ঢাকা ০৪:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
আজ সেই ভয়াল ৩ মে! প্রবাসীদের সেবার মান বাড়াতে স্মার্ট কার্ড প্রদান করা হবে – ড. মোমেন গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের উপস্থিতি হার ৯০ শতাংশ ইবিতে ‘বি’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত অবিলম্বে ১০ম ওয়েজবোর্ড গঠন করুন: বিএফইউজে ও ডিইউজে নেতৃবৃন্দ অজ্ঞান করে স্বর্ণ ও টাকা চুরির রহস্য উদঘাটন ও চোরাই মালামালসহ গ্রেফতার ১ কয়েন প্রতারণার ফাঁদে ফেলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের দুই সদস্য গ্রেফতার ফেসবুকে অপপ্রচার: জবি শিক্ষককের বিচার চেয়ে ভিসির কাছে ডীনের অভিযোগ কুড়িগ্রামে ছাত্রীনিবাসের সামনে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির ভিডিও ধারণ, যুবকের কারাদণ্ড সাইকেল চালিয়ে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পাড়ি দিয়েছেন “দিদার”

লালমনিরহাটে গো-খাদ্যের তীব্র সংকট

মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ, লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
  • Update Time : ০৪:৪১:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ১২০ Time View

লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়ন ও ২টি (লালমনিরহাট, পাটগ্রাম) পৌরসভায় বর্তমান সময়ে গবাদি পশু পালনকারী কৃষকদের সংরক্ষিত গো-খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।

কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গবাদি পশু পালন করতে গেলে গো-খাদ্য মজুদ থাকতে হয়। কিন্তু এবারে বন্যায় গো-খাদ্য (পোয়াল) পচে যাওয়ায় এ কৃত্রিম সংকট।

এখন বিভিন্ন জায়গা থেকে তা সংগ্রহ করা হচ্ছে। কিন্তু বেশি টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে। সামনে আগাম জাতের ধান কাটা হলে এ সংকট থাকবে না।

সংশ্লিষ্টরা জানায়, চলতি মৌসুমে বড় খামারিরা গরুর জন্য সবুজ ঘাস লাগালেও ক্ষুদ্র খামারিরা শুকনো খড়ের ওপর নির্ভর করেন। এ বছর বন্যা আর বৃষ্টির কারণে অনেক কৃষকের খড়ের গাদা পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে।

চর খাটামারী গ্রামের ক্ষুদ্র খামারি এস এম হাসান আলী জানান, গরুর জন্য যে খড় রাখা হয়েছিল, তা পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে। এখন খড় কিনে খাওয়াতে হচ্ছে। একটা গরুর একদিনের খড় কিনতে ২০/৩০ টাকা লাগে।

খড় ব্যবসায়ী বলেন, এ সময় খড়ের চাহিদা একটু বেশি থাকে। তাই বিভিন্ন এলাকা থেকে শুকনো খড় পাইকারি কিনে বাজারে খুচরা বিক্রি করছি। একটি আঁটি ৩ টাকা ক্রয় করে ৪ থেকে ৫টাকা বিক্রয় করে থাকি।

ফুলগাছ গ্রামের মোঃ হযরত আলী জানান, মাঠে ধানক্ষেত থাকায় গরু নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। এছাড়া, ধানের গুঁড়া, ভুষি ও ভুট্টার গুঁড়ার দাম বেড়েছে কয়েকগুন।

তাই এ সময় শুকনো খড়ই ক্ষুদ্র খামারিদের একমাত্র ভরসা। তবে, বন্যা আর অতিবৃষ্টির কারণে শুকনো খড়েরও সংকট সৃষ্টি হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

লালমনিরহাটে গো-খাদ্যের তীব্র সংকট

Update Time : ০৪:৪১:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়ন ও ২টি (লালমনিরহাট, পাটগ্রাম) পৌরসভায় বর্তমান সময়ে গবাদি পশু পালনকারী কৃষকদের সংরক্ষিত গো-খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।

কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গবাদি পশু পালন করতে গেলে গো-খাদ্য মজুদ থাকতে হয়। কিন্তু এবারে বন্যায় গো-খাদ্য (পোয়াল) পচে যাওয়ায় এ কৃত্রিম সংকট।

এখন বিভিন্ন জায়গা থেকে তা সংগ্রহ করা হচ্ছে। কিন্তু বেশি টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে। সামনে আগাম জাতের ধান কাটা হলে এ সংকট থাকবে না।

সংশ্লিষ্টরা জানায়, চলতি মৌসুমে বড় খামারিরা গরুর জন্য সবুজ ঘাস লাগালেও ক্ষুদ্র খামারিরা শুকনো খড়ের ওপর নির্ভর করেন। এ বছর বন্যা আর বৃষ্টির কারণে অনেক কৃষকের খড়ের গাদা পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে।

চর খাটামারী গ্রামের ক্ষুদ্র খামারি এস এম হাসান আলী জানান, গরুর জন্য যে খড় রাখা হয়েছিল, তা পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে। এখন খড় কিনে খাওয়াতে হচ্ছে। একটা গরুর একদিনের খড় কিনতে ২০/৩০ টাকা লাগে।

খড় ব্যবসায়ী বলেন, এ সময় খড়ের চাহিদা একটু বেশি থাকে। তাই বিভিন্ন এলাকা থেকে শুকনো খড় পাইকারি কিনে বাজারে খুচরা বিক্রি করছি। একটি আঁটি ৩ টাকা ক্রয় করে ৪ থেকে ৫টাকা বিক্রয় করে থাকি।

ফুলগাছ গ্রামের মোঃ হযরত আলী জানান, মাঠে ধানক্ষেত থাকায় গরু নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। এছাড়া, ধানের গুঁড়া, ভুষি ও ভুট্টার গুঁড়ার দাম বেড়েছে কয়েকগুন।

তাই এ সময় শুকনো খড়ই ক্ষুদ্র খামারিদের একমাত্র ভরসা। তবে, বন্যা আর অতিবৃষ্টির কারণে শুকনো খড়েরও সংকট সৃষ্টি হয়েছে।