ঢাকা ১১:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
ফেসবুকে অপপ্রচার: জবি শিক্ষককের বিচার চেয়ে ভিসির কাছে ডীনের অভিযোগ কুড়িগ্রামে ছাত্রীনিবাসের সামনে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির ভিডিও ধারণ, যুবকের কারাদণ্ড সাইকেল চালিয়ে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পাড়ি দিয়েছেন “দিদার” টাঙ্গাইলে মেয়ে ও জামাতার বিরুদ্ধে বাবাকে নির্যাতনের অভিযোগ, বৃদ্ধের মৃত্যু আখেরী মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে জাকের পার্টির বিশ্ব ইসলামি মহা সম্মেলন ও মহা পবিত্র ফাতেহা শরীফের সমাপ্তি টঙ্গীতে পরিবহনে চাঁদাবাজি, গ্রেফতার ৮ সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা সম্ভবঃ প্রধান বিচারপতি  শত কোটি টাকা আত্মসাৎ: দেশত্যাগের সময় বিমানবন্দরে বিশ্বাস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আটক লালপুরে আ,লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা ইবিতে নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও আনসার কর্তৃক শিক্ষক হেনস্তার অভিযোগ

বিএনপি এখন পা ভাঙা বাঘ আর খাঁচায় বন্দী সিংহ – তথ্যমন্ত্রী

কামরুল হাসান টিটু, রংপুর
  • Update Time : ০২:০৯:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জুলাই ২০২৩
  • / ৫৩ Time View

বিএনপিকে পা ভাঙা বাঘ এবং খাঁচা বন্দী সিংহের সঙ্গে তুলনা করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেছেন, বিএনপি ২০১৩-১৫ সালের মতো দেশে আর তান্ডব চালাতে পারবে না। বিএনপি এখন পা ভাঙা বাঘ আর খাঁচা বন্দী সিংহ। জনগণের শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্ট ও সমৃদ্ধি স্তব্ধ করতে চাইলে বিএনপির বিরুদ্ধে জনগণকে সাথে নিয়ে আওয়ামী লীগ প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।

বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) রাতে রংপুর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রংপুরে প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে এই বিশেষ বর্ধিত সভার আয়োজন করে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির ৩১ দফা কর্মসূচির মধ্যে সংসদ ভেঙে দেয়ার কর্মসূচি রয়েছে। সংসদ ভেঙে দেয়া মানে সাংবিধানিক সংকট তৈরি। বিএনপি সাংবিধানিক সংকট তৈরি করতে চায়। সেই সাংবিধানিক সংকটের সুযোগ নেই। তারা এর মাধ্যমে দেশে সাংবিধানিক সংকট তৈরি করে বিশেষ ধরণের সরকার কায়েম করতে চায়। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও জনগণ এটি হতে দেবে না।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, দিনাজপুরে বিএনপির মহাসচিব ঘোষণা দিয়েছেন তারা নাকি আর শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দিবে না। তারা এখন অশান্তির কর্মসূচি দিবেন। তারা আবারও জ্বালাও পোড়াও আন্দোলন করতে চায়। দেশকে অস্থীতিশীল করতে চায়। তারা আমাদের হুমকি দিতে চায়। তাদের হুমকি ইতিপূর্বে সাগরে মারা গেছে, তাদের হুমকি গরুর হাটে মারা গেছে। বিএনপিকে বলতে চাই, আওয়ামী লীগের কর্মীদের উপর হামলা চালানোর চেষ্টা করলে আমরা আর বসে থাকবো না। আমরাও দাঁতভাঙ্গা জবাব দিতে প্রস্তুত রয়েছি। এই আওয়ামী লীগ এখন শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ। তাই সাবধান।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, আগামী ২ আগস্ট রংপুর জিলা স্কুলে প্রধানমন্ত্রীর সফর উপলক্ষে রংপুর বিভাগীয় সমাবেশকে সফল করতে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরে প্রচারণা চালাতে হবে। আমরা রংপুরের সমাবেশকে জনসমুদ্রে রুপান্তরিত করতে চাই। এই সমাবেশে নেতাদের কর্মকান্ডের মাধ্যমে আগামীতে কারা দলে পদ পাবেন, কারা নির্বাচনে মনোনয়ন পাবে তা নির্ভর করবে। তাই সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় জনসমাবেশকে সফল করতে হবে।

আওয়ামীলীগের কোষাধ্যক্ষ এইচ এন আশিকুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী। আরও বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফ.ম বাহাউদ্দিন নাসিম, বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন, সরকার দলীয় হুইপ ইকবালুর রহিম, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম, আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, অ্যাডভোকেট সফুরা বেগম রুমি, সংসদ সদস্য আবুল কালাম মোঃ আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক, মাহবুবা আরা বেগম গিনি প্রমুখ।

এছাড়াও আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য ইদ্রিস আলী, রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ছায়াদত হোসেন বকুল, যুগ্ম আহবায়ক অধ্যাপক মাজেদ আলী বাবুল, জয়নাল হোসেন, এডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক আবুল কাশেম, সাবেক সভাপতি সাফিউর রহমান সফি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডল, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রাজুসহ রংপুর বিভাগের ৮ জেলা, উপজেলা, পৌরসভার আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে রংপুর জিলা স্কুল মাঠ পরিদর্শন করে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যরিষ্টার বিপ্লব বড়ুয়া সাংবাদিকদের বলেন, ২ আগস্ট রংপুর বিভাগের জনসভা হবে সর্ববৃহৎ জনসভা। সেই জনসভা থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী সভা শুরু হবে। সেই জনসভাকে সমৃদ্ধ আর বিপুল জনগণের উপস্থিতি নিশ্চিতে রংপুর বিভাগের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মুখিয়ে আছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

বিএনপি এখন পা ভাঙা বাঘ আর খাঁচায় বন্দী সিংহ – তথ্যমন্ত্রী

Update Time : ০২:০৯:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জুলাই ২০২৩

বিএনপিকে পা ভাঙা বাঘ এবং খাঁচা বন্দী সিংহের সঙ্গে তুলনা করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেছেন, বিএনপি ২০১৩-১৫ সালের মতো দেশে আর তান্ডব চালাতে পারবে না। বিএনপি এখন পা ভাঙা বাঘ আর খাঁচা বন্দী সিংহ। জনগণের শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্ট ও সমৃদ্ধি স্তব্ধ করতে চাইলে বিএনপির বিরুদ্ধে জনগণকে সাথে নিয়ে আওয়ামী লীগ প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।

বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) রাতে রংপুর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রংপুরে প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে এই বিশেষ বর্ধিত সভার আয়োজন করে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির ৩১ দফা কর্মসূচির মধ্যে সংসদ ভেঙে দেয়ার কর্মসূচি রয়েছে। সংসদ ভেঙে দেয়া মানে সাংবিধানিক সংকট তৈরি। বিএনপি সাংবিধানিক সংকট তৈরি করতে চায়। সেই সাংবিধানিক সংকটের সুযোগ নেই। তারা এর মাধ্যমে দেশে সাংবিধানিক সংকট তৈরি করে বিশেষ ধরণের সরকার কায়েম করতে চায়। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও জনগণ এটি হতে দেবে না।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, দিনাজপুরে বিএনপির মহাসচিব ঘোষণা দিয়েছেন তারা নাকি আর শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দিবে না। তারা এখন অশান্তির কর্মসূচি দিবেন। তারা আবারও জ্বালাও পোড়াও আন্দোলন করতে চায়। দেশকে অস্থীতিশীল করতে চায়। তারা আমাদের হুমকি দিতে চায়। তাদের হুমকি ইতিপূর্বে সাগরে মারা গেছে, তাদের হুমকি গরুর হাটে মারা গেছে। বিএনপিকে বলতে চাই, আওয়ামী লীগের কর্মীদের উপর হামলা চালানোর চেষ্টা করলে আমরা আর বসে থাকবো না। আমরাও দাঁতভাঙ্গা জবাব দিতে প্রস্তুত রয়েছি। এই আওয়ামী লীগ এখন শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ। তাই সাবধান।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, আগামী ২ আগস্ট রংপুর জিলা স্কুলে প্রধানমন্ত্রীর সফর উপলক্ষে রংপুর বিভাগীয় সমাবেশকে সফল করতে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরে প্রচারণা চালাতে হবে। আমরা রংপুরের সমাবেশকে জনসমুদ্রে রুপান্তরিত করতে চাই। এই সমাবেশে নেতাদের কর্মকান্ডের মাধ্যমে আগামীতে কারা দলে পদ পাবেন, কারা নির্বাচনে মনোনয়ন পাবে তা নির্ভর করবে। তাই সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় জনসমাবেশকে সফল করতে হবে।

আওয়ামীলীগের কোষাধ্যক্ষ এইচ এন আশিকুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী। আরও বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফ.ম বাহাউদ্দিন নাসিম, বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন, সরকার দলীয় হুইপ ইকবালুর রহিম, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম, আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, অ্যাডভোকেট সফুরা বেগম রুমি, সংসদ সদস্য আবুল কালাম মোঃ আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক, মাহবুবা আরা বেগম গিনি প্রমুখ।

এছাড়াও আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য ইদ্রিস আলী, রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ছায়াদত হোসেন বকুল, যুগ্ম আহবায়ক অধ্যাপক মাজেদ আলী বাবুল, জয়নাল হোসেন, এডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক আবুল কাশেম, সাবেক সভাপতি সাফিউর রহমান সফি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডল, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রাজুসহ রংপুর বিভাগের ৮ জেলা, উপজেলা, পৌরসভার আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে রংপুর জিলা স্কুল মাঠ পরিদর্শন করে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যরিষ্টার বিপ্লব বড়ুয়া সাংবাদিকদের বলেন, ২ আগস্ট রংপুর বিভাগের জনসভা হবে সর্ববৃহৎ জনসভা। সেই জনসভা থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী সভা শুরু হবে। সেই জনসভাকে সমৃদ্ধ আর বিপুল জনগণের উপস্থিতি নিশ্চিতে রংপুর বিভাগের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মুখিয়ে আছেন।