ঢাকা ১০:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
ফেসবুকে অপপ্রচার: জবি শিক্ষককের বিচার চেয়ে ভিসির কাছে ডীনের অভিযোগ কুড়িগ্রামে ছাত্রীনিবাসের সামনে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির ভিডিও ধারণ, যুবকের কারাদণ্ড সাইকেল চালিয়ে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পাড়ি দিয়েছেন “দিদার” টাঙ্গাইলে মেয়ে ও জামাতার বিরুদ্ধে বাবাকে নির্যাতনের অভিযোগ, বৃদ্ধের মৃত্যু আখেরী মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে জাকের পার্টির বিশ্ব ইসলামি মহা সম্মেলন ও মহা পবিত্র ফাতেহা শরীফের সমাপ্তি টঙ্গীতে পরিবহনে চাঁদাবাজি, গ্রেফতার ৮ সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা সম্ভবঃ প্রধান বিচারপতি  শত কোটি টাকা আত্মসাৎ: দেশত্যাগের সময় বিমানবন্দরে বিশ্বাস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আটক লালপুরে আ,লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা ইবিতে নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও আনসার কর্তৃক শিক্ষক হেনস্তার অভিযোগ

বিশ্বে খাদ্যসংকটে সাড়ে ৭৩ কোটি মানুষ : জাতিসংঘ

নওরোজ আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • Update Time : ১১:৪৩:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জুলাই ২০২৩
  • / ৫২ Time View

গোটা বিশ্বেই খাদ্যসংকট ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। জাতিসংঘ বলছে, ২০২২ সালে বিশ্বের ৭৩৫ মিলিয়ন বা ৭৩ কোটি ৫০ লাখ মানুষ দীর্ঘস্থায়ী খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগেছে। অতিমারি করোনা বা এর আগের সময়ের তুলনায় এই সংখ্যা অনেক বেশি।

বুধবার জাতিসংঘের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি। ২০৩০ সালের মধ্যে ক্ষুধা দূর করার বৈশ্বিক লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে জাতিসংঘ। তবে, খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার এই চিত্র তাদের সেই লক্ষ্যের জন্য হুমকি।

জাতিসংঘের খাদ্য নিরাপত্তা এবং পুষ্টি সংস্থা (এসওএফআই) বার্ষিক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বেশ কয়েক বছর টানা ক্ষুধার হার বাড়ার পরে গত বছর এই তা কিছুটা ভারসম্যপূর্ণ অবস্থায় আসে। কারণ, অতিমারির পরে কিছু দেশ অর্থনৈতিক সংকট কাটাতে পেরেছিল। তবে, এই সমস্ত অর্জন ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে ভেস্তে গেছে।

এসওএফআইর প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৯ সালের তুলনায় গত বছর ১২২ মিলিয়ন বা ১২ কোটি ২০ লাখ বেশি মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগেছে। ২০৩০ সাল নাগাদ ৬০০ মিলিয়ন ৬০ কোটি মানুষ অপুষ্টির শিকার হবে।

বিষয়টি নিয়ে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষিবিষয়ক সংস্থার (এফএও) প্রধান অর্থনীতিবিদ ম্যাক্সমো তুরেরো কুলেন বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, আমরা দেখছি, ক্ষুধার হারের স্তর নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। বিষয়টি অত্যন্ত খারাপ।’

জাতিসংঘের প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, সংঘাতের জেরে জীবিকায় ব্যঘাত, জলবায়ুর পরিবর্তন যা কৃষি উৎপাদনকে হুমকির মুখে ফেলেছে ও অতিমারীতে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সমস্যার জন্যই বিশ্বব্যাপী ক্ষুধার হার বেড়েছে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই সমস্যাগুলো প্রকট আকার ধারণ করেছে, যা খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার প্রধান চালিকাশক্তি। গোটা বিশ্বে ক্ষুধার হার বাড়লেও দক্ষিণ আমেরিকা ও এশিয়ার বেশিরভাগ অঞ্চলে তা হ্রাস পেয়েছে। কিন্তু, ক্যারিবিয়ান, পশ্চিম এশিয়া ও আফ্রিকার দেশগুলোতে ক্ষুধার হার বেড়েছে।

আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা মার্সি কর্পসের খাদ্য ব্যবস্থার পরিচালক কেভিন মুগেনিয়া বলেন, ‘প্রত্যেক দেশকে তার স্থানীয় খাদ্য সরবরাহের চেইনকে শক্তিশালী করতে হবে। একইসঙ্গে মানবিক সহায়তায় জোর দিতে হবে। দেশগুলোকে স্থানীয়ভাবে খাদ্য নিরপাত্তাহীনতার সমাধান করতে হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

বিশ্বে খাদ্যসংকটে সাড়ে ৭৩ কোটি মানুষ : জাতিসংঘ

Update Time : ১১:৪৩:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জুলাই ২০২৩

গোটা বিশ্বেই খাদ্যসংকট ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। জাতিসংঘ বলছে, ২০২২ সালে বিশ্বের ৭৩৫ মিলিয়ন বা ৭৩ কোটি ৫০ লাখ মানুষ দীর্ঘস্থায়ী খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগেছে। অতিমারি করোনা বা এর আগের সময়ের তুলনায় এই সংখ্যা অনেক বেশি।

বুধবার জাতিসংঘের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি। ২০৩০ সালের মধ্যে ক্ষুধা দূর করার বৈশ্বিক লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে জাতিসংঘ। তবে, খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার এই চিত্র তাদের সেই লক্ষ্যের জন্য হুমকি।

জাতিসংঘের খাদ্য নিরাপত্তা এবং পুষ্টি সংস্থা (এসওএফআই) বার্ষিক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বেশ কয়েক বছর টানা ক্ষুধার হার বাড়ার পরে গত বছর এই তা কিছুটা ভারসম্যপূর্ণ অবস্থায় আসে। কারণ, অতিমারির পরে কিছু দেশ অর্থনৈতিক সংকট কাটাতে পেরেছিল। তবে, এই সমস্ত অর্জন ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে ভেস্তে গেছে।

এসওএফআইর প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৯ সালের তুলনায় গত বছর ১২২ মিলিয়ন বা ১২ কোটি ২০ লাখ বেশি মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগেছে। ২০৩০ সাল নাগাদ ৬০০ মিলিয়ন ৬০ কোটি মানুষ অপুষ্টির শিকার হবে।

বিষয়টি নিয়ে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষিবিষয়ক সংস্থার (এফএও) প্রধান অর্থনীতিবিদ ম্যাক্সমো তুরেরো কুলেন বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, আমরা দেখছি, ক্ষুধার হারের স্তর নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। বিষয়টি অত্যন্ত খারাপ।’

জাতিসংঘের প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, সংঘাতের জেরে জীবিকায় ব্যঘাত, জলবায়ুর পরিবর্তন যা কৃষি উৎপাদনকে হুমকির মুখে ফেলেছে ও অতিমারীতে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সমস্যার জন্যই বিশ্বব্যাপী ক্ষুধার হার বেড়েছে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই সমস্যাগুলো প্রকট আকার ধারণ করেছে, যা খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার প্রধান চালিকাশক্তি। গোটা বিশ্বে ক্ষুধার হার বাড়লেও দক্ষিণ আমেরিকা ও এশিয়ার বেশিরভাগ অঞ্চলে তা হ্রাস পেয়েছে। কিন্তু, ক্যারিবিয়ান, পশ্চিম এশিয়া ও আফ্রিকার দেশগুলোতে ক্ষুধার হার বেড়েছে।

আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা মার্সি কর্পসের খাদ্য ব্যবস্থার পরিচালক কেভিন মুগেনিয়া বলেন, ‘প্রত্যেক দেশকে তার স্থানীয় খাদ্য সরবরাহের চেইনকে শক্তিশালী করতে হবে। একইসঙ্গে মানবিক সহায়তায় জোর দিতে হবে। দেশগুলোকে স্থানীয়ভাবে খাদ্য নিরপাত্তাহীনতার সমাধান করতে হবে।