ঢাকা ০৪:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
ফেসবুকে অপপ্রচার: জবি শিক্ষককের বিচার চেয়ে ভিসির কাছে ডীনের অভিযোগ কুড়িগ্রামে ছাত্রীনিবাসের সামনে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির ভিডিও ধারণ, যুবকের কারাদণ্ড সাইকেল চালিয়ে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পাড়ি দিয়েছেন “দিদার” টাঙ্গাইলে মেয়ে ও জামাতার বিরুদ্ধে বাবাকে নির্যাতনের অভিযোগ, বৃদ্ধের মৃত্যু আখেরী মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে জাকের পার্টির বিশ্ব ইসলামি মহা সম্মেলন ও মহা পবিত্র ফাতেহা শরীফের সমাপ্তি টঙ্গীতে পরিবহনে চাঁদাবাজি, গ্রেফতার ৮ সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা সম্ভবঃ প্রধান বিচারপতি  শত কোটি টাকা আত্মসাৎ: দেশত্যাগের সময় বিমানবন্দরে বিশ্বাস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আটক লালপুরে আ,লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা ইবিতে নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও আনসার কর্তৃক শিক্ষক হেনস্তার অভিযোগ

ভারতকে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর অভিনন্দন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৩:৩২:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৩
  • / ৫৪ Time View

সফল চন্দ্রাভিযান পরিচালনার জন্য ভারত সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।

শনিবার (২৬ আগস্ট) ভারতের উত্তর প্রদেশে অবস্থিত আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক নগরী বারানসীর হোটেল তাজ গাঙ্গেসের দরবার হলে জি-২০ এর সংস্কৃতি মন্ত্রীদের সম্মেলনে তিনি এ অভিনন্দন জানান।

প্রতিমন্ত্রী তার বক্তব্যে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদানের কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের একটি সমৃদ্ধ ও বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রয়েছে, যা বাংলাদেশসহ এ অঞ্চলে টেকসই উন্নয়নকে সহজতর ও বেগবান করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

বাংলাদেশ যেকোনো অবস্থায় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ধ্বংস, লুটপাট, জালিয়াতি ও বিকৃতির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের কার্যকর সুরক্ষা, নিরাপত্তা ও প্রচার নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় নীতি ও পেশাদার সক্ষমতা জোরদার করার জন্য আমাদের জি-২০ সহ বিশ্ব সম্প্রদায়ের অব্যাহত সমর্থন ও সহযোগিতা প্রয়োজন।

বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও পরিবেশগত স্থায়িত্বের মধ্যে সমন্বয় সাধনের বিষয়েও যথেষ্ট গুরুত্বারোপ করেছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ৫১টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী অধ্যুষিত একটি সমৃদ্ধ, ঐতিহ্যবাহী ও বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির দেশ।

আমাদের সংবিধান জাতি, ধর্ম, বর্ণ, সম্প্রদায় নির্বিশেষে প্রত্যেক নাগরিককে অবাধে তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি চর্চার অনুমতি দিয়েছে।

বাংলাদেশ সরকার সংস্কৃতির সব শাখার সুরক্ষা ও প্রসারে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।

কে এম খালিদ বলেন, সংস্কৃতি ও সৃজনশীলতা সমাজের অব্যাহত বিকাশ নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর এর কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে সৃজনশীল অর্থনীতি।

আমাদের সৃজনশীল অর্থনীতি বিকাশের লক্ষ্যে আন্তঃসীমান্ত সহযোগিতা, নেটওয়ার্কিং কার্যক্রম, সহ-অর্থায়ন, সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম ও নেটওয়ার্কগুলোর প্রচার-প্রসারে সর্বাগ্রে মনোনিবেশ করা প্রয়োজন। এছাড়া সংগীত, স্থাপত্য, প্রকাশনা এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের মতো খাতগুলোতে দক্ষতা বৃদ্ধি এবং প্রতিভা বিকাশে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি।

অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তা দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ভারতের কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি।

সম্মেলনে জি-২০ এর ২০টি সদস্য রাষ্ট্র ও আমন্ত্রিত ৯টি অতিথি রাষ্ট্রের সংস্কৃতি মন্ত্রীরা এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। প্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়।

উল্লেখ্য, এবারের জি-২০ সম্মেলনে স্বাগতিক দেশ হিসেবে সভাপতিত্ব করছে ভারত।

জি-২০ সদস্যভুক্ত ২০টি দেশ হলো যথাক্রমে আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মেক্সিকো, রাশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

আমন্ত্রিত ৯টি দেশ হলো যথাক্রমে বাংলাদেশ, মিসর, মরিশাস, নেদারল্যান্ডস, নাইজেরিয়া, ওমান, সিঙ্গাপুর, স্পেন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।

Please Share This Post in Your Social Media

ভারতকে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর অভিনন্দন

Update Time : ০৩:৩২:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৩

সফল চন্দ্রাভিযান পরিচালনার জন্য ভারত সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।

শনিবার (২৬ আগস্ট) ভারতের উত্তর প্রদেশে অবস্থিত আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক নগরী বারানসীর হোটেল তাজ গাঙ্গেসের দরবার হলে জি-২০ এর সংস্কৃতি মন্ত্রীদের সম্মেলনে তিনি এ অভিনন্দন জানান।

প্রতিমন্ত্রী তার বক্তব্যে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদানের কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের একটি সমৃদ্ধ ও বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রয়েছে, যা বাংলাদেশসহ এ অঞ্চলে টেকসই উন্নয়নকে সহজতর ও বেগবান করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

বাংলাদেশ যেকোনো অবস্থায় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ধ্বংস, লুটপাট, জালিয়াতি ও বিকৃতির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের কার্যকর সুরক্ষা, নিরাপত্তা ও প্রচার নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় নীতি ও পেশাদার সক্ষমতা জোরদার করার জন্য আমাদের জি-২০ সহ বিশ্ব সম্প্রদায়ের অব্যাহত সমর্থন ও সহযোগিতা প্রয়োজন।

বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও পরিবেশগত স্থায়িত্বের মধ্যে সমন্বয় সাধনের বিষয়েও যথেষ্ট গুরুত্বারোপ করেছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ৫১টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী অধ্যুষিত একটি সমৃদ্ধ, ঐতিহ্যবাহী ও বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির দেশ।

আমাদের সংবিধান জাতি, ধর্ম, বর্ণ, সম্প্রদায় নির্বিশেষে প্রত্যেক নাগরিককে অবাধে তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি চর্চার অনুমতি দিয়েছে।

বাংলাদেশ সরকার সংস্কৃতির সব শাখার সুরক্ষা ও প্রসারে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।

কে এম খালিদ বলেন, সংস্কৃতি ও সৃজনশীলতা সমাজের অব্যাহত বিকাশ নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর এর কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে সৃজনশীল অর্থনীতি।

আমাদের সৃজনশীল অর্থনীতি বিকাশের লক্ষ্যে আন্তঃসীমান্ত সহযোগিতা, নেটওয়ার্কিং কার্যক্রম, সহ-অর্থায়ন, সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম ও নেটওয়ার্কগুলোর প্রচার-প্রসারে সর্বাগ্রে মনোনিবেশ করা প্রয়োজন। এছাড়া সংগীত, স্থাপত্য, প্রকাশনা এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের মতো খাতগুলোতে দক্ষতা বৃদ্ধি এবং প্রতিভা বিকাশে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি।

অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তা দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ভারতের কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি।

সম্মেলনে জি-২০ এর ২০টি সদস্য রাষ্ট্র ও আমন্ত্রিত ৯টি অতিথি রাষ্ট্রের সংস্কৃতি মন্ত্রীরা এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। প্রদীপ প্রজ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়।

উল্লেখ্য, এবারের জি-২০ সম্মেলনে স্বাগতিক দেশ হিসেবে সভাপতিত্ব করছে ভারত।

জি-২০ সদস্যভুক্ত ২০টি দেশ হলো যথাক্রমে আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মেক্সিকো, রাশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

আমন্ত্রিত ৯টি দেশ হলো যথাক্রমে বাংলাদেশ, মিসর, মরিশাস, নেদারল্যান্ডস, নাইজেরিয়া, ওমান, সিঙ্গাপুর, স্পেন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।