ঢাকা ০৬:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
ফেসবুকে অপপ্রচার: জবি শিক্ষককের বিচার চেয়ে ভিসির কাছে ডীনের অভিযোগ কুড়িগ্রামে ছাত্রীনিবাসের সামনে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির ভিডিও ধারণ, যুবকের কারাদণ্ড সাইকেল চালিয়ে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পাড়ি দিয়েছেন “দিদার” টাঙ্গাইলে মেয়ে ও জামাতার বিরুদ্ধে বাবাকে নির্যাতনের অভিযোগ, বৃদ্ধের মৃত্যু আখেরী মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে জাকের পার্টির বিশ্ব ইসলামি মহা সম্মেলন ও মহা পবিত্র ফাতেহা শরীফের সমাপ্তি টঙ্গীতে পরিবহনে চাঁদাবাজি, গ্রেফতার ৮ সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা সম্ভবঃ প্রধান বিচারপতি  শত কোটি টাকা আত্মসাৎ: দেশত্যাগের সময় বিমানবন্দরে বিশ্বাস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আটক লালপুরে আ,লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা ইবিতে নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও আনসার কর্তৃক শিক্ষক হেনস্তার অভিযোগ

ভারত সফর শেষে দেশে ফিরেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের

নওরোজ ডেস্ক
  • Update Time : ০৬:৫৯:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৩
  • / ৫৪ Time View

তিনদিনের ভারত সফর শেষে দেশে ফিরেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের। বুধবার (২৩ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। এ সময় দলের নেতা-কর্মীরা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি গেটে তাকে স্বাগত জানান।

এই সফরে কার কার সঙ্গে বৈঠক, এবং কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে এ নিয়ে গণমাধ্যমকে বিস্তারিত বলতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন তিনি।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জি এম কাদের বলেন, আমি ভারত সরকারের আমন্ত্রণে সেখানে গিয়েছিলাম। সেখানে বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা হয়েছে। সেই আলোচনা কার সঙ্গে হয়েছে বা কী বিষয়ে হয়েছে এ প্রসঙ্গে বিস্তারিত বলতে পারবো না। কারণ আলাপগুলো ওইভাবেই হয়েছে। উনারা যদি কিছু প্রকাশ করতে চান করবেন, আমার পক্ষ থেকে উনাদের পারমিশন ছাড়া কিছু বলতে পারবো না। তবে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

জাপা সম্পর্কে ভারতের ভালো ধারণা আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমার কাছে ভালো লেগেছে যে জাতীয় পার্টি সম্পর্কে উনাদের ধারণা ভালো। পার্টিকে একটা সম্ভাবনাময় দল মনে করেন তারা। উনাদের আস্থা আছে যে জাতীয় পার্টির সঙ্গে তাদের সম্পর্ক সৌহার্দপূর্ণ ছিল যা সব সময় থাকবে।

জাতীয় পার্টির সূত্র জানিয়েছে, এই সফরে জি এম কাদেরের সঙ্গে তার স্ত্রী ও সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য শেরিফা কাদের এবং দলের আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপদেষ্টা মাশরুর মাওলা ছিলেন।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির অবস্থান, অংশগ্রহণ এবং জোট গঠনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ইস্যুতে ভারতের বিজেপি নেতা ও সরকারের শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ও মন্ত্রী পর্যায়ে এই সফরে সাক্ষাৎ হয়েছে।

এর আগে ২০ আগস্ট দুপুরে ভারতের দিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন জি এম কাদের।

এদিকে জি এম কাদের ভারতে অবস্থান করা অবস্থায় গত মঙ্গলবার আচমকাই জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান পদ নিয়ে শুরু হয় তোলপাড়। রওশন এরশাদকে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এমন ‘ভুয়া’ একটি বিজ্ঞপ্তি ছড়িয়ে পড়ে গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এ খবরে বনানীতে জি এম কাদেরের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিলও করেন জাপার অনেক নেতাকর্মী।

এ নিয়ে সন্ধ্যায় হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সামনে কথা বলেন তিনি।

‘ভুয়া বিজ্ঞপ্তি’ প্রসঙ্গে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, বেগম রওশন এরশাদ আমার ভাবি। আমার বড় ভাইয়ের স্ত্রী। বড় ভাইকে বাবার মতো মনে করতাম আমরা। সেই হিসেবে বয়সে যাই হোক ভাবিকে আমরা মায়ের মতো দেখেছি। তার সঙ্গে আমার কোনো সময় দ্বন্দ্ব ছিল না। এখনও নেই। কিছু মানুষ উনার অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে বিভিন্নভাবে কাগজপত্র সই করিয়ে নিচ্ছে, উনাকে দিয়ে বক্তব্য দেওয়ানো হচ্ছে। আমার জানামতে এগুলো উনি নিজের ইচ্ছায় বা জেনেশুনে করছেন না। এটা করার উদ্দেশ্য হলো জাতীয় পার্টিকে দুর্বল করা।

তিনি বলেন, কিছু লোক ইচ্ছা করে এটা করছেন। ‘দেবর-ভাবির দ্বন্দ্ব,’ ‘আমরা একতা চাই’ ইত্যাদি এগুলা যারা বলে তারাই বিভিন্নভাবে উসকে দিচ্ছেন। দলটা যাতে শক্তিশালী জায়গায় দাঁড়াতে না পারে। বাইরে যেন দলের ইমেজ সংকটে পড়ে, আমরা যেন নিচে নেমে যাই। এই উদ্দেশ্যে করা হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

ভারত সফর শেষে দেশে ফিরেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের

Update Time : ০৬:৫৯:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৩

তিনদিনের ভারত সফর শেষে দেশে ফিরেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের। বুধবার (২৩ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। এ সময় দলের নেতা-কর্মীরা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি গেটে তাকে স্বাগত জানান।

এই সফরে কার কার সঙ্গে বৈঠক, এবং কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে এ নিয়ে গণমাধ্যমকে বিস্তারিত বলতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন তিনি।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জি এম কাদের বলেন, আমি ভারত সরকারের আমন্ত্রণে সেখানে গিয়েছিলাম। সেখানে বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা হয়েছে। সেই আলোচনা কার সঙ্গে হয়েছে বা কী বিষয়ে হয়েছে এ প্রসঙ্গে বিস্তারিত বলতে পারবো না। কারণ আলাপগুলো ওইভাবেই হয়েছে। উনারা যদি কিছু প্রকাশ করতে চান করবেন, আমার পক্ষ থেকে উনাদের পারমিশন ছাড়া কিছু বলতে পারবো না। তবে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

জাপা সম্পর্কে ভারতের ভালো ধারণা আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমার কাছে ভালো লেগেছে যে জাতীয় পার্টি সম্পর্কে উনাদের ধারণা ভালো। পার্টিকে একটা সম্ভাবনাময় দল মনে করেন তারা। উনাদের আস্থা আছে যে জাতীয় পার্টির সঙ্গে তাদের সম্পর্ক সৌহার্দপূর্ণ ছিল যা সব সময় থাকবে।

জাতীয় পার্টির সূত্র জানিয়েছে, এই সফরে জি এম কাদেরের সঙ্গে তার স্ত্রী ও সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য শেরিফা কাদের এবং দলের আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপদেষ্টা মাশরুর মাওলা ছিলেন।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির অবস্থান, অংশগ্রহণ এবং জোট গঠনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ইস্যুতে ভারতের বিজেপি নেতা ও সরকারের শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ও মন্ত্রী পর্যায়ে এই সফরে সাক্ষাৎ হয়েছে।

এর আগে ২০ আগস্ট দুপুরে ভারতের দিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন জি এম কাদের।

এদিকে জি এম কাদের ভারতে অবস্থান করা অবস্থায় গত মঙ্গলবার আচমকাই জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান পদ নিয়ে শুরু হয় তোলপাড়। রওশন এরশাদকে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এমন ‘ভুয়া’ একটি বিজ্ঞপ্তি ছড়িয়ে পড়ে গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এ খবরে বনানীতে জি এম কাদেরের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিলও করেন জাপার অনেক নেতাকর্মী।

এ নিয়ে সন্ধ্যায় হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সামনে কথা বলেন তিনি।

‘ভুয়া বিজ্ঞপ্তি’ প্রসঙ্গে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, বেগম রওশন এরশাদ আমার ভাবি। আমার বড় ভাইয়ের স্ত্রী। বড় ভাইকে বাবার মতো মনে করতাম আমরা। সেই হিসেবে বয়সে যাই হোক ভাবিকে আমরা মায়ের মতো দেখেছি। তার সঙ্গে আমার কোনো সময় দ্বন্দ্ব ছিল না। এখনও নেই। কিছু মানুষ উনার অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে বিভিন্নভাবে কাগজপত্র সই করিয়ে নিচ্ছে, উনাকে দিয়ে বক্তব্য দেওয়ানো হচ্ছে। আমার জানামতে এগুলো উনি নিজের ইচ্ছায় বা জেনেশুনে করছেন না। এটা করার উদ্দেশ্য হলো জাতীয় পার্টিকে দুর্বল করা।

তিনি বলেন, কিছু লোক ইচ্ছা করে এটা করছেন। ‘দেবর-ভাবির দ্বন্দ্ব,’ ‘আমরা একতা চাই’ ইত্যাদি এগুলা যারা বলে তারাই বিভিন্নভাবে উসকে দিচ্ছেন। দলটা যাতে শক্তিশালী জায়গায় দাঁড়াতে না পারে। বাইরে যেন দলের ইমেজ সংকটে পড়ে, আমরা যেন নিচে নেমে যাই। এই উদ্দেশ্যে করা হয়।