ঢাকা ০৫:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
ইবিতে বৃষ্টির আশায় ইসতিসকার নামাজ আদায় সবাইকে সর্বজনীন পেনশনের আওতায় আনা হবে: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক জমি নিয়ে বিরোধ, ভাতিজার বিরুদ্ধে চাচাকে অপহরণের অভিযোগ মেধা ও মানসিক বিকাশের জন্য বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালিত কুষ্টিয়া দৌলতপুরে সাংবাদিকের উপর হামলার এজাহারভুক্ত দুই আসামী গ্রেফতার তীব্র দাবদাহের জন্য ভোটার উপস্থিতি নিয়ে শঙ্কা আছে: ইসি আনিছুর রহমান এক টাকাও বেতন নেন না চিফ হিট অফিসার: ডিএনসিসি মেয়র রাশিয়ার বিরুদ্ধে দূরপাল্লার মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করছে ইউক্রেন দেশে টিআইএনধারীর সংখ্যা ১ কোটি ২ লাখ ছাড়িয়ে

ভারত-শ্রীলংকার আধিপত্য, সাফল্যের সন্ধানে বাংলাদেশ

নওরোজ স্পোর্টস ডেস্ক
  • Update Time : ০৮:৫০:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৩
  • / ৫১ Time View

কাপ ক্রিকেটে সবচেয়ে সফলতম দল ভারত ও শ্রীলংকা। অন্যদিকে, গেল পাঁচ বছরে ওয়ানডে ক্রিকেটে দুর্দান্ত সাফল্য পাবার পরও এশিয়া কাপের মঞ্চে বাজে এখনো তেমন সাফল্য নেই বাংলাদেশের। ১৯৮৪ সালে শুরু হওয়া টুর্নামেন্টের প্রত্যেক আসরেই অংশ নেয়া একমাত্র দল শ্রীলংকা। এশিয়া কাপে একবার করে অংশ নেয়নি ভারত, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ দল।

সর্বমোট ১৫টি আসরের মধ্যে কেবলমাত্র ২০১৬ এবং ২০২২ আসরে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ছাড়া ১৩বার ওয়ানডে ফরম্যাটে এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হয়। ওয়ানডে ফরম্যাটে গত ১৩টি আসরে ৫০ ম্যাচ খেলে ৩৪টিতে জয়, ১৬টি হারের রেকর্ড রয়েছে শ্রীলংকা। যেকোন দলের সর্বোচ্চ সাফল্য ৬৮ শতাংশ জয় রয়েছে লংকানদের। এ সময়ে ৪৯টি ম্যাচের মধ্যে ৩১টিতে জয় ও ১৬টিতে হেরে দ্বিতীয়স্থানে আছে ভারত। এ ছাড়া ১টি করে ম্যাচ টাই ও পরিত্যক্ত হয়েছে টিম ইন্ডিয়ার।।

ভারতের শতকরা জয়ের হার ৬৫ দশমিক ৬২ শতাংশ। কিন্তু ক্রিকেটে এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে ভারত সর্বোচ্চ সাতবার ও শ্রীলংকা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ছয়বার শিরোপা জিতেছে। ভারত ওয়ানডেতে ছয়বার ও টি-টোয়েন্টিতে একবার ট্রফি জিতেছে। শ্রীলংকা ওয়ানডেতে পাঁচবার ও টি-টোয়েন্টিতে একবার শিরোপার স্বাদ পেয়েছে। ওয়ানডে ফরম্যাটে ২০০০ এবং ২০১২ আসরে তৃতীয় সর্বোচ্চ দু’বার শিরোপা জিতেছে পাকিস্তান। ৪৫ ম্যাচে অংশ নিয়ে ২৬টি জয় ও ১৮টিতে হেরে যাওয়ায়, পাকিস্তানের শতকরা জয় ৫৯ দশমিক ০৯ শতাংশ। তাদের ১টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়। এই তালিকায় জয়ের দিক দিয়ে চতুর্থস্থানে আছে বাংলাদেশ। ৪৩টির মধ্যে মাত্র ৭টিতে জয় ও ৩৬টিতে হার রয়েছে টাইগারদের। টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ হার বাংলাদেশেরই।

তাদের শতকরা জয় ১৬ দশমিক ২৮ শতাংশ। ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে দু’বার ওয়ানডে ফরম্যাটে খেলেছে আফগানিস্তান। ৯ ম্যাচের মধ্যে ৩টিতে জয়, ৫টিতে হার ও ১টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে আফগানদের। তাদের শতকরা জয় ৩৮ দশমিক ৮৯ শতাংশ। ২০০৪, ২০০৮ এবং ২০১৮ ওয়ানডে ফরম্যাটে তিনবার এশিয়া কাপে খেলে ৬ ম্যাচের সবক’টিতে হেরেছে হংকং। ওয়ানডে ফরম্যাটে ২০০৪ এবং ২০০৮ সালে দু’বার অংশ নিয়ে ৪ ম্যাচ খেলে সবগুলোতেই হেরেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।

এবারের এশিয়া কাপে প্রথমবারের মত খেলবে নেপাল। ২০১৬ এবং ২০২২ সালে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে হওয়া এশিয়া কাপের শিরোপা জিতেছে যথাক্রমে- ভারত এবং শ্রীলংকা। এ ফরম্যাটে ১০টি ম্যাচ খেলে ৮টি জয়ে শতকরা ৮০ শতাংশ জয় আছে ভারতের। ১০টিতে খেলে ৬টিতে জিতে শতকরা ৬০ শতাংশ জয় আছে শ্রীলংকার। ১০ ম্যাচের মধ্যে ৫টিতে জয়ে পাকিস্তানের জয়ের শতাংশ ৫০। বাংলাদেশ ৭টিতে অংশ নিয়ে ৩টিতে জয় ও ৪টিতে হেরেছে। ৫টি ম্যাচ খেলে দু’টি জয় ও ৩টিতে হেরেছে আফগানিস্তান। সংযুক্ত আরব আমিরাত ৪টি এবং হংকং ২টিতে খেলে কোন ম্যাচ জিততে পারেনি। তবে দলের বাজে পারফরমেন্সের মাঝেও এশিয়া কাপে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জয়ের রেকর্ড রয়েছে বাংলাদেশের দুই ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও সাব্বির রহমানের। ২০১২ আসরে ২৩৭ রান ও ৬ উইকেট নিয়েছিলেন সাকিব।

ঐ আসরের ফাইনালে উঠলেও পাকিস্তানের কাছে ২ রানের হারে হৃদয় ভাঙ্গে বাংলাদেশের। ২০১৬ এশিয়া কাপে (টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে) ১৭৬ রান করেছিলেন সাব্বির। সর্বশেষ ২০১৮ সালে এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ। ভারতের কাছে ফাইনালে হারলেও ১১৭ বলে ১২১ রান করে শিরোপা নির্ধারনী ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হয়েছিলেন লিটন দাস। সবচেয়ে বেশি পাঁচবার এশিয়া কাপ আয়োজন করেছে বাংলাদেশ। এই টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর ৭ উইকেটে ৩৮৫ রান (ওয়ানডে ফরম্যাট)। ২০১০ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে করেছিলো পাকিস্তান। ২০০০ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে টুর্নামেন্টের সর্বনি¤œ ৮৭ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ২৫টি ওয়ানডেতে ১২২০ রান করে এশিয়া কাপে সর্বোচ্চ রানের মালিক শ্রীলংকার সনাাথ জয়সুরিয়া। এশিয়া কাপের এক আসরে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডের মালিকও জয়সুরিয়া। ২০০৮ সালে ৩৭৮ রান করেছিলেন তিনি। সর্বাধিক ৬টি সেঞ্চুরিও করেছেন জয়সুরিয়া। বাংলাদেশী ব্যাটারের মধ্যে ১৩ ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ ৪০২ রান আছে সাকিবের। ২৪ ওয়ানডেতে ৩০ উইকেট নিয়ে এশিয়া কাপে সর্বোচ্চ শিকারী শ্রীলংকার কিংবদন্তি স্পিনার মুত্তিয়া মুরালিধরন।

বাংলাদেশের পক্ষে ১৮ ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ ২২ উইকেট নিয়েছেন বাঁ-হাতি স্পিনার এবং বর্তমান নির্বাচক আবদুর রাজ্জাক। ১৩ ওয়ানডেতে ১৯ উইকেট শিকার করেছেন সাকিব। এশিয়া কাপে এক আসরে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী শ্রীলংকার স্পিনার অজন্তা মেন্ডিজ। ২০০৮ আসরে সর্বোচ্চ ১৭ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। এশিয়া কাপে ইনিংস সেরা বোলার বোলার লংকার অজন্তা মেন্ডিজ। ২০০৮ আসরে ভারতের বিপক্ষে ১৩ রানে ৬ উইকেট নিয়ে এশিয়া কাপের ইতিহাসে সেরা বোলিং ফিগারের নজির গড়েন অজন্তা। এশিয়া কাপের ইতিহাসে ১৯৯১ সালে শ্রীলংকার বিপক্ষে ভারতের কপিল দেব এবং ২০১০ সালে ভারতের বিপক্ষে পারভেজ মারুফ হ্যাট্টিকের নজির গড়েন।

এশিয়া কাপ ইতিহাসে রান তাড়ায় একমাত্র ব্যাটার হিসেবে দু’টি সেঞ্চুরি করেছেন ভারতের বিরাট কোহলি। ২০১২ সালের ১৮ মার্চ মিরপুরে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৮৩ রান এবং ২০১৪ সালের ২৬ ফেব্রæয়ারি ফতুল্লায় বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৩৬ রান করেছিলেন কোহলি। ২০১২ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে কোহলির ১৮৩ রান এশিয়া কাপের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর।

Please Share This Post in Your Social Media

ভারত-শ্রীলংকার আধিপত্য, সাফল্যের সন্ধানে বাংলাদেশ

Update Time : ০৮:৫০:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৩

কাপ ক্রিকেটে সবচেয়ে সফলতম দল ভারত ও শ্রীলংকা। অন্যদিকে, গেল পাঁচ বছরে ওয়ানডে ক্রিকেটে দুর্দান্ত সাফল্য পাবার পরও এশিয়া কাপের মঞ্চে বাজে এখনো তেমন সাফল্য নেই বাংলাদেশের। ১৯৮৪ সালে শুরু হওয়া টুর্নামেন্টের প্রত্যেক আসরেই অংশ নেয়া একমাত্র দল শ্রীলংকা। এশিয়া কাপে একবার করে অংশ নেয়নি ভারত, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ দল।

সর্বমোট ১৫টি আসরের মধ্যে কেবলমাত্র ২০১৬ এবং ২০২২ আসরে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ছাড়া ১৩বার ওয়ানডে ফরম্যাটে এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হয়। ওয়ানডে ফরম্যাটে গত ১৩টি আসরে ৫০ ম্যাচ খেলে ৩৪টিতে জয়, ১৬টি হারের রেকর্ড রয়েছে শ্রীলংকা। যেকোন দলের সর্বোচ্চ সাফল্য ৬৮ শতাংশ জয় রয়েছে লংকানদের। এ সময়ে ৪৯টি ম্যাচের মধ্যে ৩১টিতে জয় ও ১৬টিতে হেরে দ্বিতীয়স্থানে আছে ভারত। এ ছাড়া ১টি করে ম্যাচ টাই ও পরিত্যক্ত হয়েছে টিম ইন্ডিয়ার।।

ভারতের শতকরা জয়ের হার ৬৫ দশমিক ৬২ শতাংশ। কিন্তু ক্রিকেটে এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে ভারত সর্বোচ্চ সাতবার ও শ্রীলংকা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ছয়বার শিরোপা জিতেছে। ভারত ওয়ানডেতে ছয়বার ও টি-টোয়েন্টিতে একবার ট্রফি জিতেছে। শ্রীলংকা ওয়ানডেতে পাঁচবার ও টি-টোয়েন্টিতে একবার শিরোপার স্বাদ পেয়েছে। ওয়ানডে ফরম্যাটে ২০০০ এবং ২০১২ আসরে তৃতীয় সর্বোচ্চ দু’বার শিরোপা জিতেছে পাকিস্তান। ৪৫ ম্যাচে অংশ নিয়ে ২৬টি জয় ও ১৮টিতে হেরে যাওয়ায়, পাকিস্তানের শতকরা জয় ৫৯ দশমিক ০৯ শতাংশ। তাদের ১টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়। এই তালিকায় জয়ের দিক দিয়ে চতুর্থস্থানে আছে বাংলাদেশ। ৪৩টির মধ্যে মাত্র ৭টিতে জয় ও ৩৬টিতে হার রয়েছে টাইগারদের। টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ হার বাংলাদেশেরই।

তাদের শতকরা জয় ১৬ দশমিক ২৮ শতাংশ। ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে দু’বার ওয়ানডে ফরম্যাটে খেলেছে আফগানিস্তান। ৯ ম্যাচের মধ্যে ৩টিতে জয়, ৫টিতে হার ও ১টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে আফগানদের। তাদের শতকরা জয় ৩৮ দশমিক ৮৯ শতাংশ। ২০০৪, ২০০৮ এবং ২০১৮ ওয়ানডে ফরম্যাটে তিনবার এশিয়া কাপে খেলে ৬ ম্যাচের সবক’টিতে হেরেছে হংকং। ওয়ানডে ফরম্যাটে ২০০৪ এবং ২০০৮ সালে দু’বার অংশ নিয়ে ৪ ম্যাচ খেলে সবগুলোতেই হেরেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।

এবারের এশিয়া কাপে প্রথমবারের মত খেলবে নেপাল। ২০১৬ এবং ২০২২ সালে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে হওয়া এশিয়া কাপের শিরোপা জিতেছে যথাক্রমে- ভারত এবং শ্রীলংকা। এ ফরম্যাটে ১০টি ম্যাচ খেলে ৮টি জয়ে শতকরা ৮০ শতাংশ জয় আছে ভারতের। ১০টিতে খেলে ৬টিতে জিতে শতকরা ৬০ শতাংশ জয় আছে শ্রীলংকার। ১০ ম্যাচের মধ্যে ৫টিতে জয়ে পাকিস্তানের জয়ের শতাংশ ৫০। বাংলাদেশ ৭টিতে অংশ নিয়ে ৩টিতে জয় ও ৪টিতে হেরেছে। ৫টি ম্যাচ খেলে দু’টি জয় ও ৩টিতে হেরেছে আফগানিস্তান। সংযুক্ত আরব আমিরাত ৪টি এবং হংকং ২টিতে খেলে কোন ম্যাচ জিততে পারেনি। তবে দলের বাজে পারফরমেন্সের মাঝেও এশিয়া কাপে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জয়ের রেকর্ড রয়েছে বাংলাদেশের দুই ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও সাব্বির রহমানের। ২০১২ আসরে ২৩৭ রান ও ৬ উইকেট নিয়েছিলেন সাকিব।

ঐ আসরের ফাইনালে উঠলেও পাকিস্তানের কাছে ২ রানের হারে হৃদয় ভাঙ্গে বাংলাদেশের। ২০১৬ এশিয়া কাপে (টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে) ১৭৬ রান করেছিলেন সাব্বির। সর্বশেষ ২০১৮ সালে এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ। ভারতের কাছে ফাইনালে হারলেও ১১৭ বলে ১২১ রান করে শিরোপা নির্ধারনী ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হয়েছিলেন লিটন দাস। সবচেয়ে বেশি পাঁচবার এশিয়া কাপ আয়োজন করেছে বাংলাদেশ। এই টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর ৭ উইকেটে ৩৮৫ রান (ওয়ানডে ফরম্যাট)। ২০১০ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে করেছিলো পাকিস্তান। ২০০০ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে টুর্নামেন্টের সর্বনি¤œ ৮৭ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ২৫টি ওয়ানডেতে ১২২০ রান করে এশিয়া কাপে সর্বোচ্চ রানের মালিক শ্রীলংকার সনাাথ জয়সুরিয়া। এশিয়া কাপের এক আসরে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডের মালিকও জয়সুরিয়া। ২০০৮ সালে ৩৭৮ রান করেছিলেন তিনি। সর্বাধিক ৬টি সেঞ্চুরিও করেছেন জয়সুরিয়া। বাংলাদেশী ব্যাটারের মধ্যে ১৩ ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ ৪০২ রান আছে সাকিবের। ২৪ ওয়ানডেতে ৩০ উইকেট নিয়ে এশিয়া কাপে সর্বোচ্চ শিকারী শ্রীলংকার কিংবদন্তি স্পিনার মুত্তিয়া মুরালিধরন।

বাংলাদেশের পক্ষে ১৮ ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ ২২ উইকেট নিয়েছেন বাঁ-হাতি স্পিনার এবং বর্তমান নির্বাচক আবদুর রাজ্জাক। ১৩ ওয়ানডেতে ১৯ উইকেট শিকার করেছেন সাকিব। এশিয়া কাপে এক আসরে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী শ্রীলংকার স্পিনার অজন্তা মেন্ডিজ। ২০০৮ আসরে সর্বোচ্চ ১৭ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। এশিয়া কাপে ইনিংস সেরা বোলার বোলার লংকার অজন্তা মেন্ডিজ। ২০০৮ আসরে ভারতের বিপক্ষে ১৩ রানে ৬ উইকেট নিয়ে এশিয়া কাপের ইতিহাসে সেরা বোলিং ফিগারের নজির গড়েন অজন্তা। এশিয়া কাপের ইতিহাসে ১৯৯১ সালে শ্রীলংকার বিপক্ষে ভারতের কপিল দেব এবং ২০১০ সালে ভারতের বিপক্ষে পারভেজ মারুফ হ্যাট্টিকের নজির গড়েন।

এশিয়া কাপ ইতিহাসে রান তাড়ায় একমাত্র ব্যাটার হিসেবে দু’টি সেঞ্চুরি করেছেন ভারতের বিরাট কোহলি। ২০১২ সালের ১৮ মার্চ মিরপুরে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৮৩ রান এবং ২০১৪ সালের ২৬ ফেব্রæয়ারি ফতুল্লায় বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৩৬ রান করেছিলেন কোহলি। ২০১২ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে কোহলির ১৮৩ রান এশিয়া কাপের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর।