ঢাকা ১১:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
ফেসবুকে অপপ্রচার: জবি শিক্ষককের বিচার চেয়ে ভিসির কাছে ডীনের অভিযোগ কুড়িগ্রামে ছাত্রীনিবাসের সামনে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির ভিডিও ধারণ, যুবকের কারাদণ্ড সাইকেল চালিয়ে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পাড়ি দিয়েছেন “দিদার” টাঙ্গাইলে মেয়ে ও জামাতার বিরুদ্ধে বাবাকে নির্যাতনের অভিযোগ, বৃদ্ধের মৃত্যু আখেরী মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে জাকের পার্টির বিশ্ব ইসলামি মহা সম্মেলন ও মহা পবিত্র ফাতেহা শরীফের সমাপ্তি টঙ্গীতে পরিবহনে চাঁদাবাজি, গ্রেফতার ৮ সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা সম্ভবঃ প্রধান বিচারপতি  শত কোটি টাকা আত্মসাৎ: দেশত্যাগের সময় বিমানবন্দরে বিশ্বাস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আটক লালপুরে আ,লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা ইবিতে নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও আনসার কর্তৃক শিক্ষক হেনস্তার অভিযোগ

“বৈষম্য নিরসনসহ এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ এখন সময়ের দাবি”

নওরোজ অনলাইন ডেস্ক
  • Update Time : ০৪:২০:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ অক্টোবর ২০২৩
  • / ১২৩ Time View
এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারিগণ বর্তমানে সরকারি কোশাগার থেকে শতভাগ বেতন, বার্ষিক ৫% প্রবৃদ্ধি ও বার্ষিক ২০% বৈশাখি ভাতা পায়।
তবে তারা (এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারিগণ) বাড়ি ভাড়া পায় মাসিক ১০০০ টাকা, চিকিৎসা ভাতা পায় মাসিক ৫০০ টাকা, উৎসব ভাতা পায় ২৫%- যা অমানবিক।
উৎসব ভাতা ও বাড়ি ভাড়া স্কেল ভিত্তিক প্রদানসহ চিকিৎসা ভাতা ১৫০০ টাকায় উন্নীত করলেই এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের কাজ অনেক দূর এগিয়ে যায়।
বর্তমানে সরকার এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোনো আয় সরকারি কোষাগারে জমা নেয় না। এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আয় যদি সরকারের কোষাগারে জমা নেয়া হয় তাহলে সরকারের পক্ষে এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ সহজতর হবে।
আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কোনো প্রতিনিধি সরকারের কোন দপ্তরে ডেপুটিশনে না থাকায় তাদের অধিকারের কথা সরকারের কোনো মহলে উপস্থাপন ও আলোচনা করা যায় না।
তাই এমপিওভুক্ত শিক্ষক সমাজ মনে করে, মাধ্যমিক ডিজি আলাদা করা হউক এবং ইহা মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকদের মাধ্যমে পরিচালনাসহএমপিওভুক্ত শিক্ষকদের প্রতিনিধি আনুপাতিক হারে সেখানে প্রেষণে নিয়োগ প্রদানের ব্যবস্থা করা হউক।
তাহলেই শিক্ষার গুণগত মানের উন্নয়নসহ বর্তমানে চালুকৃত নতুন কারিকুলামের সফল বাস্তবায়ন হবে।
বিশেষ করে এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ হলে এদেশের সকল শ্রেণি পেশার মানুষের সন্তানগণ শহরও গ্রামে একই মানের সরকারি স্কুলে কম বেতনে পড়ালেখা করতে পারবে, অভিভাবকদের শিক্ষা ব্যয় কমবে।
ফলে সরকারি-বেসরকারি শিক্ষার বৈষম্যের অবসান হবে এবং মেধাবীগণ শিক্ষকতা পেশায় আকৃষ্ট হবে।
সত্যিকার অর্থে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ করতে হলে বর্তমানে একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ও সরকারের সদিচ্ছা এবং সাহসী ভূমিকার প্রয়োজন- যা বর্তমান সরকার প্রধান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাই নিতে পারেন।
সংবাদ সম্মেলন থেকে জাতীয়করণ প্রত্যাশী মহাজোট এর পক্ষ হতে নিম্নোক্ত দাবিসমূহ উপস্থাপন করা হয় :-
ক) আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের উৎসবভাতা, বাড়িভাড়া ও চিকিৎসাভাতা জাতীয় বেতন স্কেলের আওতায় শতভাগে উন্নীত করতে হবে।
খ) এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের সকল নিয়োগ সরকারের হাতে নিয়ে বদলি ও প্রমোশন অনতিবিলম্বে চালু করতে হবে।
বিশেষ করে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারিদেরকে১লা জানুয়ারি ২০২৪ থেকে EFT এর মাধ্যমে বেতন-ভাতা প্রদান করতে হবে।
গ) মাধ্যমিক ডিজিআলাদাকরণসহএমপিওভুক্ত শিক্ষকদেরকে শিক্ষা প্রশাসনে আনুপাতিক হারে প্রেষণে নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে।
তাছাড়া এমপি ওভুক্ত শিক্ষায় উচ্চতর গ্রেডেকর্মরতদেরকেতদারকির জন্য কোনো নিম্নতর গ্রেডের সরকারি কর্মকর্তা নিয়োগ /দায়িত্ব দেয়া যাবে না।
ঘ) নতুন কারিকুলামে বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ে ১ম ও ২য় পত্রের সমন্বিত সিলেবাস ও নম্বরপত্র (৫০+৫০) নির্ধারণ করা হয়। গণিতের প্রতিটি অধ্যায়ে শিক্ষার্থীদের অনুশীলনের জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক গণিত প্রশ্নাকারেসন্নিবেশকরণ।
এসএসসি পরীক্ষার সিলেবাসের আদলে ৬ষ্ঠ থেকে ১০মশ্রেণির প্রত্যেকটি বিষয়ে মানবণ্টন প্রদান পূর্বক বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ পরীক্ষার জন্য সিলেবাস ও মানবন্টনেরনির্দেশনা প্রদান করতে হবে।
ঙ) এমপিও ভুক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের কে সরকারি স্কুলের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের মতো বেতন স্কেল৬নংগ্রেডেউন্নীতকরণসহ ২ টি উচ্চতর গ্রেড প্রদানের ব্যবস্থাকরণ এবং সহকারী প্রধান শিক্ষকদেরকে ২ টি উচ্চতর গ্রেড প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে।
আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন, সংগঠনের সদস্য সচিব ও বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির মহাসচিবজসিমউদ্দিন আহমদ, অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহ্বায়ক ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী ফোরাম এর সভাপতি অধ্যক্ষ মোঃ মাইন উদ্দীন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ মওলানাদেলোয়ার হোসেন আজিজী, প্রফেসর ড. হানিফ খান, উপাধ্যক্ষমোঃআবদুর রহমান, ডক্টর মোঃইদ্রিস আলী, তালুকদার আব্দুল মন্নাফি, শেখ মোঃ জসিম উদ্দীন, রতন কুমার দেবনাথ, সাহিদুল ইসলাম, মোঃ ফরিদউদ্দিন, মোঃরুহুল আমিন, মোঃ জহিরুল ইসলাম, মেজবাউল ইসলাম প্রিন্স, প্রকৌশলী আবুল বাশার, রাকিবুল হাসান রাসেল, মোঃ আব্দুল হাই সিদ্দিকী, মোঃ তোফায়েল সরকার, আমাতুন নাহার, মোঃ ইসমাইল হোসেন, কামরুজ্জামান, মিজানুর রহমান, মতিউর রহমান দুলাল সহ বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে আগত নেতৃবৃন্দ।

Please Share This Post in Your Social Media

“বৈষম্য নিরসনসহ এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ এখন সময়ের দাবি”

Update Time : ০৪:২০:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ অক্টোবর ২০২৩
এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারিগণ বর্তমানে সরকারি কোশাগার থেকে শতভাগ বেতন, বার্ষিক ৫% প্রবৃদ্ধি ও বার্ষিক ২০% বৈশাখি ভাতা পায়।
তবে তারা (এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারিগণ) বাড়ি ভাড়া পায় মাসিক ১০০০ টাকা, চিকিৎসা ভাতা পায় মাসিক ৫০০ টাকা, উৎসব ভাতা পায় ২৫%- যা অমানবিক।
উৎসব ভাতা ও বাড়ি ভাড়া স্কেল ভিত্তিক প্রদানসহ চিকিৎসা ভাতা ১৫০০ টাকায় উন্নীত করলেই এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের কাজ অনেক দূর এগিয়ে যায়।
বর্তমানে সরকার এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোনো আয় সরকারি কোষাগারে জমা নেয় না। এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আয় যদি সরকারের কোষাগারে জমা নেয়া হয় তাহলে সরকারের পক্ষে এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ সহজতর হবে।
আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কোনো প্রতিনিধি সরকারের কোন দপ্তরে ডেপুটিশনে না থাকায় তাদের অধিকারের কথা সরকারের কোনো মহলে উপস্থাপন ও আলোচনা করা যায় না।
তাই এমপিওভুক্ত শিক্ষক সমাজ মনে করে, মাধ্যমিক ডিজি আলাদা করা হউক এবং ইহা মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকদের মাধ্যমে পরিচালনাসহএমপিওভুক্ত শিক্ষকদের প্রতিনিধি আনুপাতিক হারে সেখানে প্রেষণে নিয়োগ প্রদানের ব্যবস্থা করা হউক।
তাহলেই শিক্ষার গুণগত মানের উন্নয়নসহ বর্তমানে চালুকৃত নতুন কারিকুলামের সফল বাস্তবায়ন হবে।
বিশেষ করে এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ হলে এদেশের সকল শ্রেণি পেশার মানুষের সন্তানগণ শহরও গ্রামে একই মানের সরকারি স্কুলে কম বেতনে পড়ালেখা করতে পারবে, অভিভাবকদের শিক্ষা ব্যয় কমবে।
ফলে সরকারি-বেসরকারি শিক্ষার বৈষম্যের অবসান হবে এবং মেধাবীগণ শিক্ষকতা পেশায় আকৃষ্ট হবে।
সত্যিকার অর্থে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ করতে হলে বর্তমানে একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ও সরকারের সদিচ্ছা এবং সাহসী ভূমিকার প্রয়োজন- যা বর্তমান সরকার প্রধান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাই নিতে পারেন।
সংবাদ সম্মেলন থেকে জাতীয়করণ প্রত্যাশী মহাজোট এর পক্ষ হতে নিম্নোক্ত দাবিসমূহ উপস্থাপন করা হয় :-
ক) আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের উৎসবভাতা, বাড়িভাড়া ও চিকিৎসাভাতা জাতীয় বেতন স্কেলের আওতায় শতভাগে উন্নীত করতে হবে।
খ) এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের সকল নিয়োগ সরকারের হাতে নিয়ে বদলি ও প্রমোশন অনতিবিলম্বে চালু করতে হবে।
বিশেষ করে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারিদেরকে১লা জানুয়ারি ২০২৪ থেকে EFT এর মাধ্যমে বেতন-ভাতা প্রদান করতে হবে।
গ) মাধ্যমিক ডিজিআলাদাকরণসহএমপিওভুক্ত শিক্ষকদেরকে শিক্ষা প্রশাসনে আনুপাতিক হারে প্রেষণে নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে।
তাছাড়া এমপি ওভুক্ত শিক্ষায় উচ্চতর গ্রেডেকর্মরতদেরকেতদারকির জন্য কোনো নিম্নতর গ্রেডের সরকারি কর্মকর্তা নিয়োগ /দায়িত্ব দেয়া যাবে না।
ঘ) নতুন কারিকুলামে বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ে ১ম ও ২য় পত্রের সমন্বিত সিলেবাস ও নম্বরপত্র (৫০+৫০) নির্ধারণ করা হয়। গণিতের প্রতিটি অধ্যায়ে শিক্ষার্থীদের অনুশীলনের জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক গণিত প্রশ্নাকারেসন্নিবেশকরণ।
এসএসসি পরীক্ষার সিলেবাসের আদলে ৬ষ্ঠ থেকে ১০মশ্রেণির প্রত্যেকটি বিষয়ে মানবণ্টন প্রদান পূর্বক বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ পরীক্ষার জন্য সিলেবাস ও মানবন্টনেরনির্দেশনা প্রদান করতে হবে।
ঙ) এমপিও ভুক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের কে সরকারি স্কুলের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের মতো বেতন স্কেল৬নংগ্রেডেউন্নীতকরণসহ ২ টি উচ্চতর গ্রেড প্রদানের ব্যবস্থাকরণ এবং সহকারী প্রধান শিক্ষকদেরকে ২ টি উচ্চতর গ্রেড প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে।
আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন, সংগঠনের সদস্য সচিব ও বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির মহাসচিবজসিমউদ্দিন আহমদ, অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহ্বায়ক ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী ফোরাম এর সভাপতি অধ্যক্ষ মোঃ মাইন উদ্দীন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ মওলানাদেলোয়ার হোসেন আজিজী, প্রফেসর ড. হানিফ খান, উপাধ্যক্ষমোঃআবদুর রহমান, ডক্টর মোঃইদ্রিস আলী, তালুকদার আব্দুল মন্নাফি, শেখ মোঃ জসিম উদ্দীন, রতন কুমার দেবনাথ, সাহিদুল ইসলাম, মোঃ ফরিদউদ্দিন, মোঃরুহুল আমিন, মোঃ জহিরুল ইসলাম, মেজবাউল ইসলাম প্রিন্স, প্রকৌশলী আবুল বাশার, রাকিবুল হাসান রাসেল, মোঃ আব্দুল হাই সিদ্দিকী, মোঃ তোফায়েল সরকার, আমাতুন নাহার, মোঃ ইসমাইল হোসেন, কামরুজ্জামান, মিজানুর রহমান, মতিউর রহমান দুলাল সহ বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে আগত নেতৃবৃন্দ।