ঢাকা ০৬:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
অবিলম্বে ১০ম ওয়েজবোর্ড গঠন করুন: বিএফইউজে ও ডিইউজে নেতৃবৃন্দ অজ্ঞান করে স্বর্ণ ও টাকা চুরির রহস্য উদঘাটন ও চোরাই মালামালসহ গ্রেফতার ১ কয়েন প্রতারণার ফাঁদে ফেলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের দুই সদস্য গ্রেফতার ফেসবুকে অপপ্রচার: জবি শিক্ষককের বিচার চেয়ে ভিসির কাছে ডীনের অভিযোগ কুড়িগ্রামে ছাত্রীনিবাসের সামনে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির ভিডিও ধারণ, যুবকের কারাদণ্ড সাইকেল চালিয়ে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পাড়ি দিয়েছেন “দিদার” টাঙ্গাইলে মেয়ে ও জামাতার বিরুদ্ধে বাবাকে নির্যাতনের অভিযোগ, বৃদ্ধের মৃত্যু আখেরী মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে জাকের পার্টির বিশ্ব ইসলামি মহা সম্মেলন ও মহা পবিত্র ফাতেহা শরীফের সমাপ্তি টঙ্গীতে পরিবহনে চাঁদাবাজি, গ্রেফতার ৮ সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা সম্ভবঃ প্রধান বিচারপতি 

চাঞ্চল্যকর করিম হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ১

শরিফুল হক পাভেল
  • Update Time : ১০:৩২:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৫৬ Time View

বহুল আলোচিত জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ থানাধীন এলাকায় পরকীয়ার জেরে আব্দুল করিম হত্যার চাঞ্চল্যকর ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী ও হত্যাকারীকে টাঙ্গাইল জেলার করটিয়া থেকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৩।

মঙ্গলবার সকালে টিকাটুলি র‍্যাব-৩ এর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।

জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ থানাধীন দক্ষিন গজারিয়া এলাকায় ভিকটিম আব্দুল করিম এর ছোট বোন নুরে জান্নাত ওরফে ইতি কে একই গ্রামের এক প্রবাসী সুরুজ্জামানের সাথে বিয়ে দেয়। স্বামী সুরুজ্জামান বিয়ের কিছুদিন পরে সৌদি আরবে চলে যাওয়ায় ইতি ও তার দেবর তারা মিয়া অবৈধ প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। ভিকটিম আব্দুল করিম তার বোন ইতি ও বোনের দেবর তারা মিয়ার অবৈধ প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি জানতে পেরে সে তার বোন ও তারা মিয়াকে কঠোরভাবে শাসন করে এবং পরবর্তীতে বিষয়টি তার বোনের স্বামী সুরুজ্জামানকে ফোনের মাধ্যমে জানায়।

তিনি বলেন, ভিকটিম করিম তার বোনের স্বামীকে বিষয়টি জানানোর কারনে করিমের উপর তার বোন ও তারা মিয়ার কাছে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। করিম জামালপুর সদরে মেটাডোর কোম্পানীতে চাকুরী করতো।

গত বছর ২৮ আগস্ট দুপুর ১২ টায় করিম বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে কর্মস্থলে রওনা করে। কিছুক্ষন পরে তারা মিয়া ভিকটিম করিমের বাড়িতে এসে তার স্ত্রীর কাছে করিমের খোজ জানতে চায়। তখন ভিকটিমের স্ত্রী জানায় করিম জামালপুর গিয়েছে। তারা মিয়া তখন করিমের স্ত্রীর কথা শুনে সেখান থেকে চলে যায়। বিকালে করিমের স্ত্রী তার স্বামীকে ফোন করে তার অবস্থান জানতে চায়। করিম জানায় সে তারা মিয়ার সাথে আছে। রাত ২টা বেজে গেলেও করিম বাড়িতে না ফেরায় তার স্ত্রী ফোন দিলে সেটি বন্ধ পায়। ফোন বন্ধ পেয়ে তারা মিয়াকে ফোন দিলে তিনি বলে করিমের কোন সন্ধান জানেনা এবং তাকে যেন আর ফোন না করে। তারপর থেকে করিমের কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে গত বছর ৩০ আগস্ট মাদারগঞ্জ থানাধীন দক্ষিণ গজারিয়া দউপাড় ব্রীজের নিচে ডোবার পানিতে স্থানীয় লোকজন করিমের মরদেহের সন্ধান পায়।

করিম নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই তারা মিয়া আত্মগোপনে চলে যায়। পরবর্তীতে তারা মিয়ার বড় ভাই সুলতান ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য করিমের পরিবারের সাথে আপোষের চেষ্টা চালায়। সুলতান তাদের আত্মীয়তার দোহাই দিয়ে ঘটনাটি মামলা না করার জন্য অপচেষ্টা চালায়। কিন্তু সুলতানের কোন কথায় কান না দিয়ে করিমের স্ত্রী গত বছর ২৩ নভেম্বর জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ থানায় বাদী হয়ে ধৃত তারা মিয়া, ভিকটিমের বোন নুরে জান্নাত ওরফে ইতি এবং তারা মিয়ার বড় ভাই সুলতানকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।

এরই ধারাবাহিকতায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‍্যাব-৩ গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে টাঙ্গাইল জেলার করটিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকান্ডের মূলপরিকল্পনাকারী ১। তারা মিয়া (৪০)কে গ্রেফতার করে।

জিজ্ঞসাবাদে আসামী জানায়, ঘটনার বছর দুয়েক আগে ইতি ও তারা মিয়াকে করিমের বাড়িতে শারীরিক সম্পর্কের সময় হাতে নাতে ধরে ফেলে। এতে করিম ক্ষিপ্ত হয়ে তারা মিয়াকে পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে দেয়। হাত ভেঙ্গে যাওয়ায় তারা মিয়ার সাথে করিমের শত্রুতা তৈরী হয়। ক্ষোভের জের ধরে তারা মিয়া ও ইতি করিমের উপর প্রতিশোধ নেয়ার পরিকল্পনা করতে শুরু করে।

পরবর্তীতে করিম তারা মিয়ার এলাকায় বিয়ে করে। করিমের শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার আসার সুবাদে তারা মিয়ার সাথে পুনরায় তাদের বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাদের মধ্যে পুনরায় বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠার ফলে করিম জানতে পারে তার বোনের সাথে তারা মিয়ার এখনো অবৈধ প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। তাদের অবৈধ প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ভিকটিম আব্দুল করিম তার বোনের শ্বশুর বাড়িতে যায়। সেখানে যাওয়ার পরে সে তার বোন ইতি এবং তারা মিয়াকে অবৈধ কাজে লিপ্ত অবস্থায় দেখতে পায়। তৎক্ষনাৎ সে তার বোন ও তারা মিয়াকে কঠোরভাবে শাসন করে এবং পরবর্তীতে বিষয়টি তার বোনের স্বামী সুরুজ্জামানকে ফোনের মাধ্যমে জানায়। ভিকটিম করিম তার বোনের স্বামীকে বিষয়টি জানানোর কারনে করিমের উপর তারা মিয়া ও ইতির ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ক্ষোভের জের ধরে তারা মিয়া ও ইতি করিমের উপর প্রতিশোধ নেয়ার পরিকল্পনা করতে শুরু করে।

আসামী আরও জানায়, পরিকল্পনা মোতাবেক ঘটনার দিন ভিকটিম করিম জামালপুর থেকে বাড়ি ফেরার সময় তারা মিয়া দউপাড় ব্রীজের পাশে অপেক্ষা করতে থাকে। করিম সেখানে আসার পর তারা মিয়া তাকে দাড় করিয়ে তারা মিয়া ও ইতির অবৈধ মেলামেশার বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে দীর্ঘ সময় কথা কাটাকাটি চলতে থাকে। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তারা মিয়া ও অজ্ঞাত চার জন মিলে ভিকটিম করিমের সাথে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এক পর্যায়ে তারা মিয়া ও অজ্ঞাত আসামিরা করিমকে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। হত্যার পর করিমের দেহ ব্রীজের নিচে ডোবার পানিতে ফেলে দেয় এবং ভিকটিমের মোবাইল ফোন দূর্গম কোন স্থানে ফেলে দিয়ে তারা মিয়া পালিয়ে যায়।

তারা মিয়া পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করেছে। সে বিভিন্ন ক্ষেতে খামারে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো। সে পারিবারের সম্মতিতে বিয়ে করে। বিয়ের পরে তার ভাবি ইতির সাথে অবৈধ সম্পর্কের বিষয়টি তার স্ত্রী জানতে পেরে তাকে ডিভোর্স দিয়ে চলে যায়। তারপর সে আর বিয়ে না করে তার ভাবি ইতির সাথে অবৈধ সম্পর্ক চালিয়ে যেতে থাকে। করিমকে হত্যার পর সে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে টাঙ্গাইল জেলার করটিয়া এলাকায় অটোরিক্সা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতো।

Please Share This Post in Your Social Media

চাঞ্চল্যকর করিম হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ১

Update Time : ১০:৩২:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

বহুল আলোচিত জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ থানাধীন এলাকায় পরকীয়ার জেরে আব্দুল করিম হত্যার চাঞ্চল্যকর ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী ও হত্যাকারীকে টাঙ্গাইল জেলার করটিয়া থেকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৩।

মঙ্গলবার সকালে টিকাটুলি র‍্যাব-৩ এর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।

জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ থানাধীন দক্ষিন গজারিয়া এলাকায় ভিকটিম আব্দুল করিম এর ছোট বোন নুরে জান্নাত ওরফে ইতি কে একই গ্রামের এক প্রবাসী সুরুজ্জামানের সাথে বিয়ে দেয়। স্বামী সুরুজ্জামান বিয়ের কিছুদিন পরে সৌদি আরবে চলে যাওয়ায় ইতি ও তার দেবর তারা মিয়া অবৈধ প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। ভিকটিম আব্দুল করিম তার বোন ইতি ও বোনের দেবর তারা মিয়ার অবৈধ প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি জানতে পেরে সে তার বোন ও তারা মিয়াকে কঠোরভাবে শাসন করে এবং পরবর্তীতে বিষয়টি তার বোনের স্বামী সুরুজ্জামানকে ফোনের মাধ্যমে জানায়।

তিনি বলেন, ভিকটিম করিম তার বোনের স্বামীকে বিষয়টি জানানোর কারনে করিমের উপর তার বোন ও তারা মিয়ার কাছে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। করিম জামালপুর সদরে মেটাডোর কোম্পানীতে চাকুরী করতো।

গত বছর ২৮ আগস্ট দুপুর ১২ টায় করিম বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে কর্মস্থলে রওনা করে। কিছুক্ষন পরে তারা মিয়া ভিকটিম করিমের বাড়িতে এসে তার স্ত্রীর কাছে করিমের খোজ জানতে চায়। তখন ভিকটিমের স্ত্রী জানায় করিম জামালপুর গিয়েছে। তারা মিয়া তখন করিমের স্ত্রীর কথা শুনে সেখান থেকে চলে যায়। বিকালে করিমের স্ত্রী তার স্বামীকে ফোন করে তার অবস্থান জানতে চায়। করিম জানায় সে তারা মিয়ার সাথে আছে। রাত ২টা বেজে গেলেও করিম বাড়িতে না ফেরায় তার স্ত্রী ফোন দিলে সেটি বন্ধ পায়। ফোন বন্ধ পেয়ে তারা মিয়াকে ফোন দিলে তিনি বলে করিমের কোন সন্ধান জানেনা এবং তাকে যেন আর ফোন না করে। তারপর থেকে করিমের কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে গত বছর ৩০ আগস্ট মাদারগঞ্জ থানাধীন দক্ষিণ গজারিয়া দউপাড় ব্রীজের নিচে ডোবার পানিতে স্থানীয় লোকজন করিমের মরদেহের সন্ধান পায়।

করিম নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই তারা মিয়া আত্মগোপনে চলে যায়। পরবর্তীতে তারা মিয়ার বড় ভাই সুলতান ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য করিমের পরিবারের সাথে আপোষের চেষ্টা চালায়। সুলতান তাদের আত্মীয়তার দোহাই দিয়ে ঘটনাটি মামলা না করার জন্য অপচেষ্টা চালায়। কিন্তু সুলতানের কোন কথায় কান না দিয়ে করিমের স্ত্রী গত বছর ২৩ নভেম্বর জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ থানায় বাদী হয়ে ধৃত তারা মিয়া, ভিকটিমের বোন নুরে জান্নাত ওরফে ইতি এবং তারা মিয়ার বড় ভাই সুলতানকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।

এরই ধারাবাহিকতায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‍্যাব-৩ গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে টাঙ্গাইল জেলার করটিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকান্ডের মূলপরিকল্পনাকারী ১। তারা মিয়া (৪০)কে গ্রেফতার করে।

জিজ্ঞসাবাদে আসামী জানায়, ঘটনার বছর দুয়েক আগে ইতি ও তারা মিয়াকে করিমের বাড়িতে শারীরিক সম্পর্কের সময় হাতে নাতে ধরে ফেলে। এতে করিম ক্ষিপ্ত হয়ে তারা মিয়াকে পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে দেয়। হাত ভেঙ্গে যাওয়ায় তারা মিয়ার সাথে করিমের শত্রুতা তৈরী হয়। ক্ষোভের জের ধরে তারা মিয়া ও ইতি করিমের উপর প্রতিশোধ নেয়ার পরিকল্পনা করতে শুরু করে।

পরবর্তীতে করিম তারা মিয়ার এলাকায় বিয়ে করে। করিমের শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার আসার সুবাদে তারা মিয়ার সাথে পুনরায় তাদের বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাদের মধ্যে পুনরায় বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠার ফলে করিম জানতে পারে তার বোনের সাথে তারা মিয়ার এখনো অবৈধ প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। তাদের অবৈধ প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ভিকটিম আব্দুল করিম তার বোনের শ্বশুর বাড়িতে যায়। সেখানে যাওয়ার পরে সে তার বোন ইতি এবং তারা মিয়াকে অবৈধ কাজে লিপ্ত অবস্থায় দেখতে পায়। তৎক্ষনাৎ সে তার বোন ও তারা মিয়াকে কঠোরভাবে শাসন করে এবং পরবর্তীতে বিষয়টি তার বোনের স্বামী সুরুজ্জামানকে ফোনের মাধ্যমে জানায়। ভিকটিম করিম তার বোনের স্বামীকে বিষয়টি জানানোর কারনে করিমের উপর তারা মিয়া ও ইতির ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ক্ষোভের জের ধরে তারা মিয়া ও ইতি করিমের উপর প্রতিশোধ নেয়ার পরিকল্পনা করতে শুরু করে।

আসামী আরও জানায়, পরিকল্পনা মোতাবেক ঘটনার দিন ভিকটিম করিম জামালপুর থেকে বাড়ি ফেরার সময় তারা মিয়া দউপাড় ব্রীজের পাশে অপেক্ষা করতে থাকে। করিম সেখানে আসার পর তারা মিয়া তাকে দাড় করিয়ে তারা মিয়া ও ইতির অবৈধ মেলামেশার বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে দীর্ঘ সময় কথা কাটাকাটি চলতে থাকে। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তারা মিয়া ও অজ্ঞাত চার জন মিলে ভিকটিম করিমের সাথে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এক পর্যায়ে তারা মিয়া ও অজ্ঞাত আসামিরা করিমকে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। হত্যার পর করিমের দেহ ব্রীজের নিচে ডোবার পানিতে ফেলে দেয় এবং ভিকটিমের মোবাইল ফোন দূর্গম কোন স্থানে ফেলে দিয়ে তারা মিয়া পালিয়ে যায়।

তারা মিয়া পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করেছে। সে বিভিন্ন ক্ষেতে খামারে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো। সে পারিবারের সম্মতিতে বিয়ে করে। বিয়ের পরে তার ভাবি ইতির সাথে অবৈধ সম্পর্কের বিষয়টি তার স্ত্রী জানতে পেরে তাকে ডিভোর্স দিয়ে চলে যায়। তারপর সে আর বিয়ে না করে তার ভাবি ইতির সাথে অবৈধ সম্পর্ক চালিয়ে যেতে থাকে। করিমকে হত্যার পর সে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে টাঙ্গাইল জেলার করটিয়া এলাকায় অটোরিক্সা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতো।