এ কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন কখনই হবে না, এখানে ভোটের নামে ‘নির্বাচনবাজী’ হবে। সেই কারণেই বর্তমান নির্বাচন কমিশনের প্রতি জনগণের প্রচণ্ড অনাস্থা। এরা জনগণের নজরদারি নস্যাৎ করে আরেকটি নিশিরাতে ব্যালট বাক্স ভর্তিরই বন্দোবস্ত করছে।’

তিনি বলেন, ‘বাস্তবিকই বাংলাদেশের কারাগারগুলো এখন ভয়াবহ নিপীড়ণ-নির্যাতনের আয়নাঘর। বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানের পর রাখা হয় কারাগারের দমবন্ধ করা সেলে। দিনরাত তাদের লকআপে রাখা হয়। ডাকাতি ও খুনের ভয়ঙ্কর অপরাধীরা কারাভ্যন্তরে যে অধিকারটুকু ভোগ করে সেটুকুও বিএনপি নেতাকর্মীদের নেই। কেরানীগঞ্জ কারাগারে শাপলা বিল্ডিংয়ে বেশিরভাগ বিএনপি নেতাকর্মীদের দিনরাত আটকিয়ে রাখা হয়। পাশাপাশি অত্যন্ত নিম্নমানের খাবার দেওয়া হয় যেগুলো গরু-ছাগলের খাবারের জন্য প্রযোজ্য। নিজের টাকা দিয়ে খাবার কেনারও নিয়ম থাকলেও বিএনপি নেতাকর্মীদের সেই অধিকারটুকুও দেওয়া হয় না। এমনিতেই পিসিতে (প্রিজনার্স ক্যান্টিন) একটা খাদ্যপণ্যের দাম স্বাভাবিক বাজারমূল্যের চেয়ে প্রায় ৫/৬ শ’ গুণ বেশি। বিএনপি নেতাকর্মীদের পরিকল্পিতভাবে আর্থিক, মানসিক ও শারীরিকভাবে শোষণ-বঞ্চনা করা হচ্ছে। কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি জেল বিপজ্জনক জঙ্গি অপরাধীদের জন্য। সেখানেই বিএনপি’র নেতাকর্মী, ইউনিভার্সিটি, কলেজের ছাত্রদের গাদাগাদি করে রাখা হয়। হিটলালের গ্যাস চেম্বার আর এ সরকারের কারাগারের গ্যাস চেম্বারের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।’

এসময় তিনি সারাদেশে দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হামলা, মামলা ও গ্রেফতারের বিবরণ তুলে ধরে বলেন, ‘বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম বিভাগ) হারুনুর রশিদ হারুন, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু বক্কর সিদ্দিক, নরসিংদী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মঞ্জুর এলাহী ও মৎস্যজীবী দল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রনি আকতারকে সোমবার গভীর রাতে নিজ নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক আসাদুল করিম শাহিন, সহ-অর্থনৈতিক বিষয়ক মাহমুদুর রহমান সুমন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, তারিকুল ইসলাম তেনজিং প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।