ঢাকা ১০:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
আজ সেই ভয়াল ৩ মে! প্রবাসীদের সেবার মান বাড়াতে স্মার্ট কার্ড প্রদান করা হবে – ড. মোমেন গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের উপস্থিতি হার ৯০ শতাংশ ইবিতে ‘বি’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত অবিলম্বে ১০ম ওয়েজবোর্ড গঠন করুন: বিএফইউজে ও ডিইউজে নেতৃবৃন্দ অজ্ঞান করে স্বর্ণ ও টাকা চুরির রহস্য উদঘাটন ও চোরাই মালামালসহ গ্রেফতার ১ কয়েন প্রতারণার ফাঁদে ফেলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের দুই সদস্য গ্রেফতার ফেসবুকে অপপ্রচার: জবি শিক্ষককের বিচার চেয়ে ভিসির কাছে ডীনের অভিযোগ কুড়িগ্রামে ছাত্রীনিবাসের সামনে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির ভিডিও ধারণ, যুবকের কারাদণ্ড সাইকেল চালিয়ে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পাড়ি দিয়েছেন “দিদার”

সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর বাড়ির এক মাসে বিদ্যুৎ বিল ৩৭ টাকা!

ইউনুস আলী, লালমনিরহাট প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৯:৩৩:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ২৮১ Time View

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের বাড়িতে ব্যবহৃত বিদ্যুতের বিল নিয়ে জেলাজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। মন্ত্রীর বাড়ির বিদ্যুৎ বিল এক মাসে দেখানো হয়েছে মাত্র ৩৭ টাকা।

নর্দার্ন ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) কর্তৃপক্ষ গত চার বছরে বিদ্যুৎ বিল দেখিয়েছে ১১ হাজার ৬২০ টাকা; যা এখনো বকেয়া রয়েছে।

নেসকো থেকে প্রাপ্ত তথ্য জানায়, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ লালমনিরহাট-২ (আদিতমারী-কালীগঞ্জ উপজেলা) আসনে টানা দুইবারের এমপি এবং কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি কালীগঞ্জ উপজেলার কাশিরাম গ্রামের প্রায়ত এমপি করিম উদ্দিন আহমেদের ছেলে।

সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, তার ছেলে রাকিবুজ্জামান আহমেদ ও ছোট ভাই শামসুজ্জামান আহমেদ ভুট্টুর ব্যবহৃত ৬টি কনজ্যুমার আইডিতে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে ৮ লাখ ৯৬ হাজার ৬৮০ টাকা। তবে এসব বকেয়া বিলের খবর পরিবারের কেউই জানেন না বলে দাবি করেছেন মন্ত্রীর পরিবার।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের নামে একটি সেচ সংযোগ রয়েছে। এ মিটারে প্রায় চার বছরে ৬১ হাজার ৩৪৪ টাকা বিদ্যুৎ বিল দেখানো হলেও এখনো তা বকেয়া রয়েছে। চলতি বছর ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত গড়ে প্রতি মাসে সাড়ে ৯ হাজার টাকার বিল দেখানো হলেও জুন ও জুলাই মাসে শূন্য বিল দেখানো হয়েছে। ২০২২ সালের মার্চ মাসে ১৭ হাজার ২৩৬ টাকা বিল দেখানো হলেও জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে শূন্য বিল দেখানো হয়েছে। গত বছর এপ্রিল মাসে বিল দেখানো হয়েছে ৮০৪ টাকা এবং মে থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতি মাসে বিল দেখানো হয়েছে ১৮০ টাকা।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের নামে আরও একটি আবাসিক সংযোগ রয়েছে। সেখানেও একই অবস্থা। ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে বিদ্যুৎ বিল দেখানো হয়েছে ৩৭ টাকা। এছাড়া কোনো কোনো মাসে ৭২ টাকা, ৫২ টাকা, ৬৫ টাকা, ১১১ টাকা বিল দেখানো হয়েছে। সর্বোচ্চ একটি বিল ২৪০৮ টাকা দেখানো হয়েছে ২০২২ সালের আগস্ট মাসে। এ সংযোগেও গত প্রায় চার বছরে বিদ্যুৎ বিল দেখানো হয়েছে ১১ হাজার ৬২০ টাকা; যা এখনো বকেয়া রয়েছে।

মন্ত্রীর একমাত্র ছেলে রাকিবুজ্জামান আহমেদ তার দাদার নামে প্রতিষ্ঠিত করিমউদ্দিন ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক ও লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি নেসকোর একজন আবাসিক গ্রাহক। তার বাড়িতে ব্যবহৃত মাসিক বিদ্যুৎ বিল দেখানো হয়েছে ৭২ টাকা, ১১১ টাকা, ১৫১ টাকা, ১৮৯ টাকা, ২২৯ টাকা ও ৫১২ টাকা। শুধু চলতি বছর জুলাই মাসে সর্বোচ্চ বিল ১৩ হাজার ৫৬১ টাকা প্রস্তুত করা হয়েছে। গেল প্রায় চার বছরে বিল দেখানো হয়েছে ৭৯ হাজার ৯৯৫ টাকা; যা এখনো বকেয়া রয়েছে।

মন্ত্রীর ছোট ভাই শামসুজ্জামান আহমেদ ভুট্টুর একটি বাণিজ্যিক সংযোগে গেল প্রায় চার বছরে বিল বকেয়া রয়েছে ৬ লাখ ২০ হাজার ১১৩ টাকা। তার নামে একটি সেচ পাম্পের সংযোগও রয়েছে। গেল চার বছর ধরে বিল বকেয়া রয়েছে ১ লাখ ৫ হাজার ১১ টাকা।

এদিকে তার বাবা প্রায়ত এমপি করিম উদ্দিন আহমেদের নামে একটি আবাসিক সংযোগ রয়েছে। এ সংযোগটি ব্যবহার করছেন তিনি। এ সংযোগে মাসিক বিল দেখানো হয়েছে ৬৩ টাকা, ১৭২টাকা, ২৯৪ টাকা, ২৮০ টাকা। সর্বোচ্চ বিল ৪৯৬ টাকা দেখানো হয়েছে ২০২২ সালের আগস্ট, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে। গেল চার বছরে বিল দেখানো হয়েছে ১৮ হাজার ৫৭৭ টাকা। এখনো বকেয়া রয়েছে এসব বিল।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মন্ত্রী, তার ছেলে ও তার ছোট ভাইয়ের বাড়ির প্রতিটি রুমে এয়ার কন্ডিশন (এসি), ফ্রিজ, ফ্যানসহ সব ধরনের ইলেকিট্রক পণ্য ব্যবহৃত হয়। তাদের সেচপাম্প থেকে প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ জমিতে ইরি ধান ও ভুট্টা চাষ করতে পানি সরবরাহ করা হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা নুরনবী বলেন, ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় নেসকো কর্তৃপক্ষ আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। আবার মিটার বন্ধ থাকলেও ভুতুড়ে বিল ১ লাখ ৭৪ হাজার টাকার বিল হাতে ধরিয়ে দিচ্ছে। এখন তারা মন্ত্রী মিনিস্টার; তাই তাদের কারেন্ট বিল কম হলেও বাকি। যত দোষ সাধারণ মানুষের।

স্থানীয় জহির রায়হান বলেন, একজন গ্রাহকের বিল বেশি হয়েছে বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে তার পক্ষে কথা বলেছি এজন্য আমাকে বিদ্যুৎ অফিস ৫ লাখ টাকার মামলা ধরিয়ে দিয়েছে। আমরা গরিব মানুষ জরিমানা বেশি মামলাও বেশি।

এ বিষয়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ এমপির সৎভাই শামসুজ্জামান আহমেদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়; এজন্য বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের ছেলে লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিবুজ্জামান আহমেদ বলেন, বেশি ভাগ সময়ই আমরা ঢাকায় অবস্থান করি। আমাদের বাড়ির দেখাশোনা করেন কেয়ারটেকার। বিদ্যুৎ বিল বাকি আছে কিনা বিষয়টি কেয়ারটেকারই জানেন। আমরা নিয়মিত সব বিলই পরিশোধ করি।

বকেয়া বিল আদায়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা বা মামলা দায়ের হবে কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলে রংপুর নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান বলেন, ওনাদের তো টাকার অভাব নেই। আমরা আগে কথা বলে দেখি।

তিনি আরও বলেন, অনেক সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকের বিল বকেয়া রয়েছে। বকেয়া বিল আদায়ে তারা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন। বিদ্যুৎ বিল প্রস্তুত করতে কোনো গাফিলতি করা হয়েছে কিনা- সেই বিষয়ে তারা খতিয়ে দেখবেন বলে আশ্বাস দেন তিনি।

Please Share This Post in Your Social Media

সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর বাড়ির এক মাসে বিদ্যুৎ বিল ৩৭ টাকা!

Update Time : ০৯:৩৩:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের বাড়িতে ব্যবহৃত বিদ্যুতের বিল নিয়ে জেলাজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। মন্ত্রীর বাড়ির বিদ্যুৎ বিল এক মাসে দেখানো হয়েছে মাত্র ৩৭ টাকা।

নর্দার্ন ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) কর্তৃপক্ষ গত চার বছরে বিদ্যুৎ বিল দেখিয়েছে ১১ হাজার ৬২০ টাকা; যা এখনো বকেয়া রয়েছে।

নেসকো থেকে প্রাপ্ত তথ্য জানায়, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ লালমনিরহাট-২ (আদিতমারী-কালীগঞ্জ উপজেলা) আসনে টানা দুইবারের এমপি এবং কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি কালীগঞ্জ উপজেলার কাশিরাম গ্রামের প্রায়ত এমপি করিম উদ্দিন আহমেদের ছেলে।

সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, তার ছেলে রাকিবুজ্জামান আহমেদ ও ছোট ভাই শামসুজ্জামান আহমেদ ভুট্টুর ব্যবহৃত ৬টি কনজ্যুমার আইডিতে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে ৮ লাখ ৯৬ হাজার ৬৮০ টাকা। তবে এসব বকেয়া বিলের খবর পরিবারের কেউই জানেন না বলে দাবি করেছেন মন্ত্রীর পরিবার।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের নামে একটি সেচ সংযোগ রয়েছে। এ মিটারে প্রায় চার বছরে ৬১ হাজার ৩৪৪ টাকা বিদ্যুৎ বিল দেখানো হলেও এখনো তা বকেয়া রয়েছে। চলতি বছর ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত গড়ে প্রতি মাসে সাড়ে ৯ হাজার টাকার বিল দেখানো হলেও জুন ও জুলাই মাসে শূন্য বিল দেখানো হয়েছে। ২০২২ সালের মার্চ মাসে ১৭ হাজার ২৩৬ টাকা বিল দেখানো হলেও জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে শূন্য বিল দেখানো হয়েছে। গত বছর এপ্রিল মাসে বিল দেখানো হয়েছে ৮০৪ টাকা এবং মে থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতি মাসে বিল দেখানো হয়েছে ১৮০ টাকা।

সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের নামে আরও একটি আবাসিক সংযোগ রয়েছে। সেখানেও একই অবস্থা। ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে বিদ্যুৎ বিল দেখানো হয়েছে ৩৭ টাকা। এছাড়া কোনো কোনো মাসে ৭২ টাকা, ৫২ টাকা, ৬৫ টাকা, ১১১ টাকা বিল দেখানো হয়েছে। সর্বোচ্চ একটি বিল ২৪০৮ টাকা দেখানো হয়েছে ২০২২ সালের আগস্ট মাসে। এ সংযোগেও গত প্রায় চার বছরে বিদ্যুৎ বিল দেখানো হয়েছে ১১ হাজার ৬২০ টাকা; যা এখনো বকেয়া রয়েছে।

মন্ত্রীর একমাত্র ছেলে রাকিবুজ্জামান আহমেদ তার দাদার নামে প্রতিষ্ঠিত করিমউদ্দিন ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক ও লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি নেসকোর একজন আবাসিক গ্রাহক। তার বাড়িতে ব্যবহৃত মাসিক বিদ্যুৎ বিল দেখানো হয়েছে ৭২ টাকা, ১১১ টাকা, ১৫১ টাকা, ১৮৯ টাকা, ২২৯ টাকা ও ৫১২ টাকা। শুধু চলতি বছর জুলাই মাসে সর্বোচ্চ বিল ১৩ হাজার ৫৬১ টাকা প্রস্তুত করা হয়েছে। গেল প্রায় চার বছরে বিল দেখানো হয়েছে ৭৯ হাজার ৯৯৫ টাকা; যা এখনো বকেয়া রয়েছে।

মন্ত্রীর ছোট ভাই শামসুজ্জামান আহমেদ ভুট্টুর একটি বাণিজ্যিক সংযোগে গেল প্রায় চার বছরে বিল বকেয়া রয়েছে ৬ লাখ ২০ হাজার ১১৩ টাকা। তার নামে একটি সেচ পাম্পের সংযোগও রয়েছে। গেল চার বছর ধরে বিল বকেয়া রয়েছে ১ লাখ ৫ হাজার ১১ টাকা।

এদিকে তার বাবা প্রায়ত এমপি করিম উদ্দিন আহমেদের নামে একটি আবাসিক সংযোগ রয়েছে। এ সংযোগটি ব্যবহার করছেন তিনি। এ সংযোগে মাসিক বিল দেখানো হয়েছে ৬৩ টাকা, ১৭২টাকা, ২৯৪ টাকা, ২৮০ টাকা। সর্বোচ্চ বিল ৪৯৬ টাকা দেখানো হয়েছে ২০২২ সালের আগস্ট, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে। গেল চার বছরে বিল দেখানো হয়েছে ১৮ হাজার ৫৭৭ টাকা। এখনো বকেয়া রয়েছে এসব বিল।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মন্ত্রী, তার ছেলে ও তার ছোট ভাইয়ের বাড়ির প্রতিটি রুমে এয়ার কন্ডিশন (এসি), ফ্রিজ, ফ্যানসহ সব ধরনের ইলেকিট্রক পণ্য ব্যবহৃত হয়। তাদের সেচপাম্প থেকে প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ জমিতে ইরি ধান ও ভুট্টা চাষ করতে পানি সরবরাহ করা হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা নুরনবী বলেন, ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় নেসকো কর্তৃপক্ষ আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। আবার মিটার বন্ধ থাকলেও ভুতুড়ে বিল ১ লাখ ৭৪ হাজার টাকার বিল হাতে ধরিয়ে দিচ্ছে। এখন তারা মন্ত্রী মিনিস্টার; তাই তাদের কারেন্ট বিল কম হলেও বাকি। যত দোষ সাধারণ মানুষের।

স্থানীয় জহির রায়হান বলেন, একজন গ্রাহকের বিল বেশি হয়েছে বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে তার পক্ষে কথা বলেছি এজন্য আমাকে বিদ্যুৎ অফিস ৫ লাখ টাকার মামলা ধরিয়ে দিয়েছে। আমরা গরিব মানুষ জরিমানা বেশি মামলাও বেশি।

এ বিষয়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ এমপির সৎভাই শামসুজ্জামান আহমেদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়; এজন্য বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের ছেলে লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিবুজ্জামান আহমেদ বলেন, বেশি ভাগ সময়ই আমরা ঢাকায় অবস্থান করি। আমাদের বাড়ির দেখাশোনা করেন কেয়ারটেকার। বিদ্যুৎ বিল বাকি আছে কিনা বিষয়টি কেয়ারটেকারই জানেন। আমরা নিয়মিত সব বিলই পরিশোধ করি।

বকেয়া বিল আদায়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা বা মামলা দায়ের হবে কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলে রংপুর নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান বলেন, ওনাদের তো টাকার অভাব নেই। আমরা আগে কথা বলে দেখি।

তিনি আরও বলেন, অনেক সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকের বিল বকেয়া রয়েছে। বকেয়া বিল আদায়ে তারা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন। বিদ্যুৎ বিল প্রস্তুত করতে কোনো গাফিলতি করা হয়েছে কিনা- সেই বিষয়ে তারা খতিয়ে দেখবেন বলে আশ্বাস দেন তিনি।