ঢাকা ০৪:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
ফেসবুকে অপপ্রচার: জবি শিক্ষককের বিচার চেয়ে ভিসির কাছে ডীনের অভিযোগ কুড়িগ্রামে ছাত্রীনিবাসের সামনে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির ভিডিও ধারণ, যুবকের কারাদণ্ড সাইকেল চালিয়ে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পাড়ি দিয়েছেন “দিদার” টাঙ্গাইলে মেয়ে ও জামাতার বিরুদ্ধে বাবাকে নির্যাতনের অভিযোগ, বৃদ্ধের মৃত্যু আখেরী মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে জাকের পার্টির বিশ্ব ইসলামি মহা সম্মেলন ও মহা পবিত্র ফাতেহা শরীফের সমাপ্তি টঙ্গীতে পরিবহনে চাঁদাবাজি, গ্রেফতার ৮ সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা সম্ভবঃ প্রধান বিচারপতি  শত কোটি টাকা আত্মসাৎ: দেশত্যাগের সময় বিমানবন্দরে বিশ্বাস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আটক লালপুরে আ,লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা ইবিতে নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও আনসার কর্তৃক শিক্ষক হেনস্তার অভিযোগ

রবিবার সারা দেশে আ.লীগের বিক্ষোভ কর্মসূচি

Reporter Name
  • Update Time : ১০:৪৪:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুলাই ২০২৩
  • / ৪৮ Time View

আগামীকাল রবিবার (৩০ জুলাই) দেশব্যাপী সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। ঢাকার প্রতিটি থানাসহ সব মহানগর, জেলা ও উপজেলায় এই বিক্ষোভ হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (২৯ জুলাই) বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও অঙ্গ-সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা এবং কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সারা দেশে রবিবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে। যে যেভাবে পারেন, সারা দেশে সব মহানগর, জেলায়, থানায় সকাল ১০টা থেকে ৫টা পর্যন্ত এই কর্মসূচি পালন করবেন। এ ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের সঙ্গে অন্য সংগঠনগুলোকে সমন্বয় করে কর্মসূচি পালন নিশ্চিত করতে কঠোর নির্দেশনা দেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাস আমরা রুখবোই। এর বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলবে, এটা আজকে আমাদের শপথ।

তিনি বলেন, আমরা যে আশঙ্কা করেছিলাম, সেটা সত্য হলো। আমরা বারবার বলেছি, তাদের (বিএনপি) আন্দোলনের এক দফা অগ্নিসন্ত্রাস করা। তারা এটা শুরু করতো গতকাল (শুক্রবার)। কিন্তু আমাদের শক্ত অবস্থানের কারণে করতে পারেনি। এ সময় যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের শুক্রবারের শান্তি সমাবেশের জন্য ধন্যবাদ জানান তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, গতকাল চেতনার অভ্যুত্থান ঘটিয়েছে, যে নবজাগরণ হয়েছে গতকাল, রেকর্ড তারুণ্যের উপস্থিতির জোয়ার দেশবাসী দেখেছে। আমাদের নেত্রীও তারুণ্যের নবজাগরণের ঢেউ প্রত্যক্ষ করেছেন। তারুণ্যের যে শক্তি প্রদর্শিত হয়েছে, তাতে আমাদের নেতাও খুশি হয়েছেন। এই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।

বিএনপির গতকাল শুক্রবারের (২৮ জুলাই) মহাসমাবেশের বিষয়ে কাদের বলেন, গতকাল তারা বলেছে, রাজধানীর সব প্রবেশপথ বন্ধ করে দেবে, এটাই তাদের সিদ্ধান্ত। এর আগে তারা নেতাকর্মীদের অতিরিক্ত জামাকাপড় নিয়ে ঢাকা আসতে বলেছে। সঙ্গে চাদরও আনতে বলেছে। তার মানে তারা অবস্থান করবে। গণভবন থেকে শেখ হাসিনাকে না হটিয়ে তারা অবস্থান থেকে সরবে না, এটাই তাদের লিডার তারেক রহমানের নির্দেশ ছিল।

বিএনপির মহাসমাবেশে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের অডিও বার্তা দেওয়া প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি বুঝি না, আদালতের আদেশ প্রতিনিয়ত এই দুর্বৃত্ত তারেক রহমান লঙ্ঘন করে চলেছে। আদালতের আদেশ ছিল, কোনোভাবেই, কোনও ফোরামে তার ভাষণ, স্টেটমেন্ট, বিবৃতি ও বক্তব্য প্রচার করা যাবে না। সে প্রতিনিয়ত হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্টকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করছে। লঙ্ঘন করলে কী শাস্তি? শাস্তি তো তার ২০ বছর হয়েছে। আদালত যে বলেছেন সে বক্তব্য-বিবৃতি দিতে পারবে না, কাল তো বলতে বলতে এমনও বলেছে, একটা লাশ পড়লে দশটা লাশ পড়বে। লাশ ছাড়া সে কথা বলে না; টাকা ছাড়া সে কথা বলে না। আন্দোলন করো টাকার অভাব হবে না। কোথা থেকে পায় এত টাকা? প্রকাশ্যে মুখে মুখে বলে এর কি বিচার নেই, প্রতিকার নেই! সে কী আইনের ঊর্ধ্বে? বিএনপির যে নেতারা পল্টনে দাঁড়িয়ে তার কথার প্রতিধ্বনি করে, তারা কী আইনের ঊর্ধ্বে?

একই দিনে কর্মসূচি দেওয়ার ব্যাপারে সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা বলে আমরা তাদের দেখাদেখি পাল্টা কর্মসূচি দিই। আজ তারা এখনও কর্মসূচি দেয়নি। আমরা আজ বসেছি… আমাদের কর্মসূচি বিএনপিকে দেখে করবো না। আমরা গতকাল (শুক্রবার) এক কিলোমিটারের মধ্যে সমাবেশ করেছি। কিন্তু ছোট একটা সহিংসতাও হয়নি। এই শহরে একই দিনে চারটা মিটিং হয়েছে। কোনও সংঘাত হয়নি। কারণ, আমরা সংঘাত করতে সভাসমাবেশ করিনি, সংঘাতের বিরুদ্ধে, সংঘর্ষের বিরুদ্ধে জনগণের জানমালের নিরাপত্তাকে পবিত্র দায়িত্ব মনে করেছি। সে জন্য আমরা সতর্ক অবস্থানে ছিলাম, আছি, থাকবো। কোনও পাল্টাপাল্টির বিষয় না।

আজকের সারা দিনের ঘটনা মনিটরিং করার কথা জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, অগ্নিসন্ত্রাস তারা (বিএনপি) শুরু করে দিয়েছে। মাতুয়াইল, গাবতলীসহ ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় সাতটি বাসে আগুন দিয়েছে, ভাঙচুর করেছে, হামলা করেছে। পুলিশের ওপর হামলা করেছে। যুবলীগের একজনের হাতে কবজি কেটে নিয়েছে।

তিনি দাবি করে বলেন, অধিকাংশ সংঘর্ষ পুলিশের সঙ্গে হয়েছে। কিছু জায়গায় আওয়ামী লীগের লোকজনের ওপর হামলা করেছে, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়েছে। আমি পরিষ্কার বলতে চাই, বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাস আবারও শুরু হয়েছে। ২০১৩-১৪ সালের মতো নির্মম, নৃশংস ঘটনার পুনরাবৃত্তি শুরু হয়েছে। এই অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর সৈনিক, শেখ হাসিনার কর্মীবাহিনী, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি চুপ করে থাকতে পারে না। আমাদের দায়িত্ব আমরা পালন করবো।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি তাদের ওপর হামলা হওয়ার দাবি করছে। তারা বলে তাদের ওপর হামলা হচ্ছে, বাধা দেওয়া হচ্ছে। তারা বলেছে ঢাকার শহরে ঢোকার রাস্তা বন্ধ করে দেবে। এটা কী তারেক রহমানের বাপ-দাদার সম্পত্তি! লন্ডন থেকে আদেশ দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দিচ্ছে, এটা কোন রাজনীতি!

এ সময় ঢাকায় কর্মরত বিদেশি কূটনীতিকদের উদ্দেশ তিনি বলেন, যেসব বিদেশি বন্ধু আমাদের পরামর্শ দেন, তাদের বলছি, সুষ্ঠু নির্বাচন করতে আমরা ওয়াদাবদ্ধ। কিন্তু সুষ্ঠু, অবাধ নির্বাচনের প্রধান বাধা প্রথমে দেখা গেলো আজ সেই বিএনপি, যাদের বিরুদ্ধে বিদেশি বন্ধুদের বলেছিলাম, সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রধান বাধা বিএনপি, সেটি আজ প্রমাণিত হলো।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, আব্দুর রাজ্জাক, মো. ফারুক খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, মাহবুবউল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম প্রমুখ।

Please Share This Post in Your Social Media

রবিবার সারা দেশে আ.লীগের বিক্ষোভ কর্মসূচি

Update Time : ১০:৪৪:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুলাই ২০২৩

আগামীকাল রবিবার (৩০ জুলাই) দেশব্যাপী সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। ঢাকার প্রতিটি থানাসহ সব মহানগর, জেলা ও উপজেলায় এই বিক্ষোভ হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (২৯ জুলাই) বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও অঙ্গ-সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা এবং কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সারা দেশে রবিবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে। যে যেভাবে পারেন, সারা দেশে সব মহানগর, জেলায়, থানায় সকাল ১০টা থেকে ৫টা পর্যন্ত এই কর্মসূচি পালন করবেন। এ ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের সঙ্গে অন্য সংগঠনগুলোকে সমন্বয় করে কর্মসূচি পালন নিশ্চিত করতে কঠোর নির্দেশনা দেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাস আমরা রুখবোই। এর বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলবে, এটা আজকে আমাদের শপথ।

তিনি বলেন, আমরা যে আশঙ্কা করেছিলাম, সেটা সত্য হলো। আমরা বারবার বলেছি, তাদের (বিএনপি) আন্দোলনের এক দফা অগ্নিসন্ত্রাস করা। তারা এটা শুরু করতো গতকাল (শুক্রবার)। কিন্তু আমাদের শক্ত অবস্থানের কারণে করতে পারেনি। এ সময় যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের শুক্রবারের শান্তি সমাবেশের জন্য ধন্যবাদ জানান তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, গতকাল চেতনার অভ্যুত্থান ঘটিয়েছে, যে নবজাগরণ হয়েছে গতকাল, রেকর্ড তারুণ্যের উপস্থিতির জোয়ার দেশবাসী দেখেছে। আমাদের নেত্রীও তারুণ্যের নবজাগরণের ঢেউ প্রত্যক্ষ করেছেন। তারুণ্যের যে শক্তি প্রদর্শিত হয়েছে, তাতে আমাদের নেতাও খুশি হয়েছেন। এই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।

বিএনপির গতকাল শুক্রবারের (২৮ জুলাই) মহাসমাবেশের বিষয়ে কাদের বলেন, গতকাল তারা বলেছে, রাজধানীর সব প্রবেশপথ বন্ধ করে দেবে, এটাই তাদের সিদ্ধান্ত। এর আগে তারা নেতাকর্মীদের অতিরিক্ত জামাকাপড় নিয়ে ঢাকা আসতে বলেছে। সঙ্গে চাদরও আনতে বলেছে। তার মানে তারা অবস্থান করবে। গণভবন থেকে শেখ হাসিনাকে না হটিয়ে তারা অবস্থান থেকে সরবে না, এটাই তাদের লিডার তারেক রহমানের নির্দেশ ছিল।

বিএনপির মহাসমাবেশে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের অডিও বার্তা দেওয়া প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি বুঝি না, আদালতের আদেশ প্রতিনিয়ত এই দুর্বৃত্ত তারেক রহমান লঙ্ঘন করে চলেছে। আদালতের আদেশ ছিল, কোনোভাবেই, কোনও ফোরামে তার ভাষণ, স্টেটমেন্ট, বিবৃতি ও বক্তব্য প্রচার করা যাবে না। সে প্রতিনিয়ত হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্টকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করছে। লঙ্ঘন করলে কী শাস্তি? শাস্তি তো তার ২০ বছর হয়েছে। আদালত যে বলেছেন সে বক্তব্য-বিবৃতি দিতে পারবে না, কাল তো বলতে বলতে এমনও বলেছে, একটা লাশ পড়লে দশটা লাশ পড়বে। লাশ ছাড়া সে কথা বলে না; টাকা ছাড়া সে কথা বলে না। আন্দোলন করো টাকার অভাব হবে না। কোথা থেকে পায় এত টাকা? প্রকাশ্যে মুখে মুখে বলে এর কি বিচার নেই, প্রতিকার নেই! সে কী আইনের ঊর্ধ্বে? বিএনপির যে নেতারা পল্টনে দাঁড়িয়ে তার কথার প্রতিধ্বনি করে, তারা কী আইনের ঊর্ধ্বে?

একই দিনে কর্মসূচি দেওয়ার ব্যাপারে সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা বলে আমরা তাদের দেখাদেখি পাল্টা কর্মসূচি দিই। আজ তারা এখনও কর্মসূচি দেয়নি। আমরা আজ বসেছি… আমাদের কর্মসূচি বিএনপিকে দেখে করবো না। আমরা গতকাল (শুক্রবার) এক কিলোমিটারের মধ্যে সমাবেশ করেছি। কিন্তু ছোট একটা সহিংসতাও হয়নি। এই শহরে একই দিনে চারটা মিটিং হয়েছে। কোনও সংঘাত হয়নি। কারণ, আমরা সংঘাত করতে সভাসমাবেশ করিনি, সংঘাতের বিরুদ্ধে, সংঘর্ষের বিরুদ্ধে জনগণের জানমালের নিরাপত্তাকে পবিত্র দায়িত্ব মনে করেছি। সে জন্য আমরা সতর্ক অবস্থানে ছিলাম, আছি, থাকবো। কোনও পাল্টাপাল্টির বিষয় না।

আজকের সারা দিনের ঘটনা মনিটরিং করার কথা জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, অগ্নিসন্ত্রাস তারা (বিএনপি) শুরু করে দিয়েছে। মাতুয়াইল, গাবতলীসহ ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় সাতটি বাসে আগুন দিয়েছে, ভাঙচুর করেছে, হামলা করেছে। পুলিশের ওপর হামলা করেছে। যুবলীগের একজনের হাতে কবজি কেটে নিয়েছে।

তিনি দাবি করে বলেন, অধিকাংশ সংঘর্ষ পুলিশের সঙ্গে হয়েছে। কিছু জায়গায় আওয়ামী লীগের লোকজনের ওপর হামলা করেছে, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়েছে। আমি পরিষ্কার বলতে চাই, বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাস আবারও শুরু হয়েছে। ২০১৩-১৪ সালের মতো নির্মম, নৃশংস ঘটনার পুনরাবৃত্তি শুরু হয়েছে। এই অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর সৈনিক, শেখ হাসিনার কর্মীবাহিনী, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি চুপ করে থাকতে পারে না। আমাদের দায়িত্ব আমরা পালন করবো।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি তাদের ওপর হামলা হওয়ার দাবি করছে। তারা বলে তাদের ওপর হামলা হচ্ছে, বাধা দেওয়া হচ্ছে। তারা বলেছে ঢাকার শহরে ঢোকার রাস্তা বন্ধ করে দেবে। এটা কী তারেক রহমানের বাপ-দাদার সম্পত্তি! লন্ডন থেকে আদেশ দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দিচ্ছে, এটা কোন রাজনীতি!

এ সময় ঢাকায় কর্মরত বিদেশি কূটনীতিকদের উদ্দেশ তিনি বলেন, যেসব বিদেশি বন্ধু আমাদের পরামর্শ দেন, তাদের বলছি, সুষ্ঠু নির্বাচন করতে আমরা ওয়াদাবদ্ধ। কিন্তু সুষ্ঠু, অবাধ নির্বাচনের প্রধান বাধা প্রথমে দেখা গেলো আজ সেই বিএনপি, যাদের বিরুদ্ধে বিদেশি বন্ধুদের বলেছিলাম, সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রধান বাধা বিএনপি, সেটি আজ প্রমাণিত হলো।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, আব্দুর রাজ্জাক, মো. ফারুক খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, মাহবুবউল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম প্রমুখ।